বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫

ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম মারা গেছেন


ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 
আজ শিলংয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় অকস্মাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ)তে রাখা হয়। সেখানে তারমৃত্যু হয় বলে খবর দিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই।
এতে বলা হয়, এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্য দিতে দিতেই তিনি পড়ে যান। ৮৪ বছর বয়সী আবদুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খাসি হিলসের এসপি এম খারক্রাং এ কথার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এপিজে আবদুল কালাম।

জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ


১. ঈমান না আনা 
২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
৩. অহংকার করা
৪. চোগলখোরি ও পরনিন্দা করা
৫. আত্মহত্যা করা
৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা
৭. হারাম খাওয়া
৮. উপকার করে খোটা দেয়া
৯. তক্দীর (ভাগ্যের লিখন) অস্বীকার করা
১০. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
১১. মদ, গাঁজা ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
১২. গণক
১৩. ঋণ পরিশোধ না করা
১৪. পুরুষ বেশধারী নারী
১৫. দাইয়ুস
১৬. বৃদ্ধ ব্যভিচারী
১৭. মিথ্যাবাদী শাসক
১৮. অহংকারী দরিদ্র
১৯. কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক এবং যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার নিকট নেই
২০. মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী অমুসলিমকে হত্যা করা
২১. বিশ্বাসঘাতক শাসক
২২. মানুষকে প্রহার করা
২৩. মহিলাদের পর্দা হীনতা (একশটি কবীরা গুনাহ বই থেকে)

প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত ‘Rx’ চিহ্ন দিয়ে যা বোঝায়


প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহৃত ‘Rx’ চিহ্ন নিয়ে কয়েকটি মতবাদ প্রচলিত আছে। প্রথমত, Rx হল বৃহস্পতি গ্রহের Astrological সাইন আর বৃহস্পতি গ্রহের নাম ইংরেজিতে Jupiter যা কিনা রোমানদের মতে দেবতাদের রাজা। Rx লেখা হয় এই জন্য যে প্রেসক্রিপশনে লিখা পথ্যের উপর যেন রোমান দেবতা Jupiter শুভদৃষ্টি দেন এবং রোগী আরোগ্য লাভ করে।
এছাড়া, চিকিৎসা শাস্ত্রের অভিধান মতে, Rx একটি ল্যটিন শব্দ যা ‘recipe’ ও ‘to take’ এই দুটো মানে বোঝায়। মূলত এই RX প্রতীকটি এসেছে একটা ল্যাটিন শব্দ থেকে। শব্দটা হল Recipe, যার অর্থ হল ‘আপনি নিন’। প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে ‘উটচাট’ বা ‘হোরাসের চোখ’ নামে এক ধরনের কবচের প্রচলন ছিল। হোরাস হচ্ছেন একজন স্বাস্থ্য দেবতা। ‘হোরাসের চোখ’ নামে যে কবচ প্রচলিত ছিল তা অনেক রোগ প্রতিরোধ করত। এই কবচের প্রাথমিক আকৃতি অনেকটা হেরাসের চোখের মত ছিল। তবে এটা নানান জিনিস দিয়ে তৈরি করা হত।
এভাবে এটি ব্যবহৃত হতে শুরু করে এবং কালক্রমে এটি ব্যবস্থাপত্রে চলে আসে। তবে অবশ্যই এটি ব্যবস্থাপত্রে আসার পেছনে দেবতার অনুগ্রহে রোগ নিরাময়ের একটা ব্যাপার থেকেই যায়। ভিন্ন মতানুসারে, Rx বলতে R = Refer to এবং X = Jesus Christ, অর্থাৎ Rx = Refer to Jesus Christ, মানে ‘যিশুর নামে পড়া শুরু করুন’। যেমন আমরা বলি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বা ‘মহান আল্লাহর নামে পড়া শুরু করছি’, ঠিক সেরকম।
X শব্দের ব্যাখ্যা: X দ্বারা জেসাস ক্রাইস্ট বা যিশু খ্রিস্টকে বোঝানো হয়। যেমন Xmas দ্বারা বোঝানো হয় ক্রিসমাস। উল্লেখ্য, X দ্বারা গ্রিক অক্ষর “Chi”কে নির্দেশ করে, যা দ্বারা গ্রিক ভাষায় সংক্ষেপে ক্রাইস্ট বা যিশুকে বোঝানো হয়ে থাকে। কেউ কেউ বলে থাকেন, Rx মানে Report extended। আপনার শরীরের সমস্যা বা রোগ নির্ণয় করে ‘এক্সটেন্ডেড’ যে রিপোর্ট করা হয় যাতে পরবর্তী পদক্ষেপ বর্ণিত থাকে বিধায় এখানে Rx লেখা থাকে।
লেখক: ডা: মো. এনামুল হক মনি (পিএইচডি গবেষক, কোরিয়া)
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

কাবা শরিফ সাঁতরানো সেই কিশোরের ইন্তেকাল

কাবা শরীফ পানিতে ডুবে গেছে, আর একজন সাতার কেটে তওয়াফ করছে, ৭৪ বছর পুরনো সাদাকালো এই ছবিটি যিনিই দেখেছেন তিনিই অবাক হয়ে তাকিয়ে ভালো করে বোঝার চেষ্টা করেছেন ছবিটির মর্মার্থ কি ? কাবা শরিফ যে ভ্যালিতে আল্লাহর নির্দেশে তৈরী হয়েছে সেখানে বেশি বৃষ্টি হলে সবসময়ই পানি জমে যেতো। ১৯৪১ সনে একাধারে ৭ দিন বৃষ্টি হওয়াতে ৬ফুট পানি জমে গিয়েছিলো কাবার চারপাশে। বাহরাইনের ১২ বছর বয়সী শেখ আলআওয়াদী তখন মক্কায় দ্বীনি স্কুলের ছাত্র। ২০১৩ সনে কুয়েত আল রাই টেলিভিশনে তিনি তার স্মৃতি চারণে বলেন, “বন্যার পানিতে মানুষ, যানবাহন, আর গবাদি পশু ভেসে যেতে দেখেছি। ৭ দিন পর বৃষ্টি থামলে আমর ভাই হানিফ, বন্ধুবর তিমবাক্তুর মালিয়ান শহরের মোহাম্মদ আল তাইয়িব, ও আলী থাবিত, আর ইয়ামেনের এডেনের হাসিম আল বার, আর আমাদের শিক্ষক তিউনিসের আব্দুল রউফ মিলে কাবা শরীফের বন্যার অবস্থা দেখতে যাই। বাচ্চারা পানি দেখলে যা করে আমরাও তাই করলাম, মাথায় আসলো সাতরিয়ে তওয়াফ করবো। যা ভাবা তাই, আমরা চারজন পানিতে ঝাপিয়ে পড়লাম।পুলিশ হই হই করে উঠলো, আমরা কালো পাথর চুরি করার নিয়তে পানিতে নেমেছি কিনা। আমি সাতরাতে সাতরাতে পুলিশকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, আমি শুধু সাতরিয়ে তওয়াফ করব ৭ বার, পুলিশ তার স্বভাব সুলভ খবরদারী করেই চলছিলো। ইতিমধ্যে আলী থাবিত আর মোহাম্মদ আল তাইয়িব ক্লান্ত হয়ে পড়লে কাবা শরীফের দরজার ওপর বসে থাকে, উদ্ধার হবার আশায়।” তিনি বলেন, “আমার ভয় হচ্ছিলো যে পুলিশ আমাকে গুলি করে না বসে আবার আনন্দ হচ্ছিলো এই ভেবে যে, পৃথিবীতে কেউ কোনদিন এই ভাবে কাবা প্রদক্ষিন করেনি, আমিই প্রথম। তাই ভয় আর আনন্দের মিশ্র অনুভুতি নিয়ে আমি কাবার চারপাশে সাতরিয়েই চললাম। পরবর্তীতে জানতে পেরেছিলাম, পুলিশের রাইফেলে আসলে গুলি ছিলোনা।” শেখ জানান তিনি তত্কালীন মক্কার বুড়ো মানুষদের কাছে জানতে চেয়ে ছিলেন তারা এরকম বানের পানি আগে দেখেছেন কিনা, তারা কস্মিন কালেও এত পানি দেখেননি বলে খবর দিয়েছেন। ২০১৫ র মে মাসের ১৬ তারিখ ৮৬ বছর বয়সে শেখ আল আওয়াদি বাহরাইনে ইন্তেকাল করেন। তার ছেলে আব্দুল মজিদ ২০ বছর আগে হজ্জ করতে গিয়ে তার বাবার ছবির পোস্টার কপি কিনে এনেছিলো মক্কা থেকে পিতার জন্যে উপহার হিসাবে। প্রতিটি মুসলমান জানে কাবাঘর আল্লাহর হুকুমে বানানো একটি প্রতিকী ঘর, মুসলমানরা এই ঘরের দিকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্যেশ্যে সেজদা, প্রনতি করে, কাবাঘর বা এর আনুসঙ্গিক কালো পাথর, মাকামে ইব্রাহিম এগুলির পূজা করেনা কেউ, তাই অনেকবার কাবা পানিতে ডুবে গেছে, আগুন লেগেছে, কালো পাথর খুলে নিয়ে গেছে বহু বছরের জন্যে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। আব্বাসীয় খলিফাদের উদ্ধার পর্বে ভাঙ্গা পাথরটির সব টুকরাও পাওয়া যায়নি হয়তো, এখন রুপোর বেষ্টনী দিয়ে আটকানো আছে বাকিগুলি সেই থেকে। মহা বিশ্বের যেকোনো উপাদান দিয়ে তৈরী কোনো জিনিষ স্থায়ী নয়, এগুলি সবই আল্লার সৃষ্ট বস্তু নীচয় । আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা, চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, মুসলমানরা শুধু আল্লাহরই উপাসনা করে। সৃষ্ট কোনো কিছুরই পূজা ইসলামে নেই। সূত্র : বিডি-টুডে 

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?

আনারস ও দুধ নিয়মমাফিক সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খান 

আনারস খুব উপাদেয় ফল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। রয়েছে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি। তবে আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেক সময় ছোটদের এ খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন। তবে আসলেই কি এ রকম হয়? আসুন জেনে নিই আসলে কী হয় আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার।’
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।’  
একই বিষয়ে কথা হয় হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ও মেডিসিন বিভাগ ডা. শ আ মোনেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমন কখনো দেখিনি যে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেয়ে মানুষ মারা গেছে। এটা একটা কুসংস্কার। আমরা তো অনেক সময় ডেজার্ট, কাস্টার্ড বা স্মুদিতে আনারস-দুধ একত্রে মিশিয়ে খাই। এগুলো খেলে তো কোনো সমস্যা হয় না।’ 
অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘আনারস একটি এসিডিক খাবার। আর দুধ হলো অ্যালকালাইন বা ক্ষার। দুধ যদি পাস্তুরিত না হয়, তবে কাঁচা দুধ ও আনারসের সমন্বয়ে শরীরে বিক্রিয়া হতে পারে। দুধের সঙ্গে আনারসের সঠিক সমন্বয় না হলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের বেলাতেও একই বিষয় হতে পারে।’
তামান্ন চৌধুরী আরো যোগ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ই পাইনা অ্যাপেল কাস্টার্ড, ডেজার্ট, পাইন অ্যাপেল স্মুদি, পাইন অ্যাপেল মিল্ক সেক, পাইন অ্যাপেল সালাদ, পাইন অ্যাপেল ইয়োগার্ট ইত্যাদি খাই। এতে সমস্যা হয় না। কারণ এগুলোর মধ্যে খাদ্যের সঠিক সমন্বয় থাকে এবং নিয়মমাফিক বা সঠিক নিয়মে বানানো হয়। আর হয়তো এক গ্লাস দুধ খেলেন, পাশাপাশি আনারস খেয়ে নিলেন তাহলে সঠিক খাদ্যের সমন্বয় হয় না। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমন্বয় না হওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা, বদ হজম, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা নেই।’ 
তবে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আনারস আর দুধ বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে খাবার বানানো হয় এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয় থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। দুধ ফুটিয়ে নিলে বা প্রসেস করে নিলে টক্সিটিক বিষয়টি আর থাকে না, তখন খাওয়া যেতে পারে। তাই আনারস-দুধ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয়ে খাওয়া যেতে পারে।’

 এনটিভি অনলাইন

হাঁড়িতে রেখে শিশুর হাড় বাঁকা করে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে


শিশুদের পঙ্গু করতে একটি নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। আসলে শিশুর জন্মের আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিন্ডিকেট প্রথমে সম্ভাব্য ‘মা’কে টার্গেট করে। প্রয়োজনে টাকা দেয়। জন্মের পর শিশুটিকে একটি হাঁড়িতে রাখা হয়। এভাবে চলে প্রায় ১৫ দিন। খেতে দেয়া হয়। এই খাবার খাওয়ার পর শিশুটি বেড়ে ওঠে। কিন্তু এই বেড়ে ওঠা স্বাভাবিক নয়। হাঁড়িতে থাকে বলে শিশুর কচি হাড় বেঁকে যায়। ঢাকার কয়েকটি জায়গায় এভাবে শিশুদের পঙ্গু করার ‘কারখানা’ চলছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি ও রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরগুলোতে শিশু-পঙ্গুর কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে জন্মের পর ১০-১৫ দিনের জন্য নবজাতককে বড় পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যে রেখে দেয়া হয়। সেখানে রেখেই নবজাতককে দেয়া হয় প্রয়োজনীয় খাবার। ফলে সেখানে থাকতে থাকতেই বেঁকে যায় নবজাতকের কচি হাড়, এই বাঁকা হাড় তার সারা জীবনের সঙ্গী হয়। এভাবেই একটি শিশু পরে চিরস্থায়ী ভিক্ষুকে পরিণত হয়। ইচ্ছা করলেও ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আর ফিরে আসতে পারেন না স্বাভাবিক জীবনে। যে সিন্ডিকেট এই ভিক্ষুক তৈরি করে তারা ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাইকোর্ট এলাকার কোরবান আলী, জহির, মাসুদ, ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার এলাকার মহব্বত আলী, করিম শেখ, আব্দুল জব্বার, মহাখালী এলাকার রহমান ফকির, জাহাঙ্গীর, কমলাপুরের আব্বাস মিয়া, কাল্লু ফকির ও রশীদ মণ্ডল প্রমুখ জড়িত। এছাড়া বিভিন্ন এলাকাভেদে স্থানীয় রাজনীতিক ও সন্ত্রাসী বাহিনী ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবজাতক শিশুকে স্থায়ী পঙ্গু ভিক্ষুক বানানোর প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করে ভিক্ষুক সিন্ডিকেট। প্রথমে তারা দরিদ্র বাবা-মাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাত করে নেয়। এক্ষেত্রে ভিক্ষুক বাবা-মাকে লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে তারা। পরে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে গর্ভধারণে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গর্ভকালীন সময়টাতে ঐ দম্পতিকে কিছু টাকা-পয়সাও দেয় তারা। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর শুরু হয় সিন্ডিকেটের দ্বিতীয় ধাপ। এ পর্যায়ে তারা নবজাতক শিশুকে পঙ্গু বানানোর কাজটি করে থাকে। বয়স দুই সপ্তাহ অতিক্রম হওয়ার পর একটি বড় মাটির পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যে রাখা হয় নবজাতককে। এক্ষত্রে বেছে নেওয়া হয় রেললাইনের পাশের বস্তির কোনো ঝুপড়ি ঘর। বাঁচিয়ে রাখার জন্য পাতিল বা হাঁড়ির মধ্যেই ফিডারের মাধ্যমে শিশুটিকে সরবরাহ করা হয় দুধ। এভাবে ১০-১৫ দিন রেখে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বেঁকে যায় শিশুটির কচি হাড়। এরপর নবজাতককে পাতিল/হাঁড়ি থেকে বের করা হয়। এরপর শিশুটির শরীরে যেভাবে বাঁক ধরে সেভাবেই শুইয়ে রাখা হয় বিছানায়। তৃতীয় ধাপে শুরু হয় পঙ্গু শিশুকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির প্রাথমিক কাজ। এ পর্যায়ে মা বাচ্চাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা প্রার্থনা করেন। সময়ের সাথে সাথে বেড়ে ওঠে পঙ্গু শিশু। এরপর সে চলে যায় সিন্ডিকেটের খপ্পরে। চতুর্থ ধাপে নিজেদের স্বার্থে পঙ্গু শিশুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় সিন্ডিকেট। মাসিক ৫-৬ হাজার টাকা দেয়ার বিনিময়ে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয় তাকে। পঙ্গু শিশুর বাবা-মাও মাসিক ৫/৬ হাজার টাকা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। আর এই পঙ্গু ভিক্ষুককে দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার টাকা পকেটে পুরে ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের নেতারা।
দেশবরেণ্য শিশু বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান বলেন, জন্মের পর একজন নবজাতকের শরীরের হাড় (বোন) খুবই নমনীয় থাকে। এই সময়টাতে শিশুদের ‘বোন ডেভেলপমেন্ট’ হয়। ফলে নবজাতক শিশুকে যেভাবে রাখা হয় তার শরীরের প্রতিটি হাড় সেভাবেই গড়ে ওঠে। বিজয় সরণি সিগন্যালে কথা হয় পঙ্গু শিশু শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তার বয়স আনুমানিক ১০ বছর। মায়ের সঙ্গে সে ভিক্ষা করে হাইকোর্ট মাজার এলাকায়। দিনে আয় ৫০০-৬০০ টাকা। ঈদ, পূজা ও অন্যান্য উৎসব আর ছুটির দিনগুলোতে তার আয় বেড়ে যায়। প্রতিদিন পাওয়া ভিক্ষার টাকা কী করে, এমন প্রশ্নে মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায় শরিফুলের মুখ। সে বলে, ‘পুরোটা পাইলে তো এতদিনে বহুত টাকার মালিক হইয়া যাইতাম। মানুষ অফিসে চাকরি করে, আমি করি রাস্তায়। আমারও বস আছে। আমার বেতন মাসে পাঁচ হাজার। বাকিটা বসের।’
গুলশান এলাকায় দেখা যায় ভিক্ষারত শিশু কবিরকে (ছদ্মনাম)। বয়স ১২-১৩ বছর। তার দুই পা ও দুই হাত অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো। মাটিতে ভর দিয়ে সরীসৃপের মতো এগিয়ে চলে সে। সিগন্যাল পড়লেই দাঁড়ানো গাড়ির জানালার কাছে গিয়ে ভিক্ষা প্রার্থনা করে। মনের খেদে এ প্রতিবেদককে সে বলে, ‘অনেকেই কয় ঢাকার ফকিররা ভিক্ষা করে ফ্ল্যাট-গাড়ি কইরা ফ্যালাইছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের হাতে-পায়ে ধরে ভিক্ষা নেয়। কিন্তু কপালের পরিবর্তন হয় না। বাড়ি-গাড়ি ঠিকই আছে, তা আমাগো না। আমাগো যারা কন্ট্রোল করে তাদের টাকার শেষ নাই।’ সেই সঙ্গে এ প্রতিবেদককে তার নাম-ঠিকানা না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘আপনাকে আমি এসব বলছি জানতে পারলে বস মাইরাই ফ্যালাবো আমারে।’

মগবাজার সিগন্যালে কথা হয় রাকিব হোসেনের সঙ্গে (৯)। তার হাত, পা, মেরুদণ্ড ও ঘাড় অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো। কিভাবে এই পঙ্গুত্ব এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, ‘শুনছি জন্মের পর আমি সুস্থ ও দেখতে ভালা আছিলাম। পরে কিভাবে এমন হইল বলতে পারি না। শুধু আমিই না, আমার মতো আরো অনেকেই আছে যারা জানে না কিভাবে পঙ্গু হইছে।’
সমাজকল্যাণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে প্রায় এক লাখ স্থায়ী ভিক্ষুক। এর মধ্যে অনেকেই শিশু। শিশু ভিক্ষুকদের মধ্যে সিংহভাগেরই হাত বা পা নেই, অস্বাভাবিক বড় মাথা, কঙ্কালসার দেহ, অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো হাত ও পা। চলাফেরায় একেবারই অক্ষম। সৌজন্যঃ আজকের পত্রিকা

বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়ার পথে ঢাকা কলেজের জাহিদ হাসান.......


এরকম আরো একটা কণার অস্তিত্ব থাকতে পারে, ৮৫ বছর আগেই প্রথম জানিয়েছিলেন হারম্যান ভাইল নামে এক বিজ্ঞানী। ভাইলের সেই কণাকে গবেষণাগারে শনাক্ত করে ফেললেন আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান। সত্যেনবসুর বোসন আবিষ্কারের ৯১ বছর পর আরেক বাঙালি গবেষকের নেতৃত্বে আবিষ্কৃত হলো নতুন গ্রুপের একটি কণা, যা আবিষ্কারের পর কেবল তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান পাল্টে যাবে না, ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটার দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার সায়েন্স পত্রিকা 'সায়েন্স'-এ জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে গবেষক দলের এ সাফল্যের খবর ও 'ভাইল ফার্মিয়ন' কণার সন্ধান মেলার প্রামাণ্য তথ্য বিশদভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। জাহিদ হাসান তাতে জানিয়েছেন, ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুতগতির ও অধিকতর দক্ষ ইলেকট্রনিক্স যুগের সূচনা হবে। কেমন হবে সেই নতুন যুগের ইলেকট্রনিক সামগ্রী? অধ্যাপক হাসানের কথায়, এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে আরো কার্যকর নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বাজারে এসে যাবে, যা ব্যবহারে তাপ সৃষ্টি হবে না। তিনি বলেন, কারণ ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। তৈরি হবে নতুন প্রযুক্তির কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিক নানা সামগ্রী।
★এম জাহিদ হাসান ছোটবেলায় ঢাকার ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেন। ঢাকা কলেজের সাবেক এই
ছাত্রের পিএইচডি স্টানফোর্ডে। এরপর শিক্ষকতা ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ায়। এখন প্রিন্সটনে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষকতা করছেন তিনি। পৃথিবী, যাবতীয় গ্রহনক্ষত্র, নদী-নালা, সমুদ্র, পর্বত, প্রাণিজগৎ, গাছপালা, মানুষ
— সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার পিণ্ড।
মহাজগতের এসব বস্তুকণাকে বিজ্ঞানীরা দুটি ভাগে ভাগ করেন। একটি 'ফার্মিয়ন', অন্যটি 'বোসন', যা আবিষ্কার করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্র নাথ বসু, তার নামেই 'বোসন' কণা। 'ফার্মিয়ন' কণার একটি উপদল হলো 'ভাইল ফার্মিয়ন'। ১৯২৯ সালে বিজ্ঞানী হারম্যান ভাইল এই 'ভাইল ফার্মিয়ন' কণার অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিলেন, তার নামেই এই অধরা কণার নামকরণ হয়েছিল। ১৯২৯ সাল থেকেই পদার্থবিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন 'ভাইল ফার্মিয়ন'-এর অস্তিত্ব প্রমাণের। ৮৫ বছর ধরে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্ধান মিলল সেই অধরা কণা 'ভাইল ফার্মিয়ন'-এর।
★অধ্যাপক জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, মোট তিন ধরনের ফার্মিয়নের মধ্যে 'ভিরাক' ও 'মায়োবানা' ফার্মিয়নের খোঁজ আগেই পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বহু পরীক্ষায় দীর্ঘদিনেও 'ভাইল ফার্মিয়ন'-এর সন্ধান না মেলায় মাঝে তারা ভেবেছিলেন, নিউট্রিনোই সম্ভবত ভাইল ফার্মিয়ন। কিন্তু পরে এ ভাবনা পরিত্যক্ত হয়েছে। কারণ নিউট্রিনোর ভর আছে, ভাইল ফার্মিয়ন ভরশূন্য। অবশেষে তার সন্ধান মিলল। ইলেকট্রনিক্সের নবযুগ আসন্ন।

অ্যালুমিনিয়ামে রান্না ডেকে আনছে মৃত্যু!

কথায় বলে না, 'কু-পাত্রে দান'। অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষেত্রে কথাটা একদম ঠিকঠাকভাবে খাটে। কারণ অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করার পর সেই খাবার যে পরিমাণ 'বিষ' শরীরে ঢোকে, তা থেকে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমনকী এই বিষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
প্রত্যেক বাড়িতেই কম-বেশি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রেই রান্না করা হয়ে থাকে। এই পাত্রগুলিতে তেমন ভালো কোটিং থাকে না। বেশিরভাগ পাত্রে তো থাকেই না। ফলে রান্না করার সময় পাত্র থেকে অ্যালুমিনিয়ামের অংশ খাবারে মিশতে থাকে। লক্ষ্য করে থাকবেন, বেশ কিছু দিন ব্যবহার করার ফলে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ক্ষয়ে যায়, বা নীচের দিকে ফুটো হয়ে যায়।
রান্না করার সময় হাতা-খুন্তি নাড়ানোর জন্য ওই অ্যালুমিনিয়ামের বেশিরভাগটাই খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। পরে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর সব থেকে খারাপ যেটা তা হল, এই অ্যালুমিনিয়াম আমাদের শরীরে বাসা বেঁধে থেকে যায়। সহজে তা বের করা যায় না। 
চিকিত্‍সকদের মতে, অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে মিশে থাকে ক্ষতিকারক আয়ন। মূলত এটাই শরীরের পক্ষে মারাত্মক খারাপ। কী করে এই আয়ন? এই আয়ন ব্রেন বা মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। দীর্ঘ দিন ধরে এই আয়ন ব্রেনের সূক্ষ টিস্যুগুলোর ক্ষতি করতে থাকে।
এর ফলে ডেমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার রোগ হয়। অ্যালঝাইমার্স হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণও এই আয়ন। তাঁদের মতে, অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রের বদলে স্টিলের পাত্রে রান্না করা অনেক নিরাপদ। এতে রান্না করা খাবারে কোনও ক্ষতিকারক বস্তু শরীরে ঢোকে না।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সব পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে সাধারণের তুলনায় বেশি ক্লান্তি লাগতে পারে। সময়-অসময়ে ঘুম পাওয়া এর অন্যতম লক্ষ্মণ। এমনটা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। হাঁড়েরও ভীষণ ক্ষতি করে এই আয়ন। এর ফলে অস্টিও পোরোসিস হয়।
এ জন্যই বিশেষত মহিলাদের হাঁড়ে ক্ষয় বেশি হয়। অল্প আঘাতে ভেঙেও যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘ দিন ধরে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে বৃহদ্রান্ত্র বা লার্জ ইন্টেস্টাইন, কিডনি এবং রক্ত কনিকার বারোটা বাজায়। এই জিনিসই পরে ক্যান্সারের দিকে মোড় নিতে পারে।
অন্য দিগন্ত

কক্সবাজার নামের ইতিহাসঃ

আরব ব্যবসায়ী ও ধর্ম প্রচারকগন ৮ম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তি হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। নবম শতাব্দীতে কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হত। ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চন্দ্র চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ। ১৬৬৬ সালে মুঘলরা চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। মুঘল সেনাপতি বুজুর্গ ওমেদ খান কর্ণফুলির দক্ষিণের মাঘ কেল্লা দখল করে নেন এবং আরাকানবাসী রামু কেল্লাতে আশ্রয় নেয়, যা কিনা পরে মুঘলরা হঠাৎ আক্রমণ করে দখল করে নেয়। কক্সবাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চাষীদের মাঝে জমি বিতরণের এক উদারনীতি পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে চট্টগ্রাম ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ এই এলাকায় আসতে থাকে। বার্মা রাজ বোধাপায়া (১৭৮২-১৮১৯) ১৭৮৪ সালে আরাকান দখল করে নেন। প্রায় ১৩ হাজার আরাকানি বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৭৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদের পুনর্বাসন করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ দেয়। প্রতি পরিবারকে ২.৪ একর জমি এবং ছয় মাসের খাদ্যসামগ্রি প্রদান করা হয়েছিল। এ সময় ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। যা কক্স সাহেবের বাজার পরিচিত হয় স্থানীয়দের মাঝে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তার অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকেই কক্সবাজার জেলার নামের উৎপত্তি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হিরাম কক্স ১৭৯৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন। ফয়জুর রহমান

বিশ্বের ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে এবারো বিশ্বসেরা ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তিন বছরে ব্যাংকটি ৪৬ ধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে মূলধন সক্ষমতার বিচারে ৯৫৪তম স্থান অর্জন করেছে। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এর অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১০০০তম, ৯৮৪তম ও ৯৭০তম। এছাড়া রিটার্ন অন ক্যাপিট্যাল, রিটার্ন অন অ্যাসেটস, ক্যাপিট্যাল অ্যাসেটস রেশিও এবং সম্পদের পরিমাণ ক্যাটেগরিতে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান যথাক্রমে ৭০, ২৫০, ৭৯১ এবং ৭৮৫তম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগ্যাজিন ‘দি ব্যাংকার’ ১৯৭০ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সেরা ব্যাংকগুলোর র্যা ঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে।

বিশ্বের ১৬৩টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫০০০’র অধিক ব্যাংকের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে ম্যাগাজিনটি প্রতি বছর জুলাইয়ে এ তালিকা প্রকাশ করে।
সেরা হাজার ব্যাংকের তালিকায় স্থান পাওয়ার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বমানের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করেছে এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করেছে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎসঃ   আরটিএনএন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী