সাংসদ হাজী সেলিম পুত্র ইরফান ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ১ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে।
২৫ অক্টোবর রাতে এ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে একটি হত্যা চেষ্টা মামলার সূত্র ধরে ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে রাত অবধি পুরান ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত চাঁন সরদার দাদা বাড়ি ৯ তলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় র্যাব-৩ ও র্যাব-১০ য়ৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের অভিযানে ঐ বাড়িতে প্রচুর পরিমানে বিদেশী মদ, ৩৮টি ওয়াকিটকী, পুঁলিশের হ্যান্ডকাপসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।
ভ্রাম্যমান আদালত বাসায় মদ পান এর অপরাধে ৬মাসের কারাদন্ড এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটাকী রাখার অপরাধে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড মোট ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে হাজী সেলিমপুত্র ইরফানকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালত।
চাঁন সরদার বাড়ির পর পাশের আরো একটি ভবন মদিনা আসিক টাওয়ারে ইরফান সেলিমে কার্যালয়ে র্যাবের অভিযান রাতেই পরিচালিত হয়। র্যাবের ভাষ্যমতে সেখানে একটি টর্চার সেল পাওয়া যায়।
র্যাব ধারনা করছে যে, চাঁদাবাজি ইত্যাদীতে এই টর্চার সেল ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। সেখানে ওয়াকিটকী, পুলিশের হ্যান্ডকাপ, হকিস্টিকার, রশি(দড়ি) ইত্যাদী সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছেন নির্যাতনের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম। ধারণা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাই সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন