বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬

যে হাদিসটি সবসময় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণা জোগায় -


 আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক, ১৬ মে,২০১৬: রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর সাহাবাদের বলেন- “শেষ বিচারের দিনে এমন কিছু মানুষকে আনা হবে, যাদের বুক ও ডান হাতে জ্বলজ্বল করতে থাকবে নূর, তাদেরকে বলা হবে, আজকে তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের কল্যাণ হোক, তোমরা চিরদিনের জন্য প্রবেশ করো জান্নাতে।’ তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার এই ভালবাসা দেখে নবী-রাসূলগণ পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হবেন।”

একথা শুনে সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, এরা কারা?"

উত্তরে মুহাম্মাদ (সা) বললেন, “এরা আমাদের (নবীদের) মধ্য হতেও না, এরা তোমাদের (সাহাবীদের) মধ্য হতেও না। তোমরা আমার সঙ্গী, কিন্তু তারা আমার বন্ধু। তারা তোমাদের অনেক পরে আসবে। তারা কোরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাবে এবং সুন্নাহকে মৃত অবস্থায় পাবে। তারা শক্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে এবং পুনরুজ্জীবিত করবে। তারা এগুলো অধ্যয়ন করবে এবং মানুষকে শেখাবে। কিন্তু একাজ করতে গিয়ে তারা তোমাদের চেয়েও ভয়াবহ ও কঠিন নির্যাতনের শিকার হবে। প্রকৃতপক্ষে, তাদের একজনের ঈমান হবে তোমাদের চল্লিশজনের ঈমানের সমান। তাদের একজন শহীদ হবে, তোমাদের চল্লিশজন শহীদের সমান। কেননা তোমরা সত্যের পথে একজন সাহায্যকারী (আল্লাহর রাসূল) পেয়েছ, কিন্তু তারা কোন সাহায্যকারী পাবেনা।
 প্রত্যেক জায়গায় তারা অত্যাচারী শাসক দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে এবং তাদের অবস্থান হবে বায়তুল মাকদিস এর চারপাশে। তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নুসরাহ (সাহায্য) আসবে এবং তারা এই বিজয়ের গৌরবকে প্রত্যক্ষ করবে।”
 তারপর তিনি (রাসূল সা) দু’আ করলেন-
“হে আল্লাহ, তুমি তাদেরকে নুসরাহ দান কর। জান্নাতে তুমি তাদেরকে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ কর।”

[ মুসনাদে ইমাম আহমাদ ]

নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ..'


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক: আমার পরম শ্রদ্ধেয় আব্বা, আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাথে সাক্ষাত শেষে ফিরছি। আমাদের অন্যান্য বারের সাক্ষাতের চেয়ে এবারের সাক্ষাতটি ছিল সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে দেখি আব্বা আগে থেকেই সেখানে আমাদের অপেক্ষায় আছেন। সালাম বিনিময় শেষে আব্বার মায়াবী চেহারাখানি নয়ন জুড়ে দেখতে গিয়েই মনের গহীণে তীব্র এক ব্যাথা অনুভব করলাম। আব্বার চোখ বসে গেছে, মুখ মলিন। তার সাথে শেষবার সাক্ষাত করেছিলাম আজ থেকে ১৮/২০ দিন আগে। মনে হল সেই সাক্ষাতে আব্বাকে যেমন দেখেছিলাম তার থেকে বেশ খানিকটা শুকিয়ে গেছেন তিনি। 

আব্বাকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম আমি। আব্বার জেল জীবনের ৬ বছর চলছে। এই ৬ বছরের মধ্যে এমন তো কখনো দেখিনি !! খুব অবাক হয়েই আব্বাকে প্রশ্ন করলাম, আব্বা! আপনাকে এমন লাগছে কেন! রাতে ঘুম হচ্ছেনা!?
আমরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্বা একেবারেই শিশুর মতো কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, "নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ...। সেই রাত (অন্যায়ভাবে দেয়া ফাঁসি কার্যকরের রাত) থেকে আমার ঘুম হচ্ছেনা। ঠিক মতো খেতেও পারছিনা। বারবারই নিজামী ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। তার নূরানী চেহারা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ওরা কীভাবে পারলো তার মতো বিশ্ববরেণ্য একজন আলেমকে এতো নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে .. !"
আব্বার চোখের পানি আমাদের হৃদয়-মন-শরীরকে ছুঁয়ে গেল। আমরা কেউই আর ধরে রাখতে পারলাম না নিজেদেরকে। আব্বার সাথে চোখের পানিতে বুক ভাসালাম আমরাও।
আব্বা আরো বললেন, "ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে জেল-জুলুম-ফাঁসি দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। কারন, যেদিন ইসলামী আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছে, সেদিন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জেল-জুলুম-ফাঁসির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। জেল-জুলুম-ফাঁসি ইসলামী আন্দোলনের জন্য নতুন কিছু নয়। মিষ্টি খাওয়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে, টুপি পড়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে কিন্তু হেলমেট পড়া সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এপাশে ফাঁসির মঞ্চ আর এপাশে আল্লাহর জান্নাত।"
সাক্ষাতের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এলে বের হয়ে আসার মূহুর্তে আব্বা আমাদের সকলকে রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার কথা বললেন, শোক কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে নেয়ার কথা বললেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের মাল ও জান বিলিয়ে দেবার মানসিকতা নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বললেন।
সাক্ষাত শেষে চোখ মুছতে মুছতে আল্লাহর এক মজলুম গোলামকে তাঁরই কুদরতী হাতে সোপর্দ করে ফিরে চললাম বাড়ির পথে।

মাসুদ সাঈদী

রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬

জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থনে গভীর উদ্বেগ


বাংলাদেশ বার্তা ১৫ মে ২০১৬, রবিবার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থনের প্রচারিত খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ ১৫ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একে একে হত্যা করছে।
বিচারের জন্য ব্যবহৃত ১৯৭৩ সালের কালো আইন, বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী, জাতিসংঘ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে আইনের সংশোধনের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করা সত্ত্বেও সরকার তা আমলে নেয়নি। সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য দিয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে তা কার্যকরের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেভাবে হত্যা করছে তাতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ববাসী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। দেশের জনগণের নিকট এ বিচার গ্রহণযোগ্য হয়নি। জনগণ মনে করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে।
জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুর পর জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ও আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার পর তার নিজ এলাকা সাঁথিয়া ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজায় মানুষের ঢল থেকে প্রতীয়মান হয় জনগণ এ বিচার গ্রহণ করেনি এবং জনগণ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অপরাধী বলে মনে করে না।
বিচারের বাস্তবতা উপলব্ধি করে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচারকে অগ্রহণযোগ্য, অস্বচ্ছ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মৃত্যুদন্ড বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তার হত্যাকা-ের পর সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা আশা করি ভারতও এ সত্যটি উপলব্ধি করবে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতকে জনগণের প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়, কোন দল কিংবা সরকারের নয়। কিন্তু বিচার সম্পর্কে ভারতের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে বিস্মিত ও হতবাক করেছে। আমরা ভারতের এ বক্তব্যে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।”

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬

ভুমিকম্প কেন হয়?


আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না), জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু তার মায়ের সাথে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দিবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে, জাতির সবচেয়ে দূর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রুপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জনগণের নেতা হবে, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হয়ে যাবে, মদ পান করা হবে (বিভিন্ন নামে মদ ছড়িয়ে পড়বে), শেষ বংশের লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দিবে, এমন সময় আসবে যখন তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে তখন একটি ভূমিকম্প সেই ভূমিকে তলিয়ে দিবে (ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে)। [তিরমিযি কতৃক বর্ণিত, হাদিস নং – ১৪৪৭] এই হাদিসের মাঝে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে জমিনে কখন ভুমিকম্পের আজাব প্রদান করা হয় এবং কেন প্রদান করা হয়।
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে উঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরণের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর নিকট তাওবা করে, পাপ কর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মুনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হত, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলত, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।’

বিজ্ঞান কী বলে?

ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে ভূপৃষ্ঠের নীচে একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় রয়েছে কঠিন ভূত্বক। ভূত্বকের নীচে প্রায় ১০০ কি.মি. পূরু একটি শীতল কঠিন পদার্থের স্তর রয়েছে। একে লিথোস্ফেয়ার (Lithosphere) বা কঠিন শিলাত্বক নামে অভিহিত করা হয়। আমাদের পৃথিবী নামের এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, কঠিন শিলাত্বক (লিথোস্ফেয়ার)সহ এর ভূপৃষ্ঠ বেশ কিছু সংখ্যক শক্ত শিলাত্বকের প্লেট (Plate) এর মধ্যে খন্ড খন্ড অবস্থায় অবস্থান করছে। ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে এই প্লেটের চ্যুতি বা নড়া-চড়ার দরুণ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

ভুমিকম্প বিষয়ক কোরানতত্ত্ব

ভূমিকম্প বিষয়ে পবিত্র কোরানে সূরায়ে ‘যিলযাল’ নামে একটি সূরাই নাযিল করা হয়েছে। মানুষ শুধু কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং ভূতত্ত্ববিজ্ঞানও এই কার্যকারণ সম্পর্কেই আলোচনা করে থাকে। কিন্তু কুরআনুল কারীম একই সাথে কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ বর্ণনার পাশাপাশি উক্ত ঘটনা থেকে শিক্ষনীয় বিষয় কি এবং এই ঘটনা থেকে অন্য আরো বড় কোন ঘটনা ঘটার সংশয়হীনতার প্রতি ইংগিত করে। ভূমিকম্প বিষয়ে কুরআনুল কারীমে দু’টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। একটি হল ‘যিলযাল’, যার অর্থ হল একটি বস্তুর নড়াচড়ায় অন্য আরেকটি বস্তু নড়ে ওঠা। দ্বিতীয় শব্দটি হল ‘দাক্কা’, এর অর্থ হল প্রচন্ড কোন শব্দ বা আওয়াজের কারণে কোন কিছু নড়ে ওঠা বা ঝাঁকুনি খাওয়া। পৃথিবীতে বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে, তা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে কঠিন শিলাত্বকে চ্যুতি বা স্থানান্তরের কারণে। কিয়ামতের দিন আরেকটি ভূমিকম্পে পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে ধুলিকনায় পরিণত হবে এবং তা হবে ফেরেশেতা হযরত ইসরাফিলের ( আ.) সিঙ্গায় ফুৎকারের কারণে, যাকে বলা হয় ‘দাক্কা’। যা হবে এক প্রচন্ড আওয়াজ।
পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কঠিন শিলাত্বকের স্থানান্তরের কারণে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প আমাদেরকে এ কথার প্রতি ইংগিত করে যে, একদিন ওই ‘দাক্কা’ সংঘটিত হবে, যার নাম কেয়ামত। তখন এই চাকচিক্যময় দুনিয়ার সবকিছুই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। মানুষ যেন কিয়ামতকে ভুলে না যায়, দুনিয়াকেই তার আসল ঠিকানা মনে না করে, তাই মাঝে মাঝে মহান আল্লাহ ভূমিকম্পসহ আরো অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিয়ে মানুষকে সতর্ক করে থাকেন।

ভুমিকম্প একটি আজাব

আল্লাহ মহান পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন, বল, আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।” (সূরা আল আনআম : ৬৫)
আল-বুখারি তার সহিহ বর্ণনায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন তোমদের উপর থেকে (আসমান থেকে) নাজিল হলো তখন রাসূল (স) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অথবা যখন, অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব নাযিল হলো, তখন তিনি (সা.) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সহিহ বুখারি, ৫/১৯৩)
আবূল-শায়খ আল-ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করেন, “বল, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে)- যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; আর অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম- যার ব্যাখ্যা হলো, ভুমিকম্প এবং ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া।)

বান্দার ওপর আজাব কেন আসে?

হজরত আলী [রা.] হতে বর্ণত রসুল [সা.] ইরশাদ করছেন, যখন আমার উম্মত যখন ১৫ টি কাজে লিপ্ত হতে শুরু করবে তখন তাদের প্রতি বালা মসীবত আপাতিতি হতে আরম্ভ করবে।কাজগুলো হল
১. গণীমতের মাল ব্যাক্তিগত সম্পদে পরিণিত হবে।
২. আমানতের সম্পদ পরিনত হবে গনীমতের মালে।
৩. জাকাত আদায় করাকে মনে করবে জরিমানা আদায়ের ন্যায়।
৪. স্বামী স্ত্রীর বাধ্য হবে।
৫. সন্তান মায়ের অবাধ্য হবে।
৬. বন্ধু-বান্ধবের সাথে স্বদব্যাবহার করা হবে।
৭. পিতার সাথে করা হবে জুলুম।
৮. মসজিদে উচ্চস্বরে হট্টোগোল হবে
৯. অসাম্মানী ব্যাক্তিকে জাতির নেতা মনে করা হবে।
১০. ব্যাক্তিকে সম্মান করা হবে তার অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য।
১১. প্রকাশ্যে মদপান করা হবে।
১২. পুরুষ রেশমী পোষাক পরবে।
১৩. গায়িকা তৈরি করা হবে।
১৪. বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হবে।
১৫.পুর্ববর্তী উম্মতদের (সাহাব, তাবে, তাবেঈন) প্রতি অভিসমাপ্ত করবে পরবর্তীরা।
এই কাজগুলি যখন পৃথিবীতে হতে শুরু হবে তখন অগ্নীবর্ষী প্রবল ঝড়, ভুমিকম্প ও কদাকৃতিতে রূপ নেয়ার অপেক্ষা করবে। এখন একটু চিন্তা করা উচিত যে আমরা এগুলোর মাঝেই লিপ্ত রয়েছি। আর যখন আমাদের উপর মুসীবত আসে তখন প্রকৃতির বা মানুষের বা অন্যান্য জিনিসের দোষ দেই। আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন আমরা হই তা আসলে আমাদের গুনাহের কারনেই এত আযাব।
ভুমিকম্প হলে করনীয় কি?
যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা যেভাবে রাসূল (সা.) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন, যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। [বুখারি ২/৩০ এবং মুসলিম ২/৬২৮]
বর্ণিত আছে যে, যখন কোন ভূমিকম্প সংগঠিত হতো, উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ) তার গভর্ণরদের দান করার কথা লিখে চিঠি লিখতেন।

ভুমিকম্প একটি কেয়ামতের আলামত

আবূল ইয়ামান (রহ.) আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি [সা.] বলেছেন, কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইল্‌ম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভুমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। (হারজ অর্থ খুনখারাবী) তোমাদের সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে, উপচে পড়বে। [সহিহ বুখারি, অধ্যায় : ১৫/ বৃষ্টির জন্য দুআ, হাদিস নাম্বার : ৯৭৯]
পবিত্র কোরানের একাধিক আয়াতে বলা হয়েছে যে, জলে স্থলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তা মানুষেরই কৃতকর্মের ফল। আল্লাহপাক মানুষের অবাধ্যতার অনেক কিছুই মাফ করে দেন। তারপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। কোরান নাজিল হওয়ার পূর্বেকার অবাধ্য জাতি সমূহকে আল্লাহপাক গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন। সে সবের অধিকাংশ গজবই ছিল ভুমিকম্প। ভুমিকম্প এমনই একটা দুর্যোগ যা নিবারন করার মতো কোন প্রযুক্তি মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নাই। এর পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোন প্রযুক্তিও মানুষ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনাই। হাদিস শরীফেও একাধিকবার বলা হয়েছে যে, মানুষের দুষ্কর্মের জন্যই ভুমিকম্পের মতো মহা দুর্যোগ ডেকে আনে। কুরআন এবং হাদিসে আদ, সামুদ, কওমে লুত এবং আইকার অধিবাসীদের ভুমিকম্পের দ্বারা ধ্বংস করার কাহিনী বিভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণনা করা হয়েছে।

একটু ভাবুন তো...

সামান্য এই ভূমিকম্পেই সম্পদের মায়া ছেড়ে আমরা রাস্তায় নামছি। এটা যখন আরো বাড়বে, তখন সম্পর্কের মায়াও ছেড়ে দেবো আমরা। নিজেকে বাচানোর চেষ্ঠায় ব্রতী হবো সবাই। যখন তা রচাইতেও আরো বাড়বে তখন যেই মা দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনিও তার বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবেন, গর্ভের শিশুকেও বের করে দেবেন। ভূমিকম্পের সময় কে কি বস্থায় ছিলাম, কে টের পেয়েছে, কে টের পায়নি, চেয়ার টেবিল নড়ছিলো কিনা, ফ্যান দুলছিলো কিনা- এই সব গবেষণা পরে করলেও হবে। আগে করা দরকার তওবা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হল, এটি আল্লাহ কর্তৃক একটি নিদর্শন। যাতে করে মানুষ স্বীয় অপরাধ বুঝতে সক্ষম হয়। ফিরে আসে আল্লাহর পথে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সাথে খাটি তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংগ্রহঃRadio Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

পানামা পেপার্সে বাংলাদেশীদের নাম প্রকাশিত হওয়ায় উদ্বেগ যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা দেশের শত্রু -ডাঃ শফিকুর রহমান


বাংলাদেশ বার্তা:পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশের যে পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে তাদের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। 
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসীর নিকট পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, বাংলাদেশী বহু অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি বিদেশে অর্থ পাচার করছে। যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা নিঃসন্দেহে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অর্থ পাচারকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর নামও এসেছে। আগামী মে মাসে আরো অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। 
তিনি বলেন, দেশবাসী উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করছে এবং বিদেশে পাচার করছে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং পাচার করছে। কিন্তু সরকার বরাবরই এসব ব্যাপারগুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ সরকারের আমলে অর্থ কেলেংকারির বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন একটি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। 
তিনি আরো বলেন, পাচারকৃত অর্থ দেশের সাধারণ জনগণেরই অর্থ। সুতরাং জনগণের সামনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। সরকারের সাথে এদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কোন যোগসূত্র না থাকলে বেপরোয়াভাবে তারা এভাবে অর্থ লুটপাট করতে পারতো না। তাই দেশের জনগণ সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করে সরকারের একটি উঁচু মহল এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের অর্থ যারা বিদেশে পাচার করছে, তারা দেশের শত্রু। তারা জনগণকে শোষণ করে এবং দুর্নীতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে। যারা এভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে তাদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত, অর্থ পাচারকারী হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের অর্থের হিসাব গ্রহণ করা। অর্থ পাচারকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এই ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হলে দেশের জনগণ তা বরদাস্ত করবে না। 
একটি বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথোপোযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন শহীদের সংখ্যা এরই মধ্যে ১০ এ পৌঁছেছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় গ্রাম গন্ডামারায় এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গুলিতে শহীদদের মধ্যে মর্তুজা আলী (৫২) ও আঙ্গুর আলী (৪৫) নামে দুই সহোদর রয়েছেন। এছাড়া জাকের আহমেদ (৩৫), বাদশা মিয়া ও বদিউল আলম নামে আরও তিনজন শহীদের নাম জানা গেছে। 

এলাকাবাসী জানিয়েছে, বাঁশখালীর গন্ডামারায় প্রায় ৬শ’ একর জমিতে ১২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ। পরিবেশের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এটির নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বহুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ ও স্থানীয় সরকার দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করে এই আন্দোলনে বাধা দিয়ে আসছে এস আলম গ্রুপ। এরমধ্যে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলাও চালানো হয় আন্দোলনকারীদের উপর।
সর্বশেষ সোমবার গন্ডামারায় গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে গেলে মতলবি ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। জনগণ এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে শুরু করে। কিন্তু বিকাল বেলা পুলিশ একযোগে জনগণকে বন্দুক তাক করে ফেলে। তারা নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই অনেকে লুটিয়ে পড়েন।
এ পর্যন্ত মর্তুজা আলী, আঙ্গুর আলী ও জাকের আহমেদসহ চারজন শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গন্ডামারার ঘরে ঘরে আর্তচিৎকার আর মাতম চলছে। গুলিবিদ্ধ বহু মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কে মারা গেছে, কে বেঁচে আছে তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।

সূত্র : অনলাইন বাংলা

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে জামায়াতকে চিহ্নিত করেনি যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন দূতাবাস


জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র চিহ্নিত করেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র নয়া দিগন্তের এক প্রশ্নের জবাবে আজ এ কথা জানান।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের জননিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সিওয়াল ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেন বার্সিনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জামায়াত যে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এর আগে তা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে বেগ পেতে হয়েছিল। তবে এবার সেটা তারা অনুধাবন করতে পেরেছে।
মুখপাত্র বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি সিওয়ালের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে বিস্তৃত ইস্যুতে ফলপ্রসু বৈঠক করেছেন। আন্ডার সেক্রেটারি নিশ্চিত করেছেন যে নিরাপত্তা ও সহিংস চরমপন্থাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার অধিকার, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনগণের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন ও ধর্ম চর্চার স্বাধীনতাকে সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের টেকসই পন্থা হিসাবে উল্লেখ করেন।
অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিমান নিরাপত্তা) উন্নত করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তার বিস্তৃত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা কাজ করছি। অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে সহযোগিতা নিয়ে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেন বার্সিনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। 

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

‘একটা কিছু কর গোলাপী, একটা কিছু কর‘


দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিছু একটা করতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ছবি : এনটিভি
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার দায় কমিশন কিছুতেই এড়াতে পারে না।
এ ছাড়া সরকারের কোর্টে বল—খালেদ জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, বল বলতে যদি খালেদা জিয়া নির্বাচন বোঝান, তবে তা সাংবিধানিকভাবে সঠিক সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘যখন দেখি নির্বাচনটা হচ্ছে, এর মধ্যে আজকেও নয়জন মানুষ মারা গেছে। এটাতে তুমি-আমি চক্ষু বুজে রাখতে পারি না। আমাদের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। তিনি ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারেন, ইচ্ছা করলে নির্বাচন গ্রহণও করতে পারেন। যে কেউর চাকরি খেতে পারেন। কিন্তু এ কেমন, লড়েও না, চড়েও না। একটা কিছু কর গোলাপি, একটা কিছু কর।’
গত ২২ মার্চ প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনে ১২ জন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে সহিংসতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিশুসহ নয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এনটিভি

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

এক বছরে নারী নির্যাতন বেড়েছে ৭৪ শতাংশ

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ: দেশে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। ৫৫টি জেলায় নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সহিংস ঘটনার ৬৮ শতাংশই নথিভুক্ত হয় না। নথিভুক্ত হলে সংখ্যাটি আরও বাড়ত।

আরও কয়েকটি সংস্থার নিজস্ব পরিসংখ্যানও নারী নির্যাতন পরিস্থিতির অবনতির চিত্রদিচ্ছে। পুলিশের মামলার হিসাবও বলছে, নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। নারী আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিনিয়তই এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
তবে মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, গণমাধ্যমে প্রচার—সব মিলিয়ে আগে মানুষ যে বিষয়গুলোকে নির্যাতন বলেই মনে করত না, এখন তা যে নির্যাতন, সেই সচেতনতা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে নির্যাতন নিয়ে মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। ফলে নারী নির্যাতনের সংখ্যাটি বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে।
এরই মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে।
ব্র্যাকের পরিসংখ্যান: দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক তাদের সামাজিকÿক্ষমতায়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫৫টি জেলা থেকে নির্যাতনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গত বছরের জুন মাসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ২ হাজার ৮৭৩টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরের বছর সংখ্যাটি ৫ হাজার ৮টিতে পৌঁছায়। এই এক বছরে নারীর প্রতি প্রায় সব ধরনের সহিংসতাই বেড়েছে। এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, দরিদ্র নারীরা সচ্ছল নারীদের থেকে বেশি (৫৪ শতাংশ) সহিংসতার শিকার হয়েছেন। আর নারী নির্যাতনকারীদের ৮৮ শতাংশই পুরুষ। এই পুরুষেরা নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশী। ব্র্যাকের জরিপ অনুযায়ী, নির্যাতনের বেশি ঘটনা ঘটে কুমিল্লা, বগুড়া, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায়। বছরের মে মাসে নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ে। অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে নির্যাতনের ঘটনা কম থাকে।
ব্র্যাকের পল্লিসমাজ নামের ওয়ার্ডভিত্তিক ও নারীকেন্দ্রিক সংগঠনের নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাজে লাগিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কোথাও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীর পরিবার, প্রতিবেশী, পল্লিসমাজের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব তথ্য রাজধানীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠান এবং প্রধান কার্যালয় এ তথ্য ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করে।

রিজার্ভ চুরি বাংলাদেশেই হয়েছে: মাহফুজ উল্লাহ


বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি বায়োমেট্রিক সিস্টেম থেকে থাকে তাহলে ১০০ ভাগের উপরে সত্য যে বাংলাদেশেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, যদিও সারা পৃথিবী জুড়েই হ্যাকিং হয় এবং হ্যাকিং এর বিষয় কিন্তু একাডেমিক ভাবে পড়ানো হয়, যারা কম্পিউটারের বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেন তাদেরকে। পাড়ানোর কারণ হলো, আপনাকে কাউন্টার বিষয়টা জানানোর জন্য।
মঙ্গলবারে বাংলাভিশন টেলিভিশনে নিউজ এন্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এ কথা বলেন।
মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আজকে পৃথিবীতে এবং বিজ্ঞানে বায়োমেট্রিক এমন একটা বিষয় যেখানে কারো ছাপের সাথে কারো আঙ্গুলের ছাপ মেলে না। কারণ আল্লাহ্ আলাদা আলাদা অঙ্গুলের ছাপ তৈরি করে দিয়েছে সুতরাং এখানে আলাদা একটা পাসওয়ার্ড থাকে এবং একটা চাবি থাকে অনেকটা পেনড্রাইভ এর মত এবং তার মধ্যে একটা বিলটিন সফটওয়ার থাকে।
তিনি বলেন, এখানে বড় একটা টেকনিক্যাল বিষয় আছে, আর যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে সেখানে একজন টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ থাকা খুবই দরকার ছিল কিন্তু নেই।
তিনি আরও বলেন, এখানে যে বিষয়টা ঘটেছে তাতে পরিষ্কার ভাবে ৩টা বিষয় আছে তা হলো, সুইফট কোডের মাধ্যমে সুইফট এর মেম্বার যারা থাকে “বেলজিয়ামে” তাদের প্রতেকের আলাদা আলাদা কোড আছে এবং সুইফটের পুরো সফটওয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটা ভাঙ্গা কোনো ভাবেই সম্ভব না এবং কোনো কালেই হয়নি। এছাড়াও সুইফটের সফটওয়ার দিয়ে যখন কাজ করে, সেই কম্পিউটার গুলো সম্পূর্ণ আলাদা থাকে এবং বিশেষ লোকের কাছে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকেও তাই ছিল।
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আমরা যতটুকু জানি তাতে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকেও ৩টা কম্পিউটার আছে যেখানে সুইফট সফটওয়াকে ব্যবহার করে। যারা এটা ব্যবহার করেন তারা একটা লকড তৈরি করে এবং সেই লকডটা নিউইয়র্ক, বেলজিয়ামে এবং অন্যান্য জায়গায় সংরক্ষিত থাকে। সেই কম্পিউটারটা যদি কেউ দেখে তাহলে বোঝা যাবে যে কে কখন কিভাবে ব্যবহার করেছে তার একটা রেকর্ড থাকে এবং সেটা কখনোই মুছে ফেলা যায় না।
তিনি আরও বলেন, এখন যে পাসওয়ার্ড থাকে সেটা ৬৪ বিটের হয়ে থাকে এবং সেখানে ছোট হাতের এবং বড় হাতের অনেক কিছু মিলিয়ে পাসওয়ার্ড করতে হয়। যেটা মনে রাখা সম্ভব না এবং সুইফটের নিয়ম অনুসারে ১ মাসের বেশি ঐ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু কিছু কিছু সময়ে এর আগেও পরিবর্তন করা যায় কিন্তু ১ মাসের বেশি রাখা যায় না। সুইফটের যে আলাদা ক্ষমতা তাতে বাহিরের কোনো কিছু প্রবেশ করানো সম্ভব না যদি প্রবেশ করেও থাকে তাহলে সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোন কাজ করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, এখন আইনজীবী আজমল সাহেব যে প্রশ্নটা তুলেছেন যে এতগুলো ফেরত এসেছে। দেখেন এটা একটা বিষয় আছে সেটা হলো, যদি পুরো তথ্য না থাকে এবং যদি সঠিক না হয় তাহলে ব্যাংক কিন্তু নেয় না, আমাদের এখানেই নেয় না তারপর ওখানে। শ্রীলংকায় যে টাকাটা শনাক্ত করা গেছে সেটা কিন্তু জার্মানিতে শনাক্ত করা হয়েছে।
কারণ তারা ফাউন্ডেশনের জায়গায় ফাউন্ডেট লেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় ৩টা ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকাগুলো ফিলিপাইনে গেছে। কাজেই এখান থেকে যদি পরিষ্কার নির্দেশনা না দেয় তাহলে ওখানে নেয়ার কথা না। কারণ রির্জাভ ফেডারেল ব্যাংকেও এই ধরণের ঘটনা কোনো দিনও ঘটে নাই। আসলে নির্দেশনা ছাড়া করা সম্ভব না।
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, কম্পিউটার সম্পর্কে সারা পৃথিবীতে একটা কথা বলা আছে সেটা হচ্ছে কম্পিউটার একটা বোকা যন্ত্র যেখানে আরগুমেন্ট হয় না। আমরা কম্পিউটারকে যে ভাবে নির্দেশনা দিবো ও সেই ভাবেই করবে। কিন্তু সুইফটের যে পাসওয়ার্ডগুলো থাকে সেটা ভাংতে হলে সুপার কম্পিউটার দরকার যা শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আছে। সুপার কম্পিউটারের যে ক্ষমতা তা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পাবে না।
তিনি বলেন,“এটা হ্যাকিং না এটা চুরি, এবং যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আছে তারাই এটি করেছে। আর এটা বের করারা দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের আমর আপনার না”।
তাহলেতো পৃথিবীর সব হ্যাকিংকে চুরি বলতে হবে?
জবাবে তিনি বলেনা সব হ্যাকিং চুরি না, যেটা হ্যাকিং সেটা হ্যাকিংই আর যেটা চুরি সেটা চুরিই। এখানে আপনাকে পার্থক্য বুঝতে হবে। উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন চুরি আর খুন কি এক বিষয় ? এখানে যারা এই ধরণের কথা বলে বা এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করে তাদের পার্থক্যটা বোঝা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা গাধার মত ভাইরাসের কথা বলছে, কারণ সুইফটে সফটওয়ারে ভাইরাসের ঘটনা ঘটতে পারে না। হ্যা ভাইরাস আসতে পারে সেটা সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কিন্তু সুইফট সফটওয়ার এর কম্পিউটার সম্পূর্ণভাবে আলাদা। আর যদি তাই হতো তাহলে তো অনেক আগেই রিজার্ভ ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেত, সুইফটও বন্ধ হয়ে যেত। এখানে মানুষের নির্দেশনা ছাড়া সম্ভব না। আস

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী