বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন : চান্দগাঁও জামায়াত

Gas
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার নেতৃবৃন্দ গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে। সরকার কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বার বার গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে এর কি প্রভাব পড়ছে সরকার তার কোন তোয়াক্বাই করছে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মালিক জনগণ। সরকারের সকল কাজের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনস্বার্থে। কিন্তু সরকারের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুত সরকারের সেবাখাত এই খাতকে কিছুতেই ব্যবসায়িক পণ্য বানানো যাবে না। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য কিছুূতেই বাড়ানো উচিত নয়। প্রয়োজনে এই খাতে ভর্তুকী দিয়ে জনগণকে সুবিধা দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনস্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের সদস্য (রুকন) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দএই দাবী জানান। ২৮ আগষ্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদস্য (রুকন) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এম.এম. হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে আলতাফ, মোঃ রফিক, আবু আফরিন, জসিম, ইসমাইলসহ থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা

২৪ আগস্ট ২০১৫, সোমবার, 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তি না দিয়ে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ প্রদত্ত এক বিবৃতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার হীন উদ্দেশ্যেই তাকে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 
অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে জেলগেট থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি না দিয়ে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করে সরকার তার উপর জুলুম করেছে। সরকারের এ ধরনের অন্যায় আচরণ সম্পূর্ণ বে-আইনী ও অমানবিক। 
অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তি না দিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সরকার আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। সরকারের এহেন জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

ঢাবি শিক্ষক ড. আজিজের শাস্তি দাবি মহিলা জামায়াতের

শীর্ষ নিউজ, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাবিলা ইকবালকে বোরকা পরার কারণে ক্লাস বের করে দেওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি বেগম শামছুন্নাহার নিজামী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে শামছুন্নাহার নিজামী বলেন, “বোরকা পরিহিতা ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে ড. আজিজুর রহমান ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছেন। ধর্ম পালনে বাধা দিয়ে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের ঈমানের ওপর আঘাত দিয়েছেন। ধর্মীয় অধিকার ভোগ করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকারে বাধা দান সম্পূর্ণ বেআইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যে এত জঘন্য চরিত্রের হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ড. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শীর্ষ নিউজ/বিজ্ঞপ্তি/জেএ
২৩ আগস্ট ২০১৫ 

ক্রসফায়ার নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে- চান্দগাঁও থানা জামায়াত

বাংলাদেশ বার্তা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার নেতৃবৃন্দ আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন,কোন ধরনের  ক্রসফায়ার,  আইনের শাসনের বিকল্প হতে পারে না। ক্রসফায়ার নয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত সাড়ে সাত মাসে দেশে ১২২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকারে পরিণত হয়েছে। একটি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। নেতৃবৃন্দ বলেন, অপরাধী যেই হউক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার করে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-যুবদল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিরাপরাধী নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সকল হত্যাকান্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে ক্রসফায়ার নাটকের ইতি টানার আহবান জানান।
চান্দগাঁও থানা জামায়াতের মাসিক রুকন সভায় নেতৃবৃন্দ এই সব দাবী জানান।
বাংলাদেশ বার্তা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত আমী জনাব অবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক রুকন সভায় অন্যান্যের মধ্যে সর্বজনাব আলতাফ উদ্দীন, মোঃ রফিক, আবু আফরিন, জসিম উদ্দীন, ইসমাইলসহ থানা ও ওয়ার্ড  নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

নষ্ট ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্যই নিজ দলের নেতা-কর্মীদের ক্রসফায়ারে দেয়া হচ্ছে


বাংলাদেশের দৈনিক নিউ এজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময় ক্রসফায়ারের যেসব কথা বলেছে, সেগুলো মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ সরকার রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তরুণদের হত্যা করেছে।
আবার গত চার/পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন দলের তরুণরা নানাভাবে উৎপাত করে মানুষের এত বেশি বিরাগভাজন হয়েছে যে, তা সরকারি দলের জন্যই অত্যন্ত বিব্রতকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় সরকার নষ্ট ভাবমূর্তিকে পুনরুদ্ধারের জন্য এখন নিজেদের কর্মীদের বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ড (ক্রসফায়ার) চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, এই ঘটনাগুলোর মধ্যদিয়ে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কোনো বিচার পাওয়া যায় না। এ কারণে সরকারও মনে করছে নিজেদের কর্মীদেরকেও হত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। এটা বাংলাদেশসহ যে কোনো সমাজের জন্যই ভয়ানক বিষয়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড বেড়েছে -অধ্যাপক মুজিব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান কর্তৃক মনোবিজ্ঞানবিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাবিলা ইকবালকে বোরকা পরার কারণে গত মঙ্গলবার শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দেয়ার জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, বোরকা পরিহিতা ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারী সকলের জন্যই পর্দা করা ফরজ। এ ফরজ পালনে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে বোরকা পরার কারণে শ্রেণীকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে ড. আজিজুর রহমান ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম দেশে এ ধরনের ঘটনা ভাবতেও অবাক লাগে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ ধরনের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ড. আজিজুর রহমান সরকারের সমর্থক হওয়ার কারণেই এ ধরনের জঘন্য কাজ করার সাহস পেয়েছেন।
অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

'গনতন্ত্র ও জামাতে ইসলামী' :ব্যারিস্টার মুহাম্মাদ আবু বকর মোল্লা


ණ☛ জামাত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কিছুই গ্রহণ করেনি করবেনা ইনশাল্লাহ গনতন্ত্রের বা যেকোনো তন্ত্রের যেই অংশটুকু ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সেই অংশটুকু আমরা গ্রহণ করিনি , করবনা ইনশাল্লাহ। আমাদের আদর্শ ইসলাম , ইসলাম সবার উপরে ইসলামের সাথে খাপ খেয়ে যতটুকু গণতন্ত্র বা যেই তন্ত্রই থাকুক ততটুকু নিতে সমস্যা নেই ; ইসলামের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নাহলে এবং মানবতার জন্য কল্যাণকর হলে তা গ্রহণ করতে ইসলাম বাধা দেয়নি এন্ড উসুল আল ফিকহ। 
ණ☛ এর একটি উৎস হলো উর্ফ (urf ) যেমন ব্যাঙ্কিং সিস্টেম আগে ছিলনা মুসলিম সমাজে কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিশেষভাবে আল্লামা মওদুদী র. বাংকিং সিস্টেমকে ইসলামিকিকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। পাশ্চাত্য ব্যাঙ্ক প্রচলন করেছে বলে আমরা তা বাদ দেইনি বরং আমরা সুদকে বর্জন করেছি বাংকে নয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেম কে ইসলামের আওতায় নিয়ে এসে কল্যাণকর অর্থনৈতিক সিস্টেম এর লক্ষে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে ইনশাল্লাহ। 
ණ☛ গনতন্ত্রের কমিটমেন্ট যদি হয় : মানবাধিকার রক্ষা করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। মানব সভ্যতার মধ্য থেকে বর্ণ বৈষম্য দূর করা সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, মানুষের সম্মান প্রতিষ্ঠা করা, বাকস্বাধীনতা দেয়া তাহলে এগুলোর কথাতো ইসলাম গণতন্ত্রের জন্মের বহু আগেই আগে বলেছে। , আব্রাহাম লিঙ্কনের জন্মের বহু আগেই আল্লাহর রাসুল স. এগুলো বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রে! কিন্তু গণতন্ত্রের নামে যদি ইসলামের মূলনীতির বিরুদ্ধে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়, প্রস্তাব করা হয় সেটি অবশ্যই আমরা বর্জন করি এবং করব ইনশাল্লাহ আমরা আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি মানুষ শুধু দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা আমরা গণতন্ত্রের এক্সট্রিম ব্যখা গ্রহণ করিনা। 
ණ☛ আমরা গণতন্ত্রের নামে পুরুষ কে মহিলা বানানো এবং মহিলাকে পুরুষ বানানোর তন্ত্রে বিশ্বাস করিনা আমরা মনে করি সভ্যতার যে ব্যপার গুলো, সিস্টেমগুলি ইসলামের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর তা গ্রহণ করতে ইসলামী শরিয়াহ অ্যালাও করে। 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউকে ও ইউরোপের মুখপাত্র।

জামায়াত নয় বরং জামায়াত বিরোধীরাই মৌলবাদী! : রাকেশ রহমান


ණ☛ কেউ চলে গেলেন পৃথিবী থেকে আবার কেউ জন্ম নিবেন বা ঐ দিনই জন্ম হয়েছেন পৃথিবীতে এটাই স্বাভাবিক। তবে কার মৃত্যু দিবসে কেউ জন্মাতে পারবে না বা ঐ দিন জন্মালে কেউ আনুষ্ঠানিক ভাবে বলতে পারবে না এইটা তো স্বাভাবিক না বরং এইটা মৌলবাদীতা বা একে বলে মৌলবাদ। এখন জানার বিষয় মৌলবাদটা আসলে কি যেই মৌলবাদের দোহাই বার বার চাপিয়ে দেওয়া হয় ২০ দলীয় জোটের জামায়াত ও বিএনপি'র উপর। মৌলবাদ হচ্ছে কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বা বাহু বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। 
ණ☛ সততা হচ্ছে এইটাই যে আমি আমার নিজেকে খুব ভালো চিনি কোনটা আমার ভালো কোনটা আমার খারাপ তা আমি ভালই জানি কিন্তু আমার খারাপ দিকগুলো খুব সুন্দর করে অন্যের উপর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে চাপিয়ে দিয়ে আমার বিরোধী শক্তিকে দমন করার মাধ্যমই হচ্ছে এক ধরনের মৌলবাদ । সত্যি কথা বলতে ভালো মানুষ কখনো জোর করে ভালো হয়ে সম্মান আদায় করে না এটা পরীক্ষিত। মানুষ সম্মানিত হয় তার কর্মের মধ্যে দিয়ে। কর্ম যেমন নির্ধারণ করবে মৃত্যুর পরে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কোথায় যাবে বেহেস্ত না দোযখে ঠিক অন্যান্য ধর্মাবলীর মানুষও বিশ্বাস করে যে কর্মের ফলেই পৃথিবীতে হয়তো সেই মানুষ আলোচনা ও স্মরণে থাকবে হাজার বছর। অথচ কর্ম যদি আমাদের সেই জায়গা গুলো করে দিতে না পারে আমরা যতোই চেষ্টা করি না কেন বা যতই বাহু বল প্রয়োগ করি না কেন লাভ হবে না বরং ক্ষতি হবে যা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য নিজের জন্য নয়। 
ණ☛ এই কথাগুলো যাদের বোধগম্য হতে কষ্ট হয় বা যে সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা শুধু মাত্র নিজের জীবনে রাজনীতির ফসল প্রতিফলন করতে বা করিয়েছেন সেই সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইতিহাসের পাতায় ঘৃণিত এবং সময়ের পরিবর্তনে তারা আলোচিত থেকে সমালোচিত হয়ে রয়েছেন এবং হচ্ছেন। ঠিক একই ভাবে আমাদের দেশ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গুলোর ভিতরে যারা বিশেষ করে বার বার ক্ষমতা বা সরকার হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন বা করছে। অপর দিকে একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে রয়েছে যারা বার বার ক্ষমা চেয়ে অথবা ভিন্ন কৌশলে ক্ষমতায় এলে বার বার ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি , অন্যায় , অত্যাচার জুলুম করে পিছন পথ অবলম্বন করে ক্ষমতায় জোর করে এক নায়কতন্ত্র ব্যবস্থা করে। এক নায়কতন্ত্র বা বাকশালী প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় যারা ব্যাকুল তারাই হচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচার সরকার অর্থাৎ মৌলবাদী দল। 
ණ☛ আমার রাজনীতি থেকে পাওয়ার কিছু নেই, শুধু সাধারণ জনগণের অন্তরের অন্তরস্থলের কষ্টের সমাধানের চেষ্টায় নিজেকে সামিল করা ছাড়া। আমি সত্যি কথা বলি বা লিখি এতে কারো পক্ষে গেলেও আমার করার বা সুবিধা নেওয়ার কিছু নেই কারন নিজের চিন্তায় মগ্ন আমি নয়। যেখান থেকে আমাকে বাধা দেওয়া হবে সেখান থেকেই আমি সুন্দর সমাধানের মাধ্যমে জনগণের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেই যাবো ইনশাল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী কেন মৌলবাদের উর্দ্ধে তা সংক্ষেপে জেনে নেইঃ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। যেই দলের পরিকল্পনা সুদূর মেয়াদী তাদের কর্মের বাস্তবতা যুগ থেকে যুগান্তরের ফসল। জামায়াতে ইসলামীদের মূল উদ্দেশ্য একটি সেটা হচ্ছে শুধুমাত্র, কেবল মাত্র, একমাত্র ইসলামের মূল্যবোধের আলোকে ও দ্বীন প্রচারের মাধ্যমে অগ্রগতি। সব রাজনৈতিক দলের একটি দর্শন রয়েছে তেমন জামায়াতে ইসলামীর দর্শন হচ্ছে ইসলামী দর্শন। যেই দর্শনে পরিপূর্ণতা রয়েছে ইসলামী বিধান। ইসলামী বিধানের বাহিরে জামায়াতের কর্মীও হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই সেখানে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। 
ණ☛ সত্যি বলতে আমি আমার জানার ইচ্ছে থেকেই জেনেছি। তাই সত্যি কথা তুলে ধরতে আমি উপর আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাইনা। জামায়াতে ইসলামের একজন কর্মী সম্পর্কে আমরা জানি তাহলে বুঝবো তেমন আদর্শবান ছাড়া জামায়াতের শীর্ষে উঠে আসা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে বহু রাজনৈতিক দল রয়েছে কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেই কারণেই ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লক্ষস্থানে। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা রাজনীতি করে পেশা হিসেবে আর জামায়াতের রাজনীতি করতে নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আসতে হয় এবং পাশাপাশি আত্নত্যাগ, উদারতা ও উচ্চ মানের মন মানসিকতা অত্যাবশক অবশ্য ব্যতিক্রম কিছু চারিত্রিক বিকলঙ্গ লোক ছাড়া। জামায়াতে ইসলামী যদি মৌলবাদের দল হয় তাহলে সর্ব প্রথম তারা এতো দিনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে উত্তপ্ত করে ফেলতো। বরং তা না করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা নিজের জীবনের আত্নত্যাগের মাধ্যমে যে নিদর্শন বাংলাদেশের মাটিতে বপন করে যাচ্ছে তা ভবিষ্যতে ঠিকই জেগে উঠবে সর্বত্র বিজয়ের মাধ্যমে। 
ණ☛ জামায়াতের নেতা কর্মীরা গত ৭ বছর ধরে যেভাবে নিশ্চুপ ভাবে নির্যাতিত , গুম খুন হচ্ছে তার কিঞ্চিৎ যদি বহিঃপ্রকাশ ঘটাত তাহলে বর্তমান সরকার এতো দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারত না। বরং সেই বহিঃপ্রকাশ জামায়াতে ইসলামী দেখায়নি বা দেখাবেও না, কারণ জোর করার রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাসী নয়। জামায়াতের কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত একটি শিক্ষা তারা দিয়ে থাকেন সেটা হচ্ছে -যেমন মানুষের শরীর; যদি কারো হাত পা বা অন্য কোন অঙ্গ পতঙ্গে কেটে যায় তাহলে আমরা সরাসরি মাথায় ব্যাথা অনুভব করি তেমনি জামায়াতের কোন নেতা কর্মীর কিছু হলে সরাসরি জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও একই কষ্ট বা ব্যাথা অনুভব করে। এই অনুভূতির কারণেই জামায়াতের একতা কেউ ভাঙতে পারবে না। শুধু তাই না নির্যাতিত নেতা কর্মীদের ক্ষয় ক্ষতির সাহায্য সহযোগিতা জামায়াত করতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। জামায়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাহু বলে নয় বরং মন জয়ের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করে জাতির কাছে তুলে ধরা , তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দ্বীন প্রচারে মানুষের উপকার করে আত্নার সম্পর্ক গড়ে তোলা। জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার ছাড়া বাস্তবে তাদের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আন্তরিকতা ছাড়া জামায়াতের ভিতরে কোন রকম অহংকার স্বার্থপরতার বহিঃপ্রকাশ একেবারেই নগন্য। জামায়াতের আরও একটি বড় আকর্ষণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বাছাই করা। 
ණ☛ আওয়ামীলীগের শুরুটা ভালোই ছিল কিন্তু বাস্তবতা খুবই কঠিন স্বার্থপরতা ও মৌলবাদীতায় পরিপূর্ণ। দলের ভিতর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একেবারেই নেই। দলটির প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায়ন। প্রথম থেকেই ৭১'এর পরবর্তী চার বছর সময়কার চিত্র পরিস্কার করে দেয় আওয়ামীলীগের অবস্থান। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা করার প্রয়োজন এই দলটি তাই করে থাকে। যেমন - নীতিগত ভাবে বহু দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধারা ও ৭১'এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রভাবিক ব্যক্তিত্বরা দেশের স্বার্থে আওয়ামীলীগ বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি আদর্শবান নেতা সিরাজ সিকদার সহ অসংখ্য দেশপ্রেমিকদের জীবন দিয়ে হয়েছিল ৭১'এর পরবর্তী সময়ে। স্বাধীন দেশে পরাধীনতায় নিম্নজিত হতে হয়েছিল গোটা জাতিকে। তাই ৭৫'এ শেখ মজিবুর রহমান নিহত হলে গোটা জাতি নফল নামায ও রোজা রেখে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছিল। এই মুক্তির স্বাদের প্রতিফলন হিসেবেই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ শেখ মুজিবর রহমান নিহত হবার পর ফের আবার যখন ' কাদেরীয়া বাহিনী ' বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল তাদের অর্থাৎ কাদেরীয়া বাহিনীর সদস্যের প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে প্রতিহত করেছিল। শুধু মাত্র বাকশালী প্রতিষ্ঠা ও শেখ মুজিবর রহমানের মৌলবাদীতার কারণেই ৭৫'এ জনপ্রিয়তা শূন্য অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছিল শেখ মুজিবর রহমানকে। যার পর দীর্ঘ ২০ বছর পর আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেই শুরু করে দিল আবার তাদের পুরনো ঐতিহ্যের পথে চলা। যার মাসুল দিয়েছিল ২০০১ এর নির্বাচনে। ২০০১ এর নির্বাচনে ভরাডুবি আবার ভাবতে শুরু করে এবং সফল হয় ১/১১'এর নীল নকশায়। বিএনপি ও জামায়াতের জোটের জোট ভাঙ্গার জন্য মৌলবাদী ভূমিকায় পুরোপুরি সক্রিয় আওয়ামীলীগ সরকার। 
ණ☛ বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের জগন্য সময় মানুষ আজ অতিবাহিত করছে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। এই ভবিষ্যৎবাণী অবশ্য প্রায় ১৫ বছর আগেই শেখ হাসিনার সাবেক সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মৃত মতিউর রহমান রেন্টু তাঁর বই " আমার ফাঁসি চাই " গ্রন্থে হুঁশিয়ারি করেছিলেন যা আজ হুবুহু মিলে যাচ্ছে। আমি নিজ জীবনে যা দেখার দেখেছি খুব কাছ থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে। এখন দেখা ও উপলব্ধি করার পালা দেশবাসীদের যা যথারীতি দেখছে ও ফল ভোগ করছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তব চিত্র বলে, আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ভিতরে পরিপূর্ণ মৌলবাদের ও মৌলবাদীতার সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 

লেখক : কলামিস্ট ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, এনডিপি।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করে কার্যত একদলীয় শাসন চালু করায় ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে - ডা: শফিকুর রহমান


সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের ব্যাপক সন্ত্রাস ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেশে এক দু:সহাবস্থা বিরাজ করায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ এবং তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুন, নারী ধর্ষণ, অন্যের জমি দখল, শিশু হত্যা, শিশু ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চাঁদা না দেয়ায় স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মারপিট, শিশুদের পিটিয়ে হত্যা, আধিপত্য বিস্তারের জন্য সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলা -গুলীর মত জঘন্যতম অপরাধের ঘটনা ঘটছে। 
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনীতি দমনের হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিরোধী দলের নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিরোধী দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের মাসের পর মাস জেলখানায় আটকিয়ে রাখায় দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বিনাবিচারে ক্রসফায়ার দিয়ে তাদের দলীয় কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অথচ এই সরকারের সাড়ে ছয় বছরের শাসনামলে বিরোধী দলের শত শত নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে পায়ে গুলী করে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আবার কাউকে কাউকে গুম করে দুনিয়া থেকে গায়েব করা হয়েছে। বিরোধী দল থেকে এ ব্যাপারে বার বার প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তা বন্ধ করা হয়নি। এখনো তা চলছে। আমরা বরাবরই বিনাবিচারে মানুষ হত্যার বিপক্ষে। 
তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কয়েকজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অথচ এরাই বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে বহু মায়ের বুক খালি করেছে, অসংখ্য মা-বোনকে বিধবা বানিয়েছে এবং নিষ্পাপ শিশু সন্তানদেরকে এতিম বানিয়ে ক্ষমার অযোগ্য জঘন্য অপরাধ করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা পারস্পরিক যোগসাজস ও ভাগাভাগি করে মানবতাবিরোধী এ সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি দলের নেতা ও কর্মীদের মায়াকান্না জাতিকে আরো বেশী উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের এক নেতা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ছাত্রলীগের হাজারীবাগের সভাপতিকে টাকার বিনিময় র‌্যাব হত্যা করেছে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বুঝা যায় দেশের আইনÑশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে? তাই এ বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার। 
তিনি সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া ও বন্দুক যুদ্ধের মত বেআইনী এবং মানবতাবিরোধী এ কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের যে কোন নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কেউ কোন অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও যথাযথ বিচারের মাধ্যমে শাস্তির বিধান না করে এভাবে বিনাবিচারে হত্যা করার কোন অধিকার বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্র এবং জনগণ সরকারকে দেয়নি। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট অপকর্মকারীদের তৈরি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কবর রচনা করে কার্যত দেশে একদলীয় শাসন চালু করার কারণে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদান এবং এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

যে কারণে মক্কা-মদিনায় হিন্দু খ্রিস্টানরা প্রবেশ করতে পারে না।

#ডা. জাকির নায়েকের প্রশ্ন উত্তর পর্বে নানাজন নানাভাবে প্রশ্ন করে থাকেন।
#একবার এক হিন্দু মেয়ে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা ডা. জাকির! আপনি বলে থাকেন, হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান সবাই ভাই ভাই। আমরা সবাই যদি ভাই ভাই হয়ে থাকি তাহলে মক্কা-মদিনায় প্রবেশ করতে পারি না কেন?
#মেয়েটির প্রশ্নের প্রশংসা করে ডা.জাকির নায়েক বলেন, আপনার বাসা কোথায়?
মেয়েটির উত্তর : ইন্ডিয়ায়।
★জাকির নায়েক : জন্মস্থান কোথায়?
#মেয়েটির উত্তর : ইন্ডিয়ায়।
বোন আপনি কি জানেন, ইন্ডিয়ায় বসবাস বা ইন্ডিয়ায় জন্ম নিয়েও আপনি ইন্ডিয়ার এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না?
#মেয়েটির উত্তর, না, এমন কোনো জায়গা থাকতে পারে না। আমি ইন্ডিয়ার সব জায়গায় প্রবেশ করতে পারি।
#ডা. জাকির নায়েক ফের বলেন, আপনি সব জায়গায় প্রবেশ করতে পারলেও একটা জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না। আর সেটা হলো ক্যান্টনমেন্ট। এখানে তাদেরই প্রবেশ করতে দেয়া হয়, যারা দেশের যেকোনো কল্যাণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। বোন ইসলামের একটা ক্যান্টনমেন্ট আছে, সেটা হলো মক্কা ও মদিনা শরিফ। এখানে তারাই প্রবেশ করতে পারে, যারা আল্লাহর জন্য জানমাল দিতে পারে। আপনি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’- এই ক্লাবের পাসপোর্টধারী হলেই আপনি মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ করতে পারবেন।
ডা. জাকির নায়েকের এমন চমৎকার উত্তর শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। প্রশ্নকারী হিন্দু মেয়েটি মাথা নিচু করে নিজ আসনে বসে যান।

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী