বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  শীর্ষ নিউজ ডটকম, আরটিএনএন, আমার দেশ, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণসহ প্রায় ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল ৫ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার জন্য সরকার বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনার দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো সরকার ভিন্নমত ও সমালোচনাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না। অথচ এ সব অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করছে। 
জনগণের নিকট সরকারের দায়বদ্ধতা থাকলে সরকার এভাবে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করতে পারত না। একটি গণতান্ত্রিক দেশে গায়ের জোরে গণমাধ্যমের উপর দলন-পীড়ন শুধু দুঃখজনকই নয় বরং এর সাথে জড়িত সাংবাদিকদেরকেও মানবেতর জীবন-যাপনের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। অবশ্য আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণমাধ্যমের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালায়। এই সরকার ইতোমধ্যেই চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশন ও আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে বাকী সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে শত শত সাংবাদিকরদেরকে পথে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। আসলে আওয়ামী লীগ সরকার এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশে একদলীয় শাসনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদেরকে বাধা মনে করা হচ্ছে তাদেরকেই সরিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের উপর জুলুম-অত্যাচার চালানো হচ্ছে। 
আমি সরকারের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।” 

কুমিল্লার ডাঃ মোজাম্মেল হক এর নামাজে জানাজা সম্পন্ন


 বাংলাদেশ বার্তা ৬ আগষ্ট ২০১৬ ইং তারিখ শনিবার: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক গতকাল রাত ৯টায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন েইণ্ণা ইলাইহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজউন)।

আজ  মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক এর প্রথম নামাজে জানাজায় ইমামতি করে বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আমীর জনাব কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
হাজার হাজার মানুষ মরহুমের জানাজায় অংশগ্রহণ করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

জামায়াত বিহীন জাতীয় ঐক্য রাজনীতি ও ভোটের অঙ্কে মাইনাস নাকি প্লাস ? অলিউল্লাহ নোমান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  জাতীয় ঐক্যের ডাকে সারা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকী। 
তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর রাজাকার অভিযেগে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ খুন করেও বীরত্ব অব্যাহত রেখেছেন। 
জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান ‘দিগন্ত টেলিভিশনে’ একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করেছেন। এর জন্য সম্মানীও নিয়েছেন। 
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সাজানো নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন-‘ছাগলের অধীনে নির্বাচন করা যায়। শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না।’ 
বছর না ঘুরতেই নারায়নগঞ্জে একটি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিরঙ্কুশ চেষ্টা করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। টাঙ্গাইলের উপ-নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে আইনি জঠিলতায় এখনো বিষয়টি বিচারাধীন। নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
যিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে মায়না নিতে পারেন, তাঁর মুখে জামায়াত বিরোধীতা কতটা মানায় সেটা আমার আজকের বিষয় নয়।
২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী থাকছে. কি থাকছে না এই নিয়ে বিতর্ক চলছে বেশ কিছুদিন থেকে।
জামায়াতে ইসলামী থাকলে বা বের হয়ে গেলে কি হবে এনিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় চা-এর টেবিলে। 
১৯৯৮ সালের শেষ দিকে চার দলীয় জোট গঠনের পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ডা ছিল জোট ভাঙ্গা। 
এতে আওয়ামী লীগ অনেকটা সফলও হয়েছিল। এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি প্রথমে চার দলীয় জোটের বড় শরীক ছিল।
২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের চালে জোট থেকে বের হয়ে যান এরশাদ। জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি অংশ চার দলীয় জোটের শরীক হিসাবে থেকে যায় তখন। নির্বাচনের আগে চরমোহনাই পীরের সাথে জোট বাঁধেন এরশাদ। তাতে এরশাদ বিহীন চার দলীয় জোটে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু নানা চড়াই উৎরাইয়ে জামায়াতে ইসলামী জোটে অটুট থাকে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের আগে একটি পত্রিকা জোট ভাঙ্গার লক্ষ্যে নানা উস্কানি দিয়েছে। 
তারপরও জোট অটুট থাকে। নির্বাচনে বিপুল বিজয় লাভ করে এ জোট। তখন আওয়ামী সমর্থক মিডিয়া গুলো বিএনপি-জামায়াত জোট হিসাবে আখ্যায়িত করা শুরু করে।
চার দলীয় জোট শব্দটি তারা এড়িয়ে চলত। আওয়ামী সমর্থক ইন্ডিয়াপন্থি মিডিয়া গুলো চার দলীয় জোটের অপর দুই শরীক ইসলামী ঐক্যজোট এবং জাতীয় পার্টির একাংশকে কোন হিসাবেই নিত না।
তবে জোটের ভেতরে স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ হিসাবে সুক্ষ্ম প্রচারণা চালায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলো। 
তাদের টার্গেট আওয়ামী-বাম জোটের বিরপীতে জনগনের বিশাল সমর্থন থাকা চার দলীয় জোটকে অস্থির রাখা। জোটের ভেতরে দ্বন্দ্ব জিয়ে রাখা। মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
অব্যাহত এ প্রচারণা হালে কিছুটা হলেও সফল হতে চলেছে। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মত ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শের ধারক বিএনপি নেতারাও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে শুরু করেছেন।
ইন্ডিয়াপন্থি আওয়ামী মিডিয়া গুলোর ডামাঢোলে নিজেদের বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ প্রমানের জন্য মরিয়া একটি টেবলয়েট পত্রিকা। 
বেশ কিছুদিন থেকে পত্রিকাটি ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমস্যা জামায়াতে ইসলামী এটা চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 
এই টেবলয়েটটির বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন এবং রাজনৈতিক রিপোর্টে আওয়ামী এজেন্ডার পক্ষে নানা যুক্তি এবং উপমা খাড়া করার চেষ্টা করে। 
একতরফা মূল্যায়ন করতে দেখা যায় জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় সমস্যা কি সেই বিষয়ে।
কিন্তু জামায়াতে ইসলামী জোটে থাকায় বিএনপি’র সুবিধা কি বা অতীতে এতে কি সুবিধা পেয়েছে জোট সেটা তাদের বিশ্লেষণ এবং যুক্তিতে দেখা যায় না।
জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল এটা চিরন্তন সত্য। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার জন্য তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। এটাও সত্য। 
এর জন্য তাদের রাজনৈতিক খেসারত দিতে হচ্ছে এটাও আমরা সবাই জানি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার খেসারত জামায়াতে ইসলামীকে আরো ককদনি দিতে হবে সেটা সময় বলে দেবে। 
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার কারনে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই প্রশ্নটিও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। 
সকলের জানা বিষয় গুলোর পুরাতন কাসুন্দি আমি টানতে চাই না।দীর্ঘদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী পরস্পরে একসাথে ঘর সংসার করছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শব্দ প্রয়োগ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনো হতো তারা বরং বিএনপি’রই অনুসারী। 
তেমনি ১৯৯১ সালেও বিএনপি’র প্রতি নি:শর্ত সমর্থন জনিয়ে জামায়াতে ইসলামী দল হিসাবে গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছিল। 
সে বছর ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি সংখ্যা গরীষ্ঠ আসন পেয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনের মত একক আসন ছিল না। 
তখন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেছিলেন ‘আমি কাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো? 
সরকার গঠনের মত একক সংখ্যা গরীষ্ঠতা না থাকায় কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছি না।
’অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার আবাস ছড়িয়ে পড়ে। সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ী ১৮জন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন। 
তারা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন বিএনপি’র প্রতি তাদের নি:শর্ত সমর্থন রয়েছে। এতে অনিশ্চয়তা কেটে যায়। 
সরকার গঠনের মত সংসদ সদস্যের সমর্থন লাভে বেগম খালেদা জিয়ার সমস্যা কেটে যায়। 
পরের দিনই শাহাবুদ্দিন আহমদ সংখ্যা গরীষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার গঠনে আমন্ত্রন জানান। পরবৰ্তীতে যদিও জামায়ত বিএনপি’র মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। 
যারা সরকার গঠনে বিএনপিকে নি:শর্ত সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল তাদের দূরে ঠেলে দেয়া হয়। 
এখানেও জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভোটব্যাংক বিভক্তির ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল কি না সেটা ইতিহাস অনুসন্ধানীরা খোজে বের কবেন।
জাতায়াতে ইসলামীও কম খেলেনি তখন। আওয়ামী লীগের এজেন্ডায় পা রাখে দলটি। 
কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে গড়ে উঠা আন্দোলনে রীতিমত একঘরে হয়ে যায় বিএনপি। 
ক্ষমতা হারাতে হয় জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক এ দলটিকে। যদিও ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে একক ভাবে ১১৬আসন পায় বিএনপি। তারপরও পরাজিত হয়।
২৮ থেকে ২০০ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীরা পরাজিত হয় ৩০টির বেশি আসনে।
১৯৯১ সালে ১৮টি আসনে বিজয়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯৯৬ সালে ঠেকে ৩ আসনে। নিজেদের ভেতর দূরত্বের খেসারত বিএনপি-জামায়াত দুই দলকেই দিতে হয়েছিল তখন। 
সেটা অনুভব করেই হয়ত: ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে জোট গঠনের উদ্যোগ সফল হয়। এই জোটগত নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। 
তখন থেকেই আওয়ামী মিডিয়া, ইন্ডিয়াপন্থি বুদ্ধিজীবী সকলের টার্গেট জোট থেকে জামায়াতকে সরানো।
ভোট ব্যাংক তছনছ করে দেয়া। সরকারে থেকেও বিএনপি’র প্রতি শেখ হাসিনার দাবী একটাই। তাদের জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরিয়ে দেয়া।
জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাকে জামায়াত ইস্যুটিকে আবার সামনে নিয়ে আসা হয়। 
শুরু হয়, দলছুট কতিপয় নেতার নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্য গড়ার উদ্যোগ। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবেই ‘বঙ্গবীর’ আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি।
তাঁর সাথে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা দেখা করেন এবং আমন্ত্রণ জানান। এ আমন্ত্রণে সারা দিয়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা খুবই স্পর্শকাতর। আওয়ামী সমর্থক বিডি নিউজ২৪ কোড-আনকোড করে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য গুলো প্রকাশ করেছে।
এতে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন-আমি জামায়াতরে সঙ্গে রাজনীতি করব না। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নয়িে আমি মরতে চাই।
তিনি আরো যা বলেছেন সে গুলো এখানে উল্লেখ নাই বা করলাম। যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি নিয়ে মরতে চান তাঁর কাছে কি গণতন্ত্রিক আচরণ আশা করা যায়! 
বিএনপি যদি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের দরকার হবে না। 
এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিজেদের রাজনীতি করবে, নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ যারা ধারণ করে তাদের রাজনীতি করবে!!
জাতীয় ঐক্যের সারিতে আরো যাদের নাম শোনা যায় তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুত ড. কামাল হোসেন (তিনিও ‘বঙ্গবন্ধুর’ আদর্শ সদা ধারণ করে আছেন), বহুবিভক্ত জাসদের একাংশ আ স ম আবদুর রব-এর নেতৃত্বে জাসদ, 
বিএনপি থেকে বের করে দেয়া বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত বিকল্পধারা।কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। 
২০১৩ সালে আবদুল কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব মিলে একটি ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। 
তাদের এ ঐক্য ৩ মাসও স্থায়ী হয়নি। আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং ড.কামাল হোসেন হলেন শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির ধারক-বাহক।
আ স ম আবদুর রব ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহন করেছিলেন। ৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন তিনি। 
বি চৌধুরীর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি বিএনপি দিয়ে শুরু। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।যেই চার জনকে সামনে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে তাদের প্রভাব কতটা রয়েছে। 
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও প্রত্যেকের দলের মনোনীত প্রার্থী দূরের কথা। তাদের নিজেদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 
জাতীয় সংসদে তারা কেউ একটি আসন পাওয়ার যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন।
খোঁজ নিয়ে যতটা জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ফায়দা হলে দলটি দূরে থাকতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশে তাদের একজন প্রথম সারির নেতার সাথে টেলিফোনে আলাপকালে জানান, আমরা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছি-জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে জাতীয় এক্য গঠনের মাধ্যমে যদি জাতি উপকৃত হয়, বিএনপি’র দলীয় ফায়দা হয় তাতে দূরে থাকতে আপত্তি নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে দলছুট, নানা কারনে বিতর্কিত, সারা দেশে শুধু জনবিচ্ছিন্ন নন, নিজের আসনেও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ব্যক্তিদের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনে কি জাতীয় ফায়দা হাসিল হবে!!!
প্রশ্ন আসতে পারে ২০ দলীয় জোটে তো নাম সর্বস্ব অখ্যাত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত দলও রয়েছে।জুডিশিয়াল মার্ডারসহ নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে সরকার।
মেরুদন্ড না ভাঙ্গলেও বিএনপি কোমর সোজা করে দাড়াতে পারছে না। এই দুই দলকে যারা ভোট দেয় সুযোগ পেলে তারা কম যাবে না। এটা জানেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
১৯৯৬ সালে একক ভাবে নির্বাচন করে বিএনপি ১১৬ আসন পেয়েছিল। তখন এতট মাজা ভাঙ্গা ছিল না। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর থেকে অব্যাহত ঝড় সামাল দিতে গিয়ে শক্তির অনেক ক্ষয় হয়েছে। যোগ হয়েছে অনেক দুর্নাম। 
যে সমস্যাটা ১৯৯৬ সালে বিএনপি’র ছিল না। তখন সবেমাত্র ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া দল। শক্ত সামর্থ্য নাদোস নুদোস বলা চলে। সে তুলনায় সাড়ে ৭ বছরের বেশি নিপীড়নে শক্তি ক্ষয় হয়ে এখন কঙ্কালসার। 
জামায়াতে ইসলামী আরো বেশি রাজনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি দাড়িয়ে অস্থিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। তারপও দুই দলের ভোটাররা মানষিকভাবে পরিবর্তন নিজেদের পরিবর্তন করেছে এটা বলার সময় আসেনি।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনি

জামায়াত নেতা প্রফেসর ড: আবুল হাশেম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে


৪ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার, গত ৩ আগস্ট রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৪ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার হীন উদ্দ্যেশ্যেই রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবুল হাশেম এবং খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেনকে ও গাবতলী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। 
জামায়াতকে নেতৃত্বশূণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই প্রফেসর ড: আবুল হাশেম এবং অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও মাওলানা মাকসুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রফেসর ড: আবুল হাশেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানীত সাবেক শিক্ষক। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানী করা হচ্ছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি সরকারের এ ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। 
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর প্রফেসর ড: আবুল হাশেমসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

উত্তাল কাশ্মীর ......

এক কাশ্মিরী যুবতীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিরপত্তা বাহিনী
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত মাস জুড়ে সাম্প্রতিক বছরে সবচেয়ে বড় ভারত বিরোধী আন্দোলন , হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে।
ভারত শাসনের অবসানের দাবিতে ধর্মঘট ঢাকায় টানা ২৬ দিন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ রয়েছে।
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের জনপ্রিয় স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির (২২) ভারতীয় সেনাদের অস্ত্রে মৃত্যুর পর থেকে কাশ্মীরিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে । নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেক স্বাধীনতাকামী। আহত শতাধিক।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মঙ্গলবার রাতে সরকারি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে দুই বেসামরিক নাগরিক। রাতে নিহত হওয়া ব্যক্তি শ্রীনগরের একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে নিহত দুই ব্যক্তির একজনের জানাজার নামাজ পড়া শেষে কয়েক হাজার নামাজির ওপর কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ভারতীয় বাহিনী।
সংগ্রহ ঃ- Shadhin Mahfoj Mohon

আমার দেশ ও শীর্ষ নিউজসহ ৩৫ নিউজ পোর্টাল বন্ধ ঘোষণা


দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন ভার্সন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল শীর্ষ নিউজসহ ৩৫টি নিউজ সাইট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সরকারের পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) অপারেটরদের সাইটগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
দেশের একটি শীর্ষ আইআইজি প্রতিষ্ঠানের প্রধান যুগান্তরকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিটিআরসির চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইটগুলো ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
'জনস্বার্থ' ও 'জননিরাপত্তা'জনিত কারণে সাইটগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে বিটিআরসির আরেকজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার পত্রিকাটিও বন্ধ রয়েছে। তবে পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন প্রচারিত হত।
আর শীর্ষ নিউজ নামের অনলাইনটি এর আগেও একবার বন্ধ করেছিল সরকার।
অনলাইন নিউজ মিডিয়া নিয়ে একটি নীতিমালা বর্তমানে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির  প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু এখানে প্রযুক্তিই প্রধান, তাই আপাতত বিটিআরসি-ই অনলাইন কনটেন্ট রেগুলেট করছে।
সৌজন্যেঃ দৈনিক যুগান্তর

বন্যায় দুর্গতদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান শিবিরের


রফিক আহমেদ : দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের, সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান।
রোববার এক বিবৃতিতে শিবির সভাপতি এ আহবান জানান।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা তদারকির জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছে। দিন দিন অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় তেমন কোন কার্যকরি উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। বন্যাদুর্গত জনগণের বিশাল একটি অংশ আজ মানবেতর জীবন যাপন করলেও সরকারের তরফ থেকে কোন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না।
নেতাকর্মীদের প্রতি বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলকে আহব্বায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। এছাড়া ত্রাণ তৎপরতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সেচ্ছাসেবক টিম ও দুর্গত এলাকায় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক, ০৪ আগষ্ট, ২০১৬ইং বৃহস্পতিবারঃ বিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির কাষ্ঠে দন্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর পিএস মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী শিবলী সাংবাদিকদের জানান।
তিনি জানান, আদালতে হাজিরার সময় হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও তার মা ফারহাত কাদের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদেরকে ডিবি পরিচয় দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
উৎসঃ আলোতিক নিউজ

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

সরকার দলীয়রা মিটিং করলে সেটা বৈধ আর আমরা করলে হয় গোপন বৈঠক -অধ্যাপক মুজিব


আমাদের বাংলাদেশ অনলা্মইন নিউজ ডেস্কঃ অগণতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করে জনাব মুজিব বলেন, সরকার কোন নিয়মনীতি মেনে চলছে না। সরকার দলীয়রা মিছিল মিটিং করলে বৈধ আর আমরা বৈঠক করলে সেটা হয় গোপন বৈঠক। বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার এখন র‌্যাব-পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। যেখানে ধর্মের বিশ্বাস দুর্বল সেখানে জবাবদিহীতা থাকে না, আর জবাবদিহীতা না থাকলে অন্যায়, অবিচার, দুুর্নীতি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। 
অধ্যাপক মুজিব আরো বলেন, সরকার ইসলামী আন্দোলন ধ্বংস করতে চায়। এই জন্য নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ও অযৌক্তিক মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি অবিলম্বে শ্রমিক কল্যাণের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফেডারেশনের নেতাকর্মী ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

কাশ্মীরে ওআইসি’র তদন্তদল পাঠাতে পাকিস্তানের দাবি, তুরস্কের সমর্থন..


ইসলামাবাদ: কাশ্মীর উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তদন্ত করতে ওআইসি’র একটি তদন্তদল পাঠানোর পাকিস্তানের দাবির প্রতি তুরস্কের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দেশটির পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।
মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে তুরস্ক সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। এই ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি তুরস্কের সমর্থন সবসময় ছিল এবং এখনো সে সমর্থন রয়েছে।’
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনে তদন্ত টিম পাঠাতে ইসলামাবাদের দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘তুরস্ক আশা করে, আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান হবে এবং কাশ্মীরে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে এবং একটি পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর জন্য আমি ওআইসি মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।’
কাভুসোগলু বলেন, ‘তুরস্ক ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একজন সক্রিয় সদস্য। আশা করছি, ওআইসি কাশ্মীরে বিভিন্ন গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আশা করছি আসছে সেপ্টেম্বরে ওআইসির পরবর্তী সভায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইতোমধ্যে কাশ্মীর ইস্যুটি পাকিস্তান জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি তদন্ত টিম পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।
গত ৮ জুলাই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোমবার পর্যন্ত ৬০ জন কাশ্মীরি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য পাকিস্তান টুডে।
পাকিস্তানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সফরে পাকিস্তান এলেন কাভুসোগলু। প্রথম দেশ হিসেবে তুরস্কের ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সমালোচনা করায় ইসলামাবাদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তুরস্ক ইতোমধ্যে অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিতর্কিত তুর্কি ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকরা এই অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করছে দেশটির সরকার। 
তিনি বলেন, ‘গুলেনের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন প্রতিটি দেশের স্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মতো বিষয়ে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক রয়েছে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির। অতীতে আমরা গুলেনকে সমর্থন করেছিলাম কিন্তু অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের এমন গোপন এজেন্ডা ছিল তা, আমাদের জানা ছিল না।’
কাভুসোগলু বলেন, ‘পাকিস্তান এবং তুরস্ক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে সমর্থন করছে।’
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের গতিশীল নেতৃত্বে তুরস্কে গণতন্ত্র, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পাকিস্তানের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের অঙ্গীকার করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ।
অব্যাহত সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে বলে জানান সারতাজ আজিজ। এছাড়াও দুই পক্ষই আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন এবং এ বিষয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন বলে মত দেন।
দ্য ইকনোমিকস টাইমস অবলম্বনে ভাষান্তর মো. রাহল আমীন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী