বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল ?

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আজ পর্যন্ত কি কেউ কখনও শুনেছেন? বিশ্বের কোন মুসলিম খ্রিস্টানদের যীশুকে অবমাননা করেছে? কোন গালি দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)। বা ব্যাঙ্গাত্বক কোন কার্টুন এঁকেছে?

না। কোন মুসলিমের পক্ষে কখনও এটা সম্ভব নয়। কারন মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য ফরজ অংশ হিসেবেই তাদের অন্যতম নবী হযরত ঈসা (আঃ)-কে গভীরভাবে সম্মান করেন। কারন খ্রিস্টানদের যীশুই হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ঈসা (আঃ)। ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন হযরত মারইয়াম (আঃ)। আর তিনিই হচ্ছেন খ্রিস্টানদের “ঈশ্বরের মাতা” মেরি।
অন্যদিকে ইহুদিদের ‘মোশি’ হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানীত নবী হযরত মুসা (আঃ)। এভাবে আব্রাহাম হচ্ছেন মুসলিমদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ)। জোসেফ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইউসুফ (আঃ)। জেকব হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)। ডেভিড হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত দাউদ (আঃ)। আইজেক হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসহাক (আঃ)। নোয়াহ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত নুহ (আঃ)। অ্যারন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত হারুন (আঃ)। স্যামুয়াল হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসমাঈল (আঃ)। সলেমন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত সোলায়মান (আঃ)। মাইকেল হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানিত একজন ফেরেশতা হযরত মীকাঈল (আঃ)।
আল্লাহর প্রেরিত এই মহাসম্মানীত নবীদের উপর বিশ্বাস রাখা মুসলিমদের ঈমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনিভাবে আল্লাহর ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস রাখাটাও ঈমানের অংশ। তাই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক। কোন মুসলিমের পক্ষে খ্রিস্টানদের যীশুকে এবং ইহুদিদের মোশিকে কোনভাবেই অবমাননা, কটুক্তি বা ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন আঁকা একেবারেই অসম্ভব।
অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে অন্যান্য সব পৌত্তলিক ধর্মের উপাস্য দেব-দেবীদের গালিগালাজ করতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই মুসলিমদের পক্ষে আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে দেব-দেবীদের গালিগালাজ করাও সম্ভবপর নয়।
অথচ ফ্রান্সের মত উন্নত একটি দেশ তাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চরমতম অবমাননাকর ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন শহরের সুউচ্চ ভবনে টাঙিয়ে জোড় গলায় দাবী করছে, এটাই নাকি তাদের বাক স্বাধীনতা! এটাই নাকি তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা!
অথচ সারাবিশ্বের মুসলমানদের জীবনের চাইতেও অধিকতর প্রিয় মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। মহানবীর প্রতি এহেন বর্বরোচিত হিংস্র আচরনে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের হৃদয় ভেংগে চুরমার হয়ে যাচ্ছে! হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে! কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে! যে নবী জীবদ্দশায় প্রতিটা মুহুর্তে মক্কার কাফের, মুনাফেক, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অপমান ও নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। চরমতম অত্যাচারে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে আবার তাদের জন্যই দু’হাত তুলে দোয়া চেয়েছেন- ‘হে আল্লাহ, এদের বুঝ দাও, এদের ক্ষমা কর।’
এখন বলুন তো। কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল? কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী