বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মুমিনের ৫০টি গুনাবলী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আয়াত সমূহের অনুবাদ তাফহীমুল কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছ। আরও বিস্তারিত ভাবে বুঝার জন্য তাফহীমুল কোরআন থেকে তাফসীর পড়ে নেওয়া যেতে পারে।

1. আল্লাহ তালার নাম নিলে ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠবেঃ
﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ﴾
সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে৷ আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় ২ এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে৷ (সুরা আনফাল ২)
2. আল্লাহ তালার সাথে কক্ষনো শিরক করবে নাঃ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ
তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না। (সুরা ফুরকান ৬৮)
3. জিনা করবে নাঃ
وَلَا يَزْنُونَ
ব্যভিচার করে না৷(সুরা ফুরকান ৬৮)
4. নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ﴾
নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সুরা মুমিনুন ৫)
5. খুশু সহকারে নামাজ আদায় করেঃ
﴿الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ﴾
যারাঃ নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়,
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ﴾
এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে,
( সুরা মুমিনুন ২, ৯)
6. পিতা মাতার প্রতি উফ শব্দও করবে নাঃ
فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ
তাদেরকে “উহ্‌” পর্যন্তও বলো না (সুরা ইসরা ২৩)
7. অযথা এবং বাজে কাজথেকে দূরে থাকবেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ﴾
বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। (সুরা মুমিনুন ৩)
8. জান মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
9. কক্ষনোই ধারণা করে কাজ করবে নাঃ
﴿وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ﴾
এরা বলে : জীবন বলতে তো শুধু আমাদের দুনিয়ার এই জীবনই৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যু এখানেই এবং কালের বিবর্তন ছাড়া আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না৷ প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে এদের কোন জ্ঞান নেই৷ এরা শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে এসব কথা বলে৷(সুরা জাসিয়া ২৪)
10. মূর্খদের সাথে কক্ষনো তর্ক করে নাঃ
وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا﴾
মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয় (সুরা ফুরকান ৬৩)
11. নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে নাঃ
وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ
যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা (সুরা মায়েদা ৫৪)
12. কক্ষনোই মিথ্যা কথা বলবে নাঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ﴾
নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
13. আমানতের খিয়ানত করবে না।
14.প্রতিশ্রুতি দিলে রক্ষা করবে।
وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا
যারা অংগীকার করে তা পূর্ণ করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
15.পরিপুরন ভাবে যাকাত আদায় করবে।
وَآتَى الزَّكَاةَ
যাকাত দান করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
16.ইয়াতিমের হক নষ্ট করবে না।
﴿وَآتُوا الْيَتَامَىٰ أَمْوَالَهُمْ
এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দাও৷ (সুরা নিসা ২)
17. রাস্তায় অবস্থান রতদের সাহায্য করবে।
সুরা বাকারা ১৭৭ নম্বর আয়াত দেখুন।
18. কাফিরদের সাথে শক্ত দিল আর মুমিনদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করবে।
أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ
মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল৷ আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন ৫২ এবং নিজেরা পরস্পর দয়া পরবশ৷ (সুরা ফাতহ ২৯)
19.মানুষের ভুল ভ্রান্তিকে ক্ষমা করবে।
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ
অন্যের দোষ –ক্রটি মাফ করে দেয়৷ (সুরা আলে ইমরান ১৩৪)
20. সর্বাবস্থায় কেবল মাত্র আল্লাহতালার উপরেই নির্ভর করবে।
.কেবল মাত্র মুমিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহন করবে।
﴿لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ ۗ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ﴾
মু’মিনরা যেন ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কখনো কাফেরদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক, বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ না করে৷ যে এমনটি করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই৷ তবে হ্যাঁ, তাদের জুলুম থেকে আত্মরক্ষার জন্য তোমরা যদি বাহ্যত এ নীতি অবলম্বন করো তাহলে তা মাফ করে দেয়া হবে৷২৫ কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সত্তার ভয় দেখাচ্ছেন আর তোমাদের তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে৷ (আলে ইমরান ২৮)
22.অভাব অনটন এবং সচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় দান করবে।
﴿الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّا
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
23.রাগান্বিত হলে রাগকে দমন করবে।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
24.অন্যদের উপাস্যকে গালি দিবে না।
﴿وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ
আর ( হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না৷ (আনআম ১০৮)
25.অন্যায় ভাবে কাওউকে হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ
আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না৷(আনআম ১৫১)
26.আল্লাহর আয়াতকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে না।
لَا يَشْتَرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا
আল্লাহর আয়াতকে সামান্য দামে বিক্রি করে না৷(আলে ইমরান ১৯৯)
27.মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷
﴿وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷ (বাকারা ৪২)
28.মানুষকে একথা বলতে পারবে না যে ‘’তুমি মুমিন নও’’।
ً ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
হে ঈমানদারগণ ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হও তখন বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করো এবং যে ব্যক্তি সালামের মাধ্যমে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসে তাকে সংগে সংগেই বলে দিয়ো না যে, তুমি মুমিন নও৷ (সুরা নিসা ৯৪)
29. কোন রাসুলের মধ্যই পার্থক্য করবে না।
﴿قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ﴾
হে মুসলমানরা!তোমরা বলো, “আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি, যে হিদায়াত আমাদের জন্য নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা ইবরাহীম, ইসমাঈল , ইসহাক , ইয়াকুব ও ইয়াকুবের সন্তানদের তাদের রবের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তার প্রতি ৷ তাদের করোর মধ্যে আমরা কোন পার্থক্য করি না৷ ১৩৬ আমরা সবাই আল্লাহর অনুগত মুসলিম ৷” (বাকারা ১৩৬)
30.মাটিতে নম্রভাবে চলাফেরা করবে।
﴿وَعِبَادُ الرَّحْمَٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا
রহমানের (আসল) বান্দা তারাই , যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে (ফুরকান ৬৩)
31. সঠিকভাবে ওজন করবে ওজনে কম দেয় না।
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ﴾
ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়৷
وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ
ওজন ও পরিমাপে পুরোপুরি ইনসাফ করো (আনআম ১৫২)
32.হালাল এবং পাক পবিত্র জিনিশ ভক্ষন করবে।
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ﴾
হে মানব জাতি ! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। (বাকারা ১৬৮)
33.কক্ষনোই মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে না।
﴿وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا﴾
(আর রহমানের বান্দা হচ্ছে তারা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং কোন বাজে জিনিসের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকলে ভদ্রলোকের মত অতিক্রম করে যায়৷ (ফুরকান ৭২)
34.পেঁচিয়ে কথা বলবে না।
وَإِن تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا﴾
আর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো অথবা সত্যতাকে পাশ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন৷ (নিসা ১৩৫)
35. মানুষকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে শাসন করবে।
36.অভাব অনটনের কারনে সন্তান হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُم مِّنْ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ
দারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিচ্ছি এবং তাদেরকেও দেবো। (আনআম ১৫১)
37.কক্ষনোই শপথ ভঙ্গ করবে না।
﴿وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ﴾
আল্লাহর অংগীকার পূর্ণ করো যখনই তোমরা তাঁর সাথে কোনো অংগীকার করো এবং নিজেদের কসম দৃঢ় করার পর আবার তা ভেঙে ফেলো না যখন তোমরা আল্লাহকে নিজের ওপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছো৷ আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত৷
38.মান্নত পুরন করবে ।
وفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا﴾
এরা হবে সেসব লোক যারা (দুনিয়াতে )মানত পূরণ করে, সে দিনকে ভয় করে যার বিপদ সবখানে ছড়িয়ে থাকবে৷ (দাহর ৭)
39.আল্লাহকে প্রদত্ত ওয়াদা পালন করে।
﴿الَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ الْمِيثَاقَ﴾
আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অংগীকার পালন করে এবং তাকে মজতুব করে বাঁধার পর ভেঙ্গে ফেলে না৷ (সুরা রাদ ২০)
40. নিকটাত্মীয়দের সাহায্য করবে। ( বাকারা ১৭৭)
41. অসুস্থ এবং পথচারীদের সাহায্য করবে। (বাকারা ১৭৭)
42. নিঃস্ব এবং দরিদ্রদের সাহায্য করবে (বাকারা ১৭৭)
43. দুঃখ, দুর্দশা এবং যুদ্ধের সময় ধরজ ধারণ করবে। (বাকারা ১৭৭)
44. আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে দান করে।
﴿الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ﴾
তারা নামায কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ( আমার পথে) খরচ করে৷ (আনফাল ৩)
45. রাতে কম ঘুমায়
﴿كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ﴾
রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো৷ (যারিয়াত ১৭)
46. চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকবে।
سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ
তোমরা যখনই দেখবে তখন তাদেরকে চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায়৷ (ফাতহ ২৯)
47. মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ এবংঅসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিবে।
﴿كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ﴾
এখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল৷ তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য ৷ তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো৷ (আলে ইম্রান ১১০)
48. এমন বিষয়ে প্রশ্ন করবে না যেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে তারা লজ্জিত হবে।
لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ
হে ঈমানদারগণ ! এমন কথা জিজ্ঞেস করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হলে তোমাদের খারাপ লাগবে৷ (মায়েদাহ ১০১)
49. কাজ করার পূর্বে সভাসদদের সাথে পরামর্শ করবে।
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ
নিজেদের সব কাজ পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে চালায়। (শুরা ৩৮)
50. বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে।
﴿وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ﴾
তাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে৷ (শুরা ৩৯)
( কালেক্টেড)

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি : অভিভাবক দের করনীয় কি?

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ
মা-বাবারা দয়া করে আপনাদের সন্তানদের বল্গাহীন ছেড়ে দেবেন না। আপনাদের শাসনের ছড়িটা উঠাবেন না প্লিজ। সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের ছোটকাল থেকেই আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা সমান তালে দিয়ে যান।
🐾
যতটুকু না হলে সৃষ্টিকর্তাকে চেনা যায় না, এই পৃথিবীতে মানুষের আসার উদ্দেশ্য বুঝতে পারা যায় না, আর মরার পরের হিসাব নিকাশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া হয় না- অন্তত:পক্ষে ততটুকু মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা তার অন্তরে ছোটকাল থেকেই গেঁথে দিতে চেষ্টা করুন। আপনি চেষ্টা করুন, সে কতটুকু রিসিভ করতে পারল সেটা বড় কথা নয়- বরং অভিভাবক হিসেবে আপনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করলেন, সেটাই বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
🐾
মনে রাখবেন, আপনি- আমি এই গুরুদায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের ঘরে ঘরে তখন ঐশীরা জন্ম নেবে, বন্ধুদের আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে আপনি আপনার মেয়ের লাশ উপহার পাবেন, গভীর রাতে বন্ধুর সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরার পথে সন্দেহজনক ভাবে এক্সিডেন্ট এ নিহত হবে আপনার প্রিয় সন্তান টি!
🐾
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত হওয়ার আগেই সম্ভব হলে ছেলে মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে ছাত্রজীবন শেষ হবার আগেই। শিক্ষাজীবন শেষ হবার আগ পর্যন্ত অভিভাবক গণ তাদের পরিবারের ভরন পোষণ এর দায়িত্ব নিন। তাতে আস্তে আস্তে রাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন সম্মিলিত ভাবে, জনমত গঠন করে।
🐾
ধীরে ধীরে ব্যক্তি, সমাজ পেরিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই ব্যাপারে প্রচার, প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা নিন।
🐾
নয়তো বিশ্বাস করুন এই নৈতিক চূড়ান্ত অবক্ষয়ে আমার দেশের অধিকাংশ যুব সমাজকে নিমজ্জিত রেখে এই ভূখন্ডের কাংখিত সমৃদ্ধি, উন্নয়ন কখনোই সম্ভবপর হবে না।
🐾
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের আবহমান সংস্কৃতিকে লালন করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতির বল্গাহীনতায় গা ভাসিয়ে নয়, নিজেদের স্বকীয়তাকে উর্ধে তুলে ধরেই আমরা আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাই। অনাগত প্রজন্মের কাছে আমাদের, অভিভাবকদের দায়বদ্ধতা ও এটি নি:সন্দেহে।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

নিখোঁজ সংবাদ

 

আহমদ হোসাইনঃ পেকুয়া থানার অন্তর্গত ফাঁশিয়াখালী বারাইয়াকাটা নিবাসী মোহাম্মদ মামুনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল বাকি (ইমন) বয়স ১৪ বছর।

গতকাল ৬/১/২০২১ ইংরেজী তারিখে সকাল ৭ টার সময় বারাইয়াকাটা কামিল মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তি নিজ বাড়ি থেকে সাতকানিয়া চিববাড়ী মহিলা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকেন নীচের নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করা হল।
01815543329
অথবা
01824027381

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

বৃহত্তর রংপুর তথা গাইবান্ধার কৃ‌তি সন্তান যি‌নি গরীবের ডাক্তার হিসাবেও পরিচিত ‌ড. এজাজুল ইসলাম।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বৃহত্তর রংপুর তথা গাইবান্ধার কৃ‌তি সন্তান যি‌নি রোগী দেখার ফি শিথিলযোগ্য করার জন্য গরীবের ডাক্তার হিসাবেও পরিচিত ‌ যার নাম ড. এজাজুল ইসলাম।

এজাজুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মূলত একজন ডাক্তার। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন। এর পর তিনি দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি তারকাঁটা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।
এজাজুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এজাজ একজন ডাক্তার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন। তিনি সরকার নির্ধারিত ৩০০ টাকা ফিতে রোগী দেখেন। তার ভিজিট ফি কম হওয়ায় তাকে গরীবের ডাক্তার নামে ডাকা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে এজাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
অনেকের পোস্ট দিয়েছে দেখলাম আজকে ওনার জন্মদিন। তবে গুগলে সার্চ দিয়েও জন্মতারিখটি পেলাম না। যা-ই হোক আপনাকে সৃষ্টিকর্তা গরীব রোগীদের সেবা করার তৌফিক দান করুক।
আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
সংগৃহীত

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

আমাদের চিটাংগা বিয়ের খরচের বিবরণঃ

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ১।পাত্রী দেখার জন্য ছেলের কম করে ১০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা হতে পারে।

২।মেয়ে পছন্দ হওয়ার পর মেয়ে পক্ষের খরচ শুরু!৫ জনের বৈঠকের নামে ছেলে পক্ষ থেকে কম করে হলেও ১৫-২০জন আসবে মেয়ের বাড়ি।কোন কোন সময় ৫০ জনও পার হয়ে যায়।খরচ ২০-২৫হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাদিক টাকা পার হয়।
৩।এবার ছেলে মেয়ের উভয় পক্ষের একে অপরের আকদের সাজানির জন্য ৫০হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার বাজার।
৪।আকদের দিন ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষকে মসজিদে দেওয়ার জন্য নাস্তার প্যাকেট করতে হয়।তবে এখনো মেয়ে পক্ষকে এর জন্য বাধ্য করা হয় না।খরচ ৫-৫০ হাজার টাকা।
৫।এবার আকদের দিন ছেলে মেয়েকে দেখতে ও শুশুর শাশুড়ী কে সালাম করতে আসবে।জামাই তো একা আসতে পারবে না,তাই বেশী না ৫০-৬০ জন নিয়ে আসে।আর বড় লোকের ছেলেরা আবার বেশী ভয় পাই!!তাই তারা ২০০ থেকে ৫০০ জন নিয়ে আসে।মেয়ের পক্ষ কে এর জন্য ৪০-৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২-৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হয় আর কি!!
৬।এবার বিয়ে ও গায়ে হলুদ এর বাজারের পালা।ছেলেপক্ষ কে কম করে হলেও লক্ষাধিক টাকা খরছ করতে হয়।বড় লোকের পোলামায়ার তো আলাদা হিসাব নিকাস। যারা বেশী চালাক তারা ৫০ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ ধরে মেয়েপক্ষ কে দিয়ে দেয়। এবার মেয়েপক্ষ ছেলেপক্ষ কে বুঝানোর জন্য তারা সম্পূর্ণ টাকার সাজানি কিনেছে, মেয়ের বাপের পকেটের দিগুন টাকা খরচ করে মেয়ের সাজানী কিনে।
ছেলেকে সাজানীর পাশাপাশি,পাঁচ কাপড় বা স্যুট দিতে হবে।অনেকে এর বদলে ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আর পার্টওয়ালা ছেলেরা তো ৭০-৯০ হাজার টাকার নিচে স্যুট পরেও না।কিছু পরিবারে ছেলেকে একা দিলে হয় না।দেবরদুলা ভাইদেরও দিতে হয়।দুলার সঙ্গে যারা যারা যায় তাদেরও কিছুনা কিছু কিনে দিতে হয়।
৭।আমাদের চট্টগ্রামে গায়ে হলুদ ২ধরনের হয়।১টা হলো ছেলে মেয়ে উভয়পক্ষ একসাথে করেন, আর একটা হলো ২ পক্ষ ২দিন গায়ে হলুদ করেন।উভয় পক্ষ একে অপরের হলুদে অনেক উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়।একসাথে করা গায়ে হলুদ এর সম্পুর্ন খরচ এর দায়িত্ব থাকে মেয়ে পক্ষের।বেশী না ২-৩ লক্ষ টাকা করছ হয় আর কি!!
৮।বিয়ের দিন হয় এলাহি কান্ড।১ থেকে দেড় হাজার বরযাত্রী, কম করে হলেও ৫০০-৬০০জন। অনেকে কিছু খাবার আগে নিয়ে যায় বা টাকা নিয়ে নেয়।অনেকে বলে দেয় যাতে বরযাত্রীকে ভালো মতো দেখার জন্য যাতে তাদের আপ্যায়নে বা অন্য কিছুতে ভুল বা ত্রুটি না হয়। সম্মান করার জন্য। খাবারের মেন্যু ঠিক করে দেয়, অবশ্য এটা একেবারে ছোট লোক তারা করে থাকে, কারণ চট্টগ্রামে বিয়ের খাবার এর কথা বলতে হয় না।মেয়ের পক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে খাবারের মান ও আইটেম ঠিক রাখার জন্য।
যদিও চিংড়ি মাছ না থাকার জন্য এখানে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আর বিয়েটা তো অবশ্যই নামিদামি ক্লাবের ফেলতে হবে,সুন্দর ডেকোরেশন করতে হবে।ছেলের বোন জামাই কে, ছেলের ভাইকে স্বর্ণের আন্টি দিতে হবে। ছেলেকে ঘড়ি দিতে হবে। এই ভাবে বিয়ের দিন বেশী না ৬-৭ লাখ টাকা, তা না হলে ১০-১২ লাখ টাকা খরচ হয় আর কি।
৯।এবার বউ ফিরাপারা বা পুনরায় নিজের বাড়ি আসা পর্যন্ত বউ এর কোন না কোন আত্মীয় প্রতিদিন জামাই বাড়ি আসতে থাকবে। তাই তাড়াতাড়ি বউকে ফিরাপারার ব্যবস্থা করা হয়।অনেকে একসাথে বউএর কিছু আত্মীয়কে খাইয়ে দিয়ে ওয়ালিমাটা সেরে ফেলে।কিছু ছোট লোক বউ এর বাড়ি থেকে আনা খাবার গুলো দিয়ে এইসব আত্মীয়দের আত্মীতিয়তা সেরে ফেলে। কেউ কেউ ওয়ালিমায় ২০০-৩০০ থেকে শুরু করে ৫০০-১০০০ মানুষের খাবার করে।ওয়ালিমাতে ছেলেপক্ষ ১ লাখ থেকে শুরু করে ৭-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে।
১০। এবার ছেলে চুরি করে মেয়েকে দেখতে যাবে বন্ধুবান্ধব নিয়ে।তখন বেশি না ৩০-৪০ জন যায় আরকি।চুরি করে যায় বলে এটাকে চোরা বৈরত বলা হয়।জামাই চুরি করতে গেলেও সম্মানের সাথে অনেক গুলো আইটেম এর নাস্তা, রাতের খাবার ও ডেজার্ট তৈরি করা হয়। ৫০-৬০হাজার টাকার মধ্যে অবশ্য একটা চোরা বৈরতের আয়োজন করে ফেলে যায়। তবে হ্যাঁ!! ই বৈরাতীর দিকে কড়া নজরদারী করতে হয়। তা না হলে কিছু না কিছু এরা চুরি করবেই।
১১।এবার বউ জামাইবাড়ী ফিরে আসার পালা। এই ১০-১২জন আসে নিয়ে যেতে। দেবর, ননদের জামাই আসলে ওদের কে স্বর্ণের আন্টি দিতে হয় অথবা বকসিস দিতে হয়। এই২০ হাজার থেকে লক্ষাধীক টাকা খরচ হয়।
১২।এবার বিয়াইনভাতার পালা। অর্থাৎ বরের মা-বাবা তাদের ভাই-বোন নিকট আত্মীয় নিয়ে বউ এর বাড়ি বেড়াতে যায়। এই ২০০-৩০০ লোক যায়।এইদিন বিশেষ করে বরের মা প্রথমবারের বউ এর বাড়ি দেখতে যায়। তাই তিনি এই আয়োজন এর মুল আকর্ষণ। তিনি এই আয়োজন ছাড়া বউ এর বাড়ি যান না।
ভাই খরচের কথা আর বলতে ইচ্ছে করছে না। আপনাদের মত ধরে নিন কত খরচ হতে পারে।
১৩। ১ম রমজানের ঈদে উভয় পক্ষ ঘরের সদস্যকে পছন্দ সই কাপড় কিনে দিতে হবে। ছেলেপক্ষ না দিলে মেয়েপক্ষ তেমন কিছু বলে না। বউ একটু খুটা দেয় আর কি।
১৪। কোরবানির ঈদ বউ বাড়ি থেকে গরু অবশ্যই। ছেলে দয়া করে সে গরু থেকে ১টা আস্ত রান মেয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গরু ছোট হলে কিন্তু কনেপক্ষ গরুর রান থেকে বঞ্চিত হয়।
এছাড়া বউ এর বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বেনামে জামাই এর পুরো আত্মীয় সজন,পাড়া প্রতিবেশীর জন্য খাবার পাটাতে হয়। যেমন-শীতের পিঠা,মধুভাত, বিভিন্ন মৌসুমি ফলের সময় সে ফল গুলো, ইফতারী,নাতি হলে জীবন্ত হাঁস-মুরগি,নাতির আকিকা, নাতি দোলনায় দেওয়া, নাতির দাঁত ওটা, মিলাদুন্নবীর তবররুক, পরবী, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি....................!!!""""
আরে বিরাট বড় বড় দুই দুই টা খরচের কথা তো বলিই নাই!!
বিয়ের কাবিনের বাবদ স্বর্ণ।এই জায়গায় ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন একজন টকবেই। প্রথমে এমন ভাবে কাবিনটা ধরা হবে ছেলের চৌদ্দ গুস্টিও এই কাবিন পরিশোধ করতে পারবে না। অবশ্য এই নিয়ে চিন্তা নাই। এটা পুরো টাই বাকি থাকলেও সমস্যা। মারা যাওয়ার আগে বউ এর পা ধরে ক্ষমা চাইলেই হয়।স্বর্ণ যায় দেওয়া হয় অনেক সময় পুরো টাই উপহার স্বরুপ ধরা হয়। কেউ স্বর্ণ দেয় ৬-৭ লক্ষ টাকার, উসুল ধরা হয় ১-২ লাখ টাকা। অনেক ৫-১০লাখ টাকা উসুল ধরে দেয় কিন্তু বিয়ের পর স্বর্ণ গুলো নিয়ে নেয়।
আর যৌতুক এর কথা বলা হয় নাই।। আমাদের চট্টগ্রামে আমরা কিন্তু যৌতুক নিই না। উপহার নিই। উপহার কিন্তু কম দিলে হবে না। বেশি বেশি করে দিতে হবে। যায় দিবেন আপনাদের মেয়েই তো ব্যবহার করবে।আমরা তো শুধু শুঁকে শুঁকে দেখব।
এতোকিছুর পরেও মেয়েটি হয় বেতন ছাড়া দাসী
অথবা ছেলেটি হয় বউ এর গোলাম। সেটা করতে না পারলে বিভিন্ন মামলায় জেল খাটো।
যারা মান সম্মান নিয়ে থাকতে চাই। ভালবাসা ছাড়া একে অপরের সাথে অসম্মানজনক ভাবে সারাটা জীবন কাটাই দেয়।
বর্তমানে চট্টগ্রামের ৯৯℅ মানুষ বিয়ের সময় লোন করে। এই বিয়ের আজাবে প্রায় প্রতিটি পরিবার কোন না কোন ভাবে জর্জরিত।
অথচ ইসলাম বলে সবচেয়ে কম খরচের বিয়েতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়।
ইসলামে বিয়ে কত সহজ বিষয়।
চট্টগ্রাম এ বিয়ের মত কঠিন আর কিছুই নাই!!!!!!
সংগৃহীত

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

৩৩ জন শিল্পপতি যারা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন

 

 আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর। বিদায়-বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঘটে গেছে নানান ঘটনা। বিশেষ করে করোনাকালে (এপ্রিল-ডিসেম্বর ২০২০) দেশে ৩৩ জন শিল্পপতির মৃত্যু হয়েছে।


দেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর কারোনা শনাক্ত হওয়ার পর এম এ হাসেমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

আলী যাকের ছিলেন অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। দেশের বৃহৎ বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার ছিলেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর তার করোনা পজিটিভ আসে। গত ২৭ নভেম্বর ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এস আলম গ্রুপ ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেমন ইস্পাত লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৬৫ বছর বয়সে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ২২ মে তিনি মারা যান।
বেসকারি হাসপাতাল পপুলারের চেয়ারপারসন তাহেরা খানম ১০ জুন মারা যান। তার করোনা পজিটিভ থাকলেও হৃদরোগের কারণে তিনি ঢাকার অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

২৫ জুন মারা যান শিল্পপতি হাসান জামিল সাত্তার। তিনি ছিলেন ময়নামতি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে ১৫ জুন। করোনায় তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ জুলাই ৭৪ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সেখ আকিজ উদ্দিনের মেজো ছেলে ও আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেখ মোমিন উদ্দিন মারা যান গত ২৪ আগস্ট। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রামের আরেক শিল্পপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরী। ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও থাই চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
চা শিল্পের খ্যাতিমান ব্যবসায়ী আজমত মঈন ৬৮ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। তিনি ছিলেন মৌলভী চা কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সুরমা চা কোম্পানির পরিচালক।

এছাড়া পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল ফেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন মাহমুদ, মোনেম গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনেম খান, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এবং এফবিসিসিআই সাবেক সদস্য ইমামুল কবির শান্ত, বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সদস্য সাদিক আহসান, বাংলাদেশ প্লাস্টিক রাবার সু মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সাবেক এফবিসিসিআই সদস্য হাজী মো. মনসুর আলী, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আলহাজ সিরাজ উদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মো. আব্দুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও সাবেক এফবিসিসিআই পর্ষদ সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ শের মোহাম্মদ, ন্যাশনাল কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কামরুল হুসেন চৌধুরী (গোর্কি), বাংলাদেশ মনিহারি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, বাংলাদেশ মেটাল ওয়্যার অ্যান্ড ওয়্যারনেইলস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সহ-সভাপতি মো. মোবারক হোসেন, রয়েল ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী বদরুল হুদা মুকুল, এফবিসিসিআইয়ের সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ ও বাংলাদেশ পোদ্দার সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সদস্য মো. বাচ্চু মিঞা মারা গেছেন।

মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর মধ্যে আরও আছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের চেয়ারম্যান হারুন- অর- রশিদ, রহমত গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ আলী সরকার, এনএফকে টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, পার্ল প্রিনস বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তসলিম আক্তার ও অ্যাপারেল ফেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন মাহমুদ।

এদিকে, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী করোনা থেকে সুস্থ হলেও তার স্ত্রী নিলুফার মঞ্জুর মারা যান। তিনি সানবিম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং এসএমসির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

আল্লাহ জীবিত সকলকে হেফাজত করুন।
(সংগ্রহিত)

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের মধ্যে ভ্যাসলিন বিতরণ

 

আমাদের বাংলাদেশ  নিউজ 24 ডেস্কঃ ৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুলকুঁড়ি আসর চট্টগ্রাম মহানগরী নীহারিকা শাখা'র পাঁচলাইশ অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত হয় শিশুদের মাঝে "ভ্যাসলিন বিতরণ" অনুষ্ঠান।

শাখা অর্থ সম্পাদক ও অঞ্চল পরিচালক জাবেদুল ইসলাম'র পরিচালনায় অঞ্চল সহকারী পরিচালক অগ্রপথিক মুহাম্মদ ইউসুফ'র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসরের প্রধান পরিচালক অলী ইব্রাহীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আসরের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নীহারিকা শাখা পরিচালক সোহাইল ইসলাম, অরুণোদয় শাখা পরিচালক আকবর হোসাইন ও অঞ্চল অর্থ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী