বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

চট্টগ্রামে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করে দিতে চান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: বাংলাদেশ আমাদের নিউজ24
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃচট্টগ্রামে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করে দিতে চান খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।

সিআরবি crb নয় চট্টগ্রামের অন্যত্র সরকারী ভাবে প্রয়োজন মাফিক জায়গা, অনুমোদন দিলে চট্টগ্রামবাসীর জন্য এক হাজার শয্যার আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতাল গড়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষন করেছেন ব্রিটেনের খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক চট্টগ্রামের এ কৃতি সন্তান আরো জানান সে হাসপাতালটি নির্মাণ করে তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করে দেবেন। শর্ত হবে যেখানে গরীব মানুষ নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও বড়লোক পয়সার বিনিময়ে সেবা পাবেন।
সৌজন্যে: ফেইজবুক পোস্ট

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য নিউজ24 আমাদের বাংলাদেশ
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ  বরিশাল বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ

★যদি বলা হয় বাংলার রানী বলা হয়কাকে???
উত্তরঃ বরিশাল
★বরিশাল একটি মাত্র বিভাগ, যাদেরসাথে ভারতীয় কোন বর্ডার সংযোগ নেই।
★বরিশাল একটি মাত্র নাম, যে বিভাগের প্রতিটা
জেলার মানুষের ভাষা, বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা। এ
রকম আর কোন বিভাগে পাওয়া যাবে না।
★বর্তমানে বরিশালে শিক্ষার হার সব থেকে বেশি।
★বর্তমান সরকারের ১ম সারির মন্ত্রীর ৪-জনই বরিশালের।
★বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর,বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠের দুইজনই বরিশালের সন্তান।
★মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ নম্বর সেক্টর গঠন করা হয়েছিল বরিশালে, যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল।
★রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস।
★সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
★মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত।
★কবি আসাদ চৌধুরি "অমর একুশে" গানের রচয়িতা কবি।
& আলহামদুলিল্লাহ হক্কানি দরবারের মধ্যে সেষ্ট দরবার " ছারছীনা ও চরমোনাই দরবার শরীফ। বরিশাল বিভাগের মধ্যে।
★সাংবাদিক-"মানিকমিয়া" যারনামে করা হয়, ""ঢাকার মানিক-মিয়া এভিনিউ"" এবং সে দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।
★লেখক গাফফার চৌধরি বরিশালে জন্মেছেন।
★আমাদের মেয়েরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই।>>
★সুফিয়া কামাল, কামিনী রায়, কুসুমকুমারী দাশের মতো মহিলা কবিরা বরিশালে জন্মেছেন।
★""শেরে বাংলা একে ফজলুল হক"" ব্রিটিশরা তাকে *টাইগার অব ""বেঙ্গল""* উপাধি দিয়েছিল। তার মতো সাহসী রাজনিতিক, অসাধারণ প্রতিভাবান,বিখ্যাত বক্তার জন্মস্থান বরিশালে।
* মহাত্তা গান্ধি বলেছেন “ যখন ভারত বর্ষ ছিল চির নিদ্রায় মগ্ন ,তখন বরিশাল ছিল যাগ্রত”
★মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী তার বাড়িও বরিশালের কুয়াকাটা।
★বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর অশ্বিনী কুমার দত্ত আরো অনেকের জন্ম স্থান বরিশালে।
★যাদু শিল্পি জুয়েল আইচ এর জন্ম কিন্তু বরিশালে।
* জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এমিলি, এমেকার নাম। একই পরিবারের ৩ ভাই জাতীয় দলে ফুটবল খেলার ইতিহাস বিশ্বে বিরল। এদের বাড়ি পিরোজপুরের উদয়কাঠী।
★বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর "পায়রা সমুদ্র বন্দর" বরিশালের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পায়রা নদীতে অবস্থিত।
★ "আবার আসিব ফিরে, ধানসিড়িটির তীরে" ধানসিড়ি নদীটিও কিন্তু এই বরিশালে।
★ দেশের সর্বোচ্চ সেতু - গাবখান সেতুটিও বরিশালের ঝালকাঠিতে।
★ এছাড়াও কবি আহসান হাবিব, হানিফ সংকেত, অভিনেতা মোশাররফ করিম, মীর সাব্বির, তানিয়া আহমেদ, সোহেল রানা, রুবেল, সুচন্দা, মিঠুন চক্রবর্তী, কন্ঠশিল্পি জুয়েল, নচিকেতা, প্রমুখ এই বরিশালেরই সন্তান।
★দেশের একমাত্র "কোষ্ট গার্ড'' এর ট্রেনিং সেন্টারটিও বরিশালের পটুয়াখালীতে।
★বাংলাদেশের অন্যতম পর্যাটক কেন্দ্র "সাগরকন্যা বা কুয়াকাটা" নামে পরিচিত সেটাও বরিশালের পটুয়াখালীতে অবস্থিত।
★এছাড়াও বিশ্বের অন্যতম খেলোয়ার শাহরিয়া নাফিজ, সোহাগ গাজী, প্রমূখ ব্যক্তিবর্গও বরিশালের।
★চলচ্চিত্র অভিনেতা, খলনায়ক কাবিলার বাড়িও পিরোজপুরে।
★ সংগীত শিল্পী খালিদ হাসান মিলুর বাড়িও আমাদের পিরোজপুরে।
★নাসির খান বাংলা চলচিত্রের খলনায়ক অভিনেতা
★দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন বাংলাদেশী ইসলামী পণ্ডিত, বক্তা এবং রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য; পিরোজপুরে। তার বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায়।
★ জায়েদ খান বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক তার বাড়িরও আমাদের বরিশালের পিরোজপুরে।
★সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার বরিশাল বাংলাদেশের খাদ্যভাণ্ডার নামে পরিচিত। বরিশালে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়, তা দিয়ে দেশের সিংহভাগ খাদ্য চাহিদা মেটানো হয়।
★বরিশালের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল, অতিথিপরায়ণ ও আন্তরিক। বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ সব জেলাতেই আছে ভাই। ভাল, খারাপ, পল্টিবাজ, ধোঁকাবাজ সব জেলাতেই আছে। শুধু যারা বরিশালকে একটু হেয় করে দেখেন তাদের জন্যই এই পোস্ট।
"# আমি_গর্বিত_কারন_আমি_বরিশাল বিভাগের_একজন_ সন্তান।
(Copy post)

সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

জিলহাজ মাসের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: জিলহাজ মাসের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ জিলহাজ মাসের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল:

১. মহান আল্লাহ তাআলার জিকির করা (বেশি বেশি)।

২. বেশি বেশি নেক আমল করা। সালাত, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।

৩.গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই দশ দিন গুনাহ থেকে বেচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

৪. সামর্থ্যবানদের জন্য হজ্জ্ব পালন করা।

৫. সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা।

৬. যারা কোরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তারা শরীরের পশম মাথার চুল নখ ইত্যাদি ১০ দিনের ভিতরে না কাটা না কাটা।

৭. বেশি বেশি তাকবীর, তাহমিদ, ও তাহলীল পাঠ করা (الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد)।

৮. ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দুই দিন এটি(الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد) বেশি বেশি পরিমাণে পাঠ করা। প্রতি ওয়াক্ত সালাতের পর কমপক্ষে একবার পাঠ করা।

৯. আরাফার দিন অর্থাৎ ৯ই  জিলহজ নফল রোজা রাখা, সম্ভব হলে পূর্ববর্তী  আট দিনও রাখা। যেহেতু আরাফাহ এর দিবস ৯ তারিখ হবে না ৮ তারিখ হবে তা নিয়ে মতবিরোধ আছে, ৮ ও ৯ দুইদিন রোজা রাখাটা এর ফযীলত পাওয়ার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 

১০. ঈদুল আযহার দিন ঈদুল আযহার সুন্নত সমূহ পালন করা এবং ঈদুল আযহার নামাজ জামাতে আদায় করা।

১১। বেশি বেশি সাদাক্বাহ করা, যা এই করোনা পরিস্থিতিতে আরও বেশি জরুরি।

রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১

চট্টগ্রামে মেয়ের পিতার বাড়ি থেকে জামাই এর বাড়িতে কুরবানির পশু সহ এটা-ওটা হাদিয়া হিসেবে পাঠানোর বদ-রসমের বিলুপ্তি সাধন প্রসংগ ;

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: চট্টগ্রামে মেয়ের পিতার বাড়ি থেকে  জামাই এর বাড়িতে কুরবানির পশু সহ এটা-ওটা  হাদিয়া হিসেবে পাঠানোর বদ-রসমের বিলুপ্তি সাধন প্রসংগ ; বাংলাদেশ নিউজ 24
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়ের বাবা-মা হওয়া যেন একটা মহা অপরাধ। ছেলের (মেয়ের জামাই) বাড়িতে একতরফাভাবে এটা পাঠাতে হবে, ওটা পাঠাতে হবে, আরো কত বদ রুসুম! ফলে জীবন যেমন জটিল হয়ে যায়, তেমনি জিল্লতির শেষ থাকেনা মেয়ের বাবা-মায়ের। চট্টগ্রামে এর প্রচলন খুব বেশি। এখানকার সবাই জমিদার (শহরে যারা বাড়ি ভাড়া দেয়) কি না তাই!

কুরবানির সময় ঘনিয়ে এলে চট্টগ্রামের কিছু মানুষের কুরবানি পশু হাদিয়া দেয়ার প্রবনতা পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে কোন কোন মেয়ের বাবা ছেলের বাবার নিকট কুরবানির পশু গরু/ ছাগল/খাসি পাঠিয়ে থাকে। ছেলের বাবা কিন্তু মেয়ের বাবার জন্য কখনো কোথাও কুরবানির পশু প্রেরণ করেছে এমন কোন তথ্য অন্তত আমার জানা নেই। এ যেন জাতে মাতাল তালে ঠিক। এ প্রেরন যদি প্রেসার ক্রিয়েট করে হয়ে থাকে, কিংবা বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে হয়, তাহলে ইহা জায়েজ নেই। ইহাও এক ধরনের যৌতুক ।যৌতুকের মধ্যে শামিল। বেয়াইদের মধ্যে এতো ভালবাসা থেকে থাকলে,( সচ্ছল) ছেলের পিতা কি কখনো দায়গ্রস্ত মেয়ের পিতার জন্য কুরবানি পশু পাঠিয়েছে ? ।
হাঁ! কোন সচ্ছল মেয়ের বাবা কোন ধরনের প্রেসার ব্যাতিরেকে নিরেট ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে ছেলের বাবা বেয়াইর নিকট হাদিয়া হিসেবে কুরবানি পশু প্রেরণ করে থাকে, তাহলে মেয়ের পিতার কুরবানির নিয়তে পশু প্রেরণ করা ও এ পশুর কারণে ছেলের পিতা (বেয়াইর) উপর ওই প্রেরিত পশু দিয়ে কুরবানি করার হুকুম কি ? তা নিম্নে দেয়া গেল।
মেয়ের বাবার নিয়তের কারণে ছেলের বাবার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। ছেলের বাবা সচ্ছল হয়ে থাকলে সচ্ছলতার কারণে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।ছেলের বাবা গ্রহণের মধ্য দিয়ে উহার মালিক হয়ে যাবে।মালিক হিসেবে পশুর উপর ছেলের বাবার পূর্ণ ইখতিয়ার প্রতিষ্ঠিত হবে। ইচ্ছে করলে প্রেরিত পশুটি লালন জন্য রেখে দিতে পারে, বিক্রি কিংবা কাউকে হাদিয়াও দিতে পারে, অথবা উহা দিয়ে নিজে কুরবানিও করতে পারে। হাঁ তবে বেয়াইর পাঠানো পশু দ্বারা কুরবানি করা উত্তম। এতে প্রেরক বেয়াইর সন্তুষ্টিও অর্জিত হলো এবং প্রেরক বেয়াইর খোঁচা থেকেও বাঁচা গেল ।
মানুষ একটু সচেতন হলে মেয়ের পিতার উপর চাপিয়ে দেয়া এ বদ্ রসম ও কুপ্রথার বিলুপ্ত সাধন করা যায়। বিলুপ্ত সাধন করা উচিত। এ প্রতারণার মূলোৎপাটন করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

লেককঃ মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ,
দারুল উলুম কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

জামায়াত নেতা মুহাম্মদ উল্লাহর মাতার ইন্তেকালে মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ বার্তা: জামায়াত নেতা মুহাম্মদ উল্লাহর মাতার ইন্তেকালে মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জনাব মুহাম্মদ উল্লাহর সম্মানিতা মাতার ইন্তেকালে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহর মাতা লায়লা বেগম (৯০) আজ সকাল ১০টায় কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের মনোহরখালী নিবাসী লায়লা বেগমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, 'প্রিয় ভাই জনাব মুহাম্মদ উল্লাহর সম্মানিতা আম্মার ইন্তেকালে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আল্লাহপাক তাঁর সমস্ত আমলগুলো কবুল করুন, তাঁর যাবতীয় ভুলত্রুটি ক্ষমা করে পরকালে জান্নাতে সুউচ্চ মাকাম দান করুন। তাঁর নিকটজন সহ সকলকে ধৈর্য্য ধারণের তাওফীক দিন, আমীন।'

সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

সম্পর্ক, চিন্তা ও চাওয়া পাওয়ার এপিঠ ওপিঠ

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: সম্পর্ক,  চিন্তা ও চাওয়া পাওয়ার এপিঠ ওপিঠ  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ কারো পাজেরো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।

কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।
কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির বারবার গন্ধ শুঁকছে।
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে
করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তান গুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।
আসলে সন্তুষ্ট জীবন সাফল্যের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
©সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

আলেমরা কেন পালায়না !!

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: আলেমরা কেন পালায় না  বাংলাদেশ নিউজ24 আমাদের
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সরকার যেভাবে প্রতিদিন আলেমদের গ্রেফতার করছে তাতে একটা ব্যাপার পরীক্ষিত হয়ে গেছে . পুলিশ যতোই গ্রেফতার করছে ততোই সানন্দে আলেমরা স্বপ্রনোদিত ভাবে নিজেদের সমর্পন করে দিচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ।

গত কয়েকদিন যেভাবে গ্রেফতার যজ্ঞ চালানো হয়েছে তা আসলেই নজিরবিহীন . কি কারণে গ্রেফতার করছে সেই বিচার বা বিশ্লেষণ আমি না-ই বা করলাম ।
কিন্তু আলেমদের ঈমানী শক্তি এতোটা কঠোর ও পোক্ত তা প্রমাণিত হলো এই গ্রেফতার যজ্ঞের মাধ্যমে . এ যেন স্বেচ্ছায় কারাবরণ. যেখানেই গ্রেফতারের জন্য গিয়েছে সেখানেই তাদেরকে যথাস্থানে ও যথারীতি পাওয়া গেছে ।
এইসব গ্রেফতারি ভীতি থাকলে সচরাচর রাজনৈতিক নেতারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন . কিন্তু আলেমদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি ।
আরো আশ্চর্য বিষয় হলো প্রথম দিকে যা একটু ভীতি ছিল, এখন তাও কাজ করছেনা তাদের মনে . কারণ , নির্ঘাত গ্রেফতারের সম্ভাবনা নিয়ে তরুণ ইসলামিক নেতা মুফতি হারুন ইজহার নিজ বাসভবনেই ছিল . খুব সাধারণ ভাবেই পুলিশের কাছে নিজেকে সমর্পন করেছে ।
আমার দীর্ঘ টকশো জীবনে শুধুমাত্র গত ২/৩ মাসে আগে থেকে আলেম বা ইসলামিক বক্তাদের আসার সুযোগ দেই . এর আগে কখনোই এতটা সম্পর্ক ছিলোনা এই সম্মানিত আলেম সমাজের সাথে ।
টকশোতে ইনভাইট করতে গিয়ে তাদের সাথে আমার যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক হয় . সরাসরি দেখা না হলেও ফোনে যতটুকু কথা হয়েছে তাতে তাঁদের প্রতি আমার অনেক সম্মানবোধ তৈরী হয়েছে।
কিন্তু আফসোস এখন টকশোতে তাঁদের কাউকেই পাচ্ছিনা . যাকেই কল দেই তার ফোন বন্ধ . পরিবারের কেউ ধরলে বলছে তিনি তো এখন জেলে । পরিবারের মানুষজনগুলিও যথেষ্ট স্বাভাবিক । কি আজব মানসিক শক্তি ।
রাষ্ট্রের ক্ষতি করলে যে কেউ গ্রেফতার হবে আইনি ভাবে বিচারপূর্বক সাজা ভোগ করবে , এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
কিন্তু এই রোজার মাসে অন্ধকার প্রকোষ্টে আলেমদের এভাবে ফেলে রাখাটা কতটুকু সমর্থিত তা ভাবতে ভারী কষ্ট লাগছে।
সরকারের কাছে আবেদন করছি, সবকিছুর উর্দ্ধে উঠে এই রমজানের সময়ে কাউকে গ্রেফতার না করে ঈদুল ফিতর যেন পরিবারের সাথে কাটাতে পারে সবাই সেই ব্যবস্থা করুন দয়া করে . কি কারণে এই বিশাল গ্রেফতার আমি জানিনা, তবে যদি শুধুই রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার গুলো করা হয়ে থাকে তাহলে বলবো এই মাসটিতে নয়।
উনারা সবাই দ্বীনি ও পরহেজগার . রোজার মাসটির জন্য তারা সারা বছর তাকিয়ে থাকে. দয়া করে ব্যাপারটি বিবেচনায় নিন।
টকশোর কারণে যাদেরকে চিনেছি তাদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার দেখে হাতে কলম না নিয়ে শান্তি পাচ্ছিলামনা .
আমার এই কলম সবার জন্য . নির্যাতিতদের পাশে সবসময় আছি।
সাইফুর সাগর
সঞ্চালক , ফেস দ্যা পিপল

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24: মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল! - শিহাব শাকির
আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ 
১. পঞ্চাশোর্ধ্ব এক করোনা রোগী সুইসাইড নোট লিখে মুগদা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। লিখে গেছেন, নিজের একাকীত্বের কথা। টাকা ছিল, পয়সা ছিল। কিন্তু আত্মীয়-সজন, বন্ধু ছিল না কাছে। পরিবার ও আত্মীয়দের সবাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ "উন্নত" দেশে! একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন!

২. চলচ্চিত্রের "মিষ্টি মেয়ে" খ্যাত নায়িকা, সাবেক সাংসদ কবরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তার একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। তা হলো, জীবনে ভালো একজন বন্ধু পেলাম না, ভালো একজন স্বামী পেলাম না, সন্তানরাও যে যার মতো! কারো সাথে বসে এক কাপ চা খাবো, মনের কথা খুলে বলব- তা পেলাম না!
৩. "বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর" লেখক, খ্যাতনামা কলামিস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর তারেক শামসুর রাহমানের লাশ নিজের বাসা থেকে দরজা, তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে! বাসায় তিনি ছিলেন একা। স্ত্রী ও কন্যা আছেন যথারীতি "স্বপ্নের দেশ" যুক্তরাষ্ট্রে! অসুস্থ ও মৃত্যুর সময় কেউ ছিল না পাশে, কেউ জানেনি কিছু!
টাকা, পয়সা, যশ, খ্যাতি, পরিচিতি সবই ছিল। কিন্তু কারো পাশে ছিল না স্ত্রী, স্বামী বা পুত্র-কন্যা!
ছিল একাকীত্ব! অখণ্ড একাকীত্ব!
প্রত্যেকের মৃত্যুতে খুব কষ্ট লেগেছে।
কিন্তু "উন্নত" মহলে আমাদের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে তা ভাবতে গিয়ে আবারও শিউরে উঠেছি!
হায় রে ক্যারিয়ার, হায় রে উন্নয়ন, হায় রে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন! হায় রে, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা!
একটু চিন্তা করতে পারেন, একটু ভাবতে পারেন।
আহা রে জীবন!!

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা বাংলাদেশ নিউজ24
 আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ জাপানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনো মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, নসিহত নেই, ধর্মীয় স্কলার নেই, মাজার নেই, ওরশ নেই, পীর নেই, মুরিদ নেই, কুতুব নেই, আবদাল নেই, তাবলীগ নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনো কিছুই নেই। এগুলো ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙখল জাতি।


গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো দূর্নীতি নেই, কোনো ঘুষ নেই, কোনো ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনো ছাত্রকে বেত্রাঘাতের রেকর্ড নেই। কোনো কাজের জন্য কোনো ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। কারো সুপারিশ ছাড়া কোনো ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয় ভাবে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের নিয়োগের নজিরও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই। আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙখলা।

ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। ত্রান কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইন দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইন দাঁড়ানো শেষ ছেলেটির হাতে খাবার প্যাকেট দেয়ায় -সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়।

জাপানে কোনো কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাট গুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার। নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনো প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয় না। এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো।

টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশ বছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামি ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনো ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে কিছুই নেই।

জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়। আর ক্ষমা প্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কি করতে পেরেছি তার জন্য দয়া করে গুণ কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দু হাত একসাথে করে- জনগনের সামনে মাথা নীচু করে- (যেটা জাপানি কালচার) - বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।

সামনে রোজা আসছে। দেখবেন রোজার আগমনে অন্যান্য মুসলিম দুনিয়া শান্ত হয়ে আসছে। মানুষের মাঝে একটা ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হবে কেনা কাটার মচ্ছব। যার দুই কেজি পিঁয়াজ দরকার সে কিনবে বিশ কেজি। যার এক কেজি চিনি দরকার সে কিনবে- দশ কেজি। এমন করে খাবার মজুদ করা শুরু হবে -
যেন সারা বছর না খেয়ে ছিলো। রোজার পরও আর কোনোদিন খাবার খাবোনা। দুনিয়ার সব খাবার এই ত্রিশ দিনেই খেয়ে শেষ করতে হবে। এই সুযোগে পবিত্র রমজানের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরাও অপবিত্র কাজ করা শুরু করে দিবে।

আমাদের মোড়ে মোড়ে এতো এতো মসজিদ, মাঠে মাঠে এতো ওয়াজ, গলিতে গলিতে এতো মাজার হওয়ার পরও পরিবর্তন হচ্ছে না কেন? ধর্মের দোষ দিচ্ছিনা, মসজিদেরও না, মাজারেরও না। শুধু আত্মসমালোচনা করছি।
(সংগৃহীত)

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

হারিয়ে যাওয়া ইবাদাত: ফজরের আগে ইস্তিগফার

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ হারিয়ে যাওয়া একটি ইবাদাত হলো ফজরের (আযানের) আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া (ইস্তিগফার করা)। এটি তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ থেকে ভিন্ন ধরনের ইবাদাত। আর ইবাদাত তো এটাই যে, বান্দা বিভিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করবে। আল্লাহ বলেন,

“আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন। যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। ” (সূরাহ আলে ইমরানঃ আয়াত ১৫-১৭)

আয়াতের শেষে আল্লাহ বলেন “এবং যারা রাতের শেষ ভাগে ইস্তিগফার করে।” ‘সাহার’ হলো রাতের শেষাংশ, ঠিক ফজরের আগের সময়। এজন্য সুহুরকে সুহুর বলা হয়, কারণ তা রাতের শেষে করা হয়। কিয়ামুল লাইল, কুরআন তিলাওয়াত এবং যিকির আযকারের পর আপনি হয়তো এখন পরিবারের সাথে সেহেরী করার জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যেই এসব থেকে একটু সরে গিয়ে ফজরের ঠিক আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এর ফযিলত এত বেশি যে, আপনার উপর এই আয়াত প্রযোজ্য হবে-“এবং যারা রাতের শেষ ভাগে ইস্তিগফার করে।”
.
রমাদান হলো আরো কিছু নতুন ইবাদাত শুরু করা ও নিজের উন্নতি ঘটানোর এক ঈমানী থেরাপি। ধীরে ধীরে এটা শুরু করুন। ফজরের তিন বা পাঁচ মিনিট আগে ইস্তিগফারের জন্য বসে পড়ুন। আবার এই কথা শুনেই অতি উৎসাহী হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে এ কাজ করতে যাবেন না। কারণ এটা শয়তানের একটা চাল হতে পারে। কেউ হয়তো একটা ইবাদাতের ফযিলত শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়লো, শয়তান তখন তাকে এই কাজে দীর্ঘক্ষণ লাগিয়ে রেখে ইবাদাতের প্রতি তার সব শক্তি আর আগ্রহ শেষ করে ফেলে। ফলে সে এক রাত ইবাদাত করার পরেই সেই ইবাদাত ছেড়ে দেয়। ইবাদাত করা হলো নতুন গাড়ি কেনার মতো। দোকানদার আপনাকে বলে দিবে আস্তে আস্তে ইঞ্জিনের জড়তা কাটাতে। শুরুতেই সত্তর মাইল বেগে চালাতে শুরু করলে হবে না। আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে। এক দিনে অনেক ইবাদাত করে পরদিন থেকে তা ছেড়ে দেওয়ার চাইতে নিয়মিত অল্প অল্প ইবাদাত করাই উত্তম।
.
সেহরির সময় অনেকেই হয়তো খাবার টেবিলে বসে অর্থহীন কথাবার্তা বলছে, এমন আলোচনা করছে যাতে বরং পাপের ভাগীদার হতে হয়। আপনি এসব আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে ইস্তিগফারে ব্যস্ত হয়ে যান। সত্তর থেকে একশ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন, যেভাবে রাসূল (ﷺ) পড়তেন। অথবা অন্য যে কোনোভাবে ইস্তিগফার করুন। আর এটাই হবে আপনার জীবনে এক নতুন ইবাদাতের সূচনা।
যেকোনো সময়েই ইস্তিগফার করা যায়। কিন্তু এই সময়টার ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। এটা করে আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারেন, যাদের প্রশংসা আল্লাহ কুরআনে করেছেন। এই আমলটি শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে যাবেন।
.
আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। ”
(সূরাহ নূহ: আয়াত ১০)
.
যারা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন। আপনার যদি আর্থিক সমস্যা থাকে, যদি নিঃসন্তান দম্পতি হয়ে থাকেন, ইস্তিগফার হলো এ সবকিছুর ঔষধ, কুরআনের স্পষ্ট আয়াত দ্বারা তা প্রমাণিত। আর এই ইস্তিগফারের উত্তম সময় হলো ফজরের আগে। আল্লাহ বলেন,
.
“আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা।” (সূরাহ নূহ: আয়াত ১০-১২)
.
আপনি ক্ষমতা চান? সমাজে একটি ভালো পজিশনে যেতে চান বা চাকরিতে পদোন্নতি চান? ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? আল্লাহর কসম! ইস্তিগফার করুন আর ফলাফল দেখুন।
.
বই:ধূলিমলিন উপহার: রামাদান।
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী