বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ধর্ষিতা কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ। রোববার বিকেল ৪ টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে কিশোরীকে দেখতে যান। ধর্ষিতার খালা মাসুদা বেগম জানান, বিকেলে তাকে এক মহিলা ফোন করে জানায় তার ভাগনী ইচলাদী বাসস্ট্যান্ডে আছে এবং তার পা কেটে গেছে। একটি পুরনো কাপড় নিয়ে দ্রæত তাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসায় কিশোরীটির জ্ঞান না ফেরায় রাতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে প্রায় ২ ঘন্টা অস্ত্রপচারের পর সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে কিশোরীটির জ্ঞান ফিরে কিন্তু সে এখনও কোন কথা বলতে পারছে না।
গাইনী ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. দিপান্বিতা জানিয়েছেন, কিশোরীটিকে একাধিক পুরুষ ধর্ষন করেছে। অচেতন অবস্থায় দীর্ঘসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক। ওই কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে বলে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রেরিত কাগজপত্রে দেখে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। উজিরপুর মডেল থানার এস.আই হেমায়েত জানান, কিশোরীটি অচেতন অবস্থায় ছিল। তাই কে বা কারা কোথায় তাকে ধর্ষন করেছে তা এখনো জানা যায়নি। প্রথমে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ্য করে তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নুরুল ইসলাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ধর্ষিতা কিশোরীটির চিকিৎসার পর এখন জ্ঞান ফিরেছে তবে সে কিছুই বলতে পারছে না। সে সুস্থ্য হলে তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উজিরপুর মডেল থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। উৎসঃ নয়া দিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন