বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কর্মদক্ষতা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মীর কাসেমকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো মহানগর জামায়াতের প্রচার বিভাগের সদস্য এম আলাউদ্দিন আরমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।
মীর কাসেম আলীকে শহীদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ মীর কাসেম আলী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের উজ্জল নক্ষত্র। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন তিনি। সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রুপকার ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবকও ছিলেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সরকার তার কর্ম দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ইর্শান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রসিকিউশন প্রমান করতে পারেনি। বরং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তাতে কোথাও তার নামও ছিলনা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রীদের অবৈধ হস্তক্ষেপে মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপন করে তার আইজীবী ও ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে অপহরণ করার মাধ্যমে তাকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শহীদদের রক্তের পথ ধরেই দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।
তিনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন