বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

ব্রিটেনে ১৩৭০ বছর আগের কুরআন মজীদ পাওয়া গেছে


এ যাবতকালের সবচেয়ে পুরোনো কোরআন শরীফের অংশবিশেষের খোঁজ মিললো যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে। রেডিওকার্বন বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বরছেন, হস্তলিখিত এই কোরআন পান্ডুলিপিটি অন্তত ১৩৭০ বছর পুরোনো।
রেডিওকার্বন বিশ্লেষণ অনুসারে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পান্ডুলিপিটি যিনি লিখেছেন তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে সরাসরি দেখেছেন।
ব্রিটিশ গ্রন্থাগার বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ ইসা ওয়ালি বলেন, হাজার বছরের পুরোনো এই কোরআন আবিষ্কার খুবই রোমাঞ্চকর, এটা সব মুসলিমদের জন্য আনন্দের একটি খবর।
পান্ডুলিপিটি এতদিন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য বই এবং তথ্যাদির সঙ্গেই গ্রন্থাগারে ছিলো। তবে কেউ জানত না তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সংগ্রহ শাখার পরিচালক সুসান ওরাল বলেন, আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি এই পাণ্ডুলিপি এতোটা পুরোনো হবে। সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের একটা অংশ আমাদের কাছে আছে, সেটা ভাবতেও অনেক উত্তেজনা বোধ হচ্ছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওকার্বন অ্যাকসেলেটর ইউনিট গবেষণা করে জানিয়েছে, এই অংশটি ভেড়া বা ছাগলের চামড়ার উপর লিখিত। পাণ্ডুলিপিটি ৫৬৮ থেকে ৬৪৫ সালের মধ্যে লিখিত হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ বলেও জানান তারা।
‘এই প্রাপ্তি আমাদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার বেশ কিছু বছরের মধ্যে নিয়ে যাবে’। বলছিলেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টানিটি অ্যান্ড ইসলামের প্রফেসর ডেভিড থমাস।
কোরআন ও হাদিসের ব্যাখা অনুসারে, মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর অহি নাজিল হয়েছিলো ৬১০ থেকে ৬৩২ সালের মধ্যে।
প্রফেসর থমাসের ধারণা এই পান্ডুলিপি যিনি লিখেছিলেন তিনি নবী (সা.) এর সময়ে জীবিত ছিলেন। এমনও হতে পারে যিনি এটা লিখেছেন তিনি নবীকে দেখেছেন, তাকে চিনেছেন, তার ধর্মোপোদেশ শুনেছেন। হয়তো নবীজিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেনও তিনি।’
হাজার হাজার বছরের পুরোনো কোরআনের অংশটুকু ‘হিজাজী’ বর্ণমালায় লেখা, এই ভাষাটিই আরবী লেখার প্রাথমিক রীতি ছিলো।
কোরআনের কিছু অংশ চামড়ার কাগজে অথবা পাথরে, পামগাছের পাতা এবং উটের কাঁধের ফলকে লেখা হয়েছে। তবে কোরআনের সবশেষ অংশ যেটা বইয়ের মতো করে লেখা, ধারণা করা হচ্ছে সেটা ৬৫০ সালের দিকে সম্পন্ন করা হয়েছে। চামড়ার কাগজে লেখা অংশটুকু মুহাম্মদ (স.) এর মৃত্যুর দুই দশকের মধ্যেই লেখা বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
ntv

ছয় বছরে বাংলাদেশে ৫৭ লাখ মানুষ বাস্তুহারা

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ছয় বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন৷ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আছেন শীর্ষে৷ ‘ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার' ও ‘নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল'-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য৷

সোমবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে, যেখানে বাস্তুচ্যুতির হিসাব ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেখানো হয়েছে, বলা হয়, বাংলাদেশে মূলত ঘূর্ণিঝড় আইলার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়৷ এ কারণে শুধুমাত্র ঐ এলাকাতেই সে সময় ৮ লাখ ৪২ হাজার মানুষ প্রাথমিকভাবে বাস্তুহারা হয়ে পড়েন৷ পরবর্তী সময়ে বেড়িবাঁধ সময়মতো মেরামত না করায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে৷
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ছ'টি এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও বটিয়াঘাটা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি এবং বাগেরহাটের মংলা উপজেলা৷ এ সব এলাকার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে দেশের অন্যত্র চলে যান বা যেতে বাধ্য হন৷ পরবর্তীতে বাস্তুহারা এই মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই আশ্রয় নেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোর জেলায়৷ তবে অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতেও আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাঁরা অন্যত্র গেছেন, তাঁরা আগের চেয়ে আরো খারাপ অবস্থায় রয়েছেন৷ জমি-জমা না থাকায় পরিবারগুলোর মাসিক আয় কমে গেছে৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বা বাপা-র সভাপতি ড. আব্দুল মতিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি আমরা সমর্থন করি৷ তবে বাস্তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১০০ সেন্টিমিটার বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশে উপকূলবর্তী এলাকার দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন৷''
তিনি বলেন, ‘‘ঢাকাসহ বড় বড় শহরে এই লোকজন এখন জীবিকার তাগিদে ভিড় করছেন৷ তাঁরা বস্তিতে থাকছেন৷ তাঁদের অর্থনেতিক অবস্থাও আরো খারাপ হচ্ছে৷ ঢাকায় মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ ভাসমান৷ আর এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ ভাগ জলবায়ু উদ্বাস্তু বা বাস্তুহারা মানুষ৷''
বলা বাহুল্য, এই বাস্তুচ্যুত মানুষের একাংশ চট্টগ্রামে পাহাড়ের ঢালে আশ্রয় নিয়ে আবারো দুর্যোগের কবলে পড়ছেন৷ এই মানুষগুলোর নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই, নেই ঘর৷ তাঁরা বস্তুত রিকশা চালিয়ে বা ঠিকা শ্রমিকের কাজ করে বেঁচে আছেন৷
পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ৷ এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ উপকূলীয় মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই৷ তবে এটা আরো বড় আকারে দেখা দেবে৷''
ড. রহমানের মতে, ‘‘বাস্তুহারারা শুধু দেশের মধ্যেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন না, তাঁরা পাশের দেশেও যাচ্ছেন৷ এই বাস্তুচ্যুতির কারণে উপকূলীয় বেশ কিছু জনপদের জনসংখ্যার ঘনত্ব কমে গেছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দেখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোনো উদ্যোগও নেই৷ তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন৷''
এদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ২০১০ সাল থেকে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড' বা বিসিসিটিএফ কাজ শুরু করেছে৷ পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন বছরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ঝুঁকি মোকাবেলায়, যা জিডিপি-র শতকরা ১ ভাগ৷
২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ২,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এই খাতে৷ তবে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে এই বরাদ্দ কমেছে৷ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা থেকে জানা যায় যে, আসছে অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা হ্রাস পাবে৷

কোথায় যাবে এই মানুষগুলো?
এ পর্যন্ত যে ২,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে শতকরা ৬৬ ভাগ অর্থ বিভিন্ন প্রকল্প এবং ৩৪ ভাগ অর্থ জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজে লাগানো হয়েছে৷ ২,০০০ কোটি টাকায় ২১৮টি সরকারি এবং ৬৩টি বেসরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে৷ এছাড়া সরকারি ৫৬টি প্রকল্প এরই মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে বলেও জানা গেছে৷
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৬,৭৬০টি ঘর, ৭৪০টি গভীর নলকূপ, ১৪২ কিমি. বাধ, ১২,৮৭২টি পরিবারের জন্য সৌর বিদ্যুৎ এবং ১৪৩.৩৫ মিলিয়ন গাছ লাগানো হবে৷
সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে বাপা-র ড. মতিন বলেন, ‘‘এখানে অর্থের অপচয় হচ্ছে৷ তেমন কাজ হচ্ছে না৷ তাই সরকারের উচিত হবে সঠিকভাবে অর্থ কাজে লাগানো৷''
‘ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার' ও ‘নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল'-এর ২০১৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ৷ এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন৷ এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ভারত, ফিলিপাইনস, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া৷ প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় যে, ২০১৪ সালে বিশ্বের ১ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন৷ আর গত ছয় বছরে মোট বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৬৪ লাখ৷ প্রতি সেকেন্ডেই একজন করে মানুষ তাঁর বসতভিটা থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছে প্রতিবেদনটি৷ নয়া দিগন্তের সৌজন্যে
সূত্র : ডয়চে ভেলে

মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০১৫

‘বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল করতেই রাজীবকে গ্রেপ্তার’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তার ও অপপ্রচারের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, পবিত্র ঈদের পরদিন বাবার কবর জিয়ারত ও বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা ফিরছিলেন ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান। ফেরার পথে পটুয়াখালী জেলার লেবুখালি ফেরিঘাটে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমি তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল করার অপপ্রয়াসে ছাত্রনেতা রাজীবকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বহনকারী গাড়িতে মাদক পাওয়ার কথা প্রচার করা হয়। যা রাজনৈতিক কর্মীদের চরিত্রহননের একটি ঘৃণ্য প্রচারণামূলক নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। খালেদা জিয়া বলেন, গ্রেপ্তারের সময় সেখানে কেউ কোন মাদক উদ্ধার করতে দেখেননি। সেখানে এসব কিছু পাওয়ার কথা পুলিশও তখন কাউকে বলেনি। কাজেই ঘটনার দীর্ঘ সময় পর পুলিশ কার্যালয়ে বসে যে বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর। রাজীব আহসানের মতো সৎ ও আদর্শবান একজন রাজনৈতিক কর্মী সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রমূলক অপচেষ্টা মাত্র। সরকারের নির্দেশে মিথ্যা প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও আজ জনগণের নিন্দা আর অবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, একই দিন ঢাকা ও নরসিংদিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করার জন্য পরিচালিত পুলিশি অভিযান প্রমাণ করে, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক উদ্ধারের বিষয়টি একটি ঘৃণ্য প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। খালেদা জিয়া বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পিতার কবর জিয়ারত ও বৃদ্ধা মাতার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগে গ্রেপ্তার করার মতো অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানসহ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। বিরোধী জোট নেতা বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, দমন-পীড়ন করে কোন গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকার টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও পারবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখে এই অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের পতন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। 
সূত্রঃ মানবজমিন

ডিমের ১২টি উপকারিতা, যেসব কারণে রোজ ডিম খাওয়া উচিত


১) ছোট্টো একটা ডিম হাজারো ভিটামিনে ভরা। এর ভিটামিন বি ১২ আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। 
২) এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের কেরোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।
৩) কেবলমাত্র ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি। যা পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪) আছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকে উত্পন্ন ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নষ্ট করে দেয়। এবং স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫) ডিমের সবচেয়ে বড়ো গুণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারাদিন আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায়, শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালোরি কমাতে পারে সকালে একটি ডিম খাওয়া। তার মানে মাসে ওজন কমার পরিমাণ প্রায় তিন পাউন্ড। সমীক্ষা বলছে, ৬৫% বডি ওয়েট, ১৬% বডি ফ্যাট, ৩৪% কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমাণ কমাতে পারে ডিম! 
৬) ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। মেনস্ট্রুয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিঙ্ক শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
৭) প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালোরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। সুতরাং চাঙা থাকতে রোজ ডিম খেতেই পারেন।
৮) ২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে, অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে বা পরবর্তী কালে সপ্তাহে ৬টি করে ডিম নিয়মিত খেলে প্রায় ৪৪% ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব৷ সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ডিম হৃৎপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম থাকে।
৯) শরীর সুস্থ রাখার আরও একটি জরুরি উপাদান কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি ঘটলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার, লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজ-অর্ডার দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃত্ ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০) নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরের লিপিড প্রোফাইলে কোনও প্রভাব ফেলে না। বরং ডিম রক্তে লোহিতকণিকা তৈরি করে।
১১) প্রোটিন শরীর গঠন করে। আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে অ্যামিনো অ্যাসিড। একুশ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এই কাজে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের শরীর অতি প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। তার জন্য আমাদের প্রোটিন সাপি­মেন্ট নিতে হয়। খাবারের মধ্যে এই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হল ডিম। যা ঝটপট শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে।
১২) নখ ভেঙে যাচ্ছে চটপট? নাকি চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল? চোখ বন্ধ করে রোজ ডিম খেয়ে যান। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান উন্নত করবে।
Source: rtv
আপনি কি প্লাস্টিক খাবার খান? চিকিৎসকদের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে চমকে যাবেন না। কারণ, রোজকার খাবারের সঙ্গে বহুল পরিমাণে প্লাস্টিক আপনার শরীরে ঢুকছে। শুধু ঢুকছেই না, মিশছে রক্তের সঙ্গেও। এর ফলেই শরীরে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। যার প্রাথমিক প্রভাব গিয়ে পড়ছে চুলের ওপর। সম্প্রতি ১০০০ জন নারী-পুরুষের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ মানুষের রক্তেই মিলেছে বিস্ফানল এ, যা বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক তৈরি করতে কাজে লাগে। যাদের রক্তে মিলেছে, দেখা গিয়েছে তারা বেশিরভাগই ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স এবং প্রায় সবাই কর্মরত। অর্থাৎ দিনে বেশ কয়েকবার বাইরের খাবার খান। আবার অনেকে বাড়ি থেকেই টিফিন নিয়ে আসেন। অফিসের মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করে খাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে এদের সবাই প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার নিয়ে আসছেন। সেখান থেকেই শরীরে ওই বিষ ঢুকছে প্রতিদিন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্রমে স্টিল এবং চিনেমাটির পাত্রের জায়গায় দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের পাত্রের ব্যবহার বহুল পরিমাণে বাড়ছে। এখন প্রায় প্রত্যেক ঘরেই মাইক্রোওয়েভ থাকায় পাত্রে রাখা খাবার গরম করা হচ্ছে তাতেই। তার ওপর রান্না করার পর সরাসরি প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখার ফলে খাবারের মধ্যেই বিস্ফানল মিশে যাচ্ছে। এই বিষ হার্টের জন্য ভয়ানক। তাছাড়া মেটাবলিজম এবং হজম সংক্রান্ত নানা অসুখ বাঁধাতে এর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, 'চুল পড়া আসলে একটা উপসর্গ। শরীরে কোনো বড় রোগ বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হলে ভীষণভাবে চুল পড়তে থাকে। বিস্ফানল আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। শুধু খাবার গরম করা থেকেই এটা শরীরে প্রবেশ করে না, বাচ্চাদের টিফিনবক্স বা পানির বোতল থেকেও প্রতিনিয়ত এই ক্ষতিকারক বস্তু শরীরে ঢুকছে। এটা প্রথমেই চুলের ওপর হামলা করছে।'  উৎসঃ নয়া দিগন্ত

উজিরপুরে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ধর্ষিতা কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ। রোববার বিকেল ৪ টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 
খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে কিশোরীকে দেখতে যান। ধর্ষিতার খালা মাসুদা বেগম জানান, বিকেলে তাকে এক মহিলা ফোন করে জানায় তার ভাগনী ইচলাদী বাসস্ট্যান্ডে আছে এবং তার পা কেটে গেছে। একটি পুরনো কাপড় নিয়ে দ্রæত তাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসায় কিশোরীটির জ্ঞান না ফেরায় রাতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে প্রায় ২ ঘন্টা অস্ত্রপচারের পর সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে কিশোরীটির জ্ঞান ফিরে কিন্তু সে এখনও কোন কথা বলতে পারছে না। 
গাইনী ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. দিপান্বিতা জানিয়েছেন, কিশোরীটিকে একাধিক পুরুষ ধর্ষন করেছে। অচেতন অবস্থায় দীর্ঘসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক। ওই কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে বলে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রেরিত কাগজপত্রে দেখে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। উজিরপুর মডেল থানার এস.আই হেমায়েত জানান, কিশোরীটি অচেতন অবস্থায় ছিল। তাই কে বা কারা কোথায় তাকে ধর্ষন করেছে তা এখনো জানা যায়নি। প্রথমে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ্য করে তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নুরুল ইসলাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ধর্ষিতা কিশোরীটির চিকিৎসার পর এখন জ্ঞান ফিরেছে তবে সে কিছুই বলতে পারছে না। সে সুস্থ্য হলে তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উজিরপুর মডেল থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। উৎসঃ নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় জামায়াতের গভীর শোক

২১ জুলাই ২০১৫ইং তারিখ; সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায়  জামায়াতের  গভীর শোক। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না - মকবুল আহমাদ

.গত ১৯ জুলাই ভোর ৫টায় সিরাজগঞ্জ জেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি এলাকায় ২টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দু’টির ড্রাইভারসহ ১৭ জন লোক নিহত ও প্রায় অর্ধশত লোক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ গতকাল সোমবার বিবৃতি দিয়েছেন।  বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে মানুষের মূল্যবান জীবন যাচ্ছে। 
অনেকেই চিরদিনের জন্য পঙ্গু হচ্ছে। এ ব্যাপারে লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বাস দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন এবং আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
.
বাস দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তিনি তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করেন, আল্লাহ যেন তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।

জেলে সাকা-সাঈদী কোলাকুলি

২১ জুলাই ২০১৫: মঙ্গলবার, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে জেলখানাতেই দেখা হয়েছে একই অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ও জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর। 
গত শনিবার ঈদের দিন কারাগারের ভেতরে তাঁরা জামাতে নামাজ পড়তে গেলে এই দুই নেতার দেখা হয়। ওই সময় কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনাও করেন তাঁরা।
কাশিমপুর কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর-১ কারাগারের আলাদা আলাদা সেলে বন্দি থাকেন। তবে ঈদের জামাতের সময় সব বন্দিই নামাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এই কারাগারে ঈদের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর একটিতে ইমামতি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জামায়াত নেতা সাঈদী। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। মূলত ইমামতি করার জন্য বাইরে থেকে মাওলানা আনার কারণেই সাঈদীকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাশিমপুর-১ কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কারাগারে ঈদের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামাতের জন্য বাইরে থেকে একজন করে মোট চারজন মাওলানা আনা হয়েছিল। তাই বন্দিদের মধ্য থেকে কাউকে ইমামতি করতে দেওয়া হয়নি।' কাশিমপুর-২ কারাগারে এখন বন্দি রয়েছেন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজাহারুল ইসলাম ও মীর কাসেম আলী। তাঁরাও ঈদের নামাজ পড়েছেন বলে জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত  জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। ঈদের আগে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ঈদের পরদিন রবিবার তাঁকে আবারও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত আনা হয়েছে।
এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় ছয়জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারা অধিদপ্তরের সহকারী  আইজি প্রিজন্স আবদুল জলিল কালের কণ্ঠকে বলেন, এবারের ঈদে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারার ক্ষমতাবলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর-২, ঝিনাইদহ, মাদারীপুর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে একজন করে মুক্তি দেওয়া হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তার পারিবারিক আইনে তিন মাসের সাজা হয়েছিল। ঈদে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় তিনি মুক্তি পেলেন।
কারা কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রতিটি কারাগারেই ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়। জঙ্গিসহ দুর্ধর্ষ বন্দিদের জন্য আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। আর সাধারণ বন্দিরা নামাজ আদায় করেছে আলাদা জামাতে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম কালের কণ্ঠকে জানান, কারাগারে ঈদের দিন সকালে বন্দিদের পায়েস ও মুড়ি খেতে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ভাত, মাছ, ডিম দেওয়া হয়েছে। আর রাতে পরিবেশন করা হয়েছে পোলাও, গরুর মাংস ও সালাদ। প্রত্যেক বন্দির জন্য এদিন ৫০০ গ্রাম (আধা কেজি) গরুর মাংস বরাদ্দ করা হয় বলে জানান এই কারা কর্মকর্তা।
.উৎসঃ কালের কণ্ঠ

অতিথি পরিচয়ে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা


সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় অতিথি সেজে ঘরে ঢুকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর স্ত্রী সুজিনা বেগমকে (১৯) খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের মা রেজিয়া বেগমও গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজিনা বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর (পশ্চিমপাড়া খালপাড়) গ্রামের মৃত হাজি আবদুর রউফের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মুরাদ আহমদের স্ত্রী।
জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা চারজন লোক আত্মীয় পরিচয়ে বাড়িতে ঢোকে। তাদের হাতে ছিল একটি মিষ্টির প্যাকেট। সুজিনার মা রেজিয়া বেগম এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায়, তারা তার (রেজিয়া) স্বামীর পূর্বপরিচিত। এরপর তারা ঘরে প্রবেশ করে।
আপ্যায়নের জন্য রেজিয়া বেগম তাদের জন্য লাচ্ছি তৈরি করছিলেন। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজিয়া বেগম ও তার মেয়ে সুজিনা বেগমকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। সুজিনার ভাই জহির উদ্দিন (১২) ঘর থেকে বের চিৎকার শুরু করলে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুজিনার মৃত্যু হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালে রেজিয়া বেগমের অস্ত্রোপচার চলছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ৫ মাস আগে জগন্নাথপুর উপজেলার ছিরামিশি (সাতাল) গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মুরাদ আহমদের সঙ্গে সুজিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুজিনা বাবার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যে প্রবাসীর সঙ্গে সুজিনার বিয়ে হয়েছিল ওই প্রবাসী যুক্তরাজ্যে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কিছুটা বিরোধ চলছিল। এ কারণে ঘটনাটি ঘটেছে কি না, তারা তা খতিয়ে দেখছেন। আমার দেশ এর সৌজন্যে

আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় হাটহাজারীর সোলাইমান নিহত


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  আহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন,আমিরাত করেসপন্ডেন্ট 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ সোলাইমান (২৮) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। মোহাম্মদ সোলাইমান হাটহাজারীর মির্জাপুর মুহুরীহাট বটতল এলাকার আবদুল হাফেজের ৩য় পুত্র।তিনি শারজায় একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করতেন।
ঈদের ছুটিতে শারজাহ থেকে আল আইন যাওয়ার পথে রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা ০৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। লাশ স্তানিয় একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুবাই কনস্যুলেটের লেবার কনসাল এএসএম জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ দুর্ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবহিত করেনি, তবে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।  
ফেইসবুক

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী