বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

ঘূর্নিঝড় সতর্ক সংকেত: ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত সমুহের কার্যকারীতা জেনে নিন।

★১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেতঃ
জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার (কি.মি.)। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।
★২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতঃ
দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

★৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেতঃ
বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. হতে পারে।

★৪ নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতঃ
বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কি.মি.। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।

★৫ নং বিপদ সংকেতঃ
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৬ নং বিপদ সংকেত:
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৭ নং বিপদ সংকেতঃ
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

★৮ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

★৯ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

★১০ নং মহাবিপদ সংকেতঃ
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশী হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।

★১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত
আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

ডায়বেটিস রোগীদের জন্যে সুখবর!!

জিবিনিউজ২৪ ডেস্ক ::
ঘটনাটি একজন ডায়বেটিস আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী নারীর যিনি বিগত ২০ বছর ধরে ডায়বেটিসের কারণে দুই বেলা ইনসুলিন গ্রহন করতেন।তিনি কিছুদিন ঘরে থাকা সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি এমন একটি ওষুধ সেবন করেছেন যার দরুন আজ তিনি সম্পূর্ণ ডায়বেটিস মুক্ত এবং তিনি প্রতিনিয়ত তার প্রিয় মিষ্টির তৈরি খাবার খাচ্ছেন । অবাক হয়েছেন কি? অবাক হবার মতই একটি ঘটনা। জেনে আরও অবাক হবেন যে এখন চিকিৎসকেরাও তাকে ইনসুলিন এবং ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ নিতে মানা করেছেন। দীর্ঘদিনের গবেষণার পরে মুম্বাই এর গবেষকেরা অবশেষে এমন একটি ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যা স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। মুম্বাই কিডনি হাসপাতালের ডাক্তার টনি আলমেদিয়া সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ করেছেন এ বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে অবগত করে দিতে এবং অন্যকে সুস্থ ভাবে বেচে থাকার সুযোগ করে দিতে। 
এ ওষুধ তৈরিতে যা প্রয়োজনঃ গম-১০০ গ্রাম এডিবল গাম বা ঘানিগাছের আটা (ভারতীয় মসলা) 
-১০০ গ্রাম যবের গুঁড়াঃ ১১ গ্রাম কালুঞ্জি বা কালো জিরেঃ ১০০ গ্রাম প্রণালীঃ 
৫ কাপ পানির মধ্যে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন এবং বোতল অথবা কোন পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহার বিধিঃ এই মিশ্রণটি ৭ দিন সকালে খালি পেটে ছোট এক কাপ আন্দাজে খান। পরবর্তী সপ্তাহে একই ভাবে বিকেল বেলায় মিশ্রণটি সেবন করুন। এই দুই সপ্তাহ একটু নিয়ম করে মিশ্রণটি সেবন করলেই আপনি নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। আজই নিজ বাড়িতে এই মিশ্রণটি তৈরি করুন এবং ডায়বেটিসকে আপনার জীবন থেকে একেবারে দূর করে দিন।

শেখ হাসিনা সরকারের উচিত কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো : দ্য হিন্দু


ණ☛ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতায় প্রস্তুত আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে 

ණ☛ । ‘পজিটিভ টার্ন ইন বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশে ইতিবাচক দিক পরিবর্তন শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। কিন্তু তারা এ সরকার গঠনের দাবি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিস্তার লাভকারী অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এতে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটে। খালেদা জিয়া ও তার শরিক বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু সে দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা ওই নির্বাচন বর্জন করে। এর ফলে নির্বাচন পরিণত হয় একতরফা। 

ණ☛ এতে সরকারের গণতান্ত্রিক অর্জন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই রাজপথের লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতে ইসলামী। এর আগে কর্তৃত্ববাদী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যুগের পর থেকে বাংলাদেশ প্রায়ই রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়েছে। এর কারণ, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরস্পরকে ঘায়েল করার খেলা। নির্বাচন ও সংসদ অধিবেশন বর্জন, নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন-বিক্ষোভ খুব বেশি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্কিত নির্বাচনের প্রায় ১৯ মাস পরে সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল হয়তো বুঝতে পেরেছে, তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। 

ණ☛ দুই প্রধান দলের মধ্যকার বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিএনপি ও জামায়াত সহিংস কায়দায় প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারও বেশ কঠোর হস্তে বিরোধী দলকে দমন করেছে। গত বছরের নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছিল। অনেকেই শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক ঝোঁকের সমালোচনা করেছেন। পরিস্থিতি এখনও ঘোলাটেই রয়ে গেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষা করছে। এটি গোপন কিছু নয় যে, রাজনৈতিক এ বিশৃঙ্খলা কাজে লাগাতে আক্রমণাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসলামপন্থিরা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের দায়ে নিজেদের ২ নেতার ফাঁসির পর থেকে জামায়াত শেখ হাসিনা সরকারের জন্য বিশেষ মাথাব্যথার কারণ ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে, সামরিক বাহিনীর আরেকটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অজুহাত বের করার সত্যিকারের বিপদও ছিল। 

ණ☛ পেছনের অবস্থার বিপরীত একটি বিষয় হলো, বিএনপি নিজের অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা অবস্থার ইতি ঘটানো ও নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা। বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ও দলটির অনুসৃত কৌশল বর্জন করা। শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে নীতিতে আবার শক্তিশালীকরণই হওয়া উচিত সামনের পাথেয়। পার্লামেন্টে কার্যকর সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য বিষয়, বিশেষ করে অপরিপক্ব গণতন্ত্রের জন্য তো বটেই।
নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম : 

বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি:-সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ২০১৫; সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ জামায়াত। সরকার বিরোধী দলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র করছে তা বন্ধ করার’ আহ্বান জানান তিনি। ডা. শফিকুর বলেন, ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এতে দেশবাসীর মত আমরাও উদ্বিগ্ন। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ সরকার জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে স্বপ্ন দেখছে জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি।

পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী এলাকায় বন্যা দূর্গত প্রায় সাতশত জনকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী

পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী এলাকায় বন্যা দূর্গত প্রায় সাতশত জনকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান। ত্রাণ বিতরণকালে তিনি বলেছেন, বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো বন্যার কারণে প্রান্তিক মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতার অভাবে পানিবন্দি মানুষগুলো ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে পানিবাহিত রোগ সংক্রমনের আশংকা রয়েছে। এহেন অবস্থায় আমরা সমাজের বিত্তবান সকলের কাছে পানিবন্দি মানুষের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতি-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ কামনা করছি। ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ, সদর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকনেতা আনু মেম্বার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ প্রমূখ।

জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়: সেলিম উদ্দিন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ২০১৫; জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো: সেলিম উদ্দিন।
বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারায় জামায়াতের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত দিনের উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনে জামায়াতের অভাবনীয় সাফল্যই প্রমাণ করে যে এদেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ে সামান্য কিছু ভোট বেশি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সর্বমোট ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ আর জামায়াত পেয়েছে ১কোটি ২০ লাখ। শেষের দিকে কেন্দ্র দখল আর ব্যালট ছিনতাই না হলে জামায়াতের ভোট আরো বেশি হতো।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের উপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়বে জামায়াতের প্রতি জনগণের সমর্থন ও সহমর্মিতা ততই বাড়বে। ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারলে সরকারের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।
ভাটারা থানা জামায়াত আমির মো: হেদায়াতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার, জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও আবুল কাশেম প্রমুখ।

'প্রত্যেক ছাত্রের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে'


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এজন্য তিনি যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির নিকট নবী-রাসূল পাঠিয়েছিলেন যারা পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতেন। একইভাবে মক্কার মরুর বুকে মানুষ যখন এক আল্লাহর দাসত্ব ভুলে অসংখ্য মূর্তি পূজা, জীবন্ত কন্যা সন্তান কবর দেয়া, একে অপরের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হন ঠিক তখনই মহান প্রভু মানবজাতিকে হেদায়াত দেয়ার জন্য সর্বশেষ নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আরবের আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে দূরীভূত করে এক শান্তির সমাজ কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একই সাথে তাঁর পরে আর কোন নবী-রাসূল পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্রষ্টার দেয়া দায়িত্ব ভুলে অন্ধকার পথে পরিচালিত হলে তাকে সু-পথে আনার দায়িত্ব শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের উপর অর্পন করেছেন। এ দায়িত্ব পালন না করার কারনে প্রত্যেক মুসলমানকে শেষ বিচার দিনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন। তাই দিকভ্রান্ত মুসলিমকে আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব-কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিতে হবে আমাদেরকে। এর মাধ্যমেই আমরা পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব। এজন্য প্রতিটি শিবির নেতা কর্মীদের পরকালীন জবাবদিহিতার মানসিকতা নিয়ে সকল ছাত্রের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। 
চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের ষান্মাসিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২৮.০৭.’১৫) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সভাপতি নুরুল আমিন’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সালাউদ্দিন মাহমুদ’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, সাবেক নগর সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী,মিজানুর রহমান, শিবির নেতা তৌহিদুল ইসলাম,কায়েস মাহমুদ প্রমুখ। বৈঠকে বিগত দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকী-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম


ঈদের পরপরই আমার পর্ব ছিল বলে গত মঙ্গলবার লিখতে পারিনি। জীবনে প্রথম এতেকাফে বসেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছে। এক নতুন অভিজ্ঞতা। এতেকাফে বসার আগে চিন্তা করেছিলাম মসজিদে কোনো কথা বলব না। প্রয়োজনে লিখে জানাব। কিন্তু মসজিদে গিয়ে দেখলাম তেমনটি হওয়ার নয়। কতজন সালাম দিচ্ছে একবার, দুবার তিনবার। কেউ হয়তো বলছে, 'এই যে স্যার, আপনাকে সালাম দিয়েছিলাম।' আবার কেউ বলছে, 'সালামুআলাইকুম। স্যার, আসসালামুআলাইকুম। সালামালাইকুম।' কতক্ষণ চুপ করে থাকা যায়? মসজিদে গিয়ে একজনকে পেয়েছিলাম। তিনি এক সরকারি কর্মচারী। ২০ রমজান থেকে মসজিদে আছেন। তবে অফিসের কাগজপত্র টেলিফোন সব নিয়ে এসেছেন। আমি যাওয়ার একদিন পর ওসব নিয়ে কথা হওয়ায় তিনি ত্যাগ করেছিলেন। মনে হয় স্বাধীনতার পর এমন দিন খুব কমই গেছে যেদিন খবরের কাগজ দেখিনি। এতেকাফে বসে খবরের কাগজের দিকে তাকাইনি। টেলিফোন বাইরে ফেলে গিয়েছিলাম। দুনিয়ার সঙ্গে সব কানেকশন কেটে আল্লাহর নৈকট্য পেতে চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক কর্মীরা দারুণ সহযোগিতা করেছে। যতক্ষণ এতেকাফে ছিলাম ততক্ষণ মসজিদ তাদের চোখে চোখে ছিল। এতেকাফে বসে নিজেকে বেশ ঝরঝরে লেগেছে। এখন প্রতি মুহূর্তে মনে হয় প্রতিটি মুসলমানের আল্লাহর ধ্যানে এতেকাফে বসা উচিত।
সেই কবে লিখেছিলাম সাবেক মন্ত্রী বড় ভাইকে নিয়ে লিখব। যখনই লিখতে যাই তখনই অন্য কোনো প্রসঙ্গ হিমালয়ের মতো মাথা তুলে দাঁড়ায়। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতী সন্তান সৈয়দ আশরাফ ক'দিন আগে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রণালয় পেয়েছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এখন ভিন্ন নাম। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচনের মতো আর কী? সৈয়দ আশরাফকে যে মন্ত্রণালয়ই দেওয়া হোক সে কাজ করলে অবশ্যই ভালো করতে পারে। কিন্তু সে সুযোগ কোথায়? সেই কবে শুনেছিলাম, 'সকাল বেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা।' আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কথাটি সাজে কিনা ভেবে পাচ্ছি না। ঈদের এই ক'দিন মহামারীর মতো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ মরে সয়লাব। আগে কলেরায় যেমন গ্রামকে গ্রাম বিরান হতো, তেমনি সড়কে যেন কলেরা লেগেছে। প্রতিদিন ২০-২৫-৫০ জন মৃত্যুবরণ করছে, কোনো প্রতিকার নেই। সেদিন কোনো দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'লাশ সামনে নিয়ে ফুল নিতে আসিনি।' সরকারি দলের স্তাবকরা কী পরিমাণ হৃদয়হীন হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে আহত-নিহতদের মাঝে মন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে- এটাই তো গজব। রাজন নামের ছোট্ট এক বাচ্চাকে কয়েকজন সীমার মারতে মারতে মেরেই ফেলেছে। আল্লাহ জানেন এর কোনো প্রতিকার হবে কিনা। মানুষের মধ্যে দয়ামায়া মমতার যেন লেশমাত্র নেই। তাহলে এই কি কিয়ামতের আলামত- উত্তর খুঁজে পাই না। সেদিন আবার এক মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেখানে রাজারবাগের পুলিশরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, সেই পুলিশের মুখে চুনকালি দিয়ে একজন ডাকাতি করেছে। মামলা তদন্তের কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট করতে গিয়ে ধরা পড়ে এখন চৌদ্দ শিকের ভিতরে। সেই কুলাঙ্গার পুলিশ জাহান্নামে যাক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু সে যে সারা দেশকে ডুবিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখা সব পুলিশকে ডুবিয়েছে। পুলিশই যদি ডাকাত হয়, ডাকাতের প্রতিকারে মানুষ কার কাছে যাবে? এমন অবস্থায় প্রাক্তন মন্ত্রী বড় ভাইকে নিয়ে লিখতে গিয়ে হোঁচট না খেয়ে পারি না। ওদিকে পরম ভাগ্যবান মোফাজ্জল হোসেন মায়া কোনো ইন্দ্রজালে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও দাপটে মন্ত্রিত্ব করছেন। তার মন্ত্রিত্ব যায় না, সংসদ সদস্য পদও না। কিন্তু কোনো অভিযোগ ছাড়াই জনাব লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে টানাটানি। প্রবাদ আছে, 'নিজের ধন পরকে দিয়ে দৈবগ্য মরে ক্যাথা বয়ে'; বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম। তিনি জীবনে  বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম। তিনি জীবনে বহুবার রাজনৈতিক উত্থান-পতন দেখেছেন। রাজনৈতিক উথাল-পাথাল মোকাবিলা তার জন্য কঠিন না হলেও আল্লাহ-রসুলের অবমাননায় পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই বলেই আমার বিশ্বাস। তাই তাকে অনেকবার বলেছি আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে। চুরির চুরি তার উপর আবার শিনাজুড়ি- সে এক মারাত্মক অপরাধ। আমেরিকায় আল্লাহ রসুল হজ জাকাত নিয়ে যদি কোন নকশা করার থাকে সে ভিন্ন কথা। ওটা আওয়ামী কৌশল হলেও আমাদের বলার নেই। লোকাচার রয়েছে, মহানবী (সা.) ও হজ নিয়ে কথা বলায় তার মন্ত্রিত্ব যায়নি, ভাগ্নে জয়কে নিয়ে বলায় মন্ত্রিত্ব গেছে। আমার তেমন মনে হয় না। তিনি জয়কে অত্যন্ত স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। জয় সম্পর্কে তার অনেক উচ্চ ধারণা, তাই তাকে নিয়ে কিছু বলার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। 'জয় বাবা কে, সে সরকারের কেউ না।' ও ধরনের কথা মোটেই জয়কে ছোট করতে নয়। তাই জয়ের ব্যাপারটা ওভাবে চিন্তা না করাই ভালো। ব্যাপার নিশ্চয়ই অন্যখানে যা আমরা না জানলেও বয়সের কারণে কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী যে খুব একটা কাঁচা খেলোয়াড় তেমন নয়। খেলতে গেলে অনেক সময় পা মচকাবে, ভাঙতেও পারে। ভাঙা-মচকা কত গুরুতর সেটাই এখন দেখার বিষয়। যে মানুষ ৭০ হাত মাটির নিচে গেলেও কিছু না বলে থাকতে পারে না, তিনি কী করে এতদিন নিশ্চুপ- এটাও তো তলিয়ে দেখা দরকার। তাই সময় বড় নিয়ামক। সময়ের চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। একসময় সময়ই বলে দেবে আসল সত্য কী। আমরা এখন তা নিয়ে শুধু আলোচনা করতে পারি।
আমার বাবা-মা মৌলভী মুহাম্মদ আবদুল আলী সিদ্দিকী ও লতিফা সিদ্দিকীর প্রথম সন্তান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। দুই মায়ের গর্ভে আমরা ১৫ ভাইবোন। ষাটের দশকের আগেই কয়েকজন মারা গিয়ে এখন অব্দি ৭ ভাই, ৩ বোন আছি। আমি এখন দুই, কিন্তু আদতে আমার নম্বর চার। আমার আর বড় ভাইর মাঝে এক ভাই, এক বোন অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমাকে হেয় করতে বড় ভাই দুই-একবার পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কারণ মোগল সম্রাট শাহজাহানের ৪ পুত্রের তৃতীয়জন ভ্রাতৃঘাতী আওরঙ্গজেব। আমাকে সেরকম একটা কিছু সাজানোর প্রয়াসে তিনি অমন করেছেন। কিন্তু হালে পানি পাননি। সে যাই হোক, ছেলেবেলায় আমরা একেবারে অজপাড়াগাঁয়ে কাটিয়েছি। বড় ভাইয়ের মধ্যে অত শক্তি, সাহস ও প্রতিভা আছে আমার জানা ছিল না। '৬২-র শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে প্রতিভাবান বড় ভাইকে প্রথম আবিষ্কার করি। আইয়ুববিরোধী দুর্বার আন্দোলনে টাঙ্গাইলকে যারা মাতিয়ে তুলেছিলেন তাদের মধ্যে ফজলুল করিম মিঠু, আল মুজাহিদী, ফজলুর রহমান ফারুক ও লতিফ সিদ্দিকীর নাম আসে সবার আগে। তখন মোটাগাটা শওকত তালুকদার ছিলেন মূলত শ্রমিক নেতা। এদের ঘিরেই আন্দোলন আবর্তিত হচ্ছিল। নেতা ছিলেন হুজুর মওলানা ভাসানী, শামসুর রহমান খান, বদিউজ্জামান, মীর্জা তোফাজ্জল হোসেন। এদের কারও বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোয়নি। তখনো শাজাহান সিরাজের কোনো খবর ছিল না। শাজাহান সিরাজ এসেছেন তারও ৩-৪ বছর পর।

সে এক অভাবনীয় সময়। কেবল আইউবের মার্শাল'ল উঠে গেছে। মুসলিম লীগের দাপটে মাথা তুলে রাস্তায় হাঁটা যায় না, মাথা নিচু করে চলতে হয়। তার মধ্যে ছাত্রদের আন্দোলন। আমি তখনো তেমন কিছু বুঝতাম না। পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই পাকিস্তানের জন্য যারা রক্ত পানি করেছে, রাত-দিন সংগ্রাম করেছে তারা বঞ্চিত হচ্ছিল। কোটারী মুসলিম লীগের রাজনীতিতে তাদের কোনো জায়গা ছিল না। যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। পাকিস্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মুসলিম লীগবিরোধী উপদলের সৃষ্টি হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো একজন বিচক্ষণ নেতা আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। যার ফলশ্রুতিতে ভাষা আন্দোলনের জন্ম এবং বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে '৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি সফলতা লাভ করে। এরপর পূর্ববঙ্গের বঞ্চনার ইতিহাস বড় দ্রুতগতি পায়। এই গতি সবচেয়ে জোরদার করে করটিয়ার স্বনামধন্য জমিদার খুররম খান পন্নীর সঙ্গে এক অজ্ঞাত অখ্যাত কৃষক পরিবারের সন্তান শামসুল হকের দক্ষিণ টাঙ্গাইল উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনে খুররম খান পন্নীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। যদিও শামসুল হক একদিনের জন্যও পূর্ব পাকিস্তান আইনসভায় অংশ নিতে পারেননি, তবু জনতার রায় কাকে বলে সেটা পাকিস্তান সরকার বুঝে গিয়েছিল। তার পরপরই ভাষা আন্দোলনের সফলতা পূর্ববঙ্গবাসীকে আরও অনুপ্রাণিত করে। যার প্রতিফলন ঘটে '৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে। রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পিতা জনাব আবদুল হামিদ চৌধুরী '৫৪-র নির্বাচনে কালিহাতি থেকে মুসলিম লীগের সাইকেল মার্কায় প্রার্থী হয়েছিলেন। 'সাইকেলে পাম নাই, ভোট দিয়ে কাম নাই'- গ্রামেগঞ্জে স্লোগান উঠেছিল। '৪৯-র টাঙ্গাইল দক্ষিণ উপনির্র্বাচনের মতো '৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনেও একই ফল ফলেছিল। পাকিস্তান হাসিলকারী মুসলিম লীগ সাত বছরের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ৩০০ আসনের মোট ৯টি পেয়েছিল তারা। আর সবকটি হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-শেখ মুজিবের যুক্তফ্রন্ট পেয়েছিল। রুয়াইল-ছাতিহাটির আমির আলী খাঁর বিপরীতে বিপুল বিত্তের অধিকারী আবদুল হামিদ চৌধুরী জামানত খুইয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী পাদপ্রদীপের সামনে আসেন। আমি তখন বেশ ছোট, দৌড়াদৌড়ি করি। নির্বাচনী প্রচারণায় আউলিয়াবাদ হাটে যুক্তফ্রন্ট এবং মুসলিম লীগের প্রচারকদের মধ্যে ভীষণ মারামারি হয়েছিল। যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী ছোটখাটো আমির আলী খাঁকে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী পাজাকোলা করে আমাদের গ্রামের পুবের পাড়া এক কলাঝোপের মধ্যে বসিয়ে রেখেছিলেন। সেই প্রথম তাকে আমি রাজনীতিতে আবিষ্কার করি। আমরা থাকতাম গ্রামের বাড়ি, বড় ভাই টাঙ্গাইলে থেকে বিন্দুবাসিনীতে পড়ালেখা করতেন। সেই সময় তিনি স্কাউট জাম্বুরিতে চিটাগাং গিয়েছিলেন। সেখানে ভোলা থেকে তোফায়েল আহমেদও গিয়েছিলেন। সেই থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়। তাদের তুই তুমি সম্পর্ক ছিল। কত চিঠি দেখতাম। দিনে দিনে বহু বেলা গড়িয়েছে। হঠাৎই একদিন টাঙ্গাইলে এক ছাত্র সম্মেলন হয়। আমরা তখন ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। মনে হয় '৬২ কী '৬৩ সাল। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উত্তীর্ণ করা হয়। সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণিসহ আরও অনেকে। রওশন টকিজে সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দিন বক্তৃতা হয়। ওর আগে অমন বলিষ্ঠ বক্তব্য কখনো শুনিনি। টাঙ্গাইল জেলার প্রথম ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি শওকত আলী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এরপর লতিফ সিদ্দিকী আর লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইলের ছাত্র আন্দোলনে মাত্র কয়েকটি নাম শোনা যেত- ফজলুুল করিম মিঠু, ফজলুর রহমান ফারুক, আল-মুজাহিদী, বুলবুল খান মাহবুব, আতিকুর রহমান ছালু ও লতিফ সিদ্দিকী। ।বাংলাদেশ প্রতিদিন।

লেখক : রাজনীতিক।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি বহাল


মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সু্প্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃতাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ৭ জুলাই যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আপিল শুনানি শেষ হওয়ায় ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। গত ১৬ জুন শুরু হয়ে ১৩ কার্যদিবসে এ আপিল শুনানি শেষ হয়।  ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম 

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম: শিক্ষক-কম্যকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ২৭ জুলাই ২০১৫: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেকাল্টির ডীন ও ক্যম্পাস চীফ প্রফেসর ডঃ মোঃ দেলাওয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ এর এসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ শফি উদ্দিন, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স  ডিভিশনের এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব চৌধুরী গোলাম মাওলা। অন্যান্যের মধ্যে ইলেকট্রিকেল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হেড প্রফেসর আবদুল মান্নান, কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব ডঃ মোঃ রশিদ জাহিদ, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড ও এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ আবুল কালাম, ইটিই ডিপার্টমেন্টের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও হেড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল গফুর, ল’ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম, প্রফেসর ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর মোঃ ইউনুস, প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, লাইব্রেরী ও ইনফরমেশন ডিভিশনের ডাইরেক্টর(ইনচার্জ) জনাব মুহাম্মদ নুরুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভার সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ জুনায়েত কবির।
বক্তাগণ রমজান, কুরআন, তাকওয়া এবং সদ্য সমাপ্ত ঈদুল ফিতরের নানা  শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন এবং সেই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে ব্যক্তিগত জীবনের কর্মকান্ড ও অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার আহবান জানান। 

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী