বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

ঘাইহরিণীর ডাক : রহমাতুল্লাহ খন্দকার

 

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প

এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।ঘাইহরিণীর ডাক
রহমাতুল্লাহ খন্দকার

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী