পশ্চিমা দেশগুলোর সুপারিশ আর অজুহাতগুলোর মধ্যে একটা বাটপারি থাকে। ফ্রান্স প্রশাসন মুসলিমদের বিরুদ্ধে অযাচিত অভিযোগ উপস্থাপন করেছে, অথচ তারাই শত বছর আগে আলজেরিয়ার মুসলমানদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছিল। তখন ফরাসী সেনারা হাজার হাজার মুসলিম সাধারণ নাগরিক, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষকে হত্যা করেছে।
আজ যখন তারা হযরত মুহাম্মদ সা.কে ঠুনকো কারণে ব্যাঙ্গচিত্র প্রস্তুত ও প্রদর্শন করছে, তখন বুঝতে হবে, অতীতকাল থেকে ফরাসী নেতৃত্বের মাঝে ইসলামের প্রতি যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ রয়ে গেছে এ ঘটনা তারই ধারাবাহিক বহিঃপ্রকাশ।
আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যে অন্যায়টা করলেন, তাও মানা যায় না। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বাকস্বাধীনতা ভোগ না করতে পারেন, তাও ফ্রান্সের মতো দেশে, তাহলে এসব দেশের দালালদের অপদস্ত করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
ফ্রান্সে মুসলিমরা সংখ্যালঘু, আর খৃষ্টানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দুর্বলেরা বাক স্বাধীনতার অভাব অনুভব করে, আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা বাক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে। এটাই বৈশ্বিক বাস্তবতা। তাহলে কেন তারা বাকস্বাধীনতার ভিত্তিহীন অজুহাতে আমার নবির সা. অমর্যাদা করবে? ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক বা নেদারল্যান্ডসের এসব নোংরা ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এখন বর্বরতার কাছাকাছি চলে গেছে।
তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবি মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন, দুনিয়ার কেউ তাকে অসম্মান করতে পারবে না।
‘ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি। ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
অর্থাৎঃ- "নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেস্তাগণ নবীর উপর দুরূদ পড়েন। হে ঈমানদারগণ তোমরাও তাঁর উপর দুরূদ পড় এবং যথাযথ সম্মানের সাথে তাঁকে সালাম জানাও।"
[সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৬]
আলী আহমেদ মাবরুর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন