বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

জামায়াত নয় বরং জামায়াত বিরোধীরাই মৌলবাদী! : রাকেশ রহমান


ණ☛ কেউ চলে গেলেন পৃথিবী থেকে আবার কেউ জন্ম নিবেন বা ঐ দিনই জন্ম হয়েছেন পৃথিবীতে এটাই স্বাভাবিক। তবে কার মৃত্যু দিবসে কেউ জন্মাতে পারবে না বা ঐ দিন জন্মালে কেউ আনুষ্ঠানিক ভাবে বলতে পারবে না এইটা তো স্বাভাবিক না বরং এইটা মৌলবাদীতা বা একে বলে মৌলবাদ। এখন জানার বিষয় মৌলবাদটা আসলে কি যেই মৌলবাদের দোহাই বার বার চাপিয়ে দেওয়া হয় ২০ দলীয় জোটের জামায়াত ও বিএনপি'র উপর। মৌলবাদ হচ্ছে কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বা বাহু বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। 
ණ☛ সততা হচ্ছে এইটাই যে আমি আমার নিজেকে খুব ভালো চিনি কোনটা আমার ভালো কোনটা আমার খারাপ তা আমি ভালই জানি কিন্তু আমার খারাপ দিকগুলো খুব সুন্দর করে অন্যের উপর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে চাপিয়ে দিয়ে আমার বিরোধী শক্তিকে দমন করার মাধ্যমই হচ্ছে এক ধরনের মৌলবাদ । সত্যি কথা বলতে ভালো মানুষ কখনো জোর করে ভালো হয়ে সম্মান আদায় করে না এটা পরীক্ষিত। মানুষ সম্মানিত হয় তার কর্মের মধ্যে দিয়ে। কর্ম যেমন নির্ধারণ করবে মৃত্যুর পরে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কোথায় যাবে বেহেস্ত না দোযখে ঠিক অন্যান্য ধর্মাবলীর মানুষও বিশ্বাস করে যে কর্মের ফলেই পৃথিবীতে হয়তো সেই মানুষ আলোচনা ও স্মরণে থাকবে হাজার বছর। অথচ কর্ম যদি আমাদের সেই জায়গা গুলো করে দিতে না পারে আমরা যতোই চেষ্টা করি না কেন বা যতই বাহু বল প্রয়োগ করি না কেন লাভ হবে না বরং ক্ষতি হবে যা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য নিজের জন্য নয়। 
ණ☛ এই কথাগুলো যাদের বোধগম্য হতে কষ্ট হয় বা যে সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা শুধু মাত্র নিজের জীবনে রাজনীতির ফসল প্রতিফলন করতে বা করিয়েছেন সেই সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইতিহাসের পাতায় ঘৃণিত এবং সময়ের পরিবর্তনে তারা আলোচিত থেকে সমালোচিত হয়ে রয়েছেন এবং হচ্ছেন। ঠিক একই ভাবে আমাদের দেশ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গুলোর ভিতরে যারা বিশেষ করে বার বার ক্ষমতা বা সরকার হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন বা করছে। অপর দিকে একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে রয়েছে যারা বার বার ক্ষমা চেয়ে অথবা ভিন্ন কৌশলে ক্ষমতায় এলে বার বার ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি , অন্যায় , অত্যাচার জুলুম করে পিছন পথ অবলম্বন করে ক্ষমতায় জোর করে এক নায়কতন্ত্র ব্যবস্থা করে। এক নায়কতন্ত্র বা বাকশালী প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় যারা ব্যাকুল তারাই হচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচার সরকার অর্থাৎ মৌলবাদী দল। 
ණ☛ আমার রাজনীতি থেকে পাওয়ার কিছু নেই, শুধু সাধারণ জনগণের অন্তরের অন্তরস্থলের কষ্টের সমাধানের চেষ্টায় নিজেকে সামিল করা ছাড়া। আমি সত্যি কথা বলি বা লিখি এতে কারো পক্ষে গেলেও আমার করার বা সুবিধা নেওয়ার কিছু নেই কারন নিজের চিন্তায় মগ্ন আমি নয়। যেখান থেকে আমাকে বাধা দেওয়া হবে সেখান থেকেই আমি সুন্দর সমাধানের মাধ্যমে জনগণের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেই যাবো ইনশাল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী কেন মৌলবাদের উর্দ্ধে তা সংক্ষেপে জেনে নেইঃ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। যেই দলের পরিকল্পনা সুদূর মেয়াদী তাদের কর্মের বাস্তবতা যুগ থেকে যুগান্তরের ফসল। জামায়াতে ইসলামীদের মূল উদ্দেশ্য একটি সেটা হচ্ছে শুধুমাত্র, কেবল মাত্র, একমাত্র ইসলামের মূল্যবোধের আলোকে ও দ্বীন প্রচারের মাধ্যমে অগ্রগতি। সব রাজনৈতিক দলের একটি দর্শন রয়েছে তেমন জামায়াতে ইসলামীর দর্শন হচ্ছে ইসলামী দর্শন। যেই দর্শনে পরিপূর্ণতা রয়েছে ইসলামী বিধান। ইসলামী বিধানের বাহিরে জামায়াতের কর্মীও হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই সেখানে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। 
ණ☛ সত্যি বলতে আমি আমার জানার ইচ্ছে থেকেই জেনেছি। তাই সত্যি কথা তুলে ধরতে আমি উপর আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাইনা। জামায়াতে ইসলামের একজন কর্মী সম্পর্কে আমরা জানি তাহলে বুঝবো তেমন আদর্শবান ছাড়া জামায়াতের শীর্ষে উঠে আসা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে বহু রাজনৈতিক দল রয়েছে কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেই কারণেই ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লক্ষস্থানে। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা রাজনীতি করে পেশা হিসেবে আর জামায়াতের রাজনীতি করতে নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আসতে হয় এবং পাশাপাশি আত্নত্যাগ, উদারতা ও উচ্চ মানের মন মানসিকতা অত্যাবশক অবশ্য ব্যতিক্রম কিছু চারিত্রিক বিকলঙ্গ লোক ছাড়া। জামায়াতে ইসলামী যদি মৌলবাদের দল হয় তাহলে সর্ব প্রথম তারা এতো দিনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে উত্তপ্ত করে ফেলতো। বরং তা না করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা নিজের জীবনের আত্নত্যাগের মাধ্যমে যে নিদর্শন বাংলাদেশের মাটিতে বপন করে যাচ্ছে তা ভবিষ্যতে ঠিকই জেগে উঠবে সর্বত্র বিজয়ের মাধ্যমে। 
ණ☛ জামায়াতের নেতা কর্মীরা গত ৭ বছর ধরে যেভাবে নিশ্চুপ ভাবে নির্যাতিত , গুম খুন হচ্ছে তার কিঞ্চিৎ যদি বহিঃপ্রকাশ ঘটাত তাহলে বর্তমান সরকার এতো দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারত না। বরং সেই বহিঃপ্রকাশ জামায়াতে ইসলামী দেখায়নি বা দেখাবেও না, কারণ জোর করার রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাসী নয়। জামায়াতের কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত একটি শিক্ষা তারা দিয়ে থাকেন সেটা হচ্ছে -যেমন মানুষের শরীর; যদি কারো হাত পা বা অন্য কোন অঙ্গ পতঙ্গে কেটে যায় তাহলে আমরা সরাসরি মাথায় ব্যাথা অনুভব করি তেমনি জামায়াতের কোন নেতা কর্মীর কিছু হলে সরাসরি জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও একই কষ্ট বা ব্যাথা অনুভব করে। এই অনুভূতির কারণেই জামায়াতের একতা কেউ ভাঙতে পারবে না। শুধু তাই না নির্যাতিত নেতা কর্মীদের ক্ষয় ক্ষতির সাহায্য সহযোগিতা জামায়াত করতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। জামায়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাহু বলে নয় বরং মন জয়ের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করে জাতির কাছে তুলে ধরা , তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দ্বীন প্রচারে মানুষের উপকার করে আত্নার সম্পর্ক গড়ে তোলা। জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার ছাড়া বাস্তবে তাদের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আন্তরিকতা ছাড়া জামায়াতের ভিতরে কোন রকম অহংকার স্বার্থপরতার বহিঃপ্রকাশ একেবারেই নগন্য। জামায়াতের আরও একটি বড় আকর্ষণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বাছাই করা। 
ණ☛ আওয়ামীলীগের শুরুটা ভালোই ছিল কিন্তু বাস্তবতা খুবই কঠিন স্বার্থপরতা ও মৌলবাদীতায় পরিপূর্ণ। দলের ভিতর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একেবারেই নেই। দলটির প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায়ন। প্রথম থেকেই ৭১'এর পরবর্তী চার বছর সময়কার চিত্র পরিস্কার করে দেয় আওয়ামীলীগের অবস্থান। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা করার প্রয়োজন এই দলটি তাই করে থাকে। যেমন - নীতিগত ভাবে বহু দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধারা ও ৭১'এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রভাবিক ব্যক্তিত্বরা দেশের স্বার্থে আওয়ামীলীগ বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি আদর্শবান নেতা সিরাজ সিকদার সহ অসংখ্য দেশপ্রেমিকদের জীবন দিয়ে হয়েছিল ৭১'এর পরবর্তী সময়ে। স্বাধীন দেশে পরাধীনতায় নিম্নজিত হতে হয়েছিল গোটা জাতিকে। তাই ৭৫'এ শেখ মজিবুর রহমান নিহত হলে গোটা জাতি নফল নামায ও রোজা রেখে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছিল। এই মুক্তির স্বাদের প্রতিফলন হিসেবেই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ শেখ মুজিবর রহমান নিহত হবার পর ফের আবার যখন ' কাদেরীয়া বাহিনী ' বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল তাদের অর্থাৎ কাদেরীয়া বাহিনীর সদস্যের প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে প্রতিহত করেছিল। শুধু মাত্র বাকশালী প্রতিষ্ঠা ও শেখ মুজিবর রহমানের মৌলবাদীতার কারণেই ৭৫'এ জনপ্রিয়তা শূন্য অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছিল শেখ মুজিবর রহমানকে। যার পর দীর্ঘ ২০ বছর পর আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেই শুরু করে দিল আবার তাদের পুরনো ঐতিহ্যের পথে চলা। যার মাসুল দিয়েছিল ২০০১ এর নির্বাচনে। ২০০১ এর নির্বাচনে ভরাডুবি আবার ভাবতে শুরু করে এবং সফল হয় ১/১১'এর নীল নকশায়। বিএনপি ও জামায়াতের জোটের জোট ভাঙ্গার জন্য মৌলবাদী ভূমিকায় পুরোপুরি সক্রিয় আওয়ামীলীগ সরকার। 
ණ☛ বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের জগন্য সময় মানুষ আজ অতিবাহিত করছে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। এই ভবিষ্যৎবাণী অবশ্য প্রায় ১৫ বছর আগেই শেখ হাসিনার সাবেক সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মৃত মতিউর রহমান রেন্টু তাঁর বই " আমার ফাঁসি চাই " গ্রন্থে হুঁশিয়ারি করেছিলেন যা আজ হুবুহু মিলে যাচ্ছে। আমি নিজ জীবনে যা দেখার দেখেছি খুব কাছ থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে। এখন দেখা ও উপলব্ধি করার পালা দেশবাসীদের যা যথারীতি দেখছে ও ফল ভোগ করছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তব চিত্র বলে, আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ভিতরে পরিপূর্ণ মৌলবাদের ও মৌলবাদীতার সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 

লেখক : কলামিস্ট ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, এনডিপি।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করে কার্যত একদলীয় শাসন চালু করায় ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে - ডা: শফিকুর রহমান


সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের ব্যাপক সন্ত্রাস ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেশে এক দু:সহাবস্থা বিরাজ করায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ এবং তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুন, নারী ধর্ষণ, অন্যের জমি দখল, শিশু হত্যা, শিশু ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চাঁদা না দেয়ায় স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মারপিট, শিশুদের পিটিয়ে হত্যা, আধিপত্য বিস্তারের জন্য সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলা -গুলীর মত জঘন্যতম অপরাধের ঘটনা ঘটছে। 
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনীতি দমনের হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিরোধী দলের নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিরোধী দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের মাসের পর মাস জেলখানায় আটকিয়ে রাখায় দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বিনাবিচারে ক্রসফায়ার দিয়ে তাদের দলীয় কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অথচ এই সরকারের সাড়ে ছয় বছরের শাসনামলে বিরোধী দলের শত শত নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে পায়ে গুলী করে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আবার কাউকে কাউকে গুম করে দুনিয়া থেকে গায়েব করা হয়েছে। বিরোধী দল থেকে এ ব্যাপারে বার বার প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তা বন্ধ করা হয়নি। এখনো তা চলছে। আমরা বরাবরই বিনাবিচারে মানুষ হত্যার বিপক্ষে। 
তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কয়েকজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অথচ এরাই বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে বহু মায়ের বুক খালি করেছে, অসংখ্য মা-বোনকে বিধবা বানিয়েছে এবং নিষ্পাপ শিশু সন্তানদেরকে এতিম বানিয়ে ক্ষমার অযোগ্য জঘন্য অপরাধ করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা পারস্পরিক যোগসাজস ও ভাগাভাগি করে মানবতাবিরোধী এ সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি দলের নেতা ও কর্মীদের মায়াকান্না জাতিকে আরো বেশী উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের এক নেতা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ছাত্রলীগের হাজারীবাগের সভাপতিকে টাকার বিনিময় র‌্যাব হত্যা করেছে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বুঝা যায় দেশের আইনÑশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে? তাই এ বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার। 
তিনি সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া ও বন্দুক যুদ্ধের মত বেআইনী এবং মানবতাবিরোধী এ কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের যে কোন নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কেউ কোন অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও যথাযথ বিচারের মাধ্যমে শাস্তির বিধান না করে এভাবে বিনাবিচারে হত্যা করার কোন অধিকার বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্র এবং জনগণ সরকারকে দেয়নি। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট অপকর্মকারীদের তৈরি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কবর রচনা করে কার্যত দেশে একদলীয় শাসন চালু করার কারণে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদান এবং এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

যে কারণে মক্কা-মদিনায় হিন্দু খ্রিস্টানরা প্রবেশ করতে পারে না।

#ডা. জাকির নায়েকের প্রশ্ন উত্তর পর্বে নানাজন নানাভাবে প্রশ্ন করে থাকেন।
#একবার এক হিন্দু মেয়ে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা ডা. জাকির! আপনি বলে থাকেন, হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান সবাই ভাই ভাই। আমরা সবাই যদি ভাই ভাই হয়ে থাকি তাহলে মক্কা-মদিনায় প্রবেশ করতে পারি না কেন?
#মেয়েটির প্রশ্নের প্রশংসা করে ডা.জাকির নায়েক বলেন, আপনার বাসা কোথায়?
মেয়েটির উত্তর : ইন্ডিয়ায়।
★জাকির নায়েক : জন্মস্থান কোথায়?
#মেয়েটির উত্তর : ইন্ডিয়ায়।
বোন আপনি কি জানেন, ইন্ডিয়ায় বসবাস বা ইন্ডিয়ায় জন্ম নিয়েও আপনি ইন্ডিয়ার এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না?
#মেয়েটির উত্তর, না, এমন কোনো জায়গা থাকতে পারে না। আমি ইন্ডিয়ার সব জায়গায় প্রবেশ করতে পারি।
#ডা. জাকির নায়েক ফের বলেন, আপনি সব জায়গায় প্রবেশ করতে পারলেও একটা জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না। আর সেটা হলো ক্যান্টনমেন্ট। এখানে তাদেরই প্রবেশ করতে দেয়া হয়, যারা দেশের যেকোনো কল্যাণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। বোন ইসলামের একটা ক্যান্টনমেন্ট আছে, সেটা হলো মক্কা ও মদিনা শরিফ। এখানে তারাই প্রবেশ করতে পারে, যারা আল্লাহর জন্য জানমাল দিতে পারে। আপনি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’- এই ক্লাবের পাসপোর্টধারী হলেই আপনি মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ করতে পারবেন।
ডা. জাকির নায়েকের এমন চমৎকার উত্তর শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। প্রশ্নকারী হিন্দু মেয়েটি মাথা নিচু করে নিজ আসনে বসে যান।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫

শামসুল ইসলামকে জেল গেইট থেকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী : চান্দগাঁও জামায়াত

shamsul-islamআমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি মাওলানা সামশুল ইসলামকে মুক্তির পর জেলগেইট থেকে পূনঃরায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন চান্দগাঁও থানার জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি মাওলানা সামশুল ইসলামকে মুক্তির পর বান বার জেলগেইট থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে দেশে কোন আইনের শাসন নেই। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের মাসিক ওয়ার্ড সভাপতি সভায় নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জামায়াতসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি রাখার এবং মুক্তির পর জেল গেইট থেকে পুনঃরায় গ্রেপ্তারের যে নিয়ম বর্তমান সরকারের সময় চালু করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে অঘোষিত এই ফ্যাসীবাদী নিয়ম বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক ওয়ার্ড সভাপতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে মোস্তফা, আলতাফ, মোঃ রফিকসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

"দূর্নীতি রুখব এখনই" -ইমরান হোসাইন


আমাদের এলাকা চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানাদিন খেজুরতলা। গত ৭ই আগস্ট আমাদের এলাকার ইলেকট্রিক টান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। পি ডি বি কে জানানো হলে, দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসে দেখে এবং ২০০,০০০৳(দুই লক্ষ)টাকা দাবি করতেছে তথা ওপেন গুষ দাবি করতেছে। এমতাঅবস্থাই এলাকাবাসি চাদাঁ উটানোর কথা বলছে, কিন্তূ সকল ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার এর রক্ষনাবেক্ষন এর কথা পি ডি বি তথা সরকারএর কারন আমরা কি বিদ্যুত বিল দিচ্ছি না ,ট্যাক্স দিচ্ছি না। আমরা এ ব্যাপারে যথাযত কর্তিপক্ষের তথা সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।
এখনই সময় দূর্নীতির কালো থাবা থেকে আমাদের সমাজ তথা বাংলাদেশকে রক্ষা করার। তাই আসুন আমরা নতুন প্রযন্ম একহই সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড তুলি; শুধু একটি ছোট কাজ করে তা হল এই পোস্টটি শেয়ার করি এবং সকল কে শেয়ার করতে বলি।
ইমরান হোসাইন

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় চট্টগ্রাম এ “এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

মোড়ক উন্মোচন করছেন ভিসি প্রফেসর ডঃ এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম
আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ৪ আগষ্ট ২০১৫ ইং তারিখ, মঙ্গলবার দুপুর ১২:০০ টায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরা ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম লিখিত “এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 
সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেসন্স এর ডাইরেক্টর ও বিজনেস ফেকাল্টির ডীন অধ্যাপক ডঃ ফরিদ আহমেদ সোবহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জনাব অধ্যাপক ডঃ এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ট্রাস্টের এর প্রতিষ্ঠাতা মেম্বার ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মুমিনূল হক চৌধুরী। অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পাস চীফ ও সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডীন অধ্যাপক ডঃ দেলাওয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একাংশ
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে “এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডঃ ফরিদ আহমেদ সোবহানী স্বাগত বাক্তব্য রাখেন। তিনি সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার কোন অধ্যাপকের  লিখিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেসন্স এর ডাইরেক্টর জনাব সোহানী আরো বলেন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর জনাব অধ্যাপক ডঃ এ. কে. এম. আজহারুল ইসলামের মরামর্শ ও সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম লিখিত “এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইয়ের প্রকাশনার কাজটি সম্পন্ন করেন সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেসন্স। জনাব সোবহানী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের বই লেখার বিষয়ে উৎসাহীত করতে গিয়ে বলেন, যে কেউ বই লিখলে যাচাই-বাছইয়ের পর নির্বাচিত হলে প্রথমবার ৫০০ কপি সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেসন্স মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচে প্রকাশ করা হবে।
প্রধান অতিথি  ভাইস-চ্যান্সেলর জনাব অধ্যাপক ডঃ এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম  “এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এর আগে তিনি বই এবং বই এর লেখক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বণনা প্রদান করতে গিয়ে বলেন, লেখক প্রফেসার ডঃ সিরাজুল ইসলাম আমার পিছু ছাড়ছেন না। উল্লেখ্য- প্রধান অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, আবার শিক্ষকও ছিলেন। আবার তিনি লিবিয়ার আলফাত্তাহ ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলেন ৩৮ বছর আগে। অধ্যাপক শেখ সিরাজুল ইসলামও রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন, আবার লিবিয়াতে গিয়েছিলেন এবং প্রধান অতিথির পর তিনিও ইন্ডিয়াতে গিয়েছিলেন। তাই লেখকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার পিছু ছাড়তে না চাইলে ১টি বই লিখে থেমে গেলে হবে না্, আমার মতো ১৩টি বই লিখার চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধান অতিথি পরে বইটি মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিশেষ অতিথি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মুমিনূল হক চৌধুরী“এ ম্যানুয়াল অন শ্যাম্পোলিং টেকনিক অব সার্ভে “ বইটি লেখক জনাব অধ্যাপক শেখ সিরাজুল ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আরো বই লিখতে প্রকৃতি ও মহান আল্লাহ সম্পর্কে কিছু লেখার আহবান জানান।
ক্যাম্পাস চীফ ও সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডীন অধ্যাপক ডঃ দেলাওয়ার হোসাইন,  বইটি লেখক জনাব অধ্যাপক ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
বইটি লেখক জনাব অধ্যাপক ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম বইটি লেখা থেকে শুরু করে প্রকাশনা পর্যন্ত সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫

ধর্ষণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি শীর্ষ আলেমদের আহ্বান

দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বত্র খুন, ধর্ষণ, হাইজ্যাক, রাহাজানী, ও নানাবিধ দুর্নীতিতে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে গোটা সমাজ ব্যবস্থা। অসহায় মা-বোন, গার্মেন্টস কর্মী, চাকরিজীবী মহিলা রাস্তা-ঘাট ও স্কুল কলেজসহ কোথাও আজ মেয়েদের নিরাপত্তা নেই। এমনকি কচি কাচা শিশুরা গণধর্ষণের শিকার; নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এ সমস্ত মরণ ব্যাধি দমনে আমরা সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কার্যকরী পদক্ষেপ দাবি করছি। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন-নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, খুন, গুুম, অপহরণ যেভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে তা দমনে সমন্বিত উদ্যেগ এখনি নিতে না পারলে সামাজিক শৃংখলা ভেঙ্গে পড়বে। দেশে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী হবে এবং আল্লাহর গজবকে তরান্বিত করবে। আগামী শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে মসজিদে এ সমস্ত সামাজিক ব্যাধির ব্যাপারে বিশেষ বয়ান ও গণসচেতনা সৃষ্টির জন্য আমরা ইমাম-খতীবদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শীর্ষ আলেমেদ্বীন রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী, আল্লামা তাজুল ইসলাম, শায়খুল হাদীস আল্লামা শামসুল আলম, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমিরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওঃ মোহাম্মাদ ইসহাক, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শাহতলীর পীর মাওঃ আবুল বাসার, আল্লামা আব্দুল মালেক হালিম প্রমুখ। ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বুধবার জামায়াতের বিক্ষোভ


দেশে অব্যাহতভাবে গণধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতিবাদে আগামী ৫ আগস্ট বুধবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কর্মসুচি ঘোষনা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “বিগত বেশ কিছুদিন থেকে সারাদেশে গণধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এ সব ঘটনায় দেশবাসীর সাথে আমরাও উদ্বিগ্ন। মিডিয়ার বদৌলাতে এসব পৈচাশিক নির্যাতনের ঘটনার সাথে সাথে দেশবাসী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেনে যাচ্ছে।
থানায় সুনির্দিষ্টভাবে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকেরা এসব ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভও করছে। কিন্তু এতোদসত্ত্বেও সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণে দুর্বৃত্তরা সাথে সাথে গ্রেফতার হচ্ছে না এবং শাস্তিও পাচ্ছে না।
কর্মজীবী মহিলা, স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও ধর্ষিতা হচ্ছে। শিশুদেরকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুন করা হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, দেশে যেন কোন সরকার নেই এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নেই।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, গত ৩০ জুলাই উত্তরায় একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের একজন বিক্রয় কর্মীকে দুর্বৃত্তরা গণধর্ষণ করেছে। ২৪ জুলাই সিলেটের কানাইঘাটে এক তরুণীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়। পাশের বাড়িতে পরিত্যক্ত টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়।
২ আগস্ট মীরপুর ও হাজারীবাগে দু’টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এমনকি বাসে, ট্রাকে ও নৌকায় তুলে নিয়ে দুর্বৃত্তরা নারীদের গণধর্ষণ করছে। মাগুরাতে যুবলীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তার পেটের সন্তানটি গুলিবিদ্ধ হয়।
এখন তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মিডিয়ায় যে খবর আসছে তাতে দেখা যায় এ সকল পৈচাশিক ঘটনার সাথে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লোক দেখানোর মতো ভূমিকা রাখছে মাত্র। ফলে এ সব ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খার এতোই অবনতি ঘটেছে যে, কেউ কোথাও নিরাপদ নয়, এমনকি নিজের বাড়িতেও।
তাই আমি সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়, লালিত-পালিত এসব দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি এবং জনগণকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সব পৈচাশিক ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৫ আগস্ট বুধবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫

সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহমদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশিনার, কাপাসগোল সিটি কর্পেোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবী জনাব আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহম্মদ ০১ আগষ্ট ২০১৫ ইং তারিখ সকাল ১১:৩০ মিনিটে বার্ধক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন,(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন) মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ৪ ছেলে, নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।স্থানীয় মহল্লা কমিটির সাবেক সভাপতি মরহুম মোজাফ্ফর আহম্মদ কাপাসগোল সিটি কর্পেোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজসেবা মূলক প্রথিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত ছিলেন।
০১ আগষ্ট ২০১৫ তারিখ বাদ এশা-রাত ৯টায় মরহুমের নামাজে জানাজা কাপাসগোল সিটি কর্পেোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তার নামাজে জানাজায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মনজুর আলম, বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী জনাব ডাঃ শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী জনাব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব গোলাম হায়দার মিন্টুসহ বিভিন্ন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্তিত ছিলেন। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ স্থানীয় কাপাসগোলা কবস্থানে দাফন করা হয়। 

সিসিকে হঠাতে মিশরে বামপন্থী-মুসলিম ব্রাদারহুড ঐক্য ফ্রন্ট

মিডিয়া ওয়াচ ডেস্কঃ মিশরের সামরিক স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যৌথ 'বিপ্লবী ফ্রন্ট' গঠনে দেশটির বিপ্লবী সমাজতান্ত্রীদের এক আহবানে সাড়া দিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড। সামনে রাবআ' দিবসের আগে এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছে ব্রাদারহুড। ২০১৩ সালে রাবআ' স্কয়ার এবং আল নাহদা স্কয়ারে কয়েকশ ইসলামপন্থী এবং অন্যান্য বিপ্লবী সংগঠনের নেতাকর্মীকে হত্যা করে সদ্য ক্ষমতা দখল করা সিসির নেতৃত্বে সামরিক সরকার।
ব্রাদারহুড নেতা গামাল হেশমাত এক বিবৃতিতে বলেন, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং সামরিক ক্যুর বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের সংগঠিত করি। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৪ আগস্টের আগেই একটি বিপ্লবী ফ্রন্ট গঠনের আশা করছি। এতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে বিরাজ করা ক্ষোভের সুযোগ নেয়া যাবে এবং দ্রুত বিপ্লবীদের মধ্য রাজনৈতিক ভুল বোজাবুজির অবসান ঘটবে।
রাশদ নিউজ নেটওয়ার্কের সাথে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে হেশমাত আরো বলেন, বামপন্থী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ব্রাদারহুডের প্রতি এই ঐক্যের আহবান অন্য বিপ্লবীদের সাথে ব্রাদারহুডের একটা দীর্ঘ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ফলাফল।
তিনি বলেন, আমরা এখন জানুয়ারি বিপ্লবের সুফল পূনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করছি অন্য দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবব্ধ হওয়ার জন্য তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। কারণ ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ঐক্যবব্ধ হয়েছিলাম তা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই এখন।
বামপন্থী বিপ্লবী আন্দোলনের নেতারা "সন্ত্রাসের ব্যাপারে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য আরও একবার" শিরোনামে এক বিবৃতিতে অন্য বিপ্লবীদের সাথে ব্রাদারহুডকে নিয়ে ঐক্যের প্রস্তাব করেন।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী