বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১

জন্মদিনের শুভেচ্ছা —মল্লিক মাহমুদ .

 

জন্মদিনের ভালোবাসা মাখা

শুভেচ্ছা নিও প্রিয়,
সারাটি জীবন দ্বীনি ময়দানে
হয়ে থেকো সক্রিয়।
তুমি ছিলে এই আন্দোলনের
সংগ্রামী রাহাবার,
হৃদয়ের মাঠে ফাল্গুনী ফুল
হাসে তাই অনিবার।
স্নেহ-প্রেম দিয়ে আগলে রেখেছো
শত শত কর্মীকে,
আল কোরানের দৃপ্ত প্রদীপ
জ্বালিয়েছো দিকে দিকে।
ডায়েরি-রিপোর্ট কেনার জন্য
তোমার অফিসে গেলে,
হাসি ভরা মুখে কাছে টেনে নিতে
ইয়া বড় হাত মেলে।
পেটের ব্যাপারে কথা বললেই
দিয়ে দিতে পিঠে চড়,
বলতে,"এখন কাজ সেরে নিয়ে
বাড়ির রাস্তা ধর।
তোদের আমরা প্রশ্রয় দিয়ে
মাথায় নিয়েছি তুলে,
সংগঠনের নিয়মকানুন
সব গেলি তাই ভুলে।
কী কী নিবি সব দ্রুত ভাঁজ কর
কিছুই হবে না বাকি,
বাকি বাকি করে সবাই আমাকে
দিয়ে দেয় খালি ফাঁকি"।
সোনাঝরা এই খুনসুটিগুলো
ভুলবো না কোনোদিন,
সোনালী হরফে স্মৃতির খাতাতে
রবে চির অমলিন।
আজকের দিনে মন থেকে শুধু
এই দোয়া করে যাই,
আমরণ যেন আমরা তোমাকে
খুব কাছাকাছি পাই।
.
১৯।০১।২১

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

একটি নিউজ থেকে আঁতকে উঠলাম— গত এক বছরে তিন হাজার কোটি টাকার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছে বাঙালি

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একটি নিউজ থেকে আঁতকে উঠলাম— গত এক বছরে তিন হাজার কোটি টাকার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছে বাঙালি!

এই ওষুধ বাঙালি সকালে খায়, রাতে খায়, খালি পেটে খায়, ভরে পেটে খায়, বিয়ের দাওয়াতে খায়, বাসায় খাইলেও খায়, পেট ব্যাথা করলে খায়, পেটে গ্যাস হলে খায়, পেট জ্বললে খায়, বুক জ্বললে খায়, পায়খানা না হলে খায়— এভাবে লিখতে লিখতে অনন্তকাল লিখেও হয়ত শেষ করা যাবে না! বলতে পারি, এটা খাওয়া নেশা হয়ে গেছে, ইয়াবার চেয়েও ভয়ংকর নেশা!

আমি নিজে বাসায় সবাইকে বকাবকি করেও এটা খাওয়া বন্ধ করতে পারি না। এটা খায়তে না করলে মনে করে আমার ডাক্তারি পড়া বৃথা, আমি কিচ্ছু জানি না।

এই ওষুধগুলোর আসল কাজ হলো, আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিডের ক্ষরণ কমানো, যা আপনার খাবার পরিপাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তাররা আলসার এবং ‌অন্যান্য রোগে সুনির্দিষ্ট কারণে এই ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।

আপনি নিজ থেকে খেতে থাকলে আপনার অ্যাসিডের ক্ষরণ কমতে থাকবে, কমতে থাকবে হজম শক্তি। একসময় দেখবেন আপনার খাবার হজম হচ্ছেই না! এই ওষুধগুলোর সাইড ইফেক্টও মাশাআল্লাহ অনেক! যেমন, মাথাব্যথা, ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, জ্বর, বমি, ফুসকুড়ি— এসব সাধারণ সাইড ইফেক্ট। এখন যেগুলোর কথা বলবো সেগুলো একটু উন্নত পর্যায়ের, দেখলেই বুঝতে পারবেন! যেমন: কোলনে ইনফেকশন, হাড়ক্ষয়, ভিটামিনের অভাব, হার্টঅ্যাটাক, কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, যকৃতের কার্যকারিতা হ্রাস ইত্যাদি!

এবার নিজ দায়িত্বে মুড়ির মত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান। মহান জাতি আমরা। ‌নেক কিউটও! সর্বরোগের মহৌষধ পিপিআই জিন্দাবাদ! ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসা জিন্দাবাদ!
--Collected post

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

একজন সফল উদ্যোক্তার গল্প

আমদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্ক  রাত তখন অনেক গভীর। পুরো শহর যেন নিঝুম এক পরিবেশে ছেয়ে গেছে। অনেক দুর থেকে একটি পেঁচার শব্দ ভেসে আসছে।


এমন এক নিস্তব্দ পরিবেশে বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া এক তরুণ ভাবছে তার পরিকল্পনার কথা। একটি স্বপ্নের কথা। বারবার নানান জায়গা থেকে প্রত্যাখাত এই তরুণের মধ্যে কোন হতাশা নেই। সে যেন এক অসীম আত্নবিশ্বাস নিয়ে বুকভরা স্বপ্ন বুনছে।

চীনের ঝি-জিয়াং প্রদেশে জন্ম নেওয়া এই তরুণটির মা-বাবা ছিলেন পেশাদার গল্পবলিয়ে ও সংগীতশিল্পী। অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়েও মা বাবা ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু স্কুলে ভর্তি করালে কি হবে, ছেলের যে গৎবাধা পড়াশোনায় মন নেই। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া থেকেও সে তখন ইংরেজী শেখার নেশায় বুঁদ। টানা ৯ বছর ধরে প্রায় ৭০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পর্যটকদের এলাকা ঘুরিয়ে দেখাতেন শুধু ইংরেজী শিখবেন বলে। উদ্দেশ্য একটাই, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করা।

ওই বয়সেই সে তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ইংরেজী শেখার বিকল্প নেই। বলছি জায়ান্ট ই-কমার্স কোম্পানী আলীবাবার রুপকার জ্যাক মা’র কথা। জ্যাক’মার এই নামটি অবশ্য জন্মগত ছিলো না। পারিবারিক সুত্রে পাওয়া নাম মা ইউন। পর্যটকদের সাথে কাজ করার সুবাধে একজন পর্যটকের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। তিনিই তাকে জ্যাক মা নামটি দেন। কারণ চায়না এই নামটি ইংরেজদের জন্য উচ্চারণ করা কঠিন ছিলো।

আলীবাবার আগে জ্যাক মা পুরোদস্তুর একজন ব্যর্থ মানুষ ছিলেন। ব্যর্থতার চরম শিখরে এতোটাই অবস্থান করছিলেন যে কলেজে পাশ করতে জ্যাক মা’র প্রায় ৪ বার পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। ৪বার ফেল করার পর যখন পাশ করে কর্মজীবনে ঢোকা জ্যাক মা ব্যর্থতা যেন হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। টানা ৩০টি চাকরীর আবেদন করে প্রত্যেকটিতেই প্রত্যাখাত হলেন। আমেরিকান এক টকশোতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জ্যাক মা বলেছিলেন, আমি যখন পুলিশের জন্য চাকরী করলাম তখন ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের চাকরী হলো কিন্তু আমাকে বলা হলো ‘তুমি উপযুক্ত নও’।

আমার শহরে যখন কেএফসি আসলো আমরা ২৪ তখন আবেদন করেছিলাম। ২৩ জনের চাকরী হলো, বাদ পড়লাম শুধু আমি। হার্ভাডে আমি ১০বার আবেদন করেও প্রত্যাখাত হয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিলো ‘হয়তো একদিন আমি হার্ভাডে লেকচার দিব’।

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার আগে জ্যাক মা তার ২৪ বন্ধুকে বাসায় ডাকেন আইডিয়া শেয়ার করার জন্য কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ২৪ জনের ২৩জনই তার আইডিয়াকে তাচ্ছিল্যের সাথে উড়িয়ে দেন। চার চারবার পরীক্ষায় ফেল, ৩০টিরও বেশী চাকরীতে প্রত্যাখাত সাথে বন্ধুদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য- এরপরও কিন্তু তিনি দমে যাননি। তিনি কম্পিউটার চালাতেও জানতেন না, ইন্টারনেট কি জিনিস তা ভালোভাবে বুঝতেন না কিন্তু তিনি এটা বুঝেছিলেন যে এই জিনিসই একদিন পৃথিবীকে নতুন করে চলতে শেখাবে।

একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাক মা বলছিলেন, প্রথম যেদিন আমরা ওয়েবসাইট শুরু করি তখন আমার বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব এবং টিভিসাংবাদিককে দাওয়াত করেছিলাম। খুবই ধীরগতির ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটটির অর্ধেক লোড নিতেই প্রায় ৩ ঘন্টা সময় নিয়েছিলো। ওই সময়টায় আমরা খাওয়াদাওয়া ও গল্প করেই কাটিয়েছিলাম কিন্তু আমি খুব গর্বিত ছিলাম। কারণ আমি ওদের কাছে এটা প্রমাণ করতে পেরেছিলাম যে ইন্টারনেট সত্যিই কাজ করে।

আমরা সবাই আলীবাবা ও ৪০ চোরের কাহিনী জানি। ছোটবেলায় যখনও জ্যাক মা’র ব্যাপারে জানতাম না ঠিক তখনোও আমি বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও আলীবাবা ও তার চোরদের কাহিনী পড়েছিলাম। আলীবাবা নামটির নামকরণ করতে গিয়ে জ্যাক মা বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সারাবিশ্বে চলছে সেজন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নামও এমন কিছু হওয়া উচিৎ যা সবাই খুব সহজে চিনবে ও জানবে।

সেই সময়ে সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু ছিলো সেরা একটি নাম- আমি এরকম একটি নাম খুঁজছিলাম। একদিন মনে হলো আলীবাবা নামটি ভালো হতে পারে।
সৌভাগ্যই বলতে হবে, চিন্তাটি মাথায় আসার পর তখন আমি এক হোটেলে খাবার খাচ্ছিলাম। ওয়েটার খাবার সার্ভ করতে এলে তাকে বললাম আলীবাবা চেনে কিনা। সে বললো চিনে। আমি বললাম কি? সে বললো- চিচিং ফাক। দারুণ ব্যাপার!

জ্যাক মা’র এসব উদ্যোগকে সেই সময়ে পাগলামো হিসেবে দেখা হচ্ছিলো। এমনকি একটি প্রত্রিকায় তো ‘ক্রেজি জ্যাক’ বা ‘পাগল জ্যাক’ হিসেবেও নামকরণ করেছিলো। এই পাগল জ্যাকই তার সফল উদ্যোগের জন্য মাত্র একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট দিয়েই বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন সম্পদের মালিক।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে তরুণ ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য জ্যাক মা সবচেয়ে বড় একটি উপমা হতে পারে। বারবার ব্যর্থতায় গ্রাস করা মানুষটিই পৃথীবীর সবচেয়ে কোম্পানীগুলোর একটি তৈরী করেছিলেন। হার্ভাডে প্রায় ১০ বার প্রত্যাখাত হয়ে নিজের মাকে বলেছিলেন ‘ওখানে পড়ার সুযোগ হয়তো পাইনি কিন্তু একদিন আমি ওখানে লেকচার দিব।’ হয়েছিলোও তাই।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার সময় আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের জ্যাক মাকে অনুসরণ করতে বলি। কারণ হতাশ হয়ে বন্ধ করে দিলেই একটি সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যতও বন্ধ হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখার সময় ব্যর্থ হলে অন্যরা যখন সাহসই হারিয়ে ফেলেন তখন জ্যাক মা ঘুরে দাড়িয়েছেন বারবার। আর এখানেই তার সাথে অন্যদের পার্থক্য। তাই স্বপ্ন দেখুন, লেগে থাকুন। আপনার স্বপ্নের সাথে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।

আপনার অনলাইনের বিজেনেসের যেকোন ধরনের কনসাল্টেন্সি পেতে জানাতে পারেন, বিনা পারিশ্রমিকে সঠিক গাইডলাইন ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট সবসময়ই আপনার পাশে থাকবে।

একজন নুরুল ইসলাম সিকদার ও একটি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ১৯৮৬সাল। আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। কী একটা কাজে আমার জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন পড়েছিল। বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এম হোছাইন আহমদ। গ্রামে এসে পরদিন সকালে তাঁর সাথে দেখা করতে গেলাম। বলাবাহুল্য, তখনকার সময়ে এক দিনে বদরখালী-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করা যেত না। বদরখালী থেকে জীপে/চাঁদের গাড়িতে বাটাখালীর পশ্চিম পাড়। নৌকায় নদী পার হয়ে পূর্ব পাড়। সেখান থেকে রিক্সায় চিরিংগা সোসাইটি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঠবডির বাসে চড়ে চট্টগ্রাম। চিরিংগা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে সময় লাগত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বদরখালী থেকে বাটাখালী জীপ মালিক সমিতির নির্ধারিত সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। জীপগুলি আবার মাঝেমধ্যে পথে বিকল হয়ে যেত।

বদরখালী বাজারের উত্তর-পশ্চিম কর্নারে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেল। সালাম করে চট্টগ্রাম থেকে আমার আসার কারণ জানালাম। তিনি বললেন- চল অফিসে যাই।
ওয়াপদা রোডে একটি সেলুন ছিল। একটু এগিয়ে তিনি সেভ করার জন্য সেলুনে ঢুকলেন আর আমি বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। চেয়ারম্যান সাহেবের কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে নরসুন্দরের দীর্ঘ সময় লাগল। অতঃপর অফিসের দিকে যাত্রা শুরু। তখন ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ছিল বাজারের দক্ষিণে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। অফিসে প্রবেশ করে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বললেন- একটা দরখাস্ত লিখে দাও।
আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য কি দরখাস্ত দিতে হবে?
এবার তিনি মুখে কিছু না বলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।
হঠাৎ আমার ভেতরের এক অদৃশ্য শক্তি জেগে উঠল। বললাম- দরখাস্ত লিখে আমি পরে আসব। তারপর সালাম করে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম। আমি তখন অনার্স ফাইন্যাল ইয়ারের ছাত্র। অনার্স শব্দের অর্থ সম্মান। দরখাস্ত করে নাগরিকত্ব সনদ নেয়াটা আইন হোক কিংবা চেয়ারম্যানের তৈরি করা নিয়ম, আমি এটাকে নিজের জন্য সম্মানজনক মনে করিনি। পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর একজন ওয়ার্ড কমিশনারের (বর্তমান পদবি কাউন্সিলর) কাছ থেকে দরখাস্ত ছাড়াই নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে কাজ সেরেছিলাম।
১৯৯০সাল। নুরুল ইসলাম সিকদার তখন বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বদরখালী বাজারের পূর্ব পাশে দুলাল নামক কুতুবদিয়ার এক হিন্দু ভদ্রলোকের একটি লন্ড্রি ছিল। এক দিন বিকেলে লন্ড্রিতে সিকদার সাহেবকে বসা দেখে কাছে গিয়ে সালাম করলাম। তিনি জানতে চাইলেন কেমন আছি, দেশের কী অবস্থা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, তখন এরশাদ বিরোধী তীব্র গণ আন্দোলন চলছে। কথা বলেত বলেত হঠাৎ প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম হোছাইন আহমদের কথা মনে পড়ে গেল। সিকদার সাহেবকে বললাম- চাচা, আমার একটি নাগরিকত্ব সনদ দরকার।
তিনি আমাকে বসতে বলে একজন লোক ডেকে অফিসে পাঠালেন অফিস খোলা কি না এবং সচিব সাহেব অফিসে আছে কি না দেখতে। লোকটি এসে বলল- অফিস বন্ধ। ইউইনিয়ন পরিষদের সচিব ছিলেন আহমদ নামক বদরখালীর এক যুবক। আহমদ বাজারের কোথাও আছে কি না দেখার জন্য তাকে পুনরায় পাঠালেন। সে সময় বদরখালী বাজারের আয়তন ছিল বর্তমান আয়তনের বড়জোর দশ ভাগের এক ভাগ। লোকটি ফিরে এসে জানাল বাজারের কোথাও আহমদ নেই। তখন নুরুল ইসলাম সিকদার আমাকে বললেন- তুমি চলে যাও, দেখি কি করা যায়।
তখন মোবাইল ফোন নামক কোন যন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল না। না হয় তাৎক্ষিণক একটা ব্যবস্থা তিনি করতেন। আমারও সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কোন তাড়া নেই। তাই আর কিছু না বলে সালাম করে চলে আসি।
রাত প্রায় ১০টা। তখনকার সময়ে গ্রামে ১০টা মানে গভীর রাত। ঘরে আমরা সবাই ঘুম। সিকদার সাহেবের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। এত রাতে রাস্তা থেকে তিনি আমাকে ডাকছেন। তাড়াতাড়ি বের হলাম।
তিনি বললেন- আহমদকে না পেয়ে তার ঘরে লোক পাঠালাম সে যেন এখুনি এসে আমার সাথে দেখা করে। সে ঘরে ছিল না। দরবেশকাটা না ইলিশিয়া কোথায় যেন গেছে। রাতে ঘরে এসে খবর পেয়ে সে বাজারে এসে আমার সাথে দেখা করল। তারপর অফিস খুলে সার্টিফিকেট লিখে আমি ঘরে যাওয়ার পথে তোমাকে দিতে এলাম।
আমি অবাক বিষ্ময়ে শুনে গেলাম। প্রথমে আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হল না। তারপর বললাম- চাচা কেন আপনি এত কষ্ট করতে গেলেন?
তিনি বললেন- তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে। তুমি একটি সার্টিফিকেটর কথা বলেছ, নিশ্চয় এটা তোমার খুব দরকার। ভাবলাম যেভাবে হোক আমাকে ব্যবস্থা করতে হবে.........।
তখন বদরখালীতে কোন রিক্সা-গাড়ি ছিল না। আমার হাতে সার্টিফিকেটটি দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলেন। যতক্ষণ তাঁকে দেখা যায়, আমি দাঁড়িয়েছিলাম।
দু জন চেয়ারম্যান। একজন বলেছিলেন দরখাস্ত লিখতে, অন্যজন গভীর রাতে আমার ঘরে এসে সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন।
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, আমার কাছে মূল্যবান কি সম্পদ আছে? উত্তরে বলব- বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিসহ ডজনখানেক একাডেমিক ও পেশাগত সার্টিফিকেটের একটি ফাইল আছে আমার। ওই ফাইলটাই এখনো পর্যন্ত আমার কাছে সবচেয়ে দামি। নুরুল ইসলাম সিকদারের দেয়া সেই চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটটি আমি এই দামি ফাইলেই সংরক্ষণ করে রেখেছি। আমার কাছে ওটা নিছক একটি সার্টিফিকেট নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে আমার মর্যাদা, আমার সম্মান এবং আমার প্রতি একজন মানুষের অকৃত্রিম স্নেহ।
এখনো তাঁর কথাগুলো কানে বাজে- ‘তোমরা উচ্চশিক্ষিত ছেলে, দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তোমরাইতো দেশ পরিচালনা করবে।’ সেদিন তিনি আমাকে অনেক বড় করে দেখেছিলেন। নেতা বনার কোন আকাঙ্খা কখনো আমার মনে জাগে নি। দেশ পরিচালনা দূরের কথা, ঠিকমত নিজেকে পরিচালনা করার যোগ্যতাও তো আমার নেই।
বদরখালী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। যখনি একাডেমিক সার্টিফিকেটের ফাইলিট খুলি, চোখের সামনে ভেসে উঠে বিশাল দেহের, ততোধিক বিশাল মনের অধিকারী একজন মানুষের চেহারা।
মহান রবের দরবারে তাঁর মাগফেরাত কামনা করছি। দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে জায়গা দেন।

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মুমিনের ৫০টি গুনাবলী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আয়াত সমূহের অনুবাদ তাফহীমুল কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছ। আরও বিস্তারিত ভাবে বুঝার জন্য তাফহীমুল কোরআন থেকে তাফসীর পড়ে নেওয়া যেতে পারে।

1. আল্লাহ তালার নাম নিলে ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠবেঃ
﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ﴾
সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে৷ আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় ২ এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে৷ (সুরা আনফাল ২)
2. আল্লাহ তালার সাথে কক্ষনো শিরক করবে নাঃ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ
তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না। (সুরা ফুরকান ৬৮)
3. জিনা করবে নাঃ
وَلَا يَزْنُونَ
ব্যভিচার করে না৷(সুরা ফুরকান ৬৮)
4. নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ﴾
নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সুরা মুমিনুন ৫)
5. খুশু সহকারে নামাজ আদায় করেঃ
﴿الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ﴾
যারাঃ নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়,
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ﴾
এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে,
( সুরা মুমিনুন ২, ৯)
6. পিতা মাতার প্রতি উফ শব্দও করবে নাঃ
فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ
তাদেরকে “উহ্‌” পর্যন্তও বলো না (সুরা ইসরা ২৩)
7. অযথা এবং বাজে কাজথেকে দূরে থাকবেঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ﴾
বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। (সুরা মুমিনুন ৩)
8. জান মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
9. কক্ষনোই ধারণা করে কাজ করবে নাঃ
﴿وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ﴾
এরা বলে : জীবন বলতে তো শুধু আমাদের দুনিয়ার এই জীবনই৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যু এখানেই এবং কালের বিবর্তন ছাড়া আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না৷ প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে এদের কোন জ্ঞান নেই৷ এরা শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে এসব কথা বলে৷(সুরা জাসিয়া ২৪)
10. মূর্খদের সাথে কক্ষনো তর্ক করে নাঃ
وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا﴾
মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয় (সুরা ফুরকান ৬৩)
11. নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে নাঃ
وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ
যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা (সুরা মায়েদা ৫৪)
12. কক্ষনোই মিথ্যা কথা বলবে নাঃ
﴿وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ﴾
নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
13. আমানতের খিয়ানত করবে না।
14.প্রতিশ্রুতি দিলে রক্ষা করবে।
وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا
যারা অংগীকার করে তা পূর্ণ করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
15.পরিপুরন ভাবে যাকাত আদায় করবে।
وَآتَى الزَّكَاةَ
যাকাত দান করবে (সুরা বাকারা ১৭৭)
16.ইয়াতিমের হক নষ্ট করবে না।
﴿وَآتُوا الْيَتَامَىٰ أَمْوَالَهُمْ
এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দাও৷ (সুরা নিসা ২)
17. রাস্তায় অবস্থান রতদের সাহায্য করবে।
সুরা বাকারা ১৭৭ নম্বর আয়াত দেখুন।
18. কাফিরদের সাথে শক্ত দিল আর মুমিনদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করবে।
أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ
মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল৷ আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন ৫২ এবং নিজেরা পরস্পর দয়া পরবশ৷ (সুরা ফাতহ ২৯)
19.মানুষের ভুল ভ্রান্তিকে ক্ষমা করবে।
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ
অন্যের দোষ –ক্রটি মাফ করে দেয়৷ (সুরা আলে ইমরান ১৩৪)
20. সর্বাবস্থায় কেবল মাত্র আল্লাহতালার উপরেই নির্ভর করবে।
.কেবল মাত্র মুমিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহন করবে।
﴿لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ ۗ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ﴾
মু’মিনরা যেন ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কখনো কাফেরদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক, বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ না করে৷ যে এমনটি করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই৷ তবে হ্যাঁ, তাদের জুলুম থেকে আত্মরক্ষার জন্য তোমরা যদি বাহ্যত এ নীতি অবলম্বন করো তাহলে তা মাফ করে দেয়া হবে৷২৫ কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সত্তার ভয় দেখাচ্ছেন আর তোমাদের তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে৷ (আলে ইমরান ২৮)
22.অভাব অনটন এবং সচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় দান করবে।
﴿الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّا
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
23.রাগান্বিত হলে রাগকে দমন করবে।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
যারা ক্রোধ দমন করে (আলে ইমরান ১৩৪)
24.অন্যদের উপাস্যকে গালি দিবে না।
﴿وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ
আর ( হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না৷ (আনআম ১০৮)
25.অন্যায় ভাবে কাওউকে হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ
আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না৷(আনআম ১৫১)
26.আল্লাহর আয়াতকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে না।
لَا يَشْتَرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا
আল্লাহর আয়াতকে সামান্য দামে বিক্রি করে না৷(আলে ইমরান ১৯৯)
27.মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷
﴿وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না৷ (বাকারা ৪২)
28.মানুষকে একথা বলতে পারবে না যে ‘’তুমি মুমিন নও’’।
ً ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
হে ঈমানদারগণ ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হও তখন বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করো এবং যে ব্যক্তি সালামের মাধ্যমে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসে তাকে সংগে সংগেই বলে দিয়ো না যে, তুমি মুমিন নও৷ (সুরা নিসা ৯৪)
29. কোন রাসুলের মধ্যই পার্থক্য করবে না।
﴿قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ﴾
হে মুসলমানরা!তোমরা বলো, “আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি, যে হিদায়াত আমাদের জন্য নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা ইবরাহীম, ইসমাঈল , ইসহাক , ইয়াকুব ও ইয়াকুবের সন্তানদের তাদের রবের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তার প্রতি ৷ তাদের করোর মধ্যে আমরা কোন পার্থক্য করি না৷ ১৩৬ আমরা সবাই আল্লাহর অনুগত মুসলিম ৷” (বাকারা ১৩৬)
30.মাটিতে নম্রভাবে চলাফেরা করবে।
﴿وَعِبَادُ الرَّحْمَٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا
রহমানের (আসল) বান্দা তারাই , যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে (ফুরকান ৬৩)
31. সঠিকভাবে ওজন করবে ওজনে কম দেয় না।
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ﴾
ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়৷
وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ
ওজন ও পরিমাপে পুরোপুরি ইনসাফ করো (আনআম ১৫২)
32.হালাল এবং পাক পবিত্র জিনিশ ভক্ষন করবে।
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ﴾
হে মানব জাতি ! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। (বাকারা ১৬৮)
33.কক্ষনোই মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে না।
﴿وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا﴾
(আর রহমানের বান্দা হচ্ছে তারা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং কোন বাজে জিনিসের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকলে ভদ্রলোকের মত অতিক্রম করে যায়৷ (ফুরকান ৭২)
34.পেঁচিয়ে কথা বলবে না।
وَإِن تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا﴾
আর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো অথবা সত্যতাকে পাশ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন৷ (নিসা ১৩৫)
35. মানুষকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে শাসন করবে।
36.অভাব অনটনের কারনে সন্তান হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُم مِّنْ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ
দারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিচ্ছি এবং তাদেরকেও দেবো। (আনআম ১৫১)
37.কক্ষনোই শপথ ভঙ্গ করবে না।
﴿وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ﴾
আল্লাহর অংগীকার পূর্ণ করো যখনই তোমরা তাঁর সাথে কোনো অংগীকার করো এবং নিজেদের কসম দৃঢ় করার পর আবার তা ভেঙে ফেলো না যখন তোমরা আল্লাহকে নিজের ওপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছো৷ আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত৷
38.মান্নত পুরন করবে ।
وفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا﴾
এরা হবে সেসব লোক যারা (দুনিয়াতে )মানত পূরণ করে, সে দিনকে ভয় করে যার বিপদ সবখানে ছড়িয়ে থাকবে৷ (দাহর ৭)
39.আল্লাহকে প্রদত্ত ওয়াদা পালন করে।
﴿الَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ الْمِيثَاقَ﴾
আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অংগীকার পালন করে এবং তাকে মজতুব করে বাঁধার পর ভেঙ্গে ফেলে না৷ (সুরা রাদ ২০)
40. নিকটাত্মীয়দের সাহায্য করবে। ( বাকারা ১৭৭)
41. অসুস্থ এবং পথচারীদের সাহায্য করবে। (বাকারা ১৭৭)
42. নিঃস্ব এবং দরিদ্রদের সাহায্য করবে (বাকারা ১৭৭)
43. দুঃখ, দুর্দশা এবং যুদ্ধের সময় ধরজ ধারণ করবে। (বাকারা ১৭৭)
44. আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে দান করে।
﴿الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ﴾
তারা নামায কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ( আমার পথে) খরচ করে৷ (আনফাল ৩)
45. রাতে কম ঘুমায়
﴿كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ﴾
রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো৷ (যারিয়াত ১৭)
46. চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকবে।
سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ
তোমরা যখনই দেখবে তখন তাদেরকে চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায়৷ (ফাতহ ২৯)
47. মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ এবংঅসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিবে।
﴿كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ﴾
এখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল৷ তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য ৷ তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো৷ (আলে ইম্রান ১১০)
48. এমন বিষয়ে প্রশ্ন করবে না যেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে তারা লজ্জিত হবে।
لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ
হে ঈমানদারগণ ! এমন কথা জিজ্ঞেস করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হলে তোমাদের খারাপ লাগবে৷ (মায়েদাহ ১০১)
49. কাজ করার পূর্বে সভাসদদের সাথে পরামর্শ করবে।
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ
নিজেদের সব কাজ পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে চালায়। (শুরা ৩৮)
50. বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে।
﴿وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ﴾
তাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে৷ (শুরা ৩৯)
( কালেক্টেড)

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি : অভিভাবক দের করনীয় কি?

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ
মা-বাবারা দয়া করে আপনাদের সন্তানদের বল্গাহীন ছেড়ে দেবেন না। আপনাদের শাসনের ছড়িটা উঠাবেন না প্লিজ। সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের ছোটকাল থেকেই আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা সমান তালে দিয়ে যান।
🐾
যতটুকু না হলে সৃষ্টিকর্তাকে চেনা যায় না, এই পৃথিবীতে মানুষের আসার উদ্দেশ্য বুঝতে পারা যায় না, আর মরার পরের হিসাব নিকাশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া হয় না- অন্তত:পক্ষে ততটুকু মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা তার অন্তরে ছোটকাল থেকেই গেঁথে দিতে চেষ্টা করুন। আপনি চেষ্টা করুন, সে কতটুকু রিসিভ করতে পারল সেটা বড় কথা নয়- বরং অভিভাবক হিসেবে আপনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করলেন, সেটাই বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
🐾
মনে রাখবেন, আপনি- আমি এই গুরুদায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের ঘরে ঘরে তখন ঐশীরা জন্ম নেবে, বন্ধুদের আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে আপনি আপনার মেয়ের লাশ উপহার পাবেন, গভীর রাতে বন্ধুর সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরার পথে সন্দেহজনক ভাবে এক্সিডেন্ট এ নিহত হবে আপনার প্রিয় সন্তান টি!
🐾
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত হওয়ার আগেই সম্ভব হলে ছেলে মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে ছাত্রজীবন শেষ হবার আগেই। শিক্ষাজীবন শেষ হবার আগ পর্যন্ত অভিভাবক গণ তাদের পরিবারের ভরন পোষণ এর দায়িত্ব নিন। তাতে আস্তে আস্তে রাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন সম্মিলিত ভাবে, জনমত গঠন করে।
🐾
ধীরে ধীরে ব্যক্তি, সমাজ পেরিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই ব্যাপারে প্রচার, প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা নিন।
🐾
নয়তো বিশ্বাস করুন এই নৈতিক চূড়ান্ত অবক্ষয়ে আমার দেশের অধিকাংশ যুব সমাজকে নিমজ্জিত রেখে এই ভূখন্ডের কাংখিত সমৃদ্ধি, উন্নয়ন কখনোই সম্ভবপর হবে না।
🐾
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের আবহমান সংস্কৃতিকে লালন করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতির বল্গাহীনতায় গা ভাসিয়ে নয়, নিজেদের স্বকীয়তাকে উর্ধে তুলে ধরেই আমরা আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাই। অনাগত প্রজন্মের কাছে আমাদের, অভিভাবকদের দায়বদ্ধতা ও এটি নি:সন্দেহে।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

নিখোঁজ সংবাদ

 

আহমদ হোসাইনঃ পেকুয়া থানার অন্তর্গত ফাঁশিয়াখালী বারাইয়াকাটা নিবাসী মোহাম্মদ মামুনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল বাকি (ইমন) বয়স ১৪ বছর।

গতকাল ৬/১/২০২১ ইংরেজী তারিখে সকাল ৭ টার সময় বারাইয়াকাটা কামিল মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তি নিজ বাড়ি থেকে সাতকানিয়া চিববাড়ী মহিলা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকেন নীচের নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করা হল।
01815543329
অথবা
01824027381

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

বৃহত্তর রংপুর তথা গাইবান্ধার কৃ‌তি সন্তান যি‌নি গরীবের ডাক্তার হিসাবেও পরিচিত ‌ড. এজাজুল ইসলাম।

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বৃহত্তর রংপুর তথা গাইবান্ধার কৃ‌তি সন্তান যি‌নি রোগী দেখার ফি শিথিলযোগ্য করার জন্য গরীবের ডাক্তার হিসাবেও পরিচিত ‌ যার নাম ড. এজাজুল ইসলাম।

এজাজুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মূলত একজন ডাক্তার। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন। এর পর তিনি দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি তারকাঁটা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।
এজাজুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এজাজ একজন ডাক্তার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন। তিনি সরকার নির্ধারিত ৩০০ টাকা ফিতে রোগী দেখেন। তার ভিজিট ফি কম হওয়ায় তাকে গরীবের ডাক্তার নামে ডাকা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে এজাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
অনেকের পোস্ট দিয়েছে দেখলাম আজকে ওনার জন্মদিন। তবে গুগলে সার্চ দিয়েও জন্মতারিখটি পেলাম না। যা-ই হোক আপনাকে সৃষ্টিকর্তা গরীব রোগীদের সেবা করার তৌফিক দান করুক।
আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
সংগৃহীত

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী