বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' -বুরহান উদ্দীন আযাদ,তুরস্ক

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী সভ্যতার পতন লগ্নে মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রশ্ন প্রকট আকার ধারণ করে। আর সেই প্রশ্নটি হল, 'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' এই প্রশ্নে উসমানী খিলাফতের শেষের দিকের সুলতানগণ ইউরোপীয় ধ্যান ধারণাকে গ্রহণ করে নেন এবং তাঞ্জিমাত ফরমানের মাধ্যমে এই ধারণাকে সাংবিধানিক রূপ দান করেন। এই অবস্থা চলতে থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত। ১৮৭৬ সালে উসমানী খিলাফতের দায়িত্ত্ব গ্রহণ করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান। তিনি তার পূর্ববর্তী সুলতানদের এই সকল অনুকরণকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেন। তিনি প্যান ইসলামীজম বা ইসলামী ঐক্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইসলামী সভ্যতাকে বেগবান করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার এই কাজে সবচেয়ে বেশী প্রেরণা ও শক্তি যোগান প্রখ্যাত আলেম ও বহু ভাষাবিদ আহমেদ জাওদাত পাশা। 

উসমানী খিলাফতের সুলতানদের এই পাশ্চাত্যের অনুকরণ প্রিয়তা শুধুমাত্র উসমানী শাসনাধীন অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এই চিন্তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। সমগ্র বিশ্বে চালু হয় ২ টি ধারা। 

এদের মধ্যে এক শ্রেনী হল, পাশ্চাত্যে অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ করে পাশ্চাত্য সভ্যতার (!) আলোকে নিজেদেরকে গড়ে তোলা। এই ধারনার লোকেরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণকে আধুনিকতা গণ্য করে থাকে। নিজদেরকে যত ইসলামী চিন্তা দর্শন থেকে দূরে রাখতে পারবে ততটাই এলিট হবে বলে চিন্তা করে থাকে।

আর দ্বিতীয় শ্রেনী হল, আমরা আমাদের সভ্যতাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আমাদের পতনের মূল কারণ ইসলাম নয়, বরং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলেই আমাদের পতন হয়েছে। 

দ্বিতীয় ধারণাকে শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী, হাসান আল বান্না, আল্লামা শিবলী নোমানী, আলিয়া ইজ্জেত বেগভিচ সহ আরও অনেক মহান মনিষী। 
অপরদিকে প্রথম ধারাকে জনপ্রিয় করে তুলে ওরিয়েন্টালিস্টরা এবং পাশ্চাত্যের জীবন দর্শনের আলোকে গড়ে তোলা বুদ্ধিজীবীদের বিশাল একটি অংশ।

উসমানী খিলাফতের সময়ে প্রথম ধারার পক্ষে ছিল, তানজিমাত ও ইসলাহাত ফরমানের পক্ষের লোকেরা এবং ইত্তেহাদ ও তারাক্কী আন্দোলন। এই আন্দোলন সমূহ মূলত পরিচালিত হত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এবং লন্ডন থেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই ধারাকে ধরে রাখে আতাতুর্ক পন্থী বামরা এবং ইত্তিহাদ ও তারাক্কী ঘরনার লেখক ও কবি শ্রেনী। 

অপরদিকে দ্বিতীয় ধারার পক্ষে উসমানী আমলে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান, জাওদাদ সাঈদ, প্রখ্যাত আলেম জাহিদ আল কাওসারী, মুস্তাফা সাবরী এফেন্দী, সাঈদ হালিম পাশা, প্রখ্যাত কবি ও দার্শনিক মেহমেদ আকীফ এরসয় সহ আরও অনেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, বদীঊজ্জামান সাঈদ নুরসী, প্রখ্যাত মুফাসসির এলমালী হামদী ইয়াজার, , জেমিল মেরিচ, নাজিপ ফাযিল কিসাকুরেক এবং সেজাই কারাকোচ সহ আরও অনেকে। 

আর এই দ্বিতীয় ধারাকে বিজয় করার জন্য সবচেয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান এবং তার প্রতিষ্ঠিত মিল্লি গরুশ আন্দোলন, মাওলানা মওদুদী ও তার প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী ও ইমাম শহীদ হসান আল বান্না ও তার প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিন। 

Copyright

মৃত্যুর আগে স্টিব জবস হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবন সম্পর্কে যা বললেন।



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ স্টিভ জবস যখন মারা যান তখন এ্যাপলের ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। টেকনোলজির এই রাজপূত্র মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একেবারে অন্তিম মুহুর্তে জীবন সম্পর্কে কিছু অসাধারণ কথা বলেছিলেন-

যা জাপানি, চায়নীজ, হিন্দি, উর্দু, আরবী, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, রুশ সহ প্রায় আঠারোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। শুধু তাই নয়- শিশুদের মানসিক উৎকর্ষতা বিধান এবং তাদের সুন্দর মনন গঠনের লক্ষ্যে একাধিক ভাষায় স্টিভ জবসের এই অমর কথাগুলো সহ উনার জীবনী বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

কথাগুলি নিম্নরূপ :

বাণিজ্যিক দুনিয়ায় আমি সাফল্যের একেবারে সর্বোচ্চ চুড়োয় আরোহণ করেছি।যা আপনাদের কাছে সাফল্যের এক অনুপম দৃষ্টান্ত।কিন্তু,এ কথা ধ্রুব সত্য কাজের বাইরে আমার সামান্যই আনন্দ ছিলো। সম্পদের প্রলোভনে বিভোর ছিলাম সারা জীবন। আজ মৃত্যুশয্যায় শুয়ে যখন জীবনটাকে দেখি-তখন আমার মনে হয়, আমার সব সম্মান, খ্যাতি আর অর্জিত সম্পদ আসন্ন মৃত্যুর সামনে একেবারেই ম্লান, তুচ্ছ আর অর্থহীন।এ্যাপলের বিশাল সাম্রাজ্য আমার নিয়ন্ত্রনে ছিলো-কিন্তু মৃত্যু আজ আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি কবরের বিছানায় শুয়ে আছে সেটা আদৌ কোনো বড় ব্যাপার না। প্রতি রাতে নিজের বিছানায় শুয়ার আগে আমি কি করলাম -সেটাই আসল ব্যাপার। অন্ধকার রাতে জীবনরক্ষাকারী মেশিনের সবুজ বাতিগুলোর দিকে চেয়ে আমার বুকের গহীনে হাহাকার করে ওঠে। মেশিনের শব্দের ভিতরে আমি নিকটবর্তী মৃত্যু দেবতার নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারি। অনুধাবন করতে পারি-শুধু সম্পদ না, সম্পদের সাথে সম্পর্কহীন জিনিসেরও মানুষের অন্বেষণ করা উচিত।

বেকুবের মতো সম্পদ আহরণই সবকিছুই নয়- আরো অনেককিছু মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।আর তা হলো- মানুষের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা,সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করা আর তারুণ্যে একটি সুন্দর স্বপ্ন নিজের হৃদয়ে লালন করা। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটলেই মানুষ আমার মতো এক ভ্রান্ত মানুষে পরিণত হতে পারে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার হৃদয়ে ভালবাসা অনুভব করার জ্ঞান দিয়েছেন।কেবলমাত্র এই নশ্বর দুনিয়ায় সম্পদের মোহে জড়িয়ে পড়ার জন্য নয়। এই যে মৃত্যু শয্যায় শুয়ে আছি।কই, সব সম্পদতো এই বিছানায় নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু আজ সাথে আছে ভালোবাসা, প্রেম, মায়া, মমতার স্মৃতিগুলোই । এগুলোই শুধু সাথে থেকে সাহস যোগাবে , আলোর পথ দেখাবে। ভালোবাসা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে- সম্পদ না খুঁজে ভালোবাসাও খোঁজে নিতে হয়। সম্পদ কভু শান্তি আনেনা।মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ আর ভালোবাসাই শান্তি আনে।পৃথিবীটাকে দেখো। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটে হাহাকার করলে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে না…

পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বিছানা কি জানেন? তাহলো- হাসপাতালের মৃত্যু শয্যা। আপনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি একজন গাড়ি চালক রাখতে পারেন। আপনার নিযুক্ত কর্মচারীরা আপনার জন্য অনেক টাকাই আয় করে দিবে।কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় সত্য গোটা পৃথিবী চষে, পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়ে দিলেও একজন মানুষও পাবেন না যে আপনার রোগ বয়ে বেড়াবে।

বৈষয়িক যে কোনো জিনিস হারালে আপনি পাবেন। কিন্তু একটা জিনিসই হারালে আর পাওয়া যায়না তা হলো মানুষের জীবন। মানুষ যখন অপারেশান থিয়েটারে যায় তখন সে কেবলি অনুধাবন করে- কেন জীবনের মূল্যটা আগে বুঝিনি!! জীবনের যে স্টেজেই আপনি আজ থাকুন না কেন- ,মৃত্যু পর্দা আপনার জীবনের সামনে হাজির হবেই। সাঙ্গ হবে জীবন। তাই, এই নশ্বর জীবনের পরিসমাপ্তির আগে পরিবারের জন্য, আপনজনের জন্য, বন্ধুদের জন্য হৃদয়ে সবসময় ভালোবাসা রাখুন। নিজের জীবনটাকে ভালোবাসুন,নিজের জীবনের মালিক মহান আল্লাহকে ভালোবাসুন, ঠিক নিজের মতো করে অন্যকেও ভালোবাসুন।

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ব্যারিস্টার আব্দুররাজ্জাকের পদত্যাগ,মুজিবুর রহমান মন্জুর বহিস্কার ও গনতান্ত্রিক রাজনীতির সুপুত্র জামায়াত।


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ শিরোনামের শেষাংশ দিয়ে শুরু করা যাক,অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহানের স্ত্রী প্রফেসর রওনক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গবেষনা করে বলছেন একমাত্র গনতান্ত্রিক চর্চা ও। জবাব দিহিতা জামায়াত ইসলামিতে আছে। আবার ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব পদত্যাগ পরবর্তি বিবিসি তে সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছেন জামায়াতে ইসলামি তে গনতান্ত্রিক চর্চা বিদ্যমান বলে সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে সিদ্বান্ত হয়।

ফলে তিনি যে বিষয কেন্দ্র করে পদত্যাগ করছেন তা সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের আলোকে ই বাতিল হয়েছে।। এটা ই শুরাই সিদ্বান্ত। ফলে জামাতের শহিদ নেতারা নিজের জিবন দিয়ে আনুগত্য ও শৃংখলার অনপম দৃষ্টান্ত স্বাপন করেছেন। তারা প্রত্যকেই জিবন বাচানোর জন্য ক্ষমা চাইতে পারতেন , সুন্দর ভাবে নিশ্চিন্তে অপরাধী মননিয়ে রাজনীতি করতে পারতেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক ওখানে পরাজিত।
তার পর জামাতের সিদ্বান্ত গ্রহন যে কোন ব্যাক্তির ইচ্চা অনিচ্ছা বা স্বৈরতান্ত্রিক হয়না তা তিনি দলের বাহিরে এসেও বলছেন। সেখানে তিনি অনন্য।
এজন্য ই জামায়াত গনতান্ত্রিক রাজনীতির সুপুত্র। ব্যারিস্টার সাহেব শহিদ নেতাদের স্তর থেকেএকটু পিছনে পড়ে গেলেন মাত্র।তার মতো নেতা যে কোন সংগঠনে প্রয়োজন, দেশ নয় শুধু বিশ্ব নেতৃত্ব ও অবদান রাখার মতো যোগতা রয়েছে তার।

তার পদত্যাগ কে পদস্খলন বলা যাবেনা তবে বিরাট ভুল
জামায়াত কত বিচক্ষণ রাজনীতি করে ত্যাগ ও শৃংখলা, পরাকাষ্ঠা দেখাতে পারে তা বার বার প্রমান হয়েছে। জামায়াত সেক্রেটারি ডাক্তার সফিক তা তুলে ধরে ছেন। তার বিবৃতি বাংলাদের রাজনীতির জন্য একটি শিক্ষা।এর আগে ও বিবিসির সাথে তার একটি সাক্ষাৎকার অতুলনিয় এবং বিজ্ঞতার পরিচায়ক।

যারা রাজনিতি নিয়ে চিন্তা করে তাদের কে ২৫ বছর জামায়াত নিয়ে চিন্তা করার করার জন্য পড়া লেখার টেবিলে বসিয়ে দিয়েছেন।
মজিবুর রহমান মন্জু র বহিস্কার এবং তার আবেগ মিশ্রিতস্টাটাস অনেককেই তাড়িতাড়ি করবে। একজন মন্জু গড়ে উঠতে বহু সময় লাগে।
মন্জুরা আনুগত্যের শিকলের বাধা না থাকলে হয়তো জাতি আরেকজন
মাহমুদুর রহমান ফেতে পারে। মন্দ কি।? ইসলাম ও মুসলিম উম্মার জন্য
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু ইমানের অগ্নি পরিক্ষায় কাপূষ নয় এমন লোক খুব প্রয়োজন। মন্জুরা তেমন হোক।

তবে এ ও সত্য অদুর ভবিষ্যতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক রা জামাতের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। হয়তো অন্য আংগিকে, মন্জুরা ও ভুমিকা রাখবেন ইতিবাচক অবয়বে
কেননা কেবল ৭১ জামায়াকে মূল্যায়নের জন্য একমাত্র ইস্যুহতে পারেনা
বাংলাদেশের ভূ নাজনীতিক অবস্হান , বিশ্ব রাজনীতে এঅন্চলের পরাশক্তি গুলোর গোপন পরিকল্পনা জামাতকে প্রতিরোধকারি শক্তি হিসেবে দেখছে বিধায়
জামায়ত বা জামায়াতে অন্যরুপ সামনের কাতারে থাকবে প্রতিরোধকামি ফোর্স হিসাবে । তার প্রসব বেদনা শুরু বোধহয়।
একান্ত নিজের ভাবনা।।।।।।।
সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ও আমাদের দুশ্চিন্তা। # শেখ মাহমুদুর রহমান ইবনে হাবিব

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  তারা ভেবেছিলো, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে যখন “যুদ্ধাপরাধের„ অপবাদ দিয়ে জেলে ঢুকানো যাবে, তখন এই অপবাদ দেখে জনগণ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে! 
#কিন্তু ২০১৪ সালে ২৩ অক্টোবর যখন অধ্যাপক গোলাম আযম (রহঃ) ইন্তেকাল করলেন তখন বাংলাদেশের ইতিহাস খ্যাত বৃহত্তম জানাযার দৃশ্য দেখে তাদের ভাবনার দালান বিচূর্ণ হয়ে গেলো! 
এরপর থেকেই তারা একপ্রকারে জামায়াতে ইসলামীর শহীদ নেতাদের জানাযাও বন্ধ করে দিয়েছে! 
কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও তাদের গচ্চা গুণতে হয়েছে।

☞তারা মনে করেছিলো, জামায়াত-শিবিরের অফিস বন্ধ করে দিলে এবং তাদের প্রতীক নিষিদ্ধ করে, নিবন্ধ বাজেয়াপ্ত করলে হয়তো জনগণ তাদের বর্জন করবে!
আসলেই বর্জন করার কথা, যে দলের নেতাকর্মীদের কোনো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থাকে না, সে দলে কেউ থাকার প্রশ্নই আসে না। 
#কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা! ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনেই জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৩৬ জন লোককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

☞তারা ভাবলো, জামায়াত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই শক্তিশালী। তাদের অর্থ জোগান দাতা প্রতিষ্ঠান গুলো কেড়ে নিলেই, অর্থ না পেয়ে নেতাকর্মীরা তাদের ছাড়বে। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ইসলামী ব্যাংক কেড়ে নিয়ে, জামায়াতের মিডিয়া,প্রকাশনা সব বন্ধ করে দিলো... 
#কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১৮ সালে এসে দেখে: জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী আগের থেকেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেছে!

গত ৩০-১২-১৮ এর কারচুপির নির্বাচনের পর তারা প্রথম কার্যদিবস শুরু করলো জামায়াত ইস্যু দিয়ে।
☞এখন তারা হয়তো শেষ বারের মতো ভাবছে, জামায়াতে ইসলামীকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়,জনগণ তাদের বাধ্য হয়ে ছাড়বে...
#সরকারের এই ইস্যু নিয়ে অনেকেই মাজা নিচ্ছে, আবার অনেকেই চিন্তিত -বিচলিত। 
আপনারা কি সেই তুরস্কের চার চার বার নিষিদ্ধ করা দলটি দেখেন না?
নিষিদ্ধ ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে দেখেন না?
অতীতে দুইবার নিষিদ্ধ হওয়া আজকের জামায়াতে ইসলামী দেখেন না?
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবরে রঞ্জিত বায়তুল মুকাররম থেকে শুরু হওয়া শাহাদাতের মিছিল আজ কত বড়ো!?
এই দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ে তারা শুধুমাত্র শাহাদাতের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে কিন্তু এই আন্দোলনকে তারা দমিয়ে দিতে পারেনি....
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির শক্তির বলে নয়, অর্থের বলে নয়, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া আদর্শের বলেই টিকে আছে, এই আদর্শ দিয়েই আমরা একদিন সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত করবো....ইনশাআল্লাহ্।

পরিশেষে আমি সবাইকে আল্লাহর সেই আয়াতের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি:
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
অর্থাৎ, তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়।কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সূরা আত্ তাওবা: ৩২)
★সুতরাং কোনো চিন্তা নেই, ভয় নেই, আমাদের মালিক বিজয় আমাদেরকেই দান করবেন, যদি আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি। 
#হে, মালিক আমাদের তাওফিক দাও... আমিন।
(কপি করলে দয়া করে আমাকে ম্যানশন করবেন)

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

কন্যা সন্তান; মা-বাবার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত (আশির্বাদ)।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সেদিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না, যেদিন কোর্টে বাবা মায়ের সেপারেশনের সময় মা কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "আপনি কাকে চান, ছেলে কে না মেয়েকে?? "
মা তখন ছেলেকে চেয়েছিল, আমাকে চায়নি। বাবাও তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কারণ তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অযথা আমাকে নিয়ে নতুন সংসারে বোঝা বাড়াতে চাননি।

কাঠের বেঞ্চিতে বসে যখন অঝোরে কাঁদছিলাম তখন বুকে আগলে ধরেছিলেন এক লেডি কনস্টেবল। আশ্রয় দিয়েছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তার মাতাল স্বামীর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল আমার উপর। শিশু বয়সে অত কিছু না বুঝলে ও কেমন যেন খারাপ লাগতো। রাতে যখন আন্টি বাসায় ফিরতেন, আমি তাকে সব বলে দিতাম। মহিলা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আমাকে একটা এতিমখানায় রেখে আসলেন। যাবার সময় আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে যেমন করে কাঁদলেন, আমার মাও আমাকে রেখে যাওয়ার সময় ওভাবে কাঁদেনি।
দিন যায়-মাস যায়, এতিমখানাতেই জীবন কাটতে থাকে আমার। খুব অসহায় লাগতো নিজেকে। বাবা মা বেঁচে থাকতে ও যে শিশুকে এতিমখানায় থাকতে হয় তার থেকে অসহায় বুঝি আর কেউ নেই!!
বছর দু'য়েক পরের কথা। এক নিঃসন্তান ডাক্তার দম্পতি আমাকে দত্তক নেন। জীবনটাই পাল্টে গেল আমার। হেসে খেলে রাজকীয় ভাবে বড় হতে লাগলাম আমি। আমার নতুন বাবা মা আমাকে তাঁদের মতই ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার একগুঁয়ে ইচ্ছে ছিল একটাই, আমি ল'ইয়ার হবো। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আজ আমি একজন ডিভোর্স ল' ইয়ার। যারাই আমার কাছে তালাকের জন্য আসে, আগেই আমি বাচ্চার কাস্টোডির জন্য তাদের রাজি করাই। কারণ বাবা মা ছাড়া একটা শিশু যে কতটা অসহায়, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না!!
চেম্বারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। হঠাৎ একটা নিউজে চোখ আটকে গেল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার ছেলে আর বউ মিলে বস্তায় ভরে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিচে বৃদ্ধা মহিলার ছবি দেয়া। মুখটা খুব চেনা চেনা লাগছিল। কাছে এনে ভালো করে ছবিটা দেখলাম। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। এ তো সেই মহিলা যে আমাকে অনেক বছর আগে আদালতে ছেড়ে গিয়েছিল, আমার মা। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে ছুটে গেলাম হাসপাতালে।
সেই মুখটা কিন্তু চেনার উপায় নেই। চামড়াটা কুঁচকে আছে, শরীরটা রোগে শোকে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগছে, ভেতরটা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আচ্ছা, সেদিন কি তার একটু ও কষ্ট লাগেনি, যেদিন তার ১০ বছরের শিশু কন্যাটি মা-মা করে পিছু পিছু কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াচ্ছিল?? হয়তো লাগেনি। নয়তো এভাবে ফেলে যেতে পারতো না।
একবার ভেবেছিলাম চলে যাবো। হঠাৎ দেখি তিনি ঘুম ভেঙে চোখ পিটপিট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝলাম চিনতে পারেন নি, চেনার কথা ও নয়!! আমি আমার পরিচয় দিলাম। কয়েক সেকেন্ড নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। নিজের কৃতকর্মের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি মাকে।
মাকে পাওয়ার পর বাবার জন্য ও মনটা উতলা হয়ে উঠে। মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাবার অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, কয়েক বছর আগেই রিটায়ার্ড করেছেন তিনি। বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখি উনি নেই। উনার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, রিটায়ার্ড করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়েন। অযথা একটা রুম দখল করে নোংরা করত, তাই বিরক্ত হয়ে ছেলেমেয়েরা তাকে একটা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, অযথা ঘরে বোঝা বাড়িয়ে কি লাভ!!!
ওদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম গেলাম। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হলো একটা জীবিত লাশ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে বসে হাতটা ধরলাম, পরিচয় দিতেই মুখ ফিরিয়ে কাঁদতে লাগলেন।
বাবা মা এখন আমার সাথে একই বাড়িতে আছেন। একসময় তারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমি পারিনি ছাড়তে। হাজার হোক আমার বাবা মা তো!!! 
.
.... কন্যা....
আফরিন শোভা

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান !


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ সম্প্রতি মিয়ানমারে ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর ফলে ওই দেশ থেকে যেসব মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চাইছে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। 
সংস্থাটি এক বিবৃতির মাধ্যমে শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু করলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। 
সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন প্রদেশে নতুন করে সহিংসতা শুরু হলে গত কয়েক দিনে বান্দরবানের সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের প্রায় দেড়শ’ নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে। নতুন করে আসা এসব মানুষ দেশটির বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
ইউএনএইচসিআর বিবৃতির মাধ্যমে মিয়ানমারে সম্প্রতি শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে দেশটিতে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা এমন বিপর্যয় পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানায়।
জেনেভায় অবস্থিত সদর দফতরে সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস বলেন, ‘মিয়ানমারের ওসব রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার কারণে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মিয়ানমারে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে দেশের ভেতরে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে কিংবা ভয়ে দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছেন অনেকে। আর এ কারণে যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।’
সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস বাংলাদেশের উদ্দেশে বলেন, ‘মিয়ানমারে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে যেসব মানুষ আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।’

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দেশে শিশু ও নারীর কোনো নিরাপত্তা নেই : জামায়াত।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সম্প্রতি সারা দেশে নারী-শিশু- কিশোরী ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা দেশের জনগণের সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। দেশে আজ নারী ও শিশুর ইজ্জত- আবরুর কোনো নিরাপত্তা নেই। 
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক মহিলার স্বামীকে বেঁধে রেখে ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে সুবর্ণচরের পূর্বচরবাটা ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশে নারী-শিশু- কিশোরী অবাধে ধর্ষিতা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা নারী-শিশু -কিশোরীকে ধর্ষণ করছে। 
তিনি আরো বলেন, তদন্তে দেখা যায় সরকারি দলের লম্পট দুর্বৃত্তরা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অবাধে ধর্ষণ ও হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে ধর্ষকেরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। তারা ধর্ষিতাদের অভিভাবকদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং নাজেহাল করছে। ফলে নারী-শিশু- কিশোরী ধর্ষণ ও নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি দলের ধর্ষণকারীদের সাহায্য- সহযোগিতা করছে এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা আমলে না নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি তাদের এ ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 
ডা: শফিক এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৮ সালে যৌন সহিংসতায় সারা দেশে ৪২ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২৮৪ জন। গত জানুয়ারি মাসের ৩৩ দিনে ৪১টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তাদের ২৯ জনই শিশু ও কিশোরী। ওপরের তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দেশে কী সাংঘাতিক অবস্থা বিরাজ করছে। বাস্তবে দেশে নারী-শিশু- কিশোরী ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটছে তার সামান্যই মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ঘটনাই অজানা থেকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নারী-শিশু-কিশোরী ধর্ষণকারী দুর্বৃত্তদের বিচার না হওয়ার কারণেই নারী, শিশু-কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হলে ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। সেই সাথে দেশের জনগণকে নারী ধর্ষণ এবং নারী-শিশু- কিশোরীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে। নারী-শিশু-কিশোরীদের নির্যাতনকারী দুর্বৃত্তদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। 

মহিলা পরিষদের তথ্য : জানুয়ারিতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ২৯৮ !

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চলতি বছরের প্রথম মাসেই ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেছে মোট ২৯৮টি। আর বিদায়ী ২০১৮ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৩৯১৮টি। যা খুবই উদ্বেগজনক। তাই দেশের চলমান ধর্ষণ আইনের পরিবর্তন ও আইনের মাধ্যমে ধর্ষকের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যার পর কাউকে ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে যেন প্রচার করা না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু এবং অব্যাহত নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন, ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা খানম বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক দৃশ্য এখন বাংলাদেশে বিদ্যমান। আজকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একটি বড় ভূমিকা রাখছে। 
সেই ভূমিকার স্বীকৃতির প্রতিফলন হতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে এবং একটি শক্তিশালী, ভবিষ্যৎমুখী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।
কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থায় অর্থ এবং পেশীশক্তির ব্যবহার, নারীর প্রতি সমাজের প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি, নারী হিসেবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, বিদ্যমান সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে নারীদের অগ্রসর হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এই সরকারের যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল সেখানে নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারণ করে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করার মতো একটি সহায়ক পরিবেশ ছিল এবং তা করা হলে ২০১৮তে অনেক নারী সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। 
কিন্তু তা এখনো কারোর দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবারো বলতে চাই যে, এখনো সময় আছে, সংবিধান সংশোধন করে আগামীর জন্য সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য যাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা রাষ্ট্র পরিচালনায় জনশক্তি হিসেবে এগিয়ে আসতে পারে। 
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্তের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম মাসেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৯৮টি। এর মধ্যে ধর্ষণ ৫২টি। আর গণধর্ষণ ২২টি। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫টি। একইভাবে ২০১৮ সালে ৩৯১৮টি নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮২ জন এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৬৩। এ ছাড়া বাসা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পরিবহন সব জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেখা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ, অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দেশের ৮৭টি উপজেলায় ১০ মার্চ ভোট, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট ৪ মার্চ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ দেশের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দুই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট ৪ মার্চ আর উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ১০ মার্চ।
ইসি সচিব বলেন, পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ১০ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
প্রথমধাপে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও নাটোরের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।
ইসি সচিব জানান, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ভোট ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপ ৩১ মার্চ, পঞ্চম ধাপ সম্ভাব্য ১৮ জুন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট ৪ মার্চ
একাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভোট হবে ৪ মার্চ। ভোট না হলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ হয়ে যাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে কারা সাংসদ হচ্ছেন।

আইনানুযায়ী, উপজেলার তিনটি পদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদ ছাড়া বাকি দুই পদে তদের দলীয় প্রতীক কোনো প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হবে না। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তারা বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট হয়েছিল। এবারের উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। জেলার সদর উপজেলায় পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

৭১-এ জামায়াতের ভূমিকাঃ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ইসলামের নামে পাকিস্তান কায়েম হলেও পাকিস্তানের কোন সরকারই ইসলামের ভিত্তিতে দেশকে গড়ে তুলবার কোন চেষ্টা করেনি। জামায়াতে ইসলামী যেহেতু ইসলামকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল, সেহেতু কোন সরকারই জামায়াতকে সুনজরে দেখেনি।

তদুপরি ইসলামেরই নীতি অনুযায়ী গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ১৯৬২ সারে আইয়ুব খানের সামরিক আইন তুলে নেবার পর আইয়ুবের তথাকথিথ মৌলিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলেছিল, তাতে জামায়াত কোন দলের পেছনে ছিল না।

এভাবেই জামায়াতে ইসলামী আইন ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির শাসনের জন্য নিষ্ঠার সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৯৬২ সাল থেকে ৬৯ পর্যন্ত আইয়ুব আমলের আট বছরের মধ্যে জামায়াত ইসলামী ছাড়া আর কোন দলকে বে-আইনী ঘোষণা করা হয়নি। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতকে বে-আইনী ঘোষণা করে ৯ মাস পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকে বিনা বিচারে জেলে আটক রাখা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে সরকারের বে-আইনী ঘোষণাটি বাতিল হয়ে যায়।

জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস ইসলামী আদর্শ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পক্ষে একনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ সংগ্রামের গোরবময় ইতিহাস। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির ময়দানে যে ভূমিকা পালন করছে, তা সবার সামনেই আছে। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ভূমিকা পাকিস্তান আমলে যেমন স্বীকৃত ছিল, তেমনি বর্তমানে সর্ব মহলে প্রশংসিত।

৭১-এ #জামায়াতের #ভূমিকা

জামায়াতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমানের ভূমিকা থেকে একথা সুস্পষ্ট যে, আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে জামায়াত আপোসহীন। দুনিয়ার কোন স্বার্থে জামায়াত কখনও আদর্শ বা নীতির সামন্যও বিসর্জন দেয়নি। এটুকু মূলকথা যারা উপলব্ধি করে, তাদের পক্ষে ৭১-এ জামায়াতের ভূমিকা বুঝতে কোন অসুবিধা হবার কথা নয়।

প্রথমত, আদর্শগত কারণেই জামায়াতের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে ধারক ও বাহকগণের সহযোগী হওয়া সম্ভব ছিল না। যারা ইসলামকে একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলে সচেতনভাবে বিশ্বাস করে, তারা এ দুটো মতবাদকে তাদের ঈমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী মনে করতে বাধ্য। অবিভক্ত ভারতে কংগ্রেস দলের আদর্শ ছিল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। জামায়াতে ইসলামী তখন থেকেই এ মতবাদের অসারতা বলিষ্ঠ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে। আর সমাজতন্ত্রের ভিত্তিই হলো ধর্মহীনতা।

দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের প্রতি ভারত সরকারের অতীত আচরণ থেকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ইন্দিরা গান্ধীকে এদেশের এবং মুসলিম জনগণের বন্ধু মনে করাও কঠিন ছিল। ভারতের পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সংগত কারণেই তাদের যে আধিপত্য সৃষ্টি হবে এর পরিণাম মংগলজনক হতে পারে না বলেই জামায়াতের প্রবল আশাংকা ছিল।

তৃতীয়ত, জামায়াত একথা বিশ্বাস করত যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হলে গোটা পাকিস্তানে এ অঞ্চলের প্রাধান্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হবে। তাই জনগণের হাতে ক্ষমতা বহাল করার আন্দোলনের মাধ্যমেই জামায়াত এ অঞ্চলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন করতে চেয়েছিল।

চতুর্থত, জামায়াত বিশ্বাস করত যে, প্রতিবেশি সম্প্রসারণবাদী দেশটির বাড়াবাড়ি থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে এক রাষ্ট্রভুক্ত থাকাই সুবিধাজনক। আলাদা হয়ে গেলে ভারত সরকারের আধিপত্য রোধ করা পূর্বাঞ্চলের একার পক্ষে বেশি কঠিন হবে। মুসলিম বিশ্ব থেকে ভৌগলিক দিক দিয়ে বিচ্ছন্ন এবং ভারত দ্বারা বেষ্টিত অবস্থায় এ অঞ্চলের নিরপত্তা প্রশ্নটি জামায়াতের নিকট উদ্বেগের বিষয় ছিল।

পঞ্চমত, পাকিস্তান সরকারের ভ্রান্ত অর্থনৈতিক পলিসির কারণে এ অঞ্চলে স্থানীয় পুঁজির বিকাশ আশানুরূপ হতে পারেনি। এ অবস্থায় এদেশটি ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খপ্পরে পড়লে আমরা অধিকতর শোষণ ও বঞ্চনার শিকার পরিণত হব বরে জামায়াত আশাংকা পোষণ করত।

জামায়াত একথা মনে করত যে, বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের সাথে সমমর্যাদায় লেনদেন সম্ভব হবে না। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যে সব জিনিস এখানে আমদানি করা হতো, আলাদা হবার পর সে সব ভারত থেকে নিতে হবে। কিন্তু এর বদলে ভারত আমাদের জিনিস সমপরিমাণে নিতে পারবে না। কারণ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত আমাদের প্রয়োজন নেই। ফলে আমরা অসম বাণিজ্যের সমস্যায় পড়ব এবং এদেশ কার্যত ভারতের বাজারে পরিণত হবে।

ষষ্ঠত, জামায়াত পূর্ণাংগ ইসলামী সমাজ কায়েমের মাধ্যমেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সমাজিক ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা এবং সকল বৈষম্যের অবসান করতে চেয়েছিল। জামায়াতের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে,আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম হলে বে-ইনসাফী, যুলুম ও বৈষম্যের অবসান ঘটবে এবং অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের সত্যিকার মুক্তি আসবে।

এসব কারণে জামায়াতে ইসলামী তখন আলাদা হবার পক্ষে ছিল না। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এদেশে যারাই জামায়াতের সাথে জড়িত ছিল, তারা বাস্তত সত্য হিসাবে বাংলাদেশকে একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র বলে মেনে নিয়েছে। আজ পর্যন্ত জামায়াতের লোকেরা এমন কোন আন্দোলন বা প্রচেষ্টার সাথে শরীক হয়নি যা বাংলাদেশর আনুগত্যের সামান্য বিরোধী বলেও বিবেচিত হতে পারে। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তারা বাস্তব কারণেই যোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তারা কোন প্রতিবেশী দেশের আশ্রয় পাবে না। তাই এ দেশকে বাঁচাবার জন্য জীবন দেয়া ছাড়া তাদের কোন বিকল্প পথ নেই।

বইঃ- পলাশী থেকে বাংলাদেশ
অধ্যাপক গোলাম আযম
অধ্যায় ৭

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী