বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

যুদ্দ্বাপরাধ+ জামাত+ প্রতিবাদ= বিবেকের বিচারঃ বিজেপি নেতা।

হুবহু পোস্ট। জাস্ট চেপে যা
অনেকেই জানেন, আমি ছিলাম বিজেপি'র একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বিজেপি'র হয়ে এলাকার বুথ কমিটির সেক্রেটারির পদও সামলেছি। না, বিজেপি আমায় দল থেকে বের করেনি, পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমিই নিজেই বেরিয়েছি, ইস্তফা দিয়েছি, পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছি।
যাইহোক, সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সময় থেকেই জানতাম, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামিক সংগঠন হল- জামাত শিবির। এও জানতাম, জামায়াত শিবির একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এরা রক্তের রাজনীতি করে, নির্মমভাবে মানুষ খুন করে, মানুষের শিরা কেটে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। না, এগুলি যে শুধু আমি আমার রাজনৈতিক সূত্রেই জেনেছিলাম তা নয়। অন্যান্য তথাকথিত সেক্যুলার দল, প্রথমসারীর পত্র-পত্রিকা, বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য আর সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ প্রচারণায় বিশ্বাস করতে বাধ্যই হয়েছিলাম যে, বাংলাদেশের জামায়াত শিবির একটি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। কিন্তু এখন! ৭১ আমি দেখিনি, ইতিহাস কতটা অবিকৃত তাও জানিনা। কিন্তু বর্তমানের জামাত শিবিরের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের পরে, আমার ভাবনার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ একটি আদর্শের সমর্থক না হলেও বিরুদ্ধ আদর্শের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ এবং মিথ্যাচার সমর্থনযোগ্যও নয়।
ঘটনার চার দশক পরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠন করে, প্রহসনের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ফাঁসীতে ঝোলানো হচ্ছে। ট্রাবুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া যে অস্বচ্ছ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগত- একথা আমি নয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবধিকার সংগঠন প্রত্যেকেই একই কথা বলছে। এমন অস্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী জামায়াত নেতাদের বক্তব্য এবং কর্মীদের কর্মকান্ড আমায় বেশ ভাবিয়ে তুলেছে! ফাঁসীর আগের মুহুর্তে কাদের মোল্লা থেকে মীর কাশেম আলী কেউই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে প্রত্যেকেই বলেছেন, 'আমরা কোনও অন্যায় করিনি, মিথ্যা অভিযোগ এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আমাদের ফাঁসী দেওয়া হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই।' ফাঁসীর আগে পরিবার মারফৎ দেশবাসী এবং সংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তাঁদের ভাষণও আমায় বেশ আলোড়িত করেছে। তাঁদের কন্ঠে সশস্ত্র জিহাদের ডাক শোনা যায়নি। জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া বা বদলা নেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায়নি। বরং তাঁরা প্রত্যেকেই দেশবাসী এবং কর্মীদের ধৈর্যধারণ করতে বলেছেন। সেই সাথে শান্ত থাকার এবং প্রার্থনা(দোয়া) করার আহবান জানিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর অন্যান্য নেতা-কর্মীদের কার্যকলাপ! প্রিয় নেতাদের ফাঁসীতে ঝোলানোর পরেও তারা শুধু শান্তি বজায় রেখে ধর্মঘট পালন করেছেন। কোনও রকেট লঞ্চার হামলা করেননি, বোমা হামলা করে থানা-কোর্ট উড়িয়ে দেননি, কোনও আইইডি হামলা করে বাজার-মল ধ্বংস করে দেননি, মানুষের হাত-পায়ের শিরা কেটে দেননি, নির্বিচারে নারীদের ধর্ষণ করেননি। আমি বাংলাদেশের জামায়াত ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের ওয়েবিসাইটগুলিও ভিজিট করেছি। লক্ষ্য করেছি, সেখানে শুধুমাত্র বিচারের সমালোচনা করা হয়েছে, বিচারিক প্রক্রিয়ার লু ফলস-গুলি দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা করা হয়েছে।
তাহলে কিসের ভিত্তিতে আমি জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলব? আরে, গান্ধীজীর অহিংস আন্দোলনও তো এক সময় সহিংসতার পথ নিয়ছিল। আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠায় গান্ধীজী আন্দোলন পরিত্যাগ করেছিলেন, সে প্রসঙ্গ ভিন্ন। কিন্তু যাদের আমরা চিনহিত সন্ত্রাসবাদী বলছি, তাদের কার্যকলাপ এবং বক্তব্যের কোথাও তো সহিংসতা বা সন্ত্রাসবাদের ছিটেফোঁটা লক্ষ্য করছিনা। শুধু আনন্দবাজার, অর্ধ প্যারালাইজড বুদ্ধিজীবী আর কমরেডদের গালগল্প শুনে আমায় বিশ্বাস করতে হবে- জামায়াত শিবির সন্ত্রাসবাদী সংগঠন?
শুনেছি জামায়াত শিবিরের নাকি অনেক টাকা। সদ্য ফাঁসীর সাজাপ্রাপ্ত মীর কাশেম আলী নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। যে সংগঠনে যথেষ্ট পরিমানে কর্মী ('জেহাদি') রয়েছে, অফুরন্ত টাকা রয়েছে- সেই সংগঠনটি কোনও পালটা আঘাত না হেনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে? আমি জানিনা, ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণকারী কোনও রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতাদের প্রহসনের বিচারে এভাবে ফাঁসীতে ঝোলানো হলে, তাদের নেতা-কর্মীরা জামায়াত শিবিরের মত অহিংস এবং সংযমী থাকতে পারতেন কিনা!
---সুতীর্থ মুখার্জী
ভারতের সরকারী দল বিজেপির সাবেক নেতা।

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

একজন দেশপ্রেমিক মীর কাসেম আলী ও বিত্ত-বৈভবের গল্পগুজব -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ শনিবার, রাত ১০.৩৫ টা। মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত, সজ্জন, সদালাপি, পরোপোকারী ব্যক্তি, একজন খ্যাতিমান সৎ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, শান্তিপ্রিয় মানুষ জনাব মীর কাসেম আলী। মীর কাসেম আলী একটি নাম, একটি ইতিহাস, একজন যোগ্য সংগঠক, এক ক্ষণজন্মা যুগ স্রষ্টার নাম। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা। 

বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে মীর কাসেম আলীর বিত্ত-বৈভব নিয়ে হইচই লাগিয়ে দিয়েছে। তারা আংশিক সত্য বহুলাংশ অসত্যের মিশ্রণে এক মুখরোচক খিচুড়ি পাকানোর আয়োজনে ধুমধাম ফেলে দিয়েছে। শুধু একশ্রেনীর মিডিয়াই নয়, দলকানা কিছু চিহ্নিত মানুষ অব্যাহতভাবে গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছেন। 

তাদের বর্ণনায় আংশিক সত্য যে আছে তা ঠিক। মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব, উৎসাহ উদ্দীপনা ও সহযোগীতায় এদেশে অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সেবা-প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য ব্যর্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় যাতে মারা না যান, সেজন্য ঢাকায় প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ইবনে সিনা গড়ে তুলেছিলেন মীর কাসেম আলী। তার পথ ধরে অনেকেই পরে বড়-বড় হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন। এক শ্রেণির মিডিয়ার অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা, সত্য ও সুন্দরের প্রকাশে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি মিডিয়া গড়ে তুলেছিলেন। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যদিও টিভি চ্যানেলটি সরকারের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি গড়ে তুলেছেন ইসলামী ব্যাংক, যা কিনা বিশ্বের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম সারির মর্যাদা লাভ করেছে। যে ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্রতা ও বৈষম্য গুছাতে প্রয়াস চালিয়েছিলেন তিনি। 

আজকে তাঁর প্রতিপক্ষদের পক্ষ থেকে তার এই যুগান্তকারী দেশের উন্নতিতে বিরাট অবদান রাখার সাক্ষী এসব কার্যক্রমকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। তার এসব উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিবাচক মূল্যায়ন না করে তারা জাতির সামনে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে, তিনি সামান্য থেকে বিরাট ধনকুবের হয়ে গিয়েছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশের সম্পদ যদি এক পাল্লায় তোলা হয় আর অপর পাল্লায় উঠানো হয় মীর কাসেম সাহেবের ধন-সম্পদ, তাহলে ঐ চিহ্নিত মহলের বর্ণনা মতে, মীর কাসেম সাহেবের সম্পদের পাল্লাই ভারি হয়ে যাবে। 

আসলে কি তাই! মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করতে চাই, যাকে ঘিরে আপনারা এই রমরমা, মুখরোচক, জগাখিচুরী মার্কা ব্রিফিং চালিয়ে যাচ্ছেন, সত্যকে অনুসন্ধান ও অনুধাবন করার জন্য তার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয়তোবা আর হবে না। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি, ছোট ছেলে, তাঁরই মামলার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিষ্টার আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)-এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাবসহ সার্বিক তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।

কিন্তু এ ব্যাপারে আপনাদের কিছু কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনারা সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পারবেন। কারণ বিগত কয়েক বছর মীর কাসেম সাহেবের অর্থ বিত্ত-বৈভব অনুসন্ধানের পিছনে ও তাঁর তথাকথিত অপরাধ খুঁজে বের করার নামে আপনারা যে সময়, শ্রম, মেধা ও আরাম-আয়েশের কুরবানী করেছেন, তা ইতিহাসে সমুজ্জল হয়ে না থাকলেও মানুষের স্মৃতি থেকে বিস্তৃত হবে না। আপনারা এত কষ্ট যখন করেছেন, আরেকটু ধৈর্য্য সহকারে ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে প্রকৃত সত্য জানার উদ্দেশ্যে মীর কাসেম আলী সাহেবের নিখোঁজ ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানের অবস্থান নির্ণয়ে ভূমিকা পালন করুন। 

উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে রাতের আধাঁরে সাদা পোষাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও সরকারের কোন বাহিনী তার দায়িত্ব স্বীকার করেনি এবং তাকে আদালতেও উপস্থাপন করেনি। 

জনাব মীর কাসেম আলী সাহেবের সাথে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের জেলখানায় সর্বশেষ যে সাক্ষাৎ হয়েছিলো, সে সময় ব্যারিষ্টার আরমান ছিলেন অনুপস্থিত। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে মীর কাসেম আলীর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “মীর কাসেম আলী স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন। তার শহীদি মৃত্যু হবে এই আনন্দে তিনি উজ্জীবিত। কিন্তু তাঁর ছেলে ও তার আইনজীবী ব্যারিষ্টার আরমানের জন্য তিনি উদ্বিগ্ন।” তাই আবারো মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করবো, যেভাবে মীর কাসেম সাহেবের বিত্ত-বৈভব ও তথাকথিত অপরাধ অনুসন্ধানে গায়ে-গতরে খেটে চেষ্টা চালিয়েছেন, ঠিক ততটুকু সম্ভব না হলেও বিবেকের দায়িত্ববোধ থেকে বিদায় বেলায় মীর কাসেম আলী তাঁর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে নিয়ে যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, একটু করে হলেও প্রতিটি নিউজ আওয়ারে তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন। এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত ব্যারিষ্টার আরমানকে পাওয়া না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষে মন্ত্রীদের সামনে গিয়ে ঠেলাঠেলি করে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিয়ে যেভাবে প্রশ্ন করেছেন, কবে মীর কাসেমের রায় কার্যকর হবে? ঠিক একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন কবে মীর কাসেম আলী সাহেবের ছেলে ব্যারিষ্টার আরমান ফিরে আসবে কিংবা তার সন্ধান পাওয়া যাবে। 

মিডিয়ার বন্ধুদেরকে আবারো অনুরোধ করতে চাই, আপনারা পূর্ব ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষ ও অনুসন্ধানী মন নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করুন, তাহলে জানতে পারবেন, মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবার আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই চলে। কেউ বলতে পারবে না মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবারে বিলাসিতা ছিলো বা আছে। তার সন্তানেরা রাজকীয় হালে বড় হয়নি। অতি সাধারণ একজন হিসেবে বড় হয়েছে। তারা কেউই গাড়ি হাকিয়ে চলে না, বিশাল অট্টালিকার মালিক নয়। ঢাকার মীরপুরে যে বাড়িটি তাদের রয়েছে, সেটি মীর কাসেম আলী সাহেবের পিতার হাতে ক্রয় করা ও তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিলো এই বিল্ডিং। মীর কাসেম বা তার পরিবারের কারো নামে বিদেশে কোন একাউন্ট নেই। দেশে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের নামে কতটি একাউন্ট ও তাদের কত টাকার ডিপোজিট আছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা কোন কঠিন কাজ না। জাতি কেন তথ্যভিত্তিক সঠিক রিপোর্ট পাবে না? জাতিকে সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কখনই কাম্য নয়। বাগাড়াম্বর আর বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া প্রকৃত সত্য উদঘাটনের সাহস অনেকেরই নেই তা জাতি জানে। 

পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম, মিডিয়ার আংশিক সত্য প্রকাশের কথা। তারা যা প্রচার ও প্রকাশ করেছে তার আংশিক সত্য এভাবে বলা যায় যে, হ্যাঁ! মীর কাসেম আলী অনেক কিছু করেছেন এটা সত্য। তিনি একজন যোগ্য সংগঠক হিসেবে যেখানেই হাত দিয়েছেন আল্লাহর রহমতে সেখানেই সোনা ফলেছে। তবে তিনি যা করেছেন তার নিজের ও পরিবারের জন্য নয়, সবই করেছেন দেশ ও জনগণের জন্য। তিনি নিজে যা করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা কেউ এসবের মালিক নন। তিনি ছিলেন উদ্যোক্তা আর এসবের সেবক মাত্র। 

মীর কাসেম আলী একজন নিষ্ঠাবান ঈমানদার ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক আল্লাহর এক বান্দা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। সেই লক্ষ্যে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে নিঃস্বার্থভাবে দেশে ও মানবতার উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এটাই কি তাহলে তার অপরাধ?

প্রকৃতপক্ষে হত্যা, খুন, নির্যাতনের যে অভিযোগ সরকার তার বিরুদ্ধে দাড় করিয়েছে, তা শতভাগ বানোয়াট।এর মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি যদি প্রকৃত অপরাধী হতেন, তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১২ সালে তাকে গ্রেফতার করার পূর্ব পর্যন্ত অসংখ্যবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তিনি নিজেকে অপরাধী ভাবলে বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত না আসলেই পারতেন। কিন্তু তিনি তো তা করেননি। তিনি তো পালিয়ে ছিলেন না। প্রকাশ্যে থেকেই দেশ, জাতি ও মানবতার সেবায় নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। 

যারা প্রচার করছেন মীর কাসেম আলী জামায়াতে ইসলামীর অর্থের যোগানদাতা, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনাদের এই তথ্যের উৎসটা কি তা জাতিকে মেহেরবাণী করে জানাবেন। আপনাদের এই বক্তব্যের তথ্য সূত্র যদি হয় ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা তিনি করেছেন দেশের মানুষের জন্য। এটাকে যদি আপনারা জামায়াতের সম্পত্তি হিসেবে চিত্রায়িত করতে চান, তা সত্যের অপ্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেশের ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠী উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আপনাদের মুরুব্বীদের দল ও তাদের সমর্থকগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, এটাও আপনাদের মনে রাখতে হবে। একটু অনুসন্ধানী মন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলে বুঝতে পারবেন, দলগতভাবে উপকারী হিসেবে জামায়াত নয় বরং উনাকে যারা প্রতিপক্ষ ভাবেন তাদের দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক গোষ্ঠীর পার্সেন্টিসের পাল্লা-ই ভারী হবে।

সুতরাং আসুন আর পারস্পরিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে কাউকে কোন রকম সুযোগ না দিয়ে বরং প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করে মিডিয়াকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের যে মর্যাদা দেয়া হয়, সেটাকে অক্ষুণ্ণ রাখি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণ ও পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হই। 

মীর কাসেম আলী সাহেবদের আসল অপরাধ কী তা আমরা জানি! তাঁর অপরাধ তিনি হত্যাকারী তা নয়। তার আসল অপরাধ পবিত্র আল কুরআনের ভাষায়- “ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা মহাপরাক্রান্ত-মহামহিম, স্ব-প্রসংশিত সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।” (সূরা বুরুজ-৮)। 

মীর কাসেম আলী সাহেবের অপরাধও একটি তিনি ইসলামের সৌন্দর্যকে ধারণ করে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজেকে একজন নিঃস্বার্থপর পরোপোকারী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। এই অপরাধে শুধু মীর কাসেম আলীই নন, যুগে-যুগে শহীদ হাসানুল বান্না (র), সাইয়েদ কুতুব শহীদ (র), মাওলানা মওদূদী (র), অধ্যাপক গোলাম আযম (র), শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (র), শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (র), শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা (র)-দেরকে জালিমের খঞ্জরের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ইসলামের পথে চলার অপরাধ! যেই করবেন, তাকেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে এটাই চির সত্য। আর এ পথ ধরেই মুমিনরা সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যারা মুমিনদের ওপর যুগে-যুগে নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে সাময়িকভাবে উল্লাসে মেতে উঠে, তাদের পরিণতি কি হবে? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “আর যে ব্যক্তি জেনে বুঝে কোন মুমিনকে হত্যা করে, তার শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার ওপর আল্লাহর গজব ও তাঁর লানত এবং আল্লাহ তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।”(নিসা- ৯৩) 

সুতরাং হত্যাকারীদের পরিণতিও সুস্পষ্ট। তাদের আজকের এই বেপরোয়া আচরণের জন্য ইহকালে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। আর অপরাধীদের পরকালের শাস্তি তো আল্লাহর কাছে নির্ধারিত আছেই।

মীর কাসেম আলীর সাথে পরিবার-পরিজনের সাক্ষাৎ শেষে, ফিরে এসে তাঁর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, “মীর কাসেম আলী মৃত্যুর ভয়ে ভীত নন, বরং শাহাদাতের অমীয় সুধা লাভের জন্য তিনি উদগ্রীব। তিনি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রীসংস্থাসহ ইসলামী আন্দোলনের সংগ্রামীদের প্রতি সালাম জানিয়ে বলেছেন, “ফাঁসি দেখে ভয় পেয়ো না, হতাশ হয়ো না। শহীদি রক্তে স্নাত ভূমি ইসলামের জন্য সতেজ আরো উর্বর হয়। তাতে কালেমার পতাকা শক্ত হাতে দৃঢ়ভাবে পুঁতে দিতে পারবে অক্লেশেই ইনশাল্লাহ।” 

তাই আসুন, শহীদ মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যাশিত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি আজীবন যে পথে অবিরাম সংগ্রাম করেছেন, সেই পথ তথা মহান আল্লাহর রাস্তায় চলার প্রত্যয়কে আরো শাণিত করি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তাঁর কামনা অনুযায়ী শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমীন।।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রতিবাদে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর শিল্প উদ্যোক্তা ও ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

বাংলাদেশি আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মীর কাসেম আলীর ছোট ভাই মীর মাসুম আলী, মূলধারা নেত্রী ও মীর মাসুম আলীর সহধর্মিনী শাহানা মাসুম, হিউম্যান রাইটস ফর বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাবউদ্দিন আহমেদ, মজলিশে শূরার সদস্য নাজি আল মোক্তাদির, ইমাম মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন (ক্বোবা)’র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরিফ, রাইটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নঈমউদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল, মহিলা নেত্রী ইসমত আরা ফজিলাসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মীর কাসেম আলীর মতো একজন প্রথম শ্রেণীর শিল্প উদ্যোক্তা হত্যা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে কোনো ন্যায়বিচার নেই। মীর কাসেম আলীর মতো একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও সংক্ষুব্ধ।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকার শুধু ইসলামি আন্দোলনের নেতাদেরকেই শেষ করে ক্ষান্ত হচ্ছে না, এখন তাদের পরিবার-পরিজনকে গুম ও গৃহহীন করছে। বাংলাদেশ আজ গুম, খুনের অভয়ারণ্য। বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহায়তা কামনা করেন বক্তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের সামনে ৪৭ স্ট্রিটের সামনে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী-আমেরিকান মিছিল করে। এতে ‘মীর কাসেম আলীর রক্ত বৃথা যেতে পারে না, রাজনৈতিক হত্যা বন্ধ কর করতে হবে ইত্যাদি’ শ্লোগানে মীর কাসেম আলীর হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। মিছিল শেষে জাতীয় নেতাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময়ে এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত

যেভাবে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয় মীর কাসেমকে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার জন্য শনিবার বিকাল পাঁচটার পর অন্য বন্দীদের নিজ নিজ সেলে আটকে রাখা হয়। শুধু জল্লাদরা বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যার পর মীর কাসেমের সঙ্গে পরিবারের সবাই দেখা করে কারাগার থেকে বের হয়ে যান। কাসেমের স্বজনরা কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই কারা ফটক ও আশপাশের এলাকা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কারাগার সূত্র বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে। রাত সাড়ে ৯টায় কারা মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি হেলাল উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক ও জেল সুপার নাসির আহমদ কনডেম সেলে মীর কাসেমের কক্ষে যান। সেখানে মীর কাসেমের কাছে গিয়ে তাঁরা জানতে চান, তার কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা?

জবাবে মীর কাসেম আলী বলেন, ‘না’। এরপর মীর কাসেমকে জেল সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এটাই আপনার শেষ রাত। এ রাতেই আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এখন আপনাকে তওবা পড়তে হবে’। তখন মীর কাসেম বলেন, ‘আমি নিজেই তওবা পড়তে পারবো’। এরপর তিনি নিজেই তওবা পড়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন।
এরপর ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের সামনে তাকে বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া হয়। খাবারগুলোর মধ্যে ছিল গরুর মাংস, সবজি, ভাত, ডাল পায়েস ও কয়েক রকম ফল। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র একটুখানি পায়েস খেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারাসূত্র।
এ সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক, কারাধ্যক্ষ (জেলার) নাসির উদ্দিন আহমদ, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সার্কেল এএসপি মনোয়ার হোসেন, জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান, গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীব।
রাত দশটায় আলোচনা শেষে প্রধান জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে চারজন জল্লাদ কনডেম সেলে প্রবেশ করেন। কনডেম সেলে প্রবেশ করে মীর কাসেমকে জমটুপি পরিয়ে দেন জল্লাদ দীন ইসলাম। এরপর সেখান থেকে মীর কাসেমকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্ব চার জল্লাদ মীর কাসেম আলীকে ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি কোনো প্রকার হৈ চৈ করেননি। অনেকটা শান্ত ও স্থির ছিলেন।
তাকে আট ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে চার ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ফাঁসির মঞ্চে উঠানো হয়। মঞ্চটি ভূমি থেকে বেশ উঁচু। মঞ্চ থেকে নিচের দিকে ১২ ফুট গভীর গর্ত আছে। সেই গর্তটি কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা। রাত সাড়ে দশটার সময় জেলা প্রশাসক হাত থেকে লাল রুমাল নিচে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে লিভারে চাপ দেয় জল্লাদ শাহজাহান। পায়ের নিচ থেকে সরে যায় পাটাতন। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে থাকে মীর কাসেম আলী।
ফাঁসি কার্যকরের সময় মঞ্চ সংলগ্নস্থানে একটি লম্বা টেবিলের সঙ্গে বেশকিছু চেয়ার পাতা হয়। তাতে পাশাপাশি বসেন ১০ জন কর্মকর্তা। প্রায় ২০ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার পর মীর কাসেমের লাশ তুলে টেবিলে রাখা হয়। লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার। এরপর গোসল শেষে মীর কাসেমের মরদেহ কফিনে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় পুলিশ।
সূত্রঃ এনটিভি

আমাদের দেশে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বহন কোন আইন দ্বারা নিষিদ্ধ কিনা?

আমার পরিবারের সবার পাসপোর্ট আজ ডেলিভারি নিয়ে আগারগাও থেকে রিকশা যোগে লালমাটিয়ার দিকে যাওয়ার পথে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ঠিক পেছনে তাজমহল রোডে ঢোকার মুখে বজ্র কন্ঠে--এই রিকশা দাড়াও,শুনে রিকশা থামালাম,তখন বাজে বিকাল টা.....তারপরই শুরু হাসির কিন্তু চরম বিরক্তিকর নাটকের! এস আই সেলিম(যতদূর মনে পরে) সদস্যের টহল পুলিশের দল ঘিরে ধরলো আমাকে, উদ্দেশ্য চেক করবে,আমি বাড়িয়ে দিলাম সহযোগীতার হাত--নিজেই পকেট থেকে বের করে দিলাম সব কিছু,কিন্তু তারা সন্তুষ্ট না,নিজেরাই হাত ঢুকিয়ে চেক করবে-রাজী হলাম,ভাগ্যিস প্যান্টের বেল্ট পরা ছিলো,নাহলে ইজ্জতের দফা-রফা হয়ে যেত আমার পকেটে যা ছিলো তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হোল ৪টি পাসপোর্ট -যেগুলো বের করে দেয়ার সাথে সাথেই একজন কনষ্টেবল খপ করে আমার এক হাত ধরে ফেললো এমনভাবে যেন জংগী তামিম চোউধুরীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কে ধরে ফেলেছে! পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় আমার প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরির পরিচয়ে তাদের সন্দেহ ঘনীভুত হয়ে কালো মেঘের আকার নিলো,এমন সময় আরো তিনজন আনসার দলে যোগ দিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করলো,শুরু হোল জেরা--প্রশ্ন:আপনার কাছে এতোগুলো পাসপোর্ট কেন? উত্তর:এই মাত্র ডেলিভারি নিয়ে আসলাম প্রশ্ন:এগুলো সহ আপনাকে থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে? উত্তর:ক্যানো,এই দ্বায়িত্ব কি আপনাদের? পুলিশের উত্তর:এতোগুলা পাসপোর্ট নিয়া চলাফেরা করার আইন নাই আমার উত্তর:এগুলো তো আমার স্ত্রী-সন্তানদের,দেশের কোন আইনে আছে পাসপোর্ট নিয়া চলা-ফেরা করা যাবে না? ইতিমধ্যে একজন-দু'জন করে পাবলিক জড়ো হওয়া শুরু করেছেপুলিশ:এরা যে আপনার পরিবার তার প্রমাণ কি? আমি:পাসপোর্ট গুলোতে স্বামী এবং বাবা হিসাবে আমার নাম আছে,এছাড়া আমার পাসপোর্ট এখানে আছে--আর কি প্রমাণ লাগবে? পুলিশ:ঠিক আছে থানায় গিয়ে এগুলো যাচাই হবেপুনরায় পুলিশ:আপনার পকেটে এতো টাকা ক্যান(সব মিলিয়ে ৫০০০/ মতো হবে)?আমি:মাত্র ৫০০০/ হতে পারে নাও হতে পারে,এটা বহন করা নিষেধ নাকি?পুলিশ:কোথায় পাইছেন? আমি:আমার জরুরী একটা কাজ আছে,আপনারা আমার সময় নষ্ট করছেন এবং আমাকে বিনা কারণে নাযেহাল করছেন,আমার সরকারী পরিচয়ে আপনাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কথা পুলিশ:আপনি সরকারী অফিসারই হোন আর ভি আই পি হোন এগুলা দেয়া যাবে না,আচ্ছা আপনি বললেন এই মাত্র ডেলিভারি আনছেন,ডেলিভারি স্লিপ দেখান! আমি হাসবো না কাইন্দা দিবো বুঝতে পারছিলাম না,এতো জাদরেল পুলিশ জানেই না যে--ডেলিভারি স্লিপ জমা নিয়াই পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়! এরই মধ্যে উতসাহী জনতা পরামর্শ দিলো পাসপোর্ট- তথ্য গুলো আমি না দেখে বলতে পারি কিনা তা পরীক্ষা করলেই ঝামেলা মিটে যায়--আমি তাদের সহযোগীতায় মুগ্ধ,কারণ অনেকেই বুঝে গেছে পুলিশ অন্য কিছুর আশায় ঝামেলা করছে,তাই তারা আগ বাড়িয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে শুরু হলো নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ,একজন কনষ্টেবল পি এস সি- চেয়ারম্যানের ভাব নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলো,সবগুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে যখন আমিও বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ভাব ধরতে যাবো তখনই বাধলো বিপত্তি--শেষ প্রশ্নে গেলাম আটকে! প্রশ্ন:আপনার শ্বশুরের নাম? আমি:চান মিয়া সেই চেয়ারম্যান ভাবধারী পুলিশ;স্যার ধরা খাইসে,পুরা মুখস্ত করতে পারে নাই এস আই: ক্যান মিলে নাই? চেয়ারম্যান ভাবধারী:না স্যার নামের শুরুতে "ল্যাটা" আছে সেইটা বলতে পারে নাই,ভুইলা গেছে  
আপনারা নিশ্চয়ই জানান MRP-তে সকল তথ্য ইংরেজীতে লেখা থাকে,সেই মতো আমার শ্বশুরের নাম লেখা--Late Chan Mia! আমাকে প্রশ্নকারী চেয়ারম্যান ভাবধারী পুলিশ সাহেব Late মানে "প্রয়াত" কে "ল্যাটা" ভেবে এটিকে নামের অংশ ধরে নিয়ে আমার ভুল ধরে ফেলেছেন--বুঝতেই পারছেন বিদ্যার টাইটানিক এক একজন!আমি তখন তাকে বললাম--ভাইয়া এটা ল্যাটা হবে না,লেট হবে মানে প্রয়াত! ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেছে এবং উপস্থিত জনতার মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে,পরিস্থিতির অবনতি আচ করতে পেরে তারা আমাকে বিদায় দেয়
আমার জিজ্ঞাসা :
.আমাদের দেশে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বহন কোন আইন দ্বারা নিষিদ্ধ কিনা? 
.৫০০০/টাকা সাথে বহন করার জন্য পুলিশের আগাম অনুমতি লাগে কিনা? 
.ইচ্ছে করলেই পুলিশ সাধারণ নাগরিককে নাযেহাল করার ক্ষমতা ধারণ করে কিনা?
.পথে-ঘাটে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার দ্বায়িত্ব/ক্ষমতা/যোগ্যতা পুলিশের আছে কিনা?
.প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকুরে পরিচয় পাওয়ার পরও ৩য় শ্রেণীর পদ মর্যাদা ধারী এই সব পুলিশ এভাবে নাযেহাল করার অধিকার বহন করে কিনা?
যদি এগুলো সবগুলোর উত্তর না বোধক হয় তবে আমার ফেইসবুক বন্ধু সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ করবো বিষয়টি পুলিশের উপর মহলের নজরে আনুন এবং বাকী বন্ধুরা বেশী বেশী শেয়ার করে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন,ওই সড়কে চলাচলকারী দের সতর্ক করুন,কারণ পরে আমাকে বহন কারী স্থানীয় রিকশা চালকের কাছে শুনেছি এটি ওই স্থানের নিয়মিত ঘটনা

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী