বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় শিবিরের প্রতিক্রিয়া

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  মীর কাসেম আলী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার-ছাত্রশিবির
প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনালে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রহসন মূলক রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখাকে ন্যায়ভ্রষ্ট উল্লেখ করে বিবৃতি প্রদান করেছে ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মীর কাসেম আলী। তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় নির্ধারিত ছকে প্রহসনের রায় দিয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনাল। এই রায় ন্যায় বিচারের ইতিহাসকে করেছিল কলঙ্কিত। জনগণ আশা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানেও জাতিকে অবিচারের নমুনা দেখতে হলো। এই রায়ে ন্যায় বিচারের প্রতিফলন হয়নি বলে মনে করে জনগণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা, সাক্ষী ও তদন্ত সব ছিল বানোয়াট। চট্টগ্রামের যে ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হয়েছে তার সাথে মীর কাসেম আলীর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত তথ্য প্রমানাদি এবং সে সময়ে দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রকাশ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ করে তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন।
মীর কাসেম আলীর পক্ষে চট্টগ্রামের দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষী দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৭ সালে জন্ম নেয়া সাক্ষী আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে এ মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্য রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছিলেন যে ‘আপনাদের ডকুমেন্টেই রয়েছে, ঘটনার সময় মীর কাসেম আলী ঢাকায় ছিলেন’। তার কথায় রেশ ধরে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, যে এর পর আর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগের ঘটনার বিবরণে ভিন্নতা ও তথ্যে অসংলগ্নতা ছিল স্পষ্ট। তারপরও কিভাবে তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা যায় তা বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের প্রশ্ন। কোন বিশেষ মহলকে খুশি করতেই এই রায় বহাল রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সামান্যতম বিবেচনা বোধ সম্পন্ন মানুষ এ রায় মেনে নিতে পারেনা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বার বার ন্যায় বিচার থেকে একজন নিরপরাধ মানুষকে বঞ্চিত করা চরম অমনাবিকতা। ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ জায়গা থেকেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়া জাতির জন্য চরম দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়। যা জনগণকে বিচার বিভাগের উপর আস্থাহীন করে তুলবে। আমরা সরকারকে এ অপরাজনীতি ও বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে মীর কাসেম আলীসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী