বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

বিভিন্ন প্রকার দলিল

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ি জমির দলিল মোট ৯ প্রকার

(১) সাফ-কবলা দলিল
(২) দানপত্র দলিল
(৩) হেবা দলিল
(৪) হেবা বিল এওয়াজ দলিল
(৫) এওয়াজ দলিল
(৬) বন্টন নামা দলিল
(৭) অছিয়তনামা দলিল
(৮) উইল দলিল
(৯) নাদাবি দলিল
কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফাকবালা বা বিক্রয় কবলা বা খরিদা কবালা বলা হয়। এই কবালা নির্ধারিত দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর দলিল দাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সহি সম্পাদন করে গ্রহিতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন। এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফছিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রিত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিল দাতা হতে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহিতাতে অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। দলিলদাতা ময় ওয়ারিশানক্রমে উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।
#দানপত্র দলিলঃ
যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এই দানপত্র দলিলে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদানের দান করতে হবে। স্বত্ব সম্পন্ধে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।
#হেবা দলিলঃ
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা অর্থাৎ দানপত্র দলিল, এই দলিল কোনকিছুর বিনিময়ে নয়, কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়। কিন্তু এই হেবা শর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, কট রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে। স্বত্ব সম্বন্ধে দাতার কোনরূপ দাবী থাকলে সেই দান বা হেবা শুদ্ধ হবে না এবং তা যে কোন সময় বাতিলযোগ্য। এরূপ দানপত্রে দাতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।
#হেবা_বিল এওয়াজঃ
এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয় বটে। কিন্তু ইহা কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, যেমন- পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ, তছবিহ, মোহরানার টাকা, এমন কি যে কোন জিনিষের বিনিময়েও হতে পারে, যেমন আংটি ইত্যাদি। এই হেবা বিল এওয়াজ দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল প্রকার ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং দাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে। দাতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব দাতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এই হেবা বিল এওয়াজ অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে। এই হেবা বিল এওয়াজ যদি টাকা বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশী সূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা বিল এওয়াজ মুলে দান করে থাকে তা হলে শরীক কর্তৃক জানার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে প্রিয়েমশান করতে পারে।
#এওয়াজ দলিল:
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সহিত তাহাদের লপ্ত ও সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর এওয়াজ পরিবর্তন করতে পারেন। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলো+: ক এর জমি খ এর বাড়ীর নিকট এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর নিকট। উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত। কাজেই ক তার জমি খ কে এবং খ তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল। একেই এওয়াজ পরিবর্তন দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।
শরিকগণের মধ্যে সম্পত্তি ক্রমে নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের বাবদ যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে। একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের, যথা- উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিক হতে পারে খরিদ সূত্রে শরিক। ইংরেজীতে বলা হয় কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিটেন্স এন্ড কো-শেয়ারার বাই পারচেজ। বন্টননামা দলিল করবার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে ও দস্তখত করে বন্টননামা দলিল করতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা। বন্টননামা দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বন্টন করে সকল পক্ষগণ যদি বন্টননামা দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বন্টননামা কার্যকরী হতে পারে। যদি শরিকগণের আপোষ মতে বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি কাউকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সকলকে না দিয়ে যদি একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তাহার উত্তরাধিকারীগণ দাবী উত্থাপন করেন তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারী দের মধ্যে সকলেই হবেন।
#উইল দলিল:
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবত কালে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।
#নাদাবী দলিল:
কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্ত্বাধিকার নাই মর্মে অথবা স্বত্ত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এরূপ দলিলকে নাদাবী দলিল বলে ।।
সংগৃহীত ।।

সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ব্যাংকের এমডি ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৫ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসান। দেশব্যাপী একসাথে ১২ টি কেন্দ্রে ১১ টি ব্যাংকসহ ৩৩টি ফাইনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনের মোট ৪৭০০ পরিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।

রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

স্ত্রীকে সাত টুকরা করে কাজে যান স্বামী

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন মনিপুর এলাকায় ৭ মার্চ ২০২১ তারিখ রোববার সকাল থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। 
কৌতূহলী হয়ে বিকেলের দিকে স্থানীয় বাড়ির মালিক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন একটি ব্যাগ খুঁজে পান। ব্যাগ খুলে বের হয় এক নারীর খণ্ডিত মস্তক। জাকির চিনতে পারেন, ওই নারী তাঁর বাড়িরই ভাড়াটে পোশাককর্মী রেহেনা আক্তার (২০)। কিন্তু তাঁর স্বামী জুয়েল আহমেদকে (২৫) গতকাল সকালেও কারখানায় যেতে দেখা গেছে। ওই সময়ই রেহেনার স্বামী জুয়েল কারখানা থেকে ফিরে এলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করেন। পুলিশকেও ডাকা হয়। 
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই জুয়েল জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন তিনি। এরপর বঁটি দিয়ে সাত টুকরা করে কয়েকটি ব্যাগে ভরে কয়েক জায়গায় ফেলে দেন। তাঁর দেখানোমতে মৃতদেহের অন্য টুকরাগুলো আশপাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী জুয়েল গত দুই রাত ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত রেহেনা সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার ইসলামপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে। তাঁর স্বামী (গ্রেপ্তার) জুয়েলও একই গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক কারখানার শ্রমিক। এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তখন থেকে তাঁরা মনিপুর এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে কলহ চলছিল। প্রায়ই ঝগড়া–বিবাদ হতো। তুচ্ছ ঘটনায় জুয়েল স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে জানান পাশের অন্য ভাড়াটিয়ারা।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম জানান, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী জুয়েল গত দুই রাত ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তারের পর জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে সাত টুকরা করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সৌজন্যেঃ নাগরিক বাংলা24

বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

সু‌খের অ‌ভিনয়ঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ
বুকের মাঝে কত কষ্ট চেপে ছে
যায়নাতো মুখে কিছু বলা,
জীবনের নিয়মে চলছে জীবন
থামেনা কভু তার পথ চলা।
সারা দিনমান হাটি লি ফিরি
মুখে সুখের মিছে হাসি,
ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছাই
ছে বুকে ব্যাথা রাশি।
চাইতে পারিনা কারো কাছে
যায়না বলা কোনো কিছু,
ধৈর্য্য রে য়ে যাই সব
সংকট ছাড়েনা পিছু।
সারাদিন কত দৌড় ঝাপ লে
শুধু দুটো রোজগারের আশায়,
তবুও মাস শেষে বাকী ড়ে যায়
আপন হিসা খাতায়।
সুখ নামক পাখিটার পিছে
ছুটে লি মোরা সারাময়।
সুখ কভু কপালে জুটেনা
রে যাই শুধু সুখের ভিনয়।

মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

ইসলাম কি এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে, বাজারের নায়ক,গায়ক,খেলোয়ার দিয়ে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে?

 

আমাদের বাংলাদেশ 24 ডেস্কঃ 
মানুষ যখন পানিতে ডুবে যেতে নেয় তখন একটি কাষ্ঠ টুকরো, খড়কুটো আঁকড়ে ধরে হলেও বাচতে চায়। একটি কচ্ছপ যদি দেখতে পায় মৃত্যুর ঐ মূহুর্তেও এই আশায় বুক বাধে যে এই কচ্ছপ যদি তাকে পারে নিয়ে যেতো!

পরাজিত জাতির ইতিহাস যেমনই হোক তাদের অবস্থা থাকে অনেক করুণ। তাদের চিন্তায় চেতনায় পরাজিত ভাব ফুটে সর্বক্ষণ সর্বাবস্থায়।

আচ্ছা ইসলাম কি এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে, বাজারের নায়ক,গায়ক,খেলোয়ার দিয়ে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে? হায় আফসোস! কিভাবে তৈরী হলো এই মন মানসিকতা! (?) ইসলাম কি নায়ক-নায়িকা নর্তক -নর্তকি, গায়ক-গাইকা,খেলোয়াড় এইসব ফাসেক ফুজ্জার কবিরা গুনাহকারীদের ইসলামী রীতিনীতি পালনের মাঝে?

তাহলে কেনো তারা যখন ইসলামের কোনো একটা রীতিনীতি, বিধান পালন করে আমরা তাতে খুশিতে গদোগদো হয়ে যাই(?) হাজারো গুনাহের কারণ, হাজারো মানুষের কবীরা গুনাহ করানো ব্যক্তি যখন মাঠে সিজদা দেয় আমরা তো খুশিতে গদোগদো কেন হই? যখন নায়ক গায়ক স্টেজে উঠে কোন ইসলামিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসলামের একটু কথা বলে আমরা এত খুশিতে গদোগদো কেন হই? যখন তাগুতের তাগুত কর্মী মাহফিলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামের নামে উচ্চস্বরে চিৎকার করে স্লোগান দেয় আমরা এত খুশিতে গদোগদো কেন হই (?)

এগুলা পরাজিত জাতির নিন্দিত অবস্থান। ইসলামকে ইসলামের মেজাজে থিউরিতে না বুঝে নিজেদের মেজাজে থিউরিতে বুঝতে চাই। ইসলামকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেভাবে বুঝাতে চেয়েছেন সাহাবায়েকেরাম যেভাবে বুঝেছেন আমরা সেভাবে না বুঝে নিজেদের মতো করে বুঝে ব্যখ্যা করে আমল করতে চাই।

আর ইসলাম এতটা অসহায় হয়ে গিয়েছে যে আমাকে নেশাখোর নায়েকের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে অথচ সে কবীরা গুনাহে লিপ্ত মদখোর গায়কের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে অথচ সে সমাজ নষ্ট কারী, অমুক তাগুতের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে ইসলাম পৌঁছে দিতে হবে ইসলাম বুঝাইতে হবে কাছে টানতে হবে ইত্যাদি ব্লা ব্লা ব্লা।

অথচ এরা ইসলামের ধ্বংসকারী এরা ইসলামের ক্ষতিকার কারী। যুগে যুগে এরা ইসলামকে ধ্বংস করেছে এরা মানুষদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, এরা ইসলাম সম্পর্কে মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়েছে নিজেরাও ক্ষতি,ভুলের উপর জীবন যাপন করেছে মানুষদেরকে তাই করিয়েছে।
এরা ইসলামকে বিকৃতি করেছে। হারামকে হালাল করেছে।

আর আমরা এদের মাথায় নিয়ে নাচি। আমাদের মন-মানসিকতা চিন্তাভাবনা এমন যেন এরা ইসলামের অনেক বড় খাদেম এদের দ্বারা ইসলামের অনেক উপকার হচ্ছে এদের দ্বারা ইসলাম বিজয় হয়ে যাবে। আফসোস আমাদের জন্য।

এই গায়ক হারাম মিউজিক দিয়ে গান করে, নারী-পুরুষ এক সাথে পার্টি কন্সার্টে গান করে নাম দিয়েছে ইসলামী সংগীত। এখন আবার ইয়াহুদীদের সাথে ছবি তুলছে,ইন্টারফেইথের মত কুফরকে প্রচার করছে আর বলছে পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে। যাদের ঈমান ঠিক নেই আমল ঠিক নেই, উম্মাহকে গোমরাহ করে চলছে এদের প্রতি আমাদের এত উদারতা কেনো(?) এদের প্রতি আমাদের এত ভালোবাসা থাকবে কেনো(?)

হায় আফসোস আজ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থাকলে কি করতেন (?) সমস্যা হলো আমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের চাইতে বেশি দরদী, আমরা সাহাবায়ে কেরামের চাইতো ইসলামের বেশি দরদী।
Collected 
See Less 

শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান লাভের উপায়!

 বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে বাড়ছে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা। সংসার জীবনে দীর্ঘ হচ্ছে হতাশার ছাঁয়া। অনেকে ডাক্তার দেখিয়ে ক্লান্ত হচ্ছেন, অনেকে ধরণা দিচ্ছেন পীরের দরবারে। অনেকে ধরণা দিচ্ছেন যিনিই সত্যিকারে সন্তান দিতে পারেন সে মহান আল্লাহর কাছে। কিন্তু কিছুতেই সন্তান হচ্ছেনা। কিন্তু কেন?

রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীদের জীবনী পড়লে দেখা যায়, তারা যখন কোন অকল্যাণ দেখতে পেত, তখন চিন্তায় পড়ে যেত হয়তো তারা দ্বীনের ক্ষেত্রে ভুল করেছেন। দেখা যেত, হয়তো নিজেদের অলক্ষ্যে কোন সুন্নাত অনুসরণ থেকে পিছিয়ে পড়েছেন, তখনি নিজেদের শুধরিয়ে নিতেন। আর আল্লাহর রহমত আসতে দেরী হতোনা।
আল্লাহ চাহেতো আপনার বন্ধা স্ত্রীর গর্ভেও সন্তান দিতে পারেন। যেমন দিয়েছিলেন, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বন্ধা স্ত্রী সায়েরা (রাঃ) এর গর্ভে। আসুন আমরা কারণ খোঁজার আগে আল্লাহ কি বলছে তা জেনে নিই।
فَقُلۡتُ ٱسۡتَغۡفِرُواْ رَبَّكُمۡ إِنَّهُ ۥ كَانَ غَفَّارً۬ا .
يُرۡسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيۡكُم مِّدۡرَارً۬ا .
وَيُمۡدِدۡكُم بِأَمۡوَٲلٍ۬ وَبَنِينَ وَيَجۡعَل لَّكُمۡ جَنَّـٰتٍ۬ وَيَجۡعَل لَّكُمۡ أَنۡہَـٰرً۬ا
“বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো অতিশয় ক্ষমাশীল; তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য বাগানসমূহ তৈরি করবেন ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।”
(সূরা নুহ ১০-১২)
লক্ষ্য করুন, আল্লাহ বলছেন তিনি সমৃদ্ধ করবেন সন্তান-সন্ততিতে। কিন্তু একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো শর্তটা কি? অর্থগুলো প্রথম থেকে আবার পড়ে আসুন। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করা হবে। অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের কোন কাজ কিংবা সকল কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট। তাই তিনি আমাদেরকে সন্তান দেন না। আমাদের (স্বামীর অথবা স্ত্রীর অথবা উভয়ের) এমন কোন আচরণ কিংবা কাজ রয়েছে, যা আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয়। তাই আল্লাহ আমাদের সন্তান দিচ্ছেন না।
তাফসীরে কুরতুবিতে একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়, এক ব্যক্তি হযরত হাসান আল বাসরির (রঃ) নিকট এসে দোয়া চেয়ে বললেন - ”আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন আমাকে একজন সন্তান দিয়ে রহম করার জন্য।” উত্তরে তিনি বললেন – “আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো।”
হাসান আল বাসরিও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই ভাই ও বোনেরা, আসুন আমরা নিজেদের নিয়ে একটু পর্যালোচনা করি। নিজেদের দোষ খুঁজে বের করি। এমন কিছু কাজ খুঁজে বের করি, যার জন্য আল্লাহ আমাদের উপর অসন্তুষ্ট। আর তাওবা করি। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেছেন,
”হে আদম সন্তান! যাবৎ তুমি আমাকে ডাকবে এবং ক্ষমার আশা রাখবে, তাবৎ আমি তোমাকে ক্ষমা করব। তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে থাকে অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার নিকট উপস্থিত হব।’’ (তিরমিযী, হাসান)
আসুন, ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি। আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন, শহীদ মতিউর রহমান নিজামী’র লেখা বই, “আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়”।
আর বেশি বেশি করে নিমোক্ত দোয়ার মাধ্যমে কল্যাণ চাইতে থাকি,
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
’হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সূরা ফুরকান ৭৪)
رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
হে, আমার পালনকর্তা! আপনার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা আলে-ইমরান ৩৮)
আমরা যদি, তাওবাতুন নাসুহার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারি, ইনশাল্লাহ তিনি আমাদের নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান দান করবেন।
Collected

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ বিঘ্নের বিজ্ঞপ্তি

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ চট্টগ্রাম ওয়াসা চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ বিঘ্নের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেক করা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের জলবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসার মড-২ আওতাধীন এলাকায় হিজরা খালে স্থিত কাপাসগোল ব্রিজ স্থানে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন পুনর্বাসন কাজ চলমান আছে। পাইপ লাইন পুনর্বাসনের জন্য আগামী ১৭/২/২০২১ খ্রিঃ রোজ বুধবার রাত ১২:০০ ঘটিকা হইতে পরবর্তী ৩৬ ঘন্টা পানি সরবরাহ বন্ধ রাখিতে হইবে।

ফলে কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনের আওতাধীন এলাকাসমূহ যথাক্রমে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চকবাজার, ডিসি রোড, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তৎসংলগ্ন এলাকা, সিরাজুদ্দৌল্লাহ রোড, কাপাসগোলা রোড, বহদ্দারহাট, বাড়ইপাড়া, খাজারোড, প্রবর্তক মোড়, সুগন্ধ্যা আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, শুলকবহর (আংশিক), চাঁনমিয়া সওদাগর রোড ও তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকিবে। 

সম্মানিত গ্রহকবৃন্দের সামিয়িক অসুবিধার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আন্তরিকবাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আমাদের বিয়ের বয়স এ বছর ১৪ পেরুবে।

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24:পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েটা হয় মেডিকেল থার্ড ইয়ারে থাকতে। আশেপাশের যেকোন প্রেম মেনে নেয়া সমাজকেই তখন কেন জানিনা আমাদের বিয়েটাকে মেনে নিতে অনেক হট্টগোল এবং মানসিক কসরত করতে দেখেছি।


প্রেম করলে লেখাপড়ার যদি ক্ষতি হয়, বিয়েতে নাকি ক্যারিয়ারের রীতিমত সর্বনাশ! তার উপর সম বয়সী জামাই-বউ ধ্বংস যেন অনিবার্য। দু'জনই মহা প্যাড়ার মধ্যে দিয়ে গেছি! একটা মেয়ের ২১-২২ বছর বয়সে বিয়ে তাও মানা যায়! এই বয়সী একটা ছেলে বিয়ে করবে!! সে যেন এক ছি! ছি অবস্থা।

একজন ঢাকা মেডিকেলে আরেকজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে পড়ি। শুরু হল আমাদের হাইওয়ে সংসার। একে লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ, তার উপর ২ টা ভিন্ন মেডিকেল, তার উপর ছিলাম ৭ টাকা/৩ টাকা প্রতি মিনিট কল রেটের জামানায়! ইন্টারনেট নাই। এ যেন, 'মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ' মার্কা অবস্থা!

প্রায় ১৪ বছর আগে আমাদের নতুন সংসারের খরচ চলতো গুণে গুণে। বাসা থেকে থাকা-খাওয়ার খরচ আসতো।পড়া যাতে নষ্ট না হয় তাই দু'জন ১ টা করে টিউশনি করতাম। আমাদের মাথায় ছিল, বাবা মায়ের যত সামর্থ থাকুক না কেন আমাদের শখ আহ্লাদ মেটানোর দায়িত্ব নিতে তারা বাধ্য নন। তাই নিজেদের শখের লাগাম নিজেদেরই টানত হবে। আর এভাবেই আমরা বেশ ভাল ছিলাম। শখ আর সাধ্য মিলিয়ে নিলে, সাথে লোক দেখানো ব্যাপারটা নিয়ে খুব মাথা ব্যথা না থাকলে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা খুব সম্ভব বলে আমাদের দু'জনেরই বিশ্বাস।জীবন থেকেই শিখেছি।

আমরা মেডিকেল লাইফে খুব আনন্দ নিয়ে পড়েছি।
একজন অন্যজনের মাস্টার ছিলাম ঠিকই তবে দুজনের কেউই আঁতেল ছিলাম না!
আস্তে আস্তে মোবাইল কল রেট যখন কমল ডিজুস রাত জাগা অফারে - কতক্ষণ আর 'তোমাকে ছাড়া আমার চলেনা' বলা যায়! আইটেমের পড়া ও নিজেদের মধ্যে ডিস্কাস করার অভ্যাস করে ফেললাম। এই ডেমো খাওয়া এবং ডেমো দেওয়ার আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা - আমাদের মধ্যে অদ্ভূত রকম ভাল ছিল! তাই বড়সড় ফেইল ছাড়াই মেডিকেল লাইফটা ভালই কেটেছে।

আমরা দু'জনই আমাদের মাতৃত্ব এবং পিতৃত্ব ব্যাপারটা মন থেকে খুব ভালবেসেছি। আমাদের ৩ সন্তান আমাদের পড়ায় কখনো বাঁধা হয়নি বরং ওরাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। প্রতিটি pregnancy তে অসম্ভব মাত্রায় Emotionally draining & Physically intolerable অবস্থায় গেলেও কেবল একসাথে শক্ত থাকা এবং একে অন্যের পড়ার খেয়াল রাখাতে আমরা যেটা পেরেছি সেটা হল, শিক্ষাজীবনে বড়সড় কোন গ্যাপ ছাড়া মাত্র ৬ মাস আগে পরে আমরা দু'জন কম বয়সেই আমাদের পোষ্টগ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করি।

আমার বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ ছিল নিজের কাবিনের টাকা হাতে পাওয়া যে ব্যাপারটাতে আমি নিজে কিনা বিন্দুমাত্র সিরিয়াস ছিলাম না!

বিয়ের অনেক বছর পর এক দুপুরে এতোগুলো টাকা হঠাৎ নিজের একাউন্টে আসতে দেখে জামাই কে ফোন দিলাম হন্তদন্ত হয়ে! সে বলল- অস্থির হবার কিচ্ছু নেই। বিয়ের কাবিনটা যখন হয় সেটা তখন ওর সামর্থের পুরোপুরি বাইরে ছিল। তাই একটু একটু করে ও টাকাটা জমিয়েছে যাতে পুরো টাকা টা আমি পাই। বউ মাফ করলেই মাফ টাইপ ন্যাকা ন্যাকা নাটকে না পড়ি! এবং টাকাটা ও ই দেয়, আমার শ্বশুর নন কারন এটা ওর উপরে ফরজ। কাবিন কোন ছেলেখেলা না। এটা নাকি আমার অধিকার! বিয়ে কোন মজা না। এটা একটা worship for the sake of Allah.

আমি আসলেই ঘুণাক্ষরে ও কল্পনা করিনি যে, সংসারের এতো খরচ সামলে একজন মানুষ এতো সিরিয়াসলি আমার একটা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ভেতরে ভেতরে এতোটা অবিচল হতে পারে!

হাদিসে এসছে - বিয়ে, সন্তান, হজ্বের নিয়তে নাকি আয় বাড়ে। আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি কারন এর সত্যতা আমি নিজেদের জীবনে দেখেছি। আমার সিম্পলি মনে হয়েছে, এই বিষয়গুলো আমাদের মানুষ হিসেবে পরিপক্ক এবং অনেক বেশি দায়বদ্ধ করে।অহেতুক বিনোদন, অকারন সময় নষ্টের ফাঁদ থেকে বাঁচায়। আমাদের পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি হয়। আমরা বুঝি, Temptation এর দুনিয়ায় নিজের সব Desire মিটিয়ে নেয়াই সুখ না, সুখ টা অন্যের জন্যে দায়িত্ব নেয়া, অন্যের জন্যে ছাড় দেয়া, অন্যকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই আসে - হোক সে স্বামী/স্ত্রী,সন্তান বা পরিবার।

প্রেম আমাদের কাছে কখনোই 'বিনোদন' ছিল না বরং ছিল 'দায়িত্বশীলতা' শব্দটিরই সমার্থক।

এই আমাদের কাছে আসার সাহসী গল্প।

কুরআনের একটা আয়াত আমার বড্ড প্রিয় এবং এই আয়াতটা নিজের অজান্তেই আমার চোখ ভিজিয়ে দেয়-"অতঃপর, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামত কে অস্বীকার করবে?"
(May Allah grant a house for us in His jannah.)

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী