বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

চট্টলবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনতাকে শ্রমিক কল্যাণের পবিত্র ঈদুল আদ্বহার শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"......!!!


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন, চট্টগ্রাম সদর অঞ্চল সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া ও সেক্রেটারী মোঃ মীর হোসাইন। আজ রবিবার যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন, ত্যাগের উজ্জ্বল মহিমায় পবিত্র ঈদুল আদ্বহা আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল আদ্বহা হলো মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ করুণা যা তিনি সব্বোর্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পেয়েছিলেন । কুরবানির মূল হলো ত্যাগ ও কুরবানী। রাসূল (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের ত্যাগ ও কুরবানীর আদলে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ সেখানে সত্যিকারভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হবে।

তারা বলেন, দেশবাসী এমনি এক সময়ে ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন সারাবিশ্বে অশান্তি বিরাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে মুসলমানদের উপর হামলা-জুলুম। আমাদের দেশের জনগণ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংকট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে কালাতিপাত করছে। এই অবস্থায় পরিপূর্ণ আনন্দের সাথে ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র ইসলামী আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 
তাই ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য প্রচেষ্টা চালানো আমাদের সকলের কর্তব্য।রাসূলে করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদলে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গীকারের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উদযাপন করার জন্য চট্টলবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তাঁরা।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

টঙ্গীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  টঙ্গীর রেলগেট এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বয়লার বিস্ফোরণে কারখানা ভবনের একাংশ ধ্বসে গিয়ে প্রায় ২৫ জনের অধিক শ্রমিক নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১০ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঈদুল আজহার ঠিক পূর্ব মুর্হূতে টঙ্গীতে টাম্প্যাকো ফয়েলস্ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ২৫ জনের অধিক লোক নিহত ও শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। 

আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সেই সাথে নিহতদের পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং পরবর্তীতে এ সমস্ত লোকদের পুনর্বাসনের যুক্তিসংগত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

আমি নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতার জন্যে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করছি।”

হজ : কাবাকেন্দ্রিক জীবন পরিক্রমা -নইম কাদের

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ইসলামের অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছেÑ ইচ্ছে করা, সংকল্প করা। হজ আমাদের অতি পরিচিত একটি ইবাদতের নাম। ইসলামের পাঁচটি মৌলভিত্তির অন্যতম হজ। হজ ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্কোন্নয়ন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হজ। পবিত্র হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বান্দা যখন হজ পালন করবে, আরাফাত ময়দানে অবস্থান করবে, তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবসের পর বান্দার অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, যেন সদ্যপ্রসূত সন্তান। মায়ের পেট থেকে সদ্যপ্রসূত সন্তানের যেমন কোনো গোনাহ থাকে না, অনুরূপ হজ পালনকারীর কোনো গোনাহ থাকে না। হজ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যে ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার সব গোনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর অগণিত সৃষ্টির মধ্যে মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেনÑ ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়া’বুদুন। অর্থাৎ আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। কুরআনে বর্ণিত এই ইবাদত একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। গুটিকয়েক বিধিবিধান পালন করার নাম ইবাদত নয়, যে ইবাদতের জন্য আল্লাহ পাক জিন ও ইনসান সৃষ্টি করেছেন। বরং জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল সা:-এর নির্দেশ পালন ও অনুশীলনের নাম ইবাদত।
সালাত প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা ইবাদত; কারণ এটি আল্লাহ পাকের নির্দেশ। অনুরূপ চলাচলের পথে রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা বা কষ্টদায়ক কোনো কিছু না ফেলা এবং এরূপ কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত; কারণ এটি আল্লাহর রাসূল সা:-এর নির্দেশ। একজন সচ্ছল মানুষ, তার হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে, সুযোগ আছে, এমতাবস্থায় গল্পগুজবে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার পরিবর্তে ঘরে, মসজিদে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, রোগীর সেবা করা, আত্মীয়-প্রতিবেশের খোঁজখবর নেয়া ইত্যাদি তার জন্য ইবাদত। অপর দিকে অভাবী দরিদ্র মানুষ, হালাল রুজি উপার্জনের নিয়তে দিনমজুর হিসেবে ক্ষেতে-খামারে কাজ করছে, এটিও ইবাদত। হাদিস শরিফে এ জাতীয় সৎ শ্রমজীবী মানুষকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একজন ফকিহ (ইসলামি গবেষক) যদি এক ঘণ্টা গবেষণা করেন তার এই এক ঘণ্টা একজন আবেদের সারা রাত নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। অর্থাৎ গবেষণা-অধ্যয়নও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অনুরূপ হালাল ব্যবসাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সহিহ হাদিসে সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য সুসংবাদ দিয়ে বলা হয়েছে, সৎ এবং বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী এবং শহীদদের সাথে।
মানুষের দৈনন্দিন প্রতিটি কাজই ইবাদত, যদি তা আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষানুযায়ী হয়। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ সুবহানুহু তায়ালা বান্দার কোনো কাজকে হিসাবের বাইরে রাখেন না। তাই বান্দার ঘুমও ইবাদতের অংশ। এ ছাড়া আল্লহ পাক বান্দার জন্য অভিন্ন কিছু ইবাদতকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ইসলামি পরিভাষায় যা ফরজ, ওয়াজিব নামে পরিচিত। যেমনÑ নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ ইত্যাদি। মুমিনমাত্রই নামাজ তার জন্য বাধ্যতামূলক। ব্যবসা ইবাদত, কিন্তু ব্যবসা করা প্রত্যেকের জন্য ফরজ নয়। পক্ষান্তরে নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। জাকাত এবং হজ ফরজ হওয়া বান্দার আর্থিক সামর্থ্যরে সাথে সম্পর্কিত। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলিম নর-নারীর ওপর সালাত ফরজ হলেও বিশেষ শারীরিক অবস্থায় মহিলাদের জন্য ওই সময়ে সালাত আদায় করা নিষেধ। পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী রোজা ফরজ হলেও মুসাফির এবং শারীরিক বিশেষ অবস্থার কারণে মহিলাদের জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা পালনের বিধান রাখা হয়েছে। 
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত প্রভৃতি ইবাদত যা আল্লাহ পাক অবস্থাভেদে মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। এটা কেন করা হলো? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে প্রথমে আমাদের মানুষ সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য ও দুনিয়াতে অপরাপর সৃষ্টির তুলনায় মানুষের মর্যাদাগত পার্থক্য কী তা জানতে হবে। 
আল্লাহ পাক দুনিয়াতে কী উদ্দেশ্যে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং অপরাপর সৃষ্টির সাথে মানুষের মর্যাদাগত পার্থক্য কী পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। আল্লাহ পাক ফেরিশতাদের বলেন- ‘ইন্নি যা’য়েলুন ফিল আরদি খালিফাতান।’ অর্থাৎ আমি জমিনে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। পবিত্র কুরআনে বনি আদম সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘লাকাদ কাররমনা বনি আদমা।’ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আমি বনি আদমকে মর্যাদা দিয়েছি। হজরত আদম আ:-কে সৃষ্টি করা এবং ফিরেশতা দিয়ে তাকে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ পাক মানুষের মর্যদা নির্ধারণ করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে।
মানুষের সৃষ্টিগত এই মর্যাদা ও সম্মান চিরস্থায়ী নয়। বরং তা নির্ভর করে তার কর্মপন্থা, কর্মকৌশল এবং কাজের মাধ্যমে। অর্থাৎ মানব আকৃতিতে মানব বংশে জন্ম নিলেই সে আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে যাবে, তার জন্য সব রকম মর্যাদা নিশ্চিত হয়ে যাবে, তা নয়। পবিত্র কুরআনের সূরা ত্বিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন- ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিসহকারে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর আমি তাদের একেবারে নিম্নস্তরে নামিয়ে দিয়েছি শুধু তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা সৎকর্ম সম্পাদনকারী। 
মানুষের প্রতিটি কথা, কাজ ও আচার-আচরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব হবে। এই হিসাব থেকে কারোরই রেহাই নেই। প্রত্যেক বান্দাকেই নিজ নিজ কর্মের হিসাব দেয়ার জন্য আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো পথ নেই। হিসাবের এই কঠিন পরীক্ষায় একমাত্র তারাই উত্তীর্ণ হবে, যারা পবিত্র কুরআনের ভাষায় ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। অর্থাৎ সৃষ্টিগত স্বীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জীবনযাপন করেছে।
মানুষকে তার মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে আল্লাহ পাক বিভিন্ন ইবাদত ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। ফরজ ইবাদতগুলোর মধ্যে প্রতিটি ইবাদতের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সালাত আদায়ে নিবিষ্ট মনোভাব ও একাগ্রতার যে শিক্ষা আমরা পেয়ে থাকি, জাকাতে তা ভিন্ন রকম। আর্থিক ত্যাগ ও দরিদ্র মানুষের প্রতি সহমর্মিতার যে শিক্ষা জাকাতের মাধ্যমে পেয়ে থাকি, সওম বা রোজায় তা অন্য রকম। খোদাভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের যে শিক্ষা সিয়াম সাধনায় অর্জিত হয়, অপরাপর ইবাদতের অর্জন অন্য রকম। 
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বান্দার জন্য ফরজ করেছেন। তা করা হয়েছে মানুষের সার্বিক উন্নতি এবং স্বীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের প্রথমটি কলবের সাথে সম্পর্কিত বিশ্বাসের বিষয়। অন্য চারটি ভিন্ন আঙ্গিকের ইবাদত। এগুলো হচ্ছেÑ সালাত, সওম, হজ এবং জাকাত।
ইবাদত সাধারণত তিন ধরনের : ক. শারীরিক ইবাদত, যেমনÑ সালাত ও সাওম শারীরিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, খ. আর্থিক ইবাদত, যেমনÑ জাকাত ও সাদকা আর্থিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, গ. অর্থ এবং শরীর যৌথ সংমিশ্রণে ইবাদত, যেমনÑ হজ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত।
মানুষ সৃষ্টির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিশ্বজনীনতা ও সর্বজনীনতা। এ জন্য ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে আমরা সামষ্টিক জীবনযাপনের শিক্ষা পাই। জামায়াত বা সঙ্ঘবদ্ধ জীবন, ইসলামি জীবনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমরা ‘মিল্লাত’ এবং ‘উম্মত’ নামে যে দু’টি বিশেষ পরিভাষার সাথে পরিচিত, এ দু’টির ব্যবহারও সামষ্টিক অর্থে। মনে রাখতে হবে, ‘উম্মতে মুহাম্মাদি’ ইসলামি জীবনব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময় একটি পরিভাষা। 
বিশ্বজনীনতা ও সর্বজনীনতা অর্জন এবং অনুশীলনের জন্য মানবজাতিকে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রকে টার্গেট করে অগ্রসর হতে হয়। কেন্দ্রচ্যুত জীবন সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল জীবন নয়। হজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গোটা পৃথিবীর মানুষকে একটি কেন্দ্রে নিয়ে আসা, একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের দিকে ধাবিত করার মাধ্যমে মানবজাতির জীবন অভিন্ন লক্ষ্যপানে পরিচালিত করা। 
এই কেন্দ্রের নাম কাবা যেটি বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর নামে পরিচিত। গোটা বিশ্বের মানুষকে একটি কেন্দ্রে নিয়ে আসার কারণ হলো মানব সমাজের বৃহত্তর ঐক্য। বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপন পদ্ধতির পার্থক্য সত্ত্বেও কাবাকেন্দ্রিক জীবন পরিক্রমায় মানবসমাজের বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। সুতরাং আমরা বলতে পারিÑ হজ কাবাকেন্দ্রিক জীবন পরিক্রমার নাম। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ঐক্য ছাড়া কল্যাণকর কোনো কিছুই সম্ভব নয়। 
হজের যাবতীয় কার্যক্রম পবিত্র কাবাকেন্দ্রিক। কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ, কোরবানি, সাঈ, তাওয়াফ, জমজম কূপ, মাকামে ইবরাহিমসহ হজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আহকামের সাথে সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। শুধু তাই নয়, পবিত্র কাবা ঘরের সাথে রয়েছে মানবজাতির পিতা, প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের সম্পর্ক। বায়তুল্লাহর দেয়ালে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর পিতা আদম আলাইহিসসালাম জান্নাত থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বায়তুল্লাহর সাথে সম্পর্ক মানে প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের সাথে সম্পর্ক। এর পরে আছে সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের বিষয়। এভাবেই বায়তুল্লাহ বা কাবা ঘর সৃষ্টির প্রথম মানব থেকে শুরু করে সব মানুষকে একই সূত্রে গেঁথে রেখেছে। পবিত্র কাবার হাজারো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এটি অন্যতম।
পবিত্র কাবাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা:-এর যাবতীয় কর্মপন্থা। হিজরতের সময় সজল চোখে বারবার কাবার দিকে ফিরে দেখা, হিজরতের পরে আল্লাহর নির্দেশে কিবলা পরিবর্তন তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ। তাঁরই বদৌলতে কাবা ও এর সন্নিহিত এলাকা ‘হেরম’ এবং মক্কা নগরী ‘বালাদে আমিন’ নিরাপদ শহরের মর্যাদা পেয়েছে। এই মর্যাদা পৃথিবীর আর কোনো জনপদের নেই। 
পবিত্র কাবা একটি ঘর মাত্র নয়। এর আছে আলাদা মর্যাদা এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কাবা হচ্ছে সভ্যতার প্রথম নিদর্শন। পবিত্র কুরআনে স্বয়ং আল্লাহ পাক ষোষণা দিয়েছেনÑ ইন্না আউয়ালা বাইতিন উদিয়া লিন্নাছি লাল্লাজি বিবক্কাতা মুবারাকান। মক্কায় অবস্থিত এই ঘর মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা ঘর। সর্বশেষ সাইয়্যেদুল আম্বিয়া সা:-এর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই ঘরকে করেছেন নিখিল সৃষ্টির জন্য বরকতময় এবং পথনির্দেশক। 
প্রতি বছর গোটা বিশ্ব থেকে হাজারো ভাষার, বর্ণের, আকৃতির, সংস্কৃতির মানুষ এই কাবা ঘরে এসে হাসিল করে বরকত এবং গ্রহণ করেন পথনির্দেশনা। যার সূচনা হয়েছিল প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিসসালামের মাধ্যমে, যা নবরূপ লাভ করেছিল সাইয়্যেদানা ইবরাহিম আলাইহিসসালাম এবং সাইয়্যেদানা ইসমাইল আলাইহিসসালামের মাধ্যমে এবং চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে আল্লাহর হাবিব সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
নানুপুর লায়লা-কবির ডিগ্রি কলেজ,
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
E-mail : nayeemquaderctg@gmail.c

শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আইআইইউসি’র রেড স্টার মার্ক উঠে গেছে: ভিসি ট্রাস্টি সদস্যদের সন্তোষ শিক্ষার্থীদের উল্লাস

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিম্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম(আইআইইউসি) এর উপর রেড স্টার মার্ক উঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিন(ইউজিসি)। ইউজিস ‘র ওয়েব সাইটে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিম্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম(আইআইইউসি) এর নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন (রেড স্টার মার্ক) আর দৃশ্যমান হচ্ছে না। এই সুসংবাদ পাওয়ার পর  আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম এবং বোর্ অব ট্রাস্টিজের সদস্যগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষাথীরা উল্লাস প্রকাশ করেন এবং শিক্ষক ও নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।
উর্লৈখ্য, বিগত ২৭ জুলাই ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিন(ইউজিসি) এর প্রজ্ঞাপনের আলোকে আইআইইউসি’র অবশিষ্ট্য ৪টি বিভাগসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম কুমিরাস্থ স্খায়ী ক্যাম্পাসে পরিপূর্ণভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক ইসলামী বিম্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামএর মোট ১১টি বিভাগের মধ্যে ৭(সাত)টি বিভাগ আহগ থেকেই পরিপূর্ণভাবে স্থায়ী ব্যাম্পাসে পরিচালিত হয়ে আসছে।এখন চট্টগ্রামস্থ কুমিরায় আইআইইউসি এর সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত জচ্ছে।এছাড়া সবর্তমানে অন্য কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না।ইতি মধ্যে ইউজিসি সংবাদ পত্রে এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এর স্বীকৃতি প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ত্যাগের এই অর্জনে ট্রাস্টি সদস্য, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবকবৃন্দসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য  ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে।

হল প্রভোস্ট রঞ্জিত দাস এগিয়ে এসে এমন একটি বিজয়ের হাসি দিল যেন সে দুইটা মেডেল জিতেছে!

প্রতিদিনের অভ্যাসমত মাগরীবের নামাযের পড়ে কোরআন তেলোয়াত করতে বসেছিল সোমা। কি হতে কি হলো সে কিছুই বুঝতে পারছেনা! কোরআন পড়তে পড়তে প্রথম পিছনে কিছুটা শোরগোল শুনতে পেল। তারপরেই মনে হলো কয়েকজনের পায়ের লাথি তার পিঠের উপরে পড়ছে! নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে কোরআনের উপর উপুড় হয়ে পড়ে গেল! তার বুক, পিঠ, মুখ সব যায়গায় লাথি মারতে লাগলো তারা! দুজন চুল ধরে শোয়া থেকে উঁচু করে দাড় করে ফেললো...
ভার্সিটির হোষ্টেলের নামাযের রুমে সোমা ও কয়েকজন নিয়মিত নামায পড়ে। ইদানীং উপস্থিতি খুব কম হয়। এক সময় অনেক মেয়ে নামাযে আসতো নামায কক্ষে। এখন এক অজানা ভয়ে অনেকে আসেনা। তবু তারা কয়েকজন মেয়ে আসে এখনও। নামায শেষে যার যার মত চলে গেলেও সোমা কিছুটা সময় কোরআন পড়ে তারপর রুমে ফিরে ক্লাসের পড়া পড়তে বসে।
আজ এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মুখোমুখি সে। নামায শেষ করে কোরআন পড়তে গেলে এই সময়ের ভিতর বেশ কয়েকজন হামলে পড়েছে তার উপর। কারন কি সে কিছুই জানেনা! মারতে মারতে একজন বলে উঠলো, এই তুই জঙ্গি! এবার সোমা বুঝতে পারলো হামলাকারীরা সোমাকে না, কোন জঙ্গিকে মারধোর করছে! কয়েকবার বলার চেষ্টা করলো, আমি না আমি না....
কথা শেষ করতে পারেনা। তার আগেই তল পেটে একজন লাথি বসিয়ে দেয়। কুঁকিয়ে উঠে তল পেট চেপে ধরে বসে পড়ে। মাথা ঘুরতে থাকে তার, হয়তো কিছুক্ষনের ভিতর জ্ঞান হারাবে। আবারো তাকে চুল ধরে দাড় করানো হয়। কথা বলতে না বলতে নাক মুখের উপর কয়েজন ঘুষি মারতে থাকে। নাক চেপে ধরে মাথা নিচু করলে আঙুলের ফাঁকগলে রক্তের ধারা বের হয়ে এলো। একজন চুল ধরে মাথা উঁচু করে ধরে রাখলো যেন মারতে সুবিধা হয়। তখন সামনে তাকিয়ে দেখতে পেল তার দুজন ম্যাডাম ও হল প্রভোস্টকে! মনের ভিতর কিছুটা প্রশান্তি ফিরে এলো। এই যাত্রায় বুঝি কিছুটা রক্ষা পেলাম..
হল প্রভোস্ট রঞ্জিত দাস এগিয়ে এসে এমন একটি বিজয়ের হাসি দিল যেন সে দুইটা মেডেল জিতেছে! দাত খিটমিট করে বললো- বাহবা, নামায পড়তে আসে! সাথে আবার জঙ্গি বই রাখো! একে এমন ভাবে মারবা যেন পুলিশ নিয়ে গেলে তাদের অতিরিক্ত কোন কাজ করতে না হয়...
সংগৃহীত।

মা ও ছেলে আবারো একসাথে-


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সঙ্গে জেদ্দায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। 
.
৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানরা। 
.
সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের আমন্ত্রণে পবিত্র হজ পালনের জন্য পৃথকভাবে সৌদি আরবে গিয়েছেন তিনি। সৌদি আরব স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছান। 
.
জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
@ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

যুদ্দ্বাপরাধ+ জামাত+ প্রতিবাদ= বিবেকের বিচারঃ বিজেপি নেতা।

হুবহু পোস্ট। জাস্ট চেপে যা
অনেকেই জানেন, আমি ছিলাম বিজেপি'র একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বিজেপি'র হয়ে এলাকার বুথ কমিটির সেক্রেটারির পদও সামলেছি। না, বিজেপি আমায় দল থেকে বের করেনি, পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমিই নিজেই বেরিয়েছি, ইস্তফা দিয়েছি, পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছি।
যাইহোক, সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সময় থেকেই জানতাম, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামিক সংগঠন হল- জামাত শিবির। এও জানতাম, জামায়াত শিবির একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এরা রক্তের রাজনীতি করে, নির্মমভাবে মানুষ খুন করে, মানুষের শিরা কেটে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। না, এগুলি যে শুধু আমি আমার রাজনৈতিক সূত্রেই জেনেছিলাম তা নয়। অন্যান্য তথাকথিত সেক্যুলার দল, প্রথমসারীর পত্র-পত্রিকা, বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য আর সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ প্রচারণায় বিশ্বাস করতে বাধ্যই হয়েছিলাম যে, বাংলাদেশের জামায়াত শিবির একটি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। কিন্তু এখন! ৭১ আমি দেখিনি, ইতিহাস কতটা অবিকৃত তাও জানিনা। কিন্তু বর্তমানের জামাত শিবিরের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের পরে, আমার ভাবনার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ একটি আদর্শের সমর্থক না হলেও বিরুদ্ধ আদর্শের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ এবং মিথ্যাচার সমর্থনযোগ্যও নয়।
ঘটনার চার দশক পরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠন করে, প্রহসনের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ফাঁসীতে ঝোলানো হচ্ছে। ট্রাবুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া যে অস্বচ্ছ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগত- একথা আমি নয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবধিকার সংগঠন প্রত্যেকেই একই কথা বলছে। এমন অস্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী জামায়াত নেতাদের বক্তব্য এবং কর্মীদের কর্মকান্ড আমায় বেশ ভাবিয়ে তুলেছে! ফাঁসীর আগের মুহুর্তে কাদের মোল্লা থেকে মীর কাশেম আলী কেউই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে প্রত্যেকেই বলেছেন, 'আমরা কোনও অন্যায় করিনি, মিথ্যা অভিযোগ এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আমাদের ফাঁসী দেওয়া হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই।' ফাঁসীর আগে পরিবার মারফৎ দেশবাসী এবং সংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তাঁদের ভাষণও আমায় বেশ আলোড়িত করেছে। তাঁদের কন্ঠে সশস্ত্র জিহাদের ডাক শোনা যায়নি। জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া বা বদলা নেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায়নি। বরং তাঁরা প্রত্যেকেই দেশবাসী এবং কর্মীদের ধৈর্যধারণ করতে বলেছেন। সেই সাথে শান্ত থাকার এবং প্রার্থনা(দোয়া) করার আহবান জানিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর অন্যান্য নেতা-কর্মীদের কার্যকলাপ! প্রিয় নেতাদের ফাঁসীতে ঝোলানোর পরেও তারা শুধু শান্তি বজায় রেখে ধর্মঘট পালন করেছেন। কোনও রকেট লঞ্চার হামলা করেননি, বোমা হামলা করে থানা-কোর্ট উড়িয়ে দেননি, কোনও আইইডি হামলা করে বাজার-মল ধ্বংস করে দেননি, মানুষের হাত-পায়ের শিরা কেটে দেননি, নির্বিচারে নারীদের ধর্ষণ করেননি। আমি বাংলাদেশের জামায়াত ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের ওয়েবিসাইটগুলিও ভিজিট করেছি। লক্ষ্য করেছি, সেখানে শুধুমাত্র বিচারের সমালোচনা করা হয়েছে, বিচারিক প্রক্রিয়ার লু ফলস-গুলি দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা করা হয়েছে।
তাহলে কিসের ভিত্তিতে আমি জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলব? আরে, গান্ধীজীর অহিংস আন্দোলনও তো এক সময় সহিংসতার পথ নিয়ছিল। আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠায় গান্ধীজী আন্দোলন পরিত্যাগ করেছিলেন, সে প্রসঙ্গ ভিন্ন। কিন্তু যাদের আমরা চিনহিত সন্ত্রাসবাদী বলছি, তাদের কার্যকলাপ এবং বক্তব্যের কোথাও তো সহিংসতা বা সন্ত্রাসবাদের ছিটেফোঁটা লক্ষ্য করছিনা। শুধু আনন্দবাজার, অর্ধ প্যারালাইজড বুদ্ধিজীবী আর কমরেডদের গালগল্প শুনে আমায় বিশ্বাস করতে হবে- জামায়াত শিবির সন্ত্রাসবাদী সংগঠন?
শুনেছি জামায়াত শিবিরের নাকি অনেক টাকা। সদ্য ফাঁসীর সাজাপ্রাপ্ত মীর কাশেম আলী নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। যে সংগঠনে যথেষ্ট পরিমানে কর্মী ('জেহাদি') রয়েছে, অফুরন্ত টাকা রয়েছে- সেই সংগঠনটি কোনও পালটা আঘাত না হেনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে? আমি জানিনা, ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণকারী কোনও রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতাদের প্রহসনের বিচারে এভাবে ফাঁসীতে ঝোলানো হলে, তাদের নেতা-কর্মীরা জামায়াত শিবিরের মত অহিংস এবং সংযমী থাকতে পারতেন কিনা!
---সুতীর্থ মুখার্জী
ভারতের সরকারী দল বিজেপির সাবেক নেতা।

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

একজন দেশপ্রেমিক মীর কাসেম আলী ও বিত্ত-বৈভবের গল্পগুজব -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ শনিবার, রাত ১০.৩৫ টা। মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত, সজ্জন, সদালাপি, পরোপোকারী ব্যক্তি, একজন খ্যাতিমান সৎ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, শান্তিপ্রিয় মানুষ জনাব মীর কাসেম আলী। মীর কাসেম আলী একটি নাম, একটি ইতিহাস, একজন যোগ্য সংগঠক, এক ক্ষণজন্মা যুগ স্রষ্টার নাম। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা। 

বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে মীর কাসেম আলীর বিত্ত-বৈভব নিয়ে হইচই লাগিয়ে দিয়েছে। তারা আংশিক সত্য বহুলাংশ অসত্যের মিশ্রণে এক মুখরোচক খিচুড়ি পাকানোর আয়োজনে ধুমধাম ফেলে দিয়েছে। শুধু একশ্রেনীর মিডিয়াই নয়, দলকানা কিছু চিহ্নিত মানুষ অব্যাহতভাবে গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছেন। 

তাদের বর্ণনায় আংশিক সত্য যে আছে তা ঠিক। মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব, উৎসাহ উদ্দীপনা ও সহযোগীতায় এদেশে অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সেবা-প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য ব্যর্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় যাতে মারা না যান, সেজন্য ঢাকায় প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ইবনে সিনা গড়ে তুলেছিলেন মীর কাসেম আলী। তার পথ ধরে অনেকেই পরে বড়-বড় হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন। এক শ্রেণির মিডিয়ার অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা, সত্য ও সুন্দরের প্রকাশে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি মিডিয়া গড়ে তুলেছিলেন। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যদিও টিভি চ্যানেলটি সরকারের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি গড়ে তুলেছেন ইসলামী ব্যাংক, যা কিনা বিশ্বের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম সারির মর্যাদা লাভ করেছে। যে ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্রতা ও বৈষম্য গুছাতে প্রয়াস চালিয়েছিলেন তিনি। 

আজকে তাঁর প্রতিপক্ষদের পক্ষ থেকে তার এই যুগান্তকারী দেশের উন্নতিতে বিরাট অবদান রাখার সাক্ষী এসব কার্যক্রমকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। তার এসব উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিবাচক মূল্যায়ন না করে তারা জাতির সামনে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে, তিনি সামান্য থেকে বিরাট ধনকুবের হয়ে গিয়েছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশের সম্পদ যদি এক পাল্লায় তোলা হয় আর অপর পাল্লায় উঠানো হয় মীর কাসেম সাহেবের ধন-সম্পদ, তাহলে ঐ চিহ্নিত মহলের বর্ণনা মতে, মীর কাসেম সাহেবের সম্পদের পাল্লাই ভারি হয়ে যাবে। 

আসলে কি তাই! মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করতে চাই, যাকে ঘিরে আপনারা এই রমরমা, মুখরোচক, জগাখিচুরী মার্কা ব্রিফিং চালিয়ে যাচ্ছেন, সত্যকে অনুসন্ধান ও অনুধাবন করার জন্য তার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয়তোবা আর হবে না। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি, ছোট ছেলে, তাঁরই মামলার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিষ্টার আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)-এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাবসহ সার্বিক তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।

কিন্তু এ ব্যাপারে আপনাদের কিছু কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনারা সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পারবেন। কারণ বিগত কয়েক বছর মীর কাসেম সাহেবের অর্থ বিত্ত-বৈভব অনুসন্ধানের পিছনে ও তাঁর তথাকথিত অপরাধ খুঁজে বের করার নামে আপনারা যে সময়, শ্রম, মেধা ও আরাম-আয়েশের কুরবানী করেছেন, তা ইতিহাসে সমুজ্জল হয়ে না থাকলেও মানুষের স্মৃতি থেকে বিস্তৃত হবে না। আপনারা এত কষ্ট যখন করেছেন, আরেকটু ধৈর্য্য সহকারে ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে প্রকৃত সত্য জানার উদ্দেশ্যে মীর কাসেম আলী সাহেবের নিখোঁজ ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানের অবস্থান নির্ণয়ে ভূমিকা পালন করুন। 

উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে রাতের আধাঁরে সাদা পোষাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও সরকারের কোন বাহিনী তার দায়িত্ব স্বীকার করেনি এবং তাকে আদালতেও উপস্থাপন করেনি। 

জনাব মীর কাসেম আলী সাহেবের সাথে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের জেলখানায় সর্বশেষ যে সাক্ষাৎ হয়েছিলো, সে সময় ব্যারিষ্টার আরমান ছিলেন অনুপস্থিত। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে মীর কাসেম আলীর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “মীর কাসেম আলী স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন। তার শহীদি মৃত্যু হবে এই আনন্দে তিনি উজ্জীবিত। কিন্তু তাঁর ছেলে ও তার আইনজীবী ব্যারিষ্টার আরমানের জন্য তিনি উদ্বিগ্ন।” তাই আবারো মিডিয়ার বন্ধুদেরকে অনুরোধ করবো, যেভাবে মীর কাসেম সাহেবের বিত্ত-বৈভব ও তথাকথিত অপরাধ অনুসন্ধানে গায়ে-গতরে খেটে চেষ্টা চালিয়েছেন, ঠিক ততটুকু সম্ভব না হলেও বিবেকের দায়িত্ববোধ থেকে বিদায় বেলায় মীর কাসেম আলী তাঁর ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে নিয়ে যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, একটু করে হলেও প্রতিটি নিউজ আওয়ারে তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন। এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত ব্যারিষ্টার আরমানকে পাওয়া না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষে মন্ত্রীদের সামনে গিয়ে ঠেলাঠেলি করে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিয়ে যেভাবে প্রশ্ন করেছেন, কবে মীর কাসেমের রায় কার্যকর হবে? ঠিক একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন কবে মীর কাসেম আলী সাহেবের ছেলে ব্যারিষ্টার আরমান ফিরে আসবে কিংবা তার সন্ধান পাওয়া যাবে। 

মিডিয়ার বন্ধুদেরকে আবারো অনুরোধ করতে চাই, আপনারা পূর্ব ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষ ও অনুসন্ধানী মন নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করুন, তাহলে জানতে পারবেন, মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবার আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই চলে। কেউ বলতে পারবে না মীর কাসেম আলী সাহেবের পরিবারে বিলাসিতা ছিলো বা আছে। তার সন্তানেরা রাজকীয় হালে বড় হয়নি। অতি সাধারণ একজন হিসেবে বড় হয়েছে। তারা কেউই গাড়ি হাকিয়ে চলে না, বিশাল অট্টালিকার মালিক নয়। ঢাকার মীরপুরে যে বাড়িটি তাদের রয়েছে, সেটি মীর কাসেম আলী সাহেবের পিতার হাতে ক্রয় করা ও তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিলো এই বিল্ডিং। মীর কাসেম বা তার পরিবারের কারো নামে বিদেশে কোন একাউন্ট নেই। দেশে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের নামে কতটি একাউন্ট ও তাদের কত টাকার ডিপোজিট আছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা কোন কঠিন কাজ না। জাতি কেন তথ্যভিত্তিক সঠিক রিপোর্ট পাবে না? জাতিকে সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কখনই কাম্য নয়। বাগাড়াম্বর আর বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া প্রকৃত সত্য উদঘাটনের সাহস অনেকেরই নেই তা জাতি জানে। 

পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম, মিডিয়ার আংশিক সত্য প্রকাশের কথা। তারা যা প্রচার ও প্রকাশ করেছে তার আংশিক সত্য এভাবে বলা যায় যে, হ্যাঁ! মীর কাসেম আলী অনেক কিছু করেছেন এটা সত্য। তিনি একজন যোগ্য সংগঠক হিসেবে যেখানেই হাত দিয়েছেন আল্লাহর রহমতে সেখানেই সোনা ফলেছে। তবে তিনি যা করেছেন তার নিজের ও পরিবারের জন্য নয়, সবই করেছেন দেশ ও জনগণের জন্য। তিনি নিজে যা করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা কেউ এসবের মালিক নন। তিনি ছিলেন উদ্যোক্তা আর এসবের সেবক মাত্র। 

মীর কাসেম আলী একজন নিষ্ঠাবান ঈমানদার ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক আল্লাহর এক বান্দা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। সেই লক্ষ্যে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে নিঃস্বার্থভাবে দেশে ও মানবতার উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এটাই কি তাহলে তার অপরাধ?

প্রকৃতপক্ষে হত্যা, খুন, নির্যাতনের যে অভিযোগ সরকার তার বিরুদ্ধে দাড় করিয়েছে, তা শতভাগ বানোয়াট।এর মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি যদি প্রকৃত অপরাধী হতেন, তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১২ সালে তাকে গ্রেফতার করার পূর্ব পর্যন্ত অসংখ্যবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তিনি নিজেকে অপরাধী ভাবলে বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত না আসলেই পারতেন। কিন্তু তিনি তো তা করেননি। তিনি তো পালিয়ে ছিলেন না। প্রকাশ্যে থেকেই দেশ, জাতি ও মানবতার সেবায় নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। 

যারা প্রচার করছেন মীর কাসেম আলী জামায়াতে ইসলামীর অর্থের যোগানদাতা, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনাদের এই তথ্যের উৎসটা কি তা জাতিকে মেহেরবাণী করে জানাবেন। আপনাদের এই বক্তব্যের তথ্য সূত্র যদি হয় ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা তিনি করেছেন দেশের মানুষের জন্য। এটাকে যদি আপনারা জামায়াতের সম্পত্তি হিসেবে চিত্রায়িত করতে চান, তা সত্যের অপ্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেশের ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠী উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আপনাদের মুরুব্বীদের দল ও তাদের সমর্থকগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, এটাও আপনাদের মনে রাখতে হবে। একটু অনুসন্ধানী মন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলে বুঝতে পারবেন, দলগতভাবে উপকারী হিসেবে জামায়াত নয় বরং উনাকে যারা প্রতিপক্ষ ভাবেন তাদের দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক গোষ্ঠীর পার্সেন্টিসের পাল্লা-ই ভারী হবে।

সুতরাং আসুন আর পারস্পরিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে কাউকে কোন রকম সুযোগ না দিয়ে বরং প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করে মিডিয়াকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের যে মর্যাদা দেয়া হয়, সেটাকে অক্ষুণ্ণ রাখি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণ ও পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হই। 

মীর কাসেম আলী সাহেবদের আসল অপরাধ কী তা আমরা জানি! তাঁর অপরাধ তিনি হত্যাকারী তা নয়। তার আসল অপরাধ পবিত্র আল কুরআনের ভাষায়- “ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা মহাপরাক্রান্ত-মহামহিম, স্ব-প্রসংশিত সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।” (সূরা বুরুজ-৮)। 

মীর কাসেম আলী সাহেবের অপরাধও একটি তিনি ইসলামের সৌন্দর্যকে ধারণ করে সকল লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজেকে একজন নিঃস্বার্থপর পরোপোকারী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। এই অপরাধে শুধু মীর কাসেম আলীই নন, যুগে-যুগে শহীদ হাসানুল বান্না (র), সাইয়েদ কুতুব শহীদ (র), মাওলানা মওদূদী (র), অধ্যাপক গোলাম আযম (র), শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (র), শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (র), শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা (র)-দেরকে জালিমের খঞ্জরের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ইসলামের পথে চলার অপরাধ! যেই করবেন, তাকেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে এটাই চির সত্য। আর এ পথ ধরেই মুমিনরা সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যারা মুমিনদের ওপর যুগে-যুগে নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে সাময়িকভাবে উল্লাসে মেতে উঠে, তাদের পরিণতি কি হবে? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “আর যে ব্যক্তি জেনে বুঝে কোন মুমিনকে হত্যা করে, তার শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার ওপর আল্লাহর গজব ও তাঁর লানত এবং আল্লাহ তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।”(নিসা- ৯৩) 

সুতরাং হত্যাকারীদের পরিণতিও সুস্পষ্ট। তাদের আজকের এই বেপরোয়া আচরণের জন্য ইহকালে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। আর অপরাধীদের পরকালের শাস্তি তো আল্লাহর কাছে নির্ধারিত আছেই।

মীর কাসেম আলীর সাথে পরিবার-পরিজনের সাক্ষাৎ শেষে, ফিরে এসে তাঁর সহধর্মীনি খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, “মীর কাসেম আলী মৃত্যুর ভয়ে ভীত নন, বরং শাহাদাতের অমীয় সুধা লাভের জন্য তিনি উদগ্রীব। তিনি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রীসংস্থাসহ ইসলামী আন্দোলনের সংগ্রামীদের প্রতি সালাম জানিয়ে বলেছেন, “ফাঁসি দেখে ভয় পেয়ো না, হতাশ হয়ো না। শহীদি রক্তে স্নাত ভূমি ইসলামের জন্য সতেজ আরো উর্বর হয়। তাতে কালেমার পতাকা শক্ত হাতে দৃঢ়ভাবে পুঁতে দিতে পারবে অক্লেশেই ইনশাল্লাহ।” 

তাই আসুন, শহীদ মীর কাসেম আলী সাহেবের প্রত্যাশিত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি আজীবন যে পথে অবিরাম সংগ্রাম করেছেন, সেই পথ তথা মহান আল্লাহর রাস্তায় চলার প্রত্যয়কে আরো শাণিত করি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তাঁর কামনা অনুযায়ী শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমীন।।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রতিবাদে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর শিল্প উদ্যোক্তা ও ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

বাংলাদেশি আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মীর কাসেম আলীর ছোট ভাই মীর মাসুম আলী, মূলধারা নেত্রী ও মীর মাসুম আলীর সহধর্মিনী শাহানা মাসুম, হিউম্যান রাইটস ফর বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাবউদ্দিন আহমেদ, মজলিশে শূরার সদস্য নাজি আল মোক্তাদির, ইমাম মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন (ক্বোবা)’র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরিফ, রাইটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নঈমউদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল, মহিলা নেত্রী ইসমত আরা ফজিলাসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মীর কাসেম আলীর মতো একজন প্রথম শ্রেণীর শিল্প উদ্যোক্তা হত্যা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে কোনো ন্যায়বিচার নেই। মীর কাসেম আলীর মতো একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও সংক্ষুব্ধ।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকার শুধু ইসলামি আন্দোলনের নেতাদেরকেই শেষ করে ক্ষান্ত হচ্ছে না, এখন তাদের পরিবার-পরিজনকে গুম ও গৃহহীন করছে। বাংলাদেশ আজ গুম, খুনের অভয়ারণ্য। বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহায়তা কামনা করেন বক্তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের সামনে ৪৭ স্ট্রিটের সামনে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী-আমেরিকান মিছিল করে। এতে ‘মীর কাসেম আলীর রক্ত বৃথা যেতে পারে না, রাজনৈতিক হত্যা বন্ধ কর করতে হবে ইত্যাদি’ শ্লোগানে মীর কাসেম আলীর হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। মিছিল শেষে জাতীয় নেতাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময়ে এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত

যেভাবে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয় মীর কাসেমকে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার জন্য শনিবার বিকাল পাঁচটার পর অন্য বন্দীদের নিজ নিজ সেলে আটকে রাখা হয়। শুধু জল্লাদরা বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যার পর মীর কাসেমের সঙ্গে পরিবারের সবাই দেখা করে কারাগার থেকে বের হয়ে যান। কাসেমের স্বজনরা কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই কারা ফটক ও আশপাশের এলাকা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কারাগার সূত্র বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে। রাত সাড়ে ৯টায় কারা মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি হেলাল উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক ও জেল সুপার নাসির আহমদ কনডেম সেলে মীর কাসেমের কক্ষে যান। সেখানে মীর কাসেমের কাছে গিয়ে তাঁরা জানতে চান, তার কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা?

জবাবে মীর কাসেম আলী বলেন, ‘না’। এরপর মীর কাসেমকে জেল সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এটাই আপনার শেষ রাত। এ রাতেই আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এখন আপনাকে তওবা পড়তে হবে’। তখন মীর কাসেম বলেন, ‘আমি নিজেই তওবা পড়তে পারবো’। এরপর তিনি নিজেই তওবা পড়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন।
এরপর ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের সামনে তাকে বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া হয়। খাবারগুলোর মধ্যে ছিল গরুর মাংস, সবজি, ভাত, ডাল পায়েস ও কয়েক রকম ফল। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র একটুখানি পায়েস খেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারাসূত্র।
এ সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক, কারাধ্যক্ষ (জেলার) নাসির উদ্দিন আহমদ, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সার্কেল এএসপি মনোয়ার হোসেন, জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান, গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীব।
রাত দশটায় আলোচনা শেষে প্রধান জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে চারজন জল্লাদ কনডেম সেলে প্রবেশ করেন। কনডেম সেলে প্রবেশ করে মীর কাসেমকে জমটুপি পরিয়ে দেন জল্লাদ দীন ইসলাম। এরপর সেখান থেকে মীর কাসেমকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্ব চার জল্লাদ মীর কাসেম আলীকে ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি কোনো প্রকার হৈ চৈ করেননি। অনেকটা শান্ত ও স্থির ছিলেন।
তাকে আট ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে চার ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ফাঁসির মঞ্চে উঠানো হয়। মঞ্চটি ভূমি থেকে বেশ উঁচু। মঞ্চ থেকে নিচের দিকে ১২ ফুট গভীর গর্ত আছে। সেই গর্তটি কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা। রাত সাড়ে দশটার সময় জেলা প্রশাসক হাত থেকে লাল রুমাল নিচে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে লিভারে চাপ দেয় জল্লাদ শাহজাহান। পায়ের নিচ থেকে সরে যায় পাটাতন। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে থাকে মীর কাসেম আলী।
ফাঁসি কার্যকরের সময় মঞ্চ সংলগ্নস্থানে একটি লম্বা টেবিলের সঙ্গে বেশকিছু চেয়ার পাতা হয়। তাতে পাশাপাশি বসেন ১০ জন কর্মকর্তা। প্রায় ২০ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার পর মীর কাসেমের লাশ তুলে টেবিলে রাখা হয়। লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার। এরপর গোসল শেষে মীর কাসেমের মরদেহ কফিনে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় পুলিশ।
সূত্রঃ এনটিভি

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী