তাদের বর্ণনায় আংশিক সত্য যে আছে তা ঠিক। মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব, উৎসাহ উদ্দীপনা ও সহযোগীতায় এদেশে অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সেবা-প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য ব্যর্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় যাতে মারা না যান, সেজন্য ঢাকায় প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ইবনে সিনা গড়ে তুলেছিলেন মীর কাসেম আলী। তার পথ ধরে অনেকেই পরে বড়-বড় হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন। এক শ্রেণির মিডিয়ার অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা, সত্য ও সুন্দরের প্রকাশে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি মিডিয়া গড়ে তুলেছিলেন। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যদিও টিভি চ্যানেলটি সরকারের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি গড়ে তুলেছেন ইসলামী ব্যাংক, যা কিনা বিশ্বের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম সারির মর্যাদা লাভ করেছে। যে ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্রতা ও বৈষম্য গুছাতে প্রয়াস চালিয়েছিলেন তিনি।
আজকে তাঁর প্রতিপক্ষদের পক্ষ থেকে তার এই যুগান্তকারী দেশের উন্নতিতে বিরাট অবদান রাখার সাক্ষী এসব কার্যক্রমকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। তার এসব উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিবাচক মূল্যায়ন না করে তারা জাতির সামনে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে, তিনি সামান্য থেকে বিরাট ধনকুবের হয়ে গিয়েছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশের সম্পদ যদি এক পাল্লায় তোলা হয় আর অপর পাল্লায় উঠানো হয় মীর কাসেম সাহেবের ধন-সম্পদ, তাহলে ঐ চিহ্নিত মহলের বর্ণনা মতে, মীর কাসেম সাহেবের সম্পদের পাল্লাই ভারি হয়ে যাবে।
আসলে কি তাই! মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করতে চাই, যাকে ঘিরে আপনারা এই রমরমা, মুখরোচক, জগাখিচুরী মার্কা ব্রিফিং চালিয়ে যাচ্ছেন, সত্যকে অনুসন্ধান ও অনুধাবন করার জন্য তার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয়তোবা আর হবে না। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি, ছোট ছেলে, তাঁরই মামলার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিষ্টার আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)-এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাবসহ সার্বিক তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
কিন্তু এ ব্যাপারে আপনাদের কিছু কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনারা সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পারবেন। কারণ বিগত কয়েক বছর মীর কাসেম সাহেবের অর্থ বিত্ত-বৈভব অনুসন্ধানের পিছনে ও তাঁর তথাকথিত অপরাধ খুঁজে বের করার নামে আপনারা যে সময়, শ্রম, মেধা ও আরাম-আয়েশের কুরবানী করেছেন, তা ইতিহাসে সমুজ্জল হয়ে না থাকলেও মানুষের স্মৃতি থেকে বিস্তৃত হবে না। আপনারা এত কষ্ট যখন করেছেন, আরেকটু ধৈর্য্য সহকারে ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে প্রকৃত সত্য জানার উদ্দেশ্যে মীর কাসেম আলী সাহেবের নিখোঁজ ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানের অবস্থান নির্ণয়ে ভূমিকা পালন করুন।
উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে রাতের আধাঁরে সাদা পোষাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও সরকারের কোন বাহিনী তার দায়িত্ব স্বীকার করেনি এবং তাকে আদালতেও উপস্থাপন করেনি।
জনাব মীর কাসেম আলী সাহেবের সাথে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের জেলখানায় সর্বশেষ যে সাক্ষাৎ হয়েছিলো, সে সময় ব্যারিষ্টার আরমান ছিলেন অনুপস্থিত। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে মীর কাসেম আলীর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “মীর কাসেম আলী স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন। তার শহীদি মৃত্যু হবে এই আনন্দে তিনি উজ্জীবিত। কিন্তু তাঁর ছেলে ও তার আইনজীবী ব্যারিষ্টার আরমানের জন্য তিনি উদ্বিগ্ন।” তাই আবারো মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করবো, যেভাবে মীর কাসেম সাহেবের বিত্ত-বৈভব ও তথাকথিত অপরাধ অনুসন্ধানে গায়ে-গতরে খেটে চেষ্টা চালিয়েছেন, ঠিক ততটুকু সম্ভব না হলেও বিবেকের দায়িত্ববোধ থেকে বিদায় বেলায় মীর কাসেম আলী তাঁর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে নিয়ে যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, একটু করে হলেও প্রতিটি নিউজ আওয়ারে তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন। এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত ব্যারিষ্টার আরমানকে পাওয়া না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষে মন্ত্রীদের সামনে গিয়ে ঠেলাঠেলি করে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিয়ে যেভাবে প্রশ্ন করেছেন, কবে মীর কাসেমের রায় কার্যকর হবে? ঠিক একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন কবে মীর কাসেম আলী সাহেবের ছেলে ব্যারিষ্টার আরমান ফিরে আসবে কিংবা তার সন্ধান পাওয়া যাবে।
মিডিয়ার বন্ধুদেরকে আবারো অনুরোধ করতে চাই, আপনারা পূর্ব ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষ ও অনুসন্ধানী মন নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করুন, তাহলে জানতে পারবেন, মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবার আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই চলে। কেউ বলতে পারবে না মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবারে বিলাসিতা ছিলো বা আছে। তার সন্তানেরা রাজকীয় হালে বড় হয়নি। অতি সাধারণ একজন হিসেবে বড় হয়েছে। তারা কেউই গাড়ি হাকিয়ে চলে না, বিশাল অট্টালিকার মালিক নয়। ঢাকার মীরপুরে যে বাড়িটি তাদের রয়েছে, সেটি মীর কাসেম আলী সাহেবের পিতার হাতে ক্রয় করা ও তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিলো এই বিল্ডিং। মীর কাসেম বা তার পরিবারের কারো নামে বিদেশে কোন একাউন্ট নেই। দেশে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের নামে কতটি একাউন্ট ও তাদের কত টাকার ডিপোজিট আছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা কোন কঠিন কাজ না। জাতি কেন তথ্যভিত্তিক সঠিক রিপোর্ট পাবে না? জাতিকে সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কখনই কাম্য নয়। বাগাড়াম্বর আর বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া প্রকৃত সত্য উদঘাটনের সাহস অনেকেরই নেই তা জাতি জানে।
পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম, মিডিয়ার আংশিক সত্য প্রকাশের কথা। তারা যা প্রচার ও প্রকাশ করেছে তার আংশিক সত্য এভাবে বলা যায় যে, হ্যাঁ! মীর কাসেম আলী অনেক কিছু করেছেন এটা সত্য। তিনি একজন যোগ্য সংগঠক হিসেবে যেখানেই হাত দিয়েছেন আল্লাহর রহমতে সেখানেই সোনা ফলেছে। তবে তিনি যা করেছেন তার নিজের ও পরিবারের জন্য নয়, সবই করেছেন দেশ ও জনগণের জন্য। তিনি নিজে যা করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা কেউ এসবের মালিক নন। তিনি ছিলেন উদ্যোক্তা আর এসবের সেবক মাত্র।
মীর কাসেম আলী একজন নিষ্ঠাবান ঈমানদার ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক আল্লাহর এক বান্দা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। সেই লক্ষ্যে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে নিঃস্বার্থভাবে দেশে ও মানবতার উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এটাই কি তাহলে তার অপরাধ?
প্রকৃতপক্ষে হত্যা, খুন, নির্যাতনের যে অভিযোগ সরকার তার বিরুদ্ধে দাড় করিয়েছে, তা শতভাগ বানোয়াট।এর মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি যদি প্রকৃত অপরাধী হতেন, তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১২ সালে তাকে গ্রেফতার করার পূর্ব পর্যন্ত অসংখ্যবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তিনি নিজেকে অপরাধী ভাবলে বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত না আসলেই পারতেন। কিন্তু তিনি তো তা করেননি। তিনি তো পালিয়ে ছিলেন না। প্রকাশ্যে থেকেই দেশ, জাতি ও মানবতার সেবায় নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
যারা প্রচার করছেন মীর কাসেম আলী জামায়াতে ইসলামীর অর্থের যোগানদাতা, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনাদের এই তথ্যের উৎসটা কি তা জাতিকে মেহেরবাণী করে জানাবেন। আপনাদের এই বক্তব্যের তথ্য সূত্র যদি হয় ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা তিনি করেছেন দেশের মানুষের জন্য। এটাকে যদি আপনারা জামায়াতের সম্পত্তি হিসেবে চিত্রায়িত করতে চান, তা সত্যের অপ্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেশের ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠী উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আপনাদের মুরুব্বীদের দল ও তাদের সমর্থকগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, এটাও আপনাদের মনে রাখতে হবে। একটু অনুসন্ধানী মন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলে বুঝতে পারবেন, দলগতভাবে উপকারী হিসেবে জামায়াত নয় বরং উনাকে যারা প্রতিপক্ষ ভাবেন তাদের দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক গোষ্ঠীর পার্সেন্টিসের পাল্লা-ই ভারী হবে।
সুতরাং আসুন আর পারস্পরিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে কাউকে কোন রকম সুযোগ না দিয়ে বরং প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করে মিডিয়াকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের যে মর্যাদা দেয়া হয়, সেটাকে অক্ষুণ্ণ রাখি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণ ও পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হই।
মীর কাসেম আলী সাহেবদের আসল অপরাধ কী তা আমরা জানি! তাঁর অপরাধ তিনি হত্যাকারী তা নয়। তার আসল অপরাধ পবিত্র আল কুরআনের ভাষায়- “ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা মহাপরাক্রান্ত-মহামহিম, স্ব-প্রসংশিত সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।” (সূরা বুরুজ-৮)।
মীর কাসেম আলী সাহেবের অপরাধও একটি তিনি ইসলামের সৌন্দর্যকে ধারণ করে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজেকে একজন নিঃস্বার্থপর পরোপোকারী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। এই অপরাধে শুধু মীর কাসেম আলীই নন, যুগে-যুগে শহীদ হাসানুল বান্না (র), সাইয়েদ কুতুব শহীদ (র), মাওলানা মওদূদী (র), অধ্যাপক গোলাম আযম (র), শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (র), শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (র), শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা (র)-দেরকে জালিমের খঞ্জরের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইসলামের পথে চলার অপরাধ! যেই করবেন, তাকেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে এটাই চির সত্য। আর এ পথ ধরেই মুমিনরা সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যারা মুমিনদের ওপর যুগে-যুগে নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে সাময়িকভাবে উল্লাসে মেতে উঠে, তাদের পরিণতি কি হবে? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “আর যে ব্যক্তি জেনে বুঝে কোন মুমিনকে হত্যা করে, তার শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার ওপর আল্লাহর গজব ও তাঁর লানত এবং আল্লাহ তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।”(নিসা- ৯৩)
সুতরাং হত্যাকারীদের পরিণতিও সুস্পষ্ট। তাদের আজকের এই বেপরোয়া আচরণের জন্য ইহকালে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। আর অপরাধীদের পরকালের শাস্তি তো আল্লাহর কাছে নির্ধারিত আছেই।
মীর কাসেম আলীর সাথে পরিবার-পরিজনের সাক্ষাৎ শেষে, ফিরে এসে তাঁর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, “মীর কাসেম আলী মৃত্যুর ভয়ে ভীত নন, বরং শাহাদাতের অমীয় সুধা লাভের জন্য তিনি উদগ্রীব। তিনি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রীসংস্থাসহ ইসলামী আন্দোলনের সংগ্রামীদের প্রতি সালাম জানিয়ে বলেছেন, “ফাঁসি দেখে ভয় পেয়ো না, হতাশ হয়ো না। শহীদি রক্তে স্নাত ভূমি ইসলামের জন্য সতেজ আরো উর্বর হয়। তাতে কালেমার পতাকা শক্ত হাতে দৃঢ়ভাবে পুঁতে দিতে পারবে অক্লেশেই ইনশাল্লাহ।”
তাই আসুন, শহীদ মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যাশিত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি আজীবন যে পথে অবিরাম সংগ্রাম করেছেন, সেই পথ তথা মহান আল্লাহর রাস্তায় চলার প্রত্যয়কে আরো শাণিত করি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তাঁর কামনা অনুযায়ী শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমীন।।