বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

আঙ্কারায় বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা তুরস্কের দূতাবাসের শোক বইতে মতিউর রহমান আকন্দের স্বাক্ষর


তুরস্কের রাজধানী আন্কারায় প্রধান রেল স্টেশনের কাছে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশস্থ তুর্কী দূতাবাসের শোক বইতে গতকাল সোমবার স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। 
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচারবিভাগের সহকারী সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাসে গমন করেন। তিনি গত ১০ অক্টোবর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বোমা বিস্ফোরণে ৯৫ জন লোক নিহত এবং ২৪৫ জন লোক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দূতাবাসে সংরক্ষিত শোক বইতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অফ মিশন Mr. Ahmed Gurbuz.
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদের পক্ষ থেকে তিনি শোক বইতে উল্লেখ করেন, বোমা হামলার এ ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। তুরস্কের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যেই এ সন্ত্রাসী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের জন্য তুরস্ক সরকার তিন দিনের যে শোক ঘোষণা করেছেন তার প্রতি আমি সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আশা করি তুরস্ক সরকার এবং জনগণ শীঘ্রই এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন। আমরা নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। দৈনিক সংগ্রাম এর সৌজন্যে

রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫

বিচারের সকল প্রক্রিয়া স্থগিত করতে লর্ড কার্লাইলের আহ্বান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ন্যায্য বিচার পাননি


বৃটিশ হাউজ অব লর্ডস এর সদস্য লর্ড কার্লাইল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ন্যায্য বিচার পাননি। তিনি বিচারের সকল প্রক্রিয়া স্থগিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-আইসিটি এর প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট রিভিউ করার আহ্বান জানান, যা হবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মধ্য দিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াটি ইতিহাসে এমন একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে, যা আর কখনও হয়নি।
গতকাল রোববার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) এবং মানবাধিকার বিষয়ক শাশ্বত ঘোষণা (ইউডিএইচআর) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মূলনীতিগুলো মেনে চলা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে। 
লর্ড কার্লাইল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নাম উল্লেখ করে বলেন, তার মামলা দেখে মনে হয়, বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং তা প্রতিশোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে তদন্ত ও অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ প্রশসংনীয়। কিন্তু এর প্রক্রিয়া কঠোরভাবে সমালোচিত ও আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দনীয়। তিনি বলেন, মুজাহিদ ন্যায্য বিচার পাননি। অনেক উদ্বেগের বিষয়গুলো সুরাহা করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে, অধিকন্তু জনশ্রুতির উপর ভিত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মৃত্যুদন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত সততার সর্বোচ্চ মানদন্ড রক্ষা করা উচিত। কিন্তু এখানে তা কাঙ্খিত মানের হয়নি। 
বৃটিশ এই লর্ড বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চলমান প্রক্রিয়া স্থগিত এবং সকল সাজা প্রদান বন্ধ করে আইসিটি ও তার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট রিভিউ করার আহ্বান জানান, যা হবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ। 
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াটি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে যাবে এবং প্রমাণিত হবে যে এটা প্রতিহিংসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। আর এই বিচার প্রক্রিয়াটি ইতিহাসে এমন একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে, যা আর কখনও হয়নি। 
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে আপীল বিভাগের দেয়া রায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর আইনজীবীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তার আইনজীবী শিশির মোহাম্মাদ মনির সাংবাদিকদের জানান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ পিটিশন) আবেদনের প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হবে।

কেন ডিভিশন চাইলাম ! : মাসুদ সাঈদী


বাংলাদেশ বার্তা: আজ কিছু পত্রিকার রিপোর্ট দেখলাম, 'হঠাৎ কেন ডিভিশন চাইলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী'। রহস্য আর রহস্য! আছে শিরোনামে রহস্য, আছে রিপোর্টের মধ্যেও রহস্য! কোনো কোনো পত্রিকা রিপোর্ট এমন করেছে যে রিপোর্ট পড়ে মনে হয়, ডিভিশন চাওয়াটাও যেন একটি অপরাধ।
পত্রিকার রিপোর্টের আলোকে কেন আমরা ডিভিশন চাইলাম সে বিষয়ে বিবেকবানদের কাছে আমি এর ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। কারন, এক শ্রেণীর মানুষ এই আবেদনের মধ্যে 'সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত' এর গন্ধ খুঁজে পাবেন। কেউবা আবার এর প্রতিবাদে রাস্তা বন্ধ করে 'মঞ্চ' খুলে 'পদ্মা মেঘনা যমুনা, এই আবেদন মানিনা' শ্লোগান তুলে রাজপথ প্রকম্পিত (!) করে তুলতে পারেন।
"আমার প্রানপ্রিয় পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ট্রাইব্যুনালের রায় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ডিভিশন-১ প্রাপ্ত বন্দী হিসেবে কারাগারে অন্তরীন ছিলেন। রায় হওয়ার পরপরই আমার পিতার ডিভিশন বাতিল হয়ে যায়। এরপর আপীল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের রায় কমিয়ে যাবজ্জীবন করার পর জেল কোডের ১৫ নং অধ্যায়ের ক্লাসিফিকেশন শিরোনামের অধীন ৬১৭ নম্বর বিধি মোতাবেক আমার পিতা ডিভিশন-২ পাওয়ার অধিকারী হন। কারাগারে বহু সংখ্যক ডিভিশন-২ প্রাপ্ত কয়েদী রয়েছেন। কিন্তু গত এক বছরেও কারা কর্তৃপক্ষ আমার পিতাকে তার প্রাপ্য ডিভিশন-২ প্রদান করেননি।
আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ ৩৯ বছর যাবত ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত। তিনি একই সাথে হৃদরোগেও আক্রান্ত। ২০০৩ সালে সর্ব প্রথম তার হার্টের করোনারী আর্টারীতে দুটি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে ৭০% অন্যটিতে ৯০%। তখন তার আর্টারীতে ২টি রিং স্থাপন করা হয়। এরপর আওয়ামী সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার পর ২০১২ সালে তিনি বুকে তীব্র ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন আবারো আমার পিতার আর্টারীতে ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে ৯৯%, একটিতে ৯৫% এবং অন্যটিতে ৮০%। এরই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে ডাক্তারের সিদ্ধান্তে তার আর্টারীতে ৩টি রিং স্থাপন করা হয়। পূর্বের ২টি এবং এখনকার ৩টি নিয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৫টি রিং আমার পিতার করোনারী আর্টারীতে স্থাপন করা আছে।
এছাড়া আমার বাবা আর্থাইটিস রোগেও আক্রান্ত। এ কারনে হাঁটু ও কোমড়ে রয়েছে তার তীব্র ব্যাথা। সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের পূর্বে তিনি নিয়মিত ফিজিওথেরাপী নিতেন। গ্রেফতার হওয়ার পর সেই রকম থেরাপী নেয়ার সুযোগ আর আমার পিতার হয়নি। যে কারনে তার হাঁটু ও কোমড়ের ব্যাথা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
আমার আব্বার বয়স এখন ৭৬ চলছে। এই বয়সেও উপরোক্ত নানাবিধ শারীরিক সমস্যার পরও শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার মেহেরবাণীতে তিনি ভালোই আছেন। তবে বয়স ও অসুখজনিত সমস্যার কারনে তিনি শারীরিক কষ্টে আছেন। এখন তিনি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন না। কারো সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে একা উঠে দাঁড়াতে পারেন না। ডায়াবেটিক কন্ট্রোল রাখার জন্য তার নিয়মিত হাঁটার প্রয়োজন হয় কিন্তু এখন তিনি কারো সাহায্য ছাড়া হাঁটতেও পারেন না।
এমতাবস্থায়, সংসদ সদস্য ছিলেন শুধু এই কারনে নয় বরং পিতার প্রতি দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে পিতাকে অসুস্থতাজনিত শারীরিক কষ্ট থেকে সামান্য প্রশান্তি দেয়ার প্রত্যাশায় ব্যাকুল এক সন্তান হিসেবে আমি গত ৯ আগষ্ট ২০১৫ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমার পিতার প্রাপ্য ডিভিশন চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, দুই মাস পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি সেই আবেদনের কোন উত্তর এখনো আমি পাইনি।
এই আবেদনের মধ্যে কোন দল নেই-মত নেই, রাজনীতি নেই-কুটনীতিও নেই। আছে শুধু পিতার প্রতি সন্তানের ব্যাকুলতা, আছে শুধু পিতার প্রতি সন্তানের নিখাঁদ শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।
Masood Sayedee - মাসুদ সাঈদী

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫

নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা সরকার জনসমর্থন হারিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় টিকে থাকার ষড়যন্ত্র করছে -ডাঃ শফিকুর রহমান


পুলিশের গ্রেফতার ও জুলুম থেকে গৃহবধূ এবং ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না
পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, সিলেট, নীলফামারী, নোয়াখালী, ঢাকা মহনগারী এবং চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, সরকার গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে শক্তির জোরে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার অসৎ উদ্দেশ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। 
তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আবদুস সালাম খান, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফিদুল ইসলাম, সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানা জামায়াতের সেক্রেটারি এড. আজিম উদ্দিন, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরসভা জামায়াতের আমীর মোস্তাকিমসহ জেলার ৫ জন নেতা-কর্মীকে, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ পৌরসভা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মোঃ হানিফ, ঢাকা মহানগরী জামায়াতের রুকন আ: গফুর এবং শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের পুত্র মোঃ তহা ও পুত্রবধূ ফৌজিয়া বেগম, ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কর্মী মুক্তা আক্তারকে ও ৮ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এমদাদুল্লাহকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের গ্রেফতার ও জুলুম থেকে গৃহবধূ এবং ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না। সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে সরকার দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনসমর্থন হারিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় টিকে থাকার ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অতীতে যেমন কোন সরকার টিকে থাকতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আবদুস সালাম খানসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা মুজাহিদের স্ত্রীর


গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন তার পরিবারের সদস্যরা -সংগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্ত্রী ও চার সন্তান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান সাংবাদিকদের বলেন, উনার শারীরিক অবস্থা ভালো। মানসিকভাবে তিনি মজবুত আছেন। তিনি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, নির্দোষ এবং নির্দোষ।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, তার ৩ ছেলে এবং ১ মেয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন এবং সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান শেষে বেরিয়ে আসেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে তামান্না-ই-জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন এবং সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। আল্লাহর রহমতে তিনি শারীরিকভাবে ভাল ও সুস্থ আছেন। মানসিকভাবে অবিচল ও দৃঢ়চেতা রয়েছেন। তিনি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
তিনি বলেন, স্ত্রী হিসেবে আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার স্বামী ঘরে বাইরে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সৎ জীবন যাপন করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি আইনজীবীদের মাধ্যমে রিভিউ আবেদন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। 
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিসহ সকল দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হলে তার রিভিউ আবেদন মঞ্জুর হবে এবং তিনি বেকসুর খালাশ পাবেন ইনশাল্লাহ।
এ সময় তাদের ছোট ছেলে আলী আহমদ মাবরুরসহ ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপীল বিভাগের দেয়া রায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর আইনজীবীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তার আইনজীবী শিশির মোহাম্মাদ মনির সাংবাদিকদের জানান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ পিটিশন) আবেদনের প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হবে।

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

সরকার ওমর সিরাজকে হত্যা করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে -হামিদ আযাদ


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন ‍নিউজ ডেস্ক:  মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করার সময় র‌্যাবের হেফাজতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজ রহস্যজনকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ এক বিবৃতিতে বলেন, এ ঘটনার দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরিকল্পিতভাবে ফাঁস করা হয়েছে।
শনিবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার ঘটনার সাথে জড়িত রাঘব-বোয়ালদের আড়াল করার হীন উদ্দেশ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। ওমর সিরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। সরকার তাকে হত্যা করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজের নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস, ছাত্র ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী শিবিরের বিক্ষোভ আজ


শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস, ছাত্র ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল রোববার দেয়া বিবৃতিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতন, পুলিশের হাতে তুলে দেয়া, মালামাল লুট এবং শিক্ষকদের ওপর হামলায় জাতি লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ। সরকারি মদদে ছাত্রলীগের এই তাণ্ডব শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা ছাড়া কিছু নয়। ছাত্রসমাজ এই তাণ্ডব মেনে নেবে না। তাই ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজ সোমবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
নেতৃদ্বয় দেশের সকল জনশক্তি ও ছাত্রসমাজকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানান। সাথে সাথে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে ছাত্রসমাজের গণতান্ত্রিক এ কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করতে অনুরোধ করেন।

বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

'ধর হালারে । মার হালারে!' চিৎকার, একটি বৃষ্টিস্নাত কান্না এবং গলায় দড়ির নেপথ্য কাহিনী

পরিস্থিতিটা যে হঠাৎ ওমন হয়ে পড়বে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গন যখন হাতাহাতি শুরু করলেন তখন তিনি তার চীরায়ত স্বভাবজাত স্নায়ুবিক দূর্বলতার চাপ অনুভব করলেন। বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি। তার পঞ্চ ইন্দ্রিয় তাকে সতর্ক করে জানালো- ভাগো ! নচেৎ তুমিও... ... . . .


লোকটি কম্পিত পদে বৃষ্টির পথে পা বাড়ালেন। কে যেনো বললো- ওকি যান কই ? অন্যজন বললো- ছাতা নিয়ে যান। একবার ভাবলেন - পেছনে ফেরে তাকাবেন এবং হাতটা বাড়িয়ে ছাতাটা তুলে নেবেন। কিন্তু ওকি! বিশ্রি সব শ্লোগানের মধ্যে সমস্বরে কয়েক জন বলছে- ধর হালারে । মার হালারে!
শব্দ মানুষকে গতি এনে দেয়। লোকটির ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো। তার জরাজীর্ন পা দুটি হঠাৎ রকেটের গতি পেলো। তিনি তুমুল বেগে বৃষ্টির বেগ অতিক্রম করে বিদ্যুৎ বেগে ছুটলেন অনির্ধারিত গন্তব্যে।
বহু বছর তিনি ওমন ভাবে ছুটেননি- বৃষ্টির মধ্যে তো নয়ই। তার শরীরের পানি এ্যালার্জি এবং এ্যাজমার কারণে তিনি প্রকৃতির অপরূপ ছন্দময় বৃষ্টির স্পর্শ সব সময় এড়িয়ে চলেছেন। কিন্তু আজ নিয়তির ফাঁদে পড়ে তিনি এ্যাজমা- এ্যালার্জি সব ভুলে গেলেন। দৌড়াতে গিয়ে টের পেলেন কেবল বড় বড় বৃষ্টির ফোটার পতিত আঘাত এবং পেছন থেকে ভেসে আসা অশ্লীল এবং অশ্রাব্য শব্দমালার সুতীব্র কম্পন।
কিছুদুর চলার পর লোকটি অনুভব করলেন- তার হাত পা কাঁপছে। পেটের মধ্যে কিঞ্চিত আম বাতের যন্ত্রনা এবং বমন ভাবের কারণে তার মাথাটি চক্কর দিয়ে উঠলো। তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর রাস্তার পাশের নিরিবিলি একটি ইটের তৈরী বেদীতে গিয়ে ধপাস করে শুয়ে পড়লেন। তার খুব কান্না পাচ্ছিলো। ক্লান্তি, ভয়, লজ্জা আর অপমানের সুতীব্র যন্ত্রনায় তার চোখের জল শুকিয়ে গেলো। ফলে তিনি বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে কাঁদতে পারলেন না।
শোয়া অবস্থায় তিনি হঠাৎ ২/৩ জন লোকের পদধ্বনি শুনতে পেলেন। বৃষ্টি পড়ার টাপুর টুপুর শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনুষ্য পায়ের এগিয়ে আসার শব্দ তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুললো। তিনি পুনরায় ছুটে চলার প্রত্যয় নিয়ে শোয়া থেকে বসতে গিয়ে দেখলেন আগতরা তারই দলের ক্যাডার- তাকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ছাতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তার ভীত সন্ত্রস্ত মন এবার প্রবল বেগে অভিমানী হয়ে উঠলো- তিনি বলে উঠলেন- আমার এখন গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত।

লেখক: গোলাম মওলা রনি 

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে জায়ামাতের বিক্ষোভ


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সরকারের অযৌক্তিকভাবে  গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ডাবলমুরিং থানার ডি.টি রোড এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার হওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো কষ্টদায়ক করে তুলবে”।
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও বর্তমান স্বৈরচারী সরকার এখনো তেলের দাম কমায়নি। উল্টো গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তারা জনগণের সরকার নয়।
তাই এ অনির্বাচিত সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি”। 

গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মত অন্যায় সিদ্ধান্ত জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার পরিনতি ভাল হবেনা ----সিলেট নগর জামায়াত


সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের সর্বত্র দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। বর্তমান সরকারের এই সাড়ে ছয় বছরের শাসনামলে কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৮ বার এবং গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৩ বার। আওয়ামী অপশাসনে সাধারন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অবিলম্বে গ্যাস বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির অন্যায় সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে কঠোর মুল্য দিতে হবে। অনির্বাচিত অবৈধ সরকার জনগনের কল্যানের কথা চিন্তা না করে তাদের পাহাড়সম ব্যার্থতা ঢাকতে ও তাদের দুর্নীতি-লুটপাটের দায় জনগননের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেই দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে। এর ফলে দেশের সকল স্তরে অস্তিরতার সৃষ্টি হবে। এর দায় সরকার এড়াতে পারবেনা।
বৃহস্পতিবার গ্যাস-বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসুচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াত নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী মো: শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা মু. আজিজুল ইসলাম, মশাহিদ আহমদ, মু. সাহেদ আলী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী মাসুক আহমদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে, সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। গ্যাস এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা আরো বাড়বে। এর ফলে যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। তেমনী সকল পণ্যের পরিবহন খরচ ও উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাড়িভাড়া, যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবীসহ সীমিত আয়ের লোকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। তাই অবিলম্বে সরকারকে এই গণবিরোধী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী