বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

বন্যার্তদের পাশে ইসলামী ব্যাংক

 আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক; ৩ আগষ্ট’২০১৬:  লাদেশ    দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ৫ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
সম্প্রতি দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ ও জীবন ধারণের নানা উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
ব্যাংকের সিএসআর কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার ২ আগস্ট ২০১৬ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর চরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে গাইবান্ধার কামারজানি, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার উদ্দামারী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ দিন ১৫০০ এর অধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, পরিচালক প্রফেসর (ডা.) কাজী শহিদুল আলম, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান মো. মোশাররফ হোসাইন, রংপুরজোন প্রধান মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 
ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার ত্রাণ বিতরণের সময় বলেন, “ইসলামী ব্যাংক আর্ত মানবতার সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। দেশের মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ ও টেকসই উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এ ব্যাংক সব সময় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”
প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন, “বন্যা দূর্গতদের সাহায্যার্থে সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে বেসরকারী পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংক দেশব্যাপী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”
তিনি বলেন, “এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে সার্মথ্যবানরা বানভাসী মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন।”
প্রফেসর (ডা.) কাজী শহিদুল আলম বলেন, “ইসলামী ব্যাংক সকল মানুষের ব্যাংক। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ ব্যাংক সবার পাশে আছে এবং থাকবে।”
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, “ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। তিনি বলেন, এ ব্যাংক দেশের প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণের জন্য সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।”
উৎসঃ   নতুন বার্তা


খালেদার জাতীয় ঐক্যে জামায়াত ‘ট্রামকার্ড’

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জামায়াতকে ‘ট্রামকার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করছে কতিপয় রাজনৈতিক দল। এর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। ফলে এই ঐক্য তৎপরতা খুব সহজেই আলোর মুখ দেখছে না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, শর্ত দিয়ে কোনো ঐক্য হয় না। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনী জোট, কোনো আদর্শিক জোট নয়। তাছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এখানে জামায়াতকে জড়ানো হচ্ছে নির্বাচনের মাঠে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে, আর কিছু নয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতকে জোটে রাখলে লাভ ক্ষতির হিসেব মিলাচ্ছে বিএনপি। অপরদিকে জামায়াতকে ২০ দলীয় জোট থেকে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্য গঠনে বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এ ব্যাপারে তেমন সাড়া মিলছে না। বিশেষ করে বামদলগুলো ‘কঠিন’ শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সবাই জামায়াতকে ব্যবহার করছে ট্রামকার্ড হিসেবে।
এখানে জামায়াত কোনো সমস্যা নয়, কারণ এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গে জামায়াত যুক্ত না - এমনটাও দাবি করছে বিএনপি।
দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল(অব.) রুহুল আলম চৌধুরী মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘শর্ত দিয়ে কোনো ঐক্য হয় না। জামায়াত জোটে থাকবে কিনা এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতকে জোটে রাখা যাবে না এই নিয়েও মতামত আছে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোটে। জামায়াতকে জড়িয়ে ইস্যু বানালে চলবে না। জঙ্গি সংকট মোকাবিলায় ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলেই আর কোনো ঝামেলা থাকছে না। তা না করে জামায়াতকে ট্রামকার্ড বানানো হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য।’
জাতীয় ঐক্য গঠনে শর্তহীনভাবে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার কথাও স্বীকার করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির জাতীয় ঐক্যের সাড়ার প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নেওয়ার পক্ষে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এজন্য একটু সময় লাগছে। আমরা কোনো লীগ বলছি না। এখানে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো থাকতে পারে। কেননা শুধু পুলিশ বা প্রশাসন দিয়ে উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ যদি না সাড়া দেয় আমরা অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো সাড়া দিচ্ছে। তারা নিজেরাও জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।’
গত ২০ জুলাই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মঞ্জুরুল আহসান খান ও হায়দার আকবর খান রনোর সঙ্গে বৈঠক করেন। আগের দিন ডা. জাফরুল্লাহ বৈঠক করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে। ১৯ জুলাই বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এদিকে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি. চৌধুরী দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে। ৯ আগস্ট তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনও এ মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিমিয় অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এদেশের ঐক্য হবে মানুষের ঐক্য। যারা মানুষের নেতা তারাই দেশকে চালাবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৪ তারিখ মাগরিবের নামাজের পর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে নয়, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবো। তিনি প্রকৃত বিরোধী দলের নেত্রী। তার সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে যাবো।’
জামায়াতকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না জানিয়ে তিনি বিএনপিকে পরামর্শ দেন, ‘নজর বদলান, চলা বদলান, ভুলত্রুটি স্বীকার করুন, আর হাওয়া ভবন হবে না; এর গ্যারান্টি দিন। এই অপমানজনক বেঁচে থাকার চেয়ে মাথা উচু করে বেঁচে থাকবো।’
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদ একই অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দল বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দল ওই দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। বর্তমানে দেশের বিরোধী দল বিএনপি। তিনি (খালেদা জিয়া) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ২০ দলের মধ্যে অন্ততপক্ষে এই দলটিকে (জামায়াত) আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, ওই দলটির লায়াবিলিটি (একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার দায়) বহন করতে চান না তিনি। সুতরাং এই দিক থেকে দেখলে প্রতিবন্ধকতা নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদিক থেকে বলব, জামায়াতে বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের অধিকাংশের জন্ম একাত্তর সালের পরে। এরাও দেশ ও জাতির অংশ। সুতরাং তাদেরও একটা চিন্তা-ভাবনা থাকা দরকার। জাতীয় ঐক্য যদি তাদের কারণে ব্যর্থ হয়, সেটা তারাই বা চাইবেন কেন? সুতরাং এটা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটির কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।’
২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী ছিল, এখনো আছে।
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক কবি আল মুজাহিদী বলেন, একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলে তারা এখনো স্বীকার করেনি। তারাই জঙ্গিবাদের উস্কানি দিচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে, ঠিক যেভাবে জামায়াতের কার্ডও ব্যবহার করছে তারা। তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিলেই তো হয়ে যায়, ঝামেলা চুকে যায়।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গত ৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
বিএনপির নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালের ৬ ডিসেম্বর চারদলীয় জোট গঠন করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়।

উৎসঃ   দ্য রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

How zakat can eliminate poverty - Ali Reza


Amader Bangladesh Online News Desk; May 27, 2016: Around 1400 years ago, a system of social security was introduced which turned semi-barbaric, desert faring Arabian tribes into one of the most prosperous and advanced nations in the world. This social security system involves transfer of surplus wealth from the rich to the poor to alleviate poverty in a sustainable way so that all people can enjoy their legitimate rights to live a life of safety and dignity. This groundbreaking economic system is called zakat.
Mentioned in the Holy Quran 88 times, #zakat is considered as one of the fundamental pillars of Islam and an indispensable instrument of the Islamic society. All the scholars of Islam unanimously agreed that, to be a Muslim, it is mandatory to pay zakat if s/he is eligible. This eligibility criterion for paying and receiving zakat is also clearly defined in the Quran. However, due to lack of awareness, the concept of zakat is often misunderstood in our society. Every year we can see how some zakat payers distribute food and clothes of inferior quality to the destitute people who often fall victim to stampede to collect those alms in the name of zakat.
Contrary to this malpractice, the wealth of zakat should be distributed in such a way so that the receivers can bring significant changes to their lives and livelihoods. There is no way of considering zakat as a tax, alms or donation; rather, in the Quran, zakat has been stated as the indisputable right of the poor, needy people. 
The Centre for Zakat Management (CZM) has come up with the goal to establish zakat as a tool to alleviate poverty and discrimination in a sustainable way by proper utilisation of zakat funds. Established in 2008, CZM has launched various initiatives to distribute the zakat funds to all segments of poverty-ridden and destitute people in our society. 
CZM's flagship project called Jeebika is a livelihood and human development programme through which 5404 families of more than 20 districts have become self sufficient by getting themselves involved in different income generating activities with the help of zakat fund. In principle, CZM officials transfer the zakat fund to the zakat recipients in several instalments while providing them training on different need-based professions, enable them to access the market and provide support to manage the collective zakat fund. In the year 2015 alone, there has been an increase of 59 percent in the amount of fund transfer since a total of 197, 00,000 BDT has been transferred to 1470 families in 10 different districts.
Besides, CZM has been running two specific initiatives to encourage entrepreneurship among the youth and women through skill development and self-employment. These initiatives are called Naipunno Bikasha and Mudareeb, thanks to which, last year, more than 1000 youth were trained on different professions and 770 of them were employed in different organisations. 
With two of its programmes, called Genius and Gulbagicha, this welfare organisation has taken the initiative to utilise zakat fund to spread quality education among poor, underprivileged children. Every year, it provides scholarship to thousands of students all over the country and imparts capacity development training to them. It also has another dedicated pre-primary education programme for the poor children living in urban slums and remote rural areas. 
With its own pre-primary learning centres, CZM has been providing innovative learning equipments and nutritious food for the children. With another initiative called Ferdousi, CZM has started to utilise zakat fund for the improvement of maternal and neonatal health. It provides free medicine and treatment by specialised doctors to pregnant and lactating mothers and organises awareness-raising sessions in the least privileged communities.
Besides these, CZM regularly organises motivational and awareness-raising programmes to make people aware of the true concept of zakat. Every year it organises 'Annual Zakat Fair' where different organisations participate, scholars and leaders take part in the discussions and beneficiaries of zakat share their inspiring stories. For its contribution to ensure sustainable development, CZM was awarded the Islamic Economy Award 2015 in the Waqf & Endowment category by the Global Islamic Economic Summit, Dubai, United Arab Emirates. 
According to a research done by Dr. Kabir Hassan, Prof. University of New Orleans, it has been calculated that each year BDT 25,000 crore of zakat can be obtained from Bangladesh and if distributed properly each extremely poor family can get two million taka from this huge fund. Zakat, in fact, is an opportunity, a possibility for Bangladesh to fight poverty in a sustainable way. If this system of social security can be utilised effectively like the initiatives taken by CZM, it will be very possible for Bangladesh to break free from the vicious cycle of poverty and be a self sufficient, prosperous nation. 

The writer is General Manager, Center for Zakat Management (CZM).

নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিমুখ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে সরকার -ছাত্রশিবির


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  ইসলামবিরোধী শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এই ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন এবং বিতর্কিত পাঠ্যসূচি বাতিল করে ইসলামী মূল্যবোধর ভিত্তিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, “বিতর্কিত ইসলামবিরোধী শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অবৈধ সরকারের ইসলামবিরোধী অবস্থানকে চূড়ান্তভাবে স্পষ্ট করেছে। তাদের এই অবস্থান ইসলামপ্রিয় ছাত্র-জনতা ও বিবেকবান মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ২০১০ সালে বিতর্কিত ইসলামবিমুখ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়। শুরু থেকেই ধর্মহীন এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানায় দেশের আলেমসমাজ, বুদ্ধিজীবীবৃন্দ, রাজনৈতিক দলসমূহ, পেশাজীবী ও ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতা। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাবনাও সরকারের কাছে পেশ করা হয়। কিন্তু এসব দাবি ও সংশোধনীর প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে সরকার বিশেষ এজেন্ডা বাস্তাবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কিত শিক্ষানীতির আদলে ‘শিক্ষা আইন-২০১৬’ এর খসড়া প্রকাশ করে এবং তড়িঘড়ি করে তা পাশ করানোর উদ্যোগ নেয় যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিকৃত ও ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপ ইসলাম ও দেশে বিরাজমান ইসলামী মুল্যবোধের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের আরবি বানানে ৫৮টি ভুল এবং বিকৃত উপস্থাপনের প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীর বইয়ে পরিকল্পিতভাবে ইসলামবিদ্বেষী গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ সংযোজন করা হয়েছে। একইভাবে সূক্ষ কৌশলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কোমলমতি মুসলমান শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজাতীয় সংস্কৃতি, ভিন্নধর্মীয় আচার-আচরণ ও কুসংস্কার-শিক্ষা সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। অপরদিকে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে শুধু সংকোচনই করা হয়নি, বরং ইসলাম ধর্ম বিষয়ক এবং মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি উদ্দীপনামূলক গল্প-রচনা ও কবিতাসমূহ বাদ দিয়ে তদস্থলে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের প্রতি উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন রচনা, গল্প ও কবিতা একতরফাভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশের শিক্ষানীতিতে সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যা কোন মুসলমানের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজ করছে। অবাধে প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেশনজট, শিক্ষাঙ্গনে সরকারদলীয় ক্যাডারদের সন্ত্রাস ও সীমাহীন দুর্নীতিসহ বিভিন্ন সমস্যায় শিক্ষাব্যবস্থা জর্জরিত। কিন্তু সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নীলনকশা নিয়ে এগিয়ে চলেছে যা জাতি বিনাশী সুগভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ইসলামপ্রিয় ছাত্র-জনতা গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে নাস্তিক্যবাদী এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। সরকারের উচিৎ গুটিকয়েক নাস্তিক্যবাদীদের বলয় থেকে বের হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আবেগ-অনুভূতি, মতামত ও ন্যায়সঙ্গত দাবীকে মূল্যায়ন করা। ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন-২০১৬ এর খসড়া বাতিল করতে হবে। সেইসাথে আমরা ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

পৌরসভার নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদ জামায়াতেরঃ সরকার পরিকল্পিতভাবে স্বৈরশাসন কায়েমের ষড়যন্ত্র করছে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক;  ২৭ মে, ২০১৬ঃ ২৫ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৬ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভার নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জালভোট প্রদান ও ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়েছে। 

৯টি পৌরসভার সব কয়টিতেই ব্যালট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সরকার এবং সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করলো যে তাদের অধীনে এ দেশে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে বোমাবাজী, ভোট কেন্দ্র দখল করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যালট ডাকাতি করা হয়েছে। সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের তান্ডবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের ভোটটি পর্যন্ত দিতে পারেননি। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টসহ অন্যান্যদের পোলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে জোর পূর্বক সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা বের করে দিয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভায় সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার কারণে বিরোধী দলের প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন। 
নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে ফেনীর ছাগল নাইয়া, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় সবচেয়ে বাজে নির্বাচন হয়েছে। এ পৌরসভাগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরেছে। নির্বাচন কমিশনের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, গত ২৫ মে’র অনুষ্ঠিত কোন পৌরসভায়ই’ নির্বাচন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এর দ্বারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে। 
সরকার নিজের দলের প্রার্থীদের ছলে বলে কলে কৌশলে বিজয়ী করার জন্য গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করে দিয়ে দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। 
২৫ মে যে সব পৌরসভায় ব্যাপক সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, কারচুপিসহ নানা অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পূনরায় নির্বাচন দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলের চাঞ্চল্যকর তথ্য -- রিজার্ভ চুরির মূল হোতারা থাকেন ভারতে!


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে মূল হোতারা রয়েছে ভারতে। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করে। আর এটা একজনের নয়, কয়েকজনের কাজ। বৃটেনের ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এসব হ্যাকারের হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। এর মধ্য থেকে তারা মাত্র ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিতে সমর্থ হয়। এই অর্থ লোপাটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মেইল অনলাইনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রাজকোষ কেলেঙ্কারি কোনো একজন ‘হোতা’র কাজ নয়। এই কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত এবং তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছে। 
সূত্রটি বলেছে, ‘এতে সংশ্লিষ্টরা ভারতে রয়েছে এবং তারা সম্ভবত প্রক্সি (ইন্টারনেটে নিজের প্রকৃত অবস্থান গোপন করে ভার্চুয়াল অবস্থান দেখানোর পদ্ধতি) ব্যবহার করছে। সে কারণেই তাদের ধরা যাচ্ছে না। তারা ভারতের কেন্দ্রেই অবস্থান করছে এবং কয়েকজন রয়েছে বাইরে। কারিগরি দিক থেকে তারা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের সন্ধান পাওয়াই সম্ভব নয়।’ ওই সূত্রটি আরও বলেছে, ‘এসব ব্যক্তি খুব সহজেই নিজেদের লুকাতে পারে এবং ২/৩ মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে যেতে পারে।’ সূত্রটি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ লোপাট হওয়া অর্থের কিছুটা উদ্ধার করতে পারলেও পুরোটা পারেনি এবং এর হোতাদের সারাজীবন নিশ্চিন্তে পার করে দেয়ার জন্য দেড় কোটি ডলারই যথেষ্ট।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে ফিলিপাইনে শনাক্ত করা গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ অবশ্য ফিলিপাইনের ব্যাংকে পৌঁছানো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা রেখেছেন। এদিকে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া আবাদ জানিয়েছেন, কিম ওংয়ের কাছে থাকা দেড় কোটি ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে। আরও দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার রয়েছে ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলেয়ারে এবং এক কোটি ৭০ লাখ ডলার রয়েছে রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছে। আরও এক কোটি ২০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ক্যাসিনো সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন জুলিয়া আবাদ। 
তবে ম্যানিলার একজন বেসরকারি গোয়েন্দা অগাস্টাস এসমেরাল্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, এই ঘটনাকে ব্যাংকের হ্যাকিং হিসেবে দেখা উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা হ্যাকারদের নিযুক্ত করে অর্থ চুরির ঘটনার মতো। এর পিছনে রয়েছেন এমন ব্যক্তি যিনি ব্যাংক, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সিস্টেম ও ক্যাসিনো সম্পর্কে জানেন। আমার কাছে এটাকে মনে হয়েছে আধুনিক সময়ের ওশান’স ১১। একে বলা যেতে পারে ম্যানিলা ১২।’ উল্লেখ্য, ওশান’স ১১ একটি হলিউড সিনেমা যাতে লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনো থেকে অর্থ চুরি করে ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।উৎসঃ মানব জমিন

আমরা নিরাশ নই, হতাশ নই, মহান আল্লাহই যথেষ্ট...


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  হত্যা করা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র আমীর বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের একজন সিপাহসালার মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে। 
শহীদ হিসেবে মহান আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেন শহীদ মতিউর রহমান নিজামী। মহান আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা তিনি যেন তাঁর এই প্রিয় বান্দার শাহাদাত কবুল করে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় তাকে সমাসিন করেন। আল্লাহুম্মা আমীন। শহীদ মতিউর রহমান নিজামী’র রেখে যাওয়া দ্বীন বিজয়ের কাজ অব্যাহত থাকবে, বাংলাদেশের জমিন শহীদ নিজামী’র রক্তে উর্বর হবেই, ইন'শা'আল্লাহ। 
এই বন্ধুর পথে পথিকদের এই শপথে বলিয়ান হতে হয়, যে পথে ধরে রবের দরবারে চলে গেলেন প্রিয় নেতা-"ইন্নাস সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।"
অর্থঃ"নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সকল কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য" (সুরা আল আনাআম-১৬২)
ওদের মূল টার্গেট আমাদের হত্যা করে আমাদের পথচলাকে রুদ্ধ করে দেয়া। কিন্তু ওরা জানেনা আমাদের পথচলা চিরকল্যাণের তরে, সত্যের তরে, হেরায় আলোয় উদ্ভাসিত। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সত্যকে যুগে যুগে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল মিথ্যাশ্রয়ীরা, কিন্তু তাদের স্বপ্ন কখনো পুরণ হয়নি, অনন্তকাল ধরে তা পুরণ হবেও না, ইনশা‘আল্লাহ। 
এই পথের যাত্রীদের অপরাধ শুধু আল্লাহর পথে চলা। আল্লাহর পথে চলা যদি পৃথিবীর স্বার্থান্বেষী মহলের দৃষ্টিতে অপরাধ হয়, আল্লাহর পথের পথিকরা সেই অপবাদ-নিন্দা সয়ে নিতে কুন্ঠিত নয়, যদি যায় জীবন, ঝুলতে হয় ফাঁসির রশিতে তবেও তারা পিছপা নয়। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- "ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে, তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল” (সুরা আল-বুরুজঃ ৮)।
একজন নিরাপরাধ মানুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করার চাইতে জঘন্য অপরাধ আর কি হতে পারে? কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হলুদ রঙ মেখে উল্লাসে মেতে উঠেছে। তাদের বিবেক আর তথাকথিত বিবেকবানদের বিবেকের কাছে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, যে মানুষগুলোকে (জামায়াত নেতৃবৃন্ধকে) রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যার আয়োজন করা হচ্ছে, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে তাদের বিরুদ্ধে কেন কারও কোন অভিযোগ-অনুযোগ ছিলনা? হঠাৎ করে কেন মিথ্যা, বানোয়াট, বায়বীয় ও ধারণাবশত অভিযোগে এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করােএত জরুরী হয়ে পড়েছে? নিশ্চয় এর উত্তর দিতে কথিত বিবেকবান ব্যক্তিরা আমতা আমতা করলেও সময়ের ব্যবধানে ইতিহাস হয়ত তাদের ক্ষমা করবেনা। আমরা এতে বিক্ষুদ্ধ, এমন রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ নিশ্চয় সীমালঙ্ঘনকারীদের দুনিয়া ও আখেরাতে অপদস্থ করবেন, আর মজলুম ব্যক্তিদের সম্মানিত করবেন, ইনশাল্লাহ। 
এই জঘন্য ঘটনাকে দিব্যি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ছাড়া আর কি বলা চলে? মিথ্যা সাক্ষ্য ও খোঁড়া যুক্তি দিয়ে যারা একটি আদর্শ মুছে দিতে চায় তারা সত্যিই চরম নির্বোধ। যারা "সঙ্গে থাকলে সঙ্গি, দূরে থাকলে জঙ্গি" এমন উপাধি দিতে সামন্যতম কার্পণ্যবোধ করেনা তারা যে কতবড় নির্লজ্জ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাদের মুখোশ জাতির সামনে উম্মোচিত, দেশের সচেতন মানুষ সুযোগ পেলেই এর জবাব দেবে। এদের প্রতি মানুষের কোন শ্রদ্ধা, ভালবাসা আস্থা নেই। এরা ক্ষমতার মসনদে গায়ের জোরে, অন্যায়ভাবে অস্ত্রবাজী করে ও প্রশাসনকে অপব্যবহার করে টিকে আছে। এদের অবস্থা ঘুনেধরা তকতকে ফ্রেমের মত, যে কোন সময় তারা ক্ষমতার মসনদ থেকে খসে পড়তে পারে, যা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জোর করে অনেক কিছু করা যায়, কিন্তু বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না, যা বারবার প্রমানিত। 
আল্লাহ দেখতে চান তাঁর বান্দারা তাঁর পথে অবিচল কিনা, আমরা তাঁর কাজে অবিরত কিনা! শাহাদাৎ আল্লাহর বান্দার জন্য এক অপার নেয়ামত। আল্লাহ যদি তাঁর পথের পথিককে পছন্দ করে শাহাদাতের মর্যাদা প্রদান করতে চান তার চেয়ে সৌভাগ্যশীল কে হতে পারে? যুগে যুগে নানা মিথ্যা অভিযোগে অসংখ্য নবী-রাসুল ও তাদের অনুসারীদের হত্যা করা হয়েছে, আজকের ঘটনা এ আর নতুন কি? 
ইসলামের অনুসারীদের শাহাদাতের রক্ত যে ময়দানে ঝরেছে সেই ময়দান ইসলামের জন্য উর্বর হয়, ইসলামপন্থীরা নতুন শক্তিতে বলিয়ান হয়, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। সত্যের বিজয় ঘনীভূত হয়। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে যারা দেশ থেকে ইসলামী তাহজীব-তামুদ্দুন ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায় তাদের স্বপ্ন কখনো পূরণ হবেনা, ইনশা’আল্লাহ। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারেনা। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের প্রিয় নেতা ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালারকে কবুল করুন। এদেশে দ্বীনের পথে আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের চুড়ান্ত ত্যাগ-কুরবানীকে কবুল করুন। আমীন।
আমাদেরকে মহান আল্লাহ ধৈর্য্য, ত্যাগ ও কুরবানীর মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীনের পথে আগুয়ান হওয়ার তাওফিক দিন। হাসবুনাল্লাহি নে'য়মাল ওয়াকিল, নে'য়মাল মাওলা ওয়া নেয়মান নাছির। 
আমরা নিরাশ নই, হতাশ নই, মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

-আবদুল জব্বার
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার আবাহন, একজন কথিত মডেল সাবিরা ও নষ্ট সমাজের রূঢ় রূপ... -ব্লগার পুস্পিতা

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সাবিরা হোসেন, কথিত মডেল! মডেল-অভিনেতা-অভিনেত্রী মানেই তথাকথিত আধুনিকদের স্বপ্নের রাজা-রাণী! সাজ-গোজ, পোষাক-আসাকের সাথে সাথে তাদের মতো হাটা-চলা-বলার চেষ্ঠাও অনেকে করে থাকেন। তারাই তাদের জীবনের আদর্শ!

সেই ধরনের কথিত সুন্দরী, আকর্ষনীয় সাবিরাকে করতে হলো আত্মহত্যা! খবরটি নিয়ে তেমন উৎসাহী ছিলাম না। কিন্তু তার আত্মহত্যার কারণ ও নোটের কথা গুলো যখন প্রকাশ হলো তখন আগ্রহ বেড়ে গেলো। মনে হলো তার কথাগুলোতে শিক্ষনীয় আছে কোটি তরুণীর।
কি সেই শিক্ষাটি? একজন মেয়ে যখন তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ- নিজের আব্রু কোন প্রকার বৈধ সামাজিক বন্ধন ছাড়া পুরুষের কাছে হারিয়ে ফেলে তখন সেই পুরুষের কাছে ওই তরুণী ব্যবহৃত টিস্যু পেপার যে হয়ে যায়, তা সাবিরা এই সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। নষ্ট সংস্কৃতির খপ্পড়ে পড়ে সাবিরা সবকিছুই বিয়ে ছাড়াই দিয়ে বসেছে কথিত বন্ধু বা প্রেমিকের কাছে। খুবই নাকি বিশ্বাস করেছিল! সে জন্যেই নাকি স্ত্রীর মতো সবকিছুই দিয়ে দিয়েছিল। সবকিছু, সবকিছুই! 
বিনিময়ে কি পাওয়া গেলো? কেন, টিস্যু পেপারের মতো ছুড়ে ফেলে দেয়া। বুঝিনা একটি মেয়ে কি করে এভাবে কথিত পুরুষকে বিশ্বাস করে! ভালোবাসার নামে যখন পুরুষ, মেয়েটিকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করতে চায় তখনই তো মেয়েটির সতর্ক হয়ে যাওয়ার কথা। তখনই তো মেয়েটির বুঝা উচিত ভালোবাসা নয়, এখানে ভিন্ন কিছু ওই নষ্ট পুরুষের চাওয়া। আধুনিক মেয়েগুলো নিজেদের এত জ্ঞানী মনে করে, এত প্রগতিশীল দাবী করে, এই সামান্য বিষয়টিও বুঝতে পারে না?! আশ্চর্য!
মেয়ে, নিজেকে এত আধুনিক ও প্রগতিশীল দাবী করো, কিন্তু নিজের শরীর, আব্রু, ইজ্জত আরেকটি ছেলের কাছে বিলিয়ে দেয়া যে ঠিক না, তা বুঝতে পারো না? আশেপাশে এত অধঃপতন দেখেও তোমাদের শিক্ষা হয় না? কিভাবে একজন ছেলের কাছে বিয়ের আগেই সবকিছু সপে দাও? দেয়ার সময় মাথায় আসে না যে প্রতারিত হতে পারো? আসবে কিভাবে? তথাকথিত আধুনিক সংস্কৃতি তো তোমাদের এটিই শিক্ষা দিচ্ছে। অবাধে মেলামেশা করো, উদ্দাম হও, লাম্পট্যপনাতে জড়িয়ে পড়ো। তোমার কি এই বোধটুকুও আসে না যে, তোমার শ্রেষ্ঠ সম্পদই যখন বিয়ের আগে কোন প্রকার সামাজিক স্বীকৃতি ও চুক্তি ছাড়াই একজন ছেলে নিয়ে নিয়েছে তখন পরবর্তীতে সেই ছেলের তোমাকে বিয়ে করার প্রয়োজন কি? 
তাই দেখা যায় সাবিরার মতো সুন্দরী, আধুনিকাও সেই পুরুষের কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় যখন বিয়ে বহির্ভূত ভাবে সবকিছু দিয়ে দেয় ওই পুরুষকে। সবকিছু হারানোর পর সাবিরা বুঝতে পারে সে এখন তুচ্ছ! তুচ্ছ না হয়েও বা কি হবে?! কারণ সাবিরাদের মতোই অপসংস্কৃতির ছোঁয়ায় বিবেকশুণ্য হাজারও তরুণী আশেপাশে আছে যাদের ওইসব নষ্টপুরুষরা যখন তখন খুঁজে পায় ও ব্যবহার করতে পারে। যেখানে সাবিরার মতো বা তার চেয়ে আরও কথিত উন্নত-আধুনিক-সুন্দরী কাউকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন কেন ওই নষ্ট পুরুষরা ব্যবহৃত টিস্যু পেপার সাবিরার জন্য বসে থাকবে?
কিন্তু সাবিরা কি তুচ্ছ হয়ে যাওয়ার মতো ছিল? কি ছিল না তার? রূপ? সৌন্দর্য? মাধুর্য? কমনীয়তা? স্বাভাবিক ভাবে একজন পুরুষ যা চায় তার কোনটি তার কমতি ছিল? তারপরও কিভাবে সে ফেলনা হয়ে গেলো? বিশাল প্রশ্ন। আত্মহত্যার নোট পড়ে ও ভিডিও দেখে এটি বুঝা যায় আসলে সবকিছু থাকার পরও সে হারিয়ে ফেলেছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদটি। যা কথিত আধুনিক মেয়েরা সাবিরার মতোই ফাঁদে পড়ে হারাচ্ছে অহরহ। কেন জানি না, ওই সব আধুনিক ও কথিত শিক্ষিতরা কেন সবকিছু হারানোর আগে বিষয়টি বুঝতে পারে না! 
সাবিরার আত্মহত্যার নোট পড়ে আবারও হেফাজতে ইসলাম বা এদেশের ইসলামী দলগুলোর সেই দাবীর কথা মনে ভেসে উঠে। তারা দাবী করেছিল, "ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করা উচিত।" সাবিরাদের পরিণতি দেখে কি এই দাবীর যৌক্তিকতা ফুটে উঠে না? হেফাজত বা ইসলামী দলের এই দাবী আসলে শুধু তাদের বা ইসলামের নয় বরং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। যাদের বিবেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে, যারা চায় নারীদের পরিণতি সাবিরাদের মতো হোক, তারা ছাড়া আর কেউ কি এই দাবীর বিরোধীতা করতে পারে? 
বর্তমান বাংলাদেশের তথাকথিত নারীবাদী-প্রগতিশীল-মুক্তমণাদের মূল শত্রু ইসলাম। নারী অধিকারের নামে তারা সবসময় বিরোধীতা করতে থাকে ইসলামের। তাদের সেই ইসলাম বিরোধীতার মূল কারণ তারা আসলে এদেশের তরুণ-তরুণীদের সাবিরা-নির্ঝরদের মতো তৈরি করতে চায় যাদের নীতি, নৈতিকতা, মানবিকতা, চরিত্র, ইসলাম কোন কিছুই থাকবে না, তারা হবে শুধু অশ্লীলতা, যত্রতত্র অবাধ যৌনতা ও যৌন লালসা সর্বস্ব মাতাল কিছু জীব। ওসব জীব দেশ, জাতি, সমাজ, ভবিষ্যৎ কোন কিছুই নিয়ে ভাববে না, ভাববে শুধু কিভাবে অবাধে লালসা মিটানো যায়। 
কিন্তু এক্ষেত্রে একমাত্র ও শুধুমাত্র বাঁধা ইসলাম। তাই বর্তমান বাংলাদেশে নৈতিকতা ধ্বংসের সকল পথ খুলে দেয়া হয়েছে। নৈতিক চরিত্র তৈরির সকল পথ আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় বতর্মান বাংলাদেশে ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি একপ্রকার নিষিদ্ধ এবং ইসলামী ব্যাক্তিত্বরা কারাগারে বা ফাঁসির কাষ্ঠে। একদিকে অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ছড়ানোর কারিগর ভারতীয় অশ্লীল অপসংস্কৃতির নায়ক-নায়িকাদের জন্য বাংলাদেশকে অবারিত করে দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে ইসলামকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে।
কারণ ভারত, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ট্রানজিট-কোরিডোর সম্পন্ন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী যে রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে তাতে সুস্থ-সচেতন-দেশপ্রেমিক-নৈতিকচরিত্র সম্পন্ন মানুষের কোন প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু বোধশক্তিহীন, অধঃপতিত চরিত্রের জীব সাবিরা-নির্ঝরদের। তাই এই সাবিরা শেষ সাবিরা নয়, আরো অনেক অনেক সাবিরা বর্তমান সাবিরার পরিণতির দিকে ধেয়ে চলেছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নষ্ট সংস্কৃতির কবলে পড়ে...

সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬

যে হাদিসটি সবসময় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণা জোগায় -


 আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক, ১৬ মে,২০১৬: রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর সাহাবাদের বলেন- “শেষ বিচারের দিনে এমন কিছু মানুষকে আনা হবে, যাদের বুক ও ডান হাতে জ্বলজ্বল করতে থাকবে নূর, তাদেরকে বলা হবে, আজকে তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের কল্যাণ হোক, তোমরা চিরদিনের জন্য প্রবেশ করো জান্নাতে।’ তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার এই ভালবাসা দেখে নবী-রাসূলগণ পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হবেন।”

একথা শুনে সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, এরা কারা?"

উত্তরে মুহাম্মাদ (সা) বললেন, “এরা আমাদের (নবীদের) মধ্য হতেও না, এরা তোমাদের (সাহাবীদের) মধ্য হতেও না। তোমরা আমার সঙ্গী, কিন্তু তারা আমার বন্ধু। তারা তোমাদের অনেক পরে আসবে। তারা কোরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাবে এবং সুন্নাহকে মৃত অবস্থায় পাবে। তারা শক্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে এবং পুনরুজ্জীবিত করবে। তারা এগুলো অধ্যয়ন করবে এবং মানুষকে শেখাবে। কিন্তু একাজ করতে গিয়ে তারা তোমাদের চেয়েও ভয়াবহ ও কঠিন নির্যাতনের শিকার হবে। প্রকৃতপক্ষে, তাদের একজনের ঈমান হবে তোমাদের চল্লিশজনের ঈমানের সমান। তাদের একজন শহীদ হবে, তোমাদের চল্লিশজন শহীদের সমান। কেননা তোমরা সত্যের পথে একজন সাহায্যকারী (আল্লাহর রাসূল) পেয়েছ, কিন্তু তারা কোন সাহায্যকারী পাবেনা।
 প্রত্যেক জায়গায় তারা অত্যাচারী শাসক দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে এবং তাদের অবস্থান হবে বায়তুল মাকদিস এর চারপাশে। তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নুসরাহ (সাহায্য) আসবে এবং তারা এই বিজয়ের গৌরবকে প্রত্যক্ষ করবে।”
 তারপর তিনি (রাসূল সা) দু’আ করলেন-
“হে আল্লাহ, তুমি তাদেরকে নুসরাহ দান কর। জান্নাতে তুমি তাদেরকে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ কর।”

[ মুসনাদে ইমাম আহমাদ ]

নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ..'


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক: আমার পরম শ্রদ্ধেয় আব্বা, আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাথে সাক্ষাত শেষে ফিরছি। আমাদের অন্যান্য বারের সাক্ষাতের চেয়ে এবারের সাক্ষাতটি ছিল সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে দেখি আব্বা আগে থেকেই সেখানে আমাদের অপেক্ষায় আছেন। সালাম বিনিময় শেষে আব্বার মায়াবী চেহারাখানি নয়ন জুড়ে দেখতে গিয়েই মনের গহীণে তীব্র এক ব্যাথা অনুভব করলাম। আব্বার চোখ বসে গেছে, মুখ মলিন। তার সাথে শেষবার সাক্ষাত করেছিলাম আজ থেকে ১৮/২০ দিন আগে। মনে হল সেই সাক্ষাতে আব্বাকে যেমন দেখেছিলাম তার থেকে বেশ খানিকটা শুকিয়ে গেছেন তিনি। 

আব্বাকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম আমি। আব্বার জেল জীবনের ৬ বছর চলছে। এই ৬ বছরের মধ্যে এমন তো কখনো দেখিনি !! খুব অবাক হয়েই আব্বাকে প্রশ্ন করলাম, আব্বা! আপনাকে এমন লাগছে কেন! রাতে ঘুম হচ্ছেনা!?
আমরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্বা একেবারেই শিশুর মতো কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, "নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ...। সেই রাত (অন্যায়ভাবে দেয়া ফাঁসি কার্যকরের রাত) থেকে আমার ঘুম হচ্ছেনা। ঠিক মতো খেতেও পারছিনা। বারবারই নিজামী ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। তার নূরানী চেহারা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ওরা কীভাবে পারলো তার মতো বিশ্ববরেণ্য একজন আলেমকে এতো নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে .. !"
আব্বার চোখের পানি আমাদের হৃদয়-মন-শরীরকে ছুঁয়ে গেল। আমরা কেউই আর ধরে রাখতে পারলাম না নিজেদেরকে। আব্বার সাথে চোখের পানিতে বুক ভাসালাম আমরাও।
আব্বা আরো বললেন, "ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে জেল-জুলুম-ফাঁসি দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। কারন, যেদিন ইসলামী আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছে, সেদিন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জেল-জুলুম-ফাঁসির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। জেল-জুলুম-ফাঁসি ইসলামী আন্দোলনের জন্য নতুন কিছু নয়। মিষ্টি খাওয়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে, টুপি পড়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে কিন্তু হেলমেট পড়া সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এপাশে ফাঁসির মঞ্চ আর এপাশে আল্লাহর জান্নাত।"
সাক্ষাতের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এলে বের হয়ে আসার মূহুর্তে আব্বা আমাদের সকলকে রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার কথা বললেন, শোক কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে নেয়ার কথা বললেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের মাল ও জান বিলিয়ে দেবার মানসিকতা নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বললেন।
সাক্ষাত শেষে চোখ মুছতে মুছতে আল্লাহর এক মজলুম গোলামকে তাঁরই কুদরতী হাতে সোপর্দ করে ফিরে চললাম বাড়ির পথে।

মাসুদ সাঈদী

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী