বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অধ্যাপক ড. শাব্বির আহমদএর নামাজে জানাজা ও দাফর সম্পন্ন

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ঃ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফেকাল্টির সাবেক ডীন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক ১৪ নং রোড নিবাসী অধ্যাপক ড. শাব্বির আহমদ এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফেকাল্টির সাবেক ডীন, ইসলামিক হিস্ট্রি ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর বোর্ড অবট্রাস্টিজের সদস্য  ড. শাব্বির আহমদ (৭৮) আজ ০৫ সেপ্টেম্বর’১৬ তারিখ  বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আনুমানিক রাত ২টায় চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 
নামাজে জানাজা ও দাফন
মরহুম অধ্যাপক ড. শাব্বির আহমদ এর নামাজে জানাজা ০৫ সেপ্টেম্বর’১৬ তারিখ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক জামে মসজিদে বাদ জহুর অনুষ্টিত হয়। 
মরহুমের নামাজে জানাজায়  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি  বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাইনুদ্দিন খান, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর বোর্ড অবট্রাস্টিজের সদস্য জনাব নুরুল্লাহ,  সাতকানিয়া লোহাগাড়া নির্বাচনী এলাকার সাংসদ অধ্যাপক আবু রেজা নদভী, বায়তুশরফ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান, লোহাগাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আবছার আন্তর্জাতিক  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ও  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জামেয়া দারুল মা;য়ারিফ আল ইসলামিয়া চট্টগ্রাম এর প্রিন্সিপাল মুহতারাম সুলতান যওক নদভী। জানাজা শেষে মরহমের লাশ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

‘কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মীর কাসেমকে হত্যা করা হয়েছে’ - রফিকুল ইসলাম খান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  কর্মদক্ষতা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মীর কাসেমকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

তিনি আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো মহানগর জামায়াতের প্রচার বিভাগের সদস্য এম আলাউদ্দিন আরমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।

মীর কাসেম আলীকে শহীদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ মীর কাসেম আলী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের উজ্জল নক্ষত্র। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন তিনি। সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রুপকার ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবকও ছিলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সরকার তার কর্ম দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ইর্শান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রসিকিউশন প্রমান করতে পারেনি। বরং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তাতে কোথাও তার নামও ছিলনা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রীদের অবৈধ হস্তক্ষেপে মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপন করে তার আইজীবী ও ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে অপহরণ করার মাধ্যমে তাকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শহীদদের রক্তের পথ ধরেই দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

তিনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

শহীদ মীর কাসেম আলীর হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামী সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে-------রাজশাহী জামায়াত


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ০৪ আগষ্ট’১৬ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার শহীদ মীর কাশেম আলীকে অত্যান্ত পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার উদ্দ্যেেেশ মিথ্যা,বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেফতার করে মিথ্যা সাক্ষীর ভিত্তিতে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করেছে। যা ইতিহাসে বিরল। সরকারের এ নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই নিশংস হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামী সরকারকে একদিন জনতার আদালতে অবস্যই জবাবদিহি করতে হবে। গতকাল (০৪-০৯-১৬) রবিবার জামায়াত নেতা শহীদ মীর কাশেম আলীর শাহাদাত উত্তর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত ২ দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১ম দিন রাজশাহী মহানগরী শাখার উদ্যোগে শহীদ মীর কাশেম আলীর মাগফিরাত কামনা ও শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য দোয়া মাহফিলে এ সব কথা বলেন। নগর ভারপ্রাপ্ত আমির প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আলোচনা রাখেন শূরা ও মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য বৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বহী পরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবীদ,সমাজসেবক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মীর কাশেম আলীকে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় দন্ডিত করে সরকার ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তিনি সম্পর্ন নির্দোষ, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ দেশবাসী বিশ্বাস করেনা। সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত নেতাদের হত্যা করছে। তাঁরা বলেন শহীদ করে, গুম করে শাহ জালাল, শাহ মখদুম এর জমিন বাংলাদেশ থেকে ইসলাম নিমূল করা যাবেনা বরং শহীদের রক্তের ফোটায় ফোটায় ইসলামী আন্দোলন এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

নেতৃবৃন্দ শহীদ মীর কাশেম আলীকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যার প্রতিবাদে আগামী কাল(৫-০৯-১৬) সোমবার সকাল ৬টা হতে দুপুর ২ পর্যন্ত শান্তিপূর্ন হরতাল সফল করতে রাজশাহীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া মহানগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, শাহমখদুম,মতিহার , পবা থানা ও কাটাখালি পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভাসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে শহীদ মীর কাশেম আলীর মাগফিরাত ও শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য দোয়া মাহফিল এবং গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেখা হবে জান্নাতের বাগানে

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ   মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন- ‘তাদের সাথে ফের দেখা হবে জান্নাতের বাগানে।’
মীর কাসেমের সাথে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ শেষে তার স্ত্রী খোন্দকার আয়েশা খাতুন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মীর কাসেম আলী শহীদ হিসেবে পরিবারের ৭০জনকে জান্নাতের সুপারিশ করতে পারবেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন মীর কাসেম বলেছেন, ‘যদি আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দেন তাহলে তো তিনি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, এবং নাতিসহ আরো অনেকজনকে সুপারিশ করতে পারবেন।’
খন্দোকার আয়েশা জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে গর্বিত এবং সৌভাগ্যবান।
তিনি জানান, এসময় মীর কাসেম তার সংগঠন এবং ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন- ‘কষ্ট পাওয়া কিংবা হতাশ হওয়ার কিছু নেই- যে ময়দানে শহীদের রক্ত ঝরে সে ময়দান ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়।’
এসময় তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারা সবাই যেন সঠিকভাবে দ্বীনের কাজ করেন। ইনশাআল্লাহ তাদের সাথেও তার জান্নাতের বাগানে দেখা হবে।’
এছাড়া শনিবার ফেসবুকে দেয়া এক স্টাটাসে মীর কাসেমের স্ত্রী বলেছেন, সব ইসলামী আন্দোলনের সংগ্রামীদের প্রতি মীর কাসেম আলী জানিয়েছেন- ‘ফাঁসি দেখে ভয় পেওনা। হতাশ হয়োনা। শহীদি রক্তে স্নাত-ভূমি ইসলামের জন্য সতেজ ও আরো উর্বর হয়। তাতে কলেমার পতাকা শক্ত হাতে দৃঢ়ভাবে পুতে দিতে পারবে অক্লেশেই ইনশাআল্লাহ।’

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর

সামছুল আরেফীন, তোফাজ্জল হোসেন কামাল, ইব্রাহিম খলিল, রেজাউল বারী বাবুল : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। পরে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামানও কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে দশটার পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ২০ মিনিট তাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কাশিমপুর কারাগার-২ সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরের পর কারাগারের ভেতরে মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়ায় চার জল্লাদ অংশ নেন। তারা হলেন শাহজাহান, দ্বীন ইসলাম, রিপন ও শাহীন। রাতে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ফাঁসি কার্যকর করে তারা। 
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকরের পর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করা হয়। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ-র‌্যাবের কড়া নিরাপত্তায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে মীর কাসেম আলীর লাশ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অসিয়ত অনুযায়ী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
মানিকগঞ্জের স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, চালাগ্রামের মীরবাড়ি জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কবর খননে সহায়তা করেন মীর কাসেম আলী প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার এতিমরা। তদারক করেন স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে স্থানীয় প্রশাসন গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে। এর মধ্যেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ৫টি গাড়িতে করে এলাকায় যান। তাদেরকে দেড় মাইল দূরে কলতাবাজার বেইলী ব্রীজের কাছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পথরোধ করে। পরে তারা ৩টি গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে আইন শৃংখলা বাহিনী। কাউকেই মীর কাসেম আলীর বাড়ির দিকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর ৪০ নম্বর ফাঁসির সেলে ছিলেন মীর কাসেম আলী। গতকাল তাঁর ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে বিশেষ বাহক মারফতে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পরই ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্বাহী আদেশ দুপুরে কারাগারে প্রবেশের পরপরই দৃশ্যপট দ্রুত বদলাতে শুরু করে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাতেই ফাঁসি কার্যকরের লক্ষণ স্পষ্ট হতে থাকে। ওই সময় কারাগার এলাকার নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়। পুলিশের পাশাপাশি কারাগারের ফটকে সারিবেঁধে অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক র‌্যাব সদস্য। কারাগারের আরপি চেকপোস্ট সংলগ্ন দোকানপাট দুপুরেই বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল সকাল থেকে কাশিমপুর কারাগারের চারপাশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পোশাকে ও সাদাপোশাকে কাজ করেছেন পুলিশ, র‌্যাবসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যার পরই তাদের টহল জোরদার করা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে।
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কারাগারে ঢোকে ফায়ার সার্ভিসের একটা গাড়ি। পুলিশের একটি জলকামান আগের রাতেই কারাগারের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) কর্নেল ইকবাল হাসানকে দুপুর দেড়টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর বিকাল ৪টায় কারাগারে যান ডিআইজি (প্রিজন্স) গোলাম হায়দার। বিকাল চারটা ১৫ মিনিটে মীর কাসেমের সঙ্গে শেষ দেখা করতে কাশিমপুর কারাগারে যান তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময়েই কারাগারে মৃত্যুদ- কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  আসাদুজ্জামান খাঁন মিয়া।
মীর কাসেমের স্বজনরা বেরিয়ে যাওয়ার পর ভেতরে যান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম আলাম, সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ঢোকেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে।
এর আগেই নিয়ম অনুযায়ী মীর কাসেম আলীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে ফাঁসির সেল থেকে নেয়া হয় ফাঁসির মঞ্চে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, “যারা ফাঁসি দিচ্ছে তারা জয়ী হবে না। এই মৃত্যু শহীদের সামিল।” তিনি বলেন, ‘তিনি (মীর কাসেম আলী) আমাকে বলেছেন, তাঁকে ফাঁসির কথা জানানো হয়েছে। মানিকগঞ্জে তাঁকে দাফন করা হবে।’ মীর কাসেম আলীর শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে আয়েশা খাতুন বলেন, শেষ মুহূর্তেও ছেলের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন তিনি।
মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ-ের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন গত মঙ্গলবার খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওইদিন সকালে এই রায় ঘোষণার পর বিকেলেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। 
প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানালো কারা কর্তৃপক্ষ : মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে গত শুক্রবার জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। বিকাল সোয়া ৪টায় সাংবাদিকদের কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, আমরা দুপুরের পর আবারও তার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিলাম। উনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। 
রিভিউ খারিজের পর পরিবারের সাক্ষাৎ : ৩১ আগষ্ট রিভিউ খারিজের রায় পর বিকেলে পরিবারের সদস্যরা মীর কাসেম আলীর সাথে কারাগারে সাক্ষাত করেন। মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা ও তাহমিনা আক্তার এবং ভাতিজা হাছান জামাল খান এবং ছেলে ও মেয়ের ঘরের ৩জন নাতি নাতনি বুধবার বেলা ২টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছান। স্বাক্ষাৎ শেষে বিকাল পৌনে চারটায় দিকে কারাগার ত্যাগ করেন তারা।
এ সময় মীর কাসেম আলী তার ছেলেকে কাছে পেতে চান এবং ছেলের সাথে কথা বলেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত জানানো হবে বলে জানান তার স্ত্রী খোন্দকার আয়েশা খাতুন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে তাদের ছেলেকে ফেরত চেয়েছেন।
কারাগারে রায়ের কপি : ৩১ আগষ্ট রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হওয়ার পর অনুলিপি সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায়। ৭ টা ১০ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা রায়ের অনুলিপি নিয়ে কারাগারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সেখান থেকে রায়ের অনুলিপি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, পরদিন সকালে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার রায় পড়ে শোনানো হয়। 
মামলার ধারাক্রম : মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) গত মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ডিসমিসড’ এক শব্দে আদালত রিভিউ আবেদনটি খারিজ করেন। পরে বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটের দিকে রিভিউ খারিজের রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
গত ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য প্রস্তুতিতে দু’ মাস সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত এক মাস শুনানি পিছিয়ে দেন। ওইদিন মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ শুনানির দুই মাসের সময় আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত এক মাসের সময় মঞ্জুর করেন। ওই দিনই ২৪ আগস্ট রিভিউ শুনানির পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় ২৩ আগস্ট শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। পরদিন বুধবার শুনানি শুরু হয়ে আবার ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৩১ আগষ্ট রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। রিভিউ দাখিলের একদিন পরেই সরকার পক্ষ দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে। পরে ২১ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রিভিউ শুনানির জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আপিল বিভাগের ২৫ জুলাইর কার্যতালিকায় আসে। 
এর আগে গত ৬ জুন মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 
গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিল আংশিক মঞ্জুর করে তিনটি অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি এবং সাতটি অভিযোগে সাজা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ। এরমধ্যে ১১ নম্বর অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। 
২০১৪ সালের ২ নবেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে দু’ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করেন। ওইদিন মোট ৩৫১ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে ১১ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় পড়ে শোনায় ট্রাইব্যুনাল। 
একই বছরের ৩০ নবেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায় থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেম আলী। তার পক্ষে আইনজীবীরা আপিলটি দাখিল করেন। আপিলটি পাঁচটি ভলিউমে ১৭৫০ পৃষ্ঠার। ১৫০ পৃষ্ঠার আপিলে ১৮১টি যুক্তিতে খালাস চাওয়া হয়েছিল। 
২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করে বিকেল সোয়া চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মীর কাসেম আলী ‌মৃত্যুকে ভয় পান না : আয়েশা খাতুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খোন্দকার আয়েশা খাতুন বলেছেন, তার স্বামী মৃত্যুকে ভয় পান না। তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছেন। তিনি শহীদ হবেন। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখোমুখি করেছে তারা পরাজিত হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় মীর কাসেম আলীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেষ মুহূর্তে ছেলের সাক্ষাৎ না পাওয়ায় মনের কষ্টে আছেন মীর কাসেম আলী।
এর আগে বেলা তিনটা ৪৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর কারাগার কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন। মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন, মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাছনিম, ছেলের স্ত্রী সাইয়েদা তাহমিদ আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, বড় ভাই ডা: মীর নাছিম আলী, ভাইয়ের ছেলে মীর ওসমান বিন নাছিম, ভাইয়ের মেয়ে রায়হানা নাছিমসহ ৪৫ জন সদস্য তার সাথে দেখা করতে কারাগারে যান।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই ছেলের স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ ২৫ জনকে মীর কাসেম আলীর সাথে দেখা করার অনুমতি দেয় বলে জানা গেছে।
বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে তাদের সাক্ষাতের জন্য ভেতরে নেয়া হয়। সাক্ষাৎ শেষে ছয়টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর বাসা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে তারা যাত্রা করেন তারা। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় সাক্ষাতের সময় দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের

বিডিমর্নিং ডেস্ক-প্রকাশঃ আগস্ট ২৬, ২০১৬ঃ জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে মীর কাসেম আলীর পুনর্বিচারের আহ্বানও জানানো হয়েছে সরকারকে।
মীর কাশেম আলীর রিভিউ শুনানির আগে, তার ছেলে ও ডিফেন্স টিমের সদস্য ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নির্যাতন, বিনা বিচারে আটক ও জোরপূর্বক অপরহণ বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা গত মঙ্গলবার জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহব্বান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ২০১৪ সালে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেন। আইসিটির দেয়া রায় গত ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখেন।
এতে বলা হয়, মৃত্যুদন্ড প্রয়োগে সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মান বজায় না রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যা অনুসরণ করতে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ন্যায্য বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় সাজা কার্যকর বিবেচনা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাজা হিসেবে মৃত্যুদন্ড অমানবিক। তাই তার প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ। মীর কাসেম আলীর ছেলে ও তার ডিফেন্স টিমের আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেমকে গত ৯ আগস্ট তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দল।
তাদের মতে, মীর কাসেম আলীর রিভিউ শুনানির দুই সপ্তাহ আগে কী সন্দেহ বা অভিযোগে, কাদের দ্বারা এবং কোথায় তার ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মীর আহমেদ বিন কাশেমের অবস্থান সম্পর্কে অবিলম্বে জানানোর জন্য জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিদাতা বিশেষজ্ঞরা হলেন, মিস এজেন্স চেল্লেমার্ড, মিস. মোনিকা পিন্টু, মি. জোয়ান ই. মিনডেজ, মি. সিটোনডিজেই রোল্যান্ড আডিজুভি।

সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ গত ২৯ আগস্ট রাতে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল খালেক মোল্লা, খুলনা সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান টিংকু, জামায়াতের রুকন জনাব মো: আলী হায়দার এবং নাটোরের লালপুর উপজেলা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিরুল ইসলাম এবং ছাত্রশিবির কর্মী মুহাইমিনুল ইসলাম আশিককে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৩০ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অন্যায়ভাবে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। 

জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার যে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনে দেশের জনগণ বর্তমানে অতিষ্ঠ। এভাবে জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে যেমন কোন সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে পারেনি তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আবদুল খালেক মোল্লা ও খুলনা সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মোস্তাফিকুর রহমান টিংকুসহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে কিশোর নিহত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক ৩১ আগষ্ট’১৬ঃ হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মোঃ মামুন(১৬) নামে কিশোর নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার(৩০ আগষ্ট) বেলা বারোটায় ঝড়বৃষ্টির সময় ইউনিয়নের চারিয়া কাজী পাড়াস্থ নাইতা পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামুন ওই এলাকার কৃষক নুরুজমার ছেলে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান(১) জানান, মঙ্গলবার বেলা বারোটার দিকে ঝড়বৃষ্টির সময় একটি বিলে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই সানি মারা যায়। সে ওই সময় লুঙ্গি, শার্ট ও মাথায় ছাতা সহকারে গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছিল। বজ্রপাতে তার ছাতা, শার্ট ও শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। বিকালে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মোঃ বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

-মোহাম্মদ আলী

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

Verdict against Mir Quasem based on false charges, depositions: Khandaker Mahbub

Amader Bangladesh Online News Desk:  Advocate Khandaker Mahbub Hossain, chief counsel of Mir Quasem Ali, said his client has been sentenced to death based on false charges and depositions of fake witnesses.
"Mir Quasem has been deprived of justice. Fake witnesses were prepared keeping them at Safe Home to give false depositions. The prosecution submitted false documents. I repeatedly shouted that the verdict has been taken away by bringing false charges and producing fake evidences against him,” he said.
Khandaker Mahbub came up with this observation while expressing his reaction to the reporters after the Appellate Division of the Supreme Court dismissed Quasem’s review plea against his death sentence.
Asked to comment on the verdict, Mahbub said that it is not possible for him to say the verdict is “not right”.
“I have nothing to say about the verdict. As a lawyer I have to accept it. According to law, whatever verdict the apex court delivers is the justice. But the future, the future generation and people of law arena throughout the world will examine whether the verdict against Mir Quasem was correct or not,” he added.

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী