বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

পৌরসভার নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদ জামায়াতেরঃ সরকার পরিকল্পিতভাবে স্বৈরশাসন কায়েমের ষড়যন্ত্র করছে


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক;  ২৭ মে, ২০১৬ঃ ২৫ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৬ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভার নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, কারচুপি, জালভোট প্রদান ও ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট ডাকাতি করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়েছে। 

৯টি পৌরসভার সব কয়টিতেই ব্যালট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সরকার এবং সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করলো যে তাদের অধীনে এ দেশে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে বোমাবাজী, ভোট কেন্দ্র দখল করে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যালট ডাকাতি করা হয়েছে। সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের তান্ডবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের ভোটটি পর্যন্ত দিতে পারেননি। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টসহ অন্যান্যদের পোলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে জোর পূর্বক সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা বের করে দিয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভায় সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে বিরোধী দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার কারণে বিরোধী দলের প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন। 
নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে ফেনীর ছাগল নাইয়া, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা পৌরসভায় সবচেয়ে বাজে নির্বাচন হয়েছে। এ পৌরসভাগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরেছে। নির্বাচন কমিশনের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, গত ২৫ মে’র অনুষ্ঠিত কোন পৌরসভায়ই’ নির্বাচন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এর দ্বারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে। 
সরকার নিজের দলের প্রার্থীদের ছলে বলে কলে কৌশলে বিজয়ী করার জন্য গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করে দিয়ে দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। 
২৫ মে যে সব পৌরসভায় ব্যাপক সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, কারচুপিসহ নানা অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পূনরায় নির্বাচন দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলের চাঞ্চল্যকর তথ্য -- রিজার্ভ চুরির মূল হোতারা থাকেন ভারতে!


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে মূল হোতারা রয়েছে ভারতে। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করে। আর এটা একজনের নয়, কয়েকজনের কাজ। বৃটেনের ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এসব হ্যাকারের হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। এর মধ্য থেকে তারা মাত্র ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিতে সমর্থ হয়। এই অর্থ লোপাটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মেইল অনলাইনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রাজকোষ কেলেঙ্কারি কোনো একজন ‘হোতা’র কাজ নয়। এই কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত এবং তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছে। 
সূত্রটি বলেছে, ‘এতে সংশ্লিষ্টরা ভারতে রয়েছে এবং তারা সম্ভবত প্রক্সি (ইন্টারনেটে নিজের প্রকৃত অবস্থান গোপন করে ভার্চুয়াল অবস্থান দেখানোর পদ্ধতি) ব্যবহার করছে। সে কারণেই তাদের ধরা যাচ্ছে না। তারা ভারতের কেন্দ্রেই অবস্থান করছে এবং কয়েকজন রয়েছে বাইরে। কারিগরি দিক থেকে তারা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের সন্ধান পাওয়াই সম্ভব নয়।’ ওই সূত্রটি আরও বলেছে, ‘এসব ব্যক্তি খুব সহজেই নিজেদের লুকাতে পারে এবং ২/৩ মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে যেতে পারে।’ সূত্রটি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ লোপাট হওয়া অর্থের কিছুটা উদ্ধার করতে পারলেও পুরোটা পারেনি এবং এর হোতাদের সারাজীবন নিশ্চিন্তে পার করে দেয়ার জন্য দেড় কোটি ডলারই যথেষ্ট।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে ফিলিপাইনে শনাক্ত করা গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ অবশ্য ফিলিপাইনের ব্যাংকে পৌঁছানো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা রেখেছেন। এদিকে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া আবাদ জানিয়েছেন, কিম ওংয়ের কাছে থাকা দেড় কোটি ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে। আরও দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার রয়েছে ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলেয়ারে এবং এক কোটি ৭০ লাখ ডলার রয়েছে রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছে। আরও এক কোটি ২০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ক্যাসিনো সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন জুলিয়া আবাদ। 
তবে ম্যানিলার একজন বেসরকারি গোয়েন্দা অগাস্টাস এসমেরাল্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, এই ঘটনাকে ব্যাংকের হ্যাকিং হিসেবে দেখা উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা হ্যাকারদের নিযুক্ত করে অর্থ চুরির ঘটনার মতো। এর পিছনে রয়েছেন এমন ব্যক্তি যিনি ব্যাংক, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সিস্টেম ও ক্যাসিনো সম্পর্কে জানেন। আমার কাছে এটাকে মনে হয়েছে আধুনিক সময়ের ওশান’স ১১। একে বলা যেতে পারে ম্যানিলা ১২।’ উল্লেখ্য, ওশান’স ১১ একটি হলিউড সিনেমা যাতে লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনো থেকে অর্থ চুরি করে ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।উৎসঃ মানব জমিন

আমরা নিরাশ নই, হতাশ নই, মহান আল্লাহই যথেষ্ট...


আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ  হত্যা করা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র আমীর বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের একজন সিপাহসালার মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে। 
শহীদ হিসেবে মহান আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেন শহীদ মতিউর রহমান নিজামী। মহান আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা তিনি যেন তাঁর এই প্রিয় বান্দার শাহাদাত কবুল করে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় তাকে সমাসিন করেন। আল্লাহুম্মা আমীন। শহীদ মতিউর রহমান নিজামী’র রেখে যাওয়া দ্বীন বিজয়ের কাজ অব্যাহত থাকবে, বাংলাদেশের জমিন শহীদ নিজামী’র রক্তে উর্বর হবেই, ইন'শা'আল্লাহ। 
এই বন্ধুর পথে পথিকদের এই শপথে বলিয়ান হতে হয়, যে পথে ধরে রবের দরবারে চলে গেলেন প্রিয় নেতা-"ইন্নাস সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।"
অর্থঃ"নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সকল কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য" (সুরা আল আনাআম-১৬২)
ওদের মূল টার্গেট আমাদের হত্যা করে আমাদের পথচলাকে রুদ্ধ করে দেয়া। কিন্তু ওরা জানেনা আমাদের পথচলা চিরকল্যাণের তরে, সত্যের তরে, হেরায় আলোয় উদ্ভাসিত। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সত্যকে যুগে যুগে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল মিথ্যাশ্রয়ীরা, কিন্তু তাদের স্বপ্ন কখনো পুরণ হয়নি, অনন্তকাল ধরে তা পুরণ হবেও না, ইনশা‘আল্লাহ। 
এই পথের যাত্রীদের অপরাধ শুধু আল্লাহর পথে চলা। আল্লাহর পথে চলা যদি পৃথিবীর স্বার্থান্বেষী মহলের দৃষ্টিতে অপরাধ হয়, আল্লাহর পথের পথিকরা সেই অপবাদ-নিন্দা সয়ে নিতে কুন্ঠিত নয়, যদি যায় জীবন, ঝুলতে হয় ফাঁসির রশিতে তবেও তারা পিছপা নয়। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- "ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে, তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল” (সুরা আল-বুরুজঃ ৮)।
একজন নিরাপরাধ মানুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করার চাইতে জঘন্য অপরাধ আর কি হতে পারে? কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হলুদ রঙ মেখে উল্লাসে মেতে উঠেছে। তাদের বিবেক আর তথাকথিত বিবেকবানদের বিবেকের কাছে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, যে মানুষগুলোকে (জামায়াত নেতৃবৃন্ধকে) রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যার আয়োজন করা হচ্ছে, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে তাদের বিরুদ্ধে কেন কারও কোন অভিযোগ-অনুযোগ ছিলনা? হঠাৎ করে কেন মিথ্যা, বানোয়াট, বায়বীয় ও ধারণাবশত অভিযোগে এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করােএত জরুরী হয়ে পড়েছে? নিশ্চয় এর উত্তর দিতে কথিত বিবেকবান ব্যক্তিরা আমতা আমতা করলেও সময়ের ব্যবধানে ইতিহাস হয়ত তাদের ক্ষমা করবেনা। আমরা এতে বিক্ষুদ্ধ, এমন রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ নিশ্চয় সীমালঙ্ঘনকারীদের দুনিয়া ও আখেরাতে অপদস্থ করবেন, আর মজলুম ব্যক্তিদের সম্মানিত করবেন, ইনশাল্লাহ। 
এই জঘন্য ঘটনাকে দিব্যি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ছাড়া আর কি বলা চলে? মিথ্যা সাক্ষ্য ও খোঁড়া যুক্তি দিয়ে যারা একটি আদর্শ মুছে দিতে চায় তারা সত্যিই চরম নির্বোধ। যারা "সঙ্গে থাকলে সঙ্গি, দূরে থাকলে জঙ্গি" এমন উপাধি দিতে সামন্যতম কার্পণ্যবোধ করেনা তারা যে কতবড় নির্লজ্জ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাদের মুখোশ জাতির সামনে উম্মোচিত, দেশের সচেতন মানুষ সুযোগ পেলেই এর জবাব দেবে। এদের প্রতি মানুষের কোন শ্রদ্ধা, ভালবাসা আস্থা নেই। এরা ক্ষমতার মসনদে গায়ের জোরে, অন্যায়ভাবে অস্ত্রবাজী করে ও প্রশাসনকে অপব্যবহার করে টিকে আছে। এদের অবস্থা ঘুনেধরা তকতকে ফ্রেমের মত, যে কোন সময় তারা ক্ষমতার মসনদ থেকে খসে পড়তে পারে, যা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জোর করে অনেক কিছু করা যায়, কিন্তু বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না, যা বারবার প্রমানিত। 
আল্লাহ দেখতে চান তাঁর বান্দারা তাঁর পথে অবিচল কিনা, আমরা তাঁর কাজে অবিরত কিনা! শাহাদাৎ আল্লাহর বান্দার জন্য এক অপার নেয়ামত। আল্লাহ যদি তাঁর পথের পথিককে পছন্দ করে শাহাদাতের মর্যাদা প্রদান করতে চান তার চেয়ে সৌভাগ্যশীল কে হতে পারে? যুগে যুগে নানা মিথ্যা অভিযোগে অসংখ্য নবী-রাসুল ও তাদের অনুসারীদের হত্যা করা হয়েছে, আজকের ঘটনা এ আর নতুন কি? 
ইসলামের অনুসারীদের শাহাদাতের রক্ত যে ময়দানে ঝরেছে সেই ময়দান ইসলামের জন্য উর্বর হয়, ইসলামপন্থীরা নতুন শক্তিতে বলিয়ান হয়, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। সত্যের বিজয় ঘনীভূত হয়। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে যারা দেশ থেকে ইসলামী তাহজীব-তামুদ্দুন ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায় তাদের স্বপ্ন কখনো পূরণ হবেনা, ইনশা’আল্লাহ। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারেনা। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের প্রিয় নেতা ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালারকে কবুল করুন। এদেশে দ্বীনের পথে আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের চুড়ান্ত ত্যাগ-কুরবানীকে কবুল করুন। আমীন।
আমাদেরকে মহান আল্লাহ ধৈর্য্য, ত্যাগ ও কুরবানীর মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীনের পথে আগুয়ান হওয়ার তাওফিক দিন। হাসবুনাল্লাহি নে'য়মাল ওয়াকিল, নে'য়মাল মাওলা ওয়া নেয়মান নাছির। 
আমরা নিরাশ নই, হতাশ নই, মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

-আবদুল জব্বার
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার আবাহন, একজন কথিত মডেল সাবিরা ও নষ্ট সমাজের রূঢ় রূপ... -ব্লগার পুস্পিতা

আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সাবিরা হোসেন, কথিত মডেল! মডেল-অভিনেতা-অভিনেত্রী মানেই তথাকথিত আধুনিকদের স্বপ্নের রাজা-রাণী! সাজ-গোজ, পোষাক-আসাকের সাথে সাথে তাদের মতো হাটা-চলা-বলার চেষ্ঠাও অনেকে করে থাকেন। তারাই তাদের জীবনের আদর্শ!

সেই ধরনের কথিত সুন্দরী, আকর্ষনীয় সাবিরাকে করতে হলো আত্মহত্যা! খবরটি নিয়ে তেমন উৎসাহী ছিলাম না। কিন্তু তার আত্মহত্যার কারণ ও নোটের কথা গুলো যখন প্রকাশ হলো তখন আগ্রহ বেড়ে গেলো। মনে হলো তার কথাগুলোতে শিক্ষনীয় আছে কোটি তরুণীর।
কি সেই শিক্ষাটি? একজন মেয়ে যখন তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ- নিজের আব্রু কোন প্রকার বৈধ সামাজিক বন্ধন ছাড়া পুরুষের কাছে হারিয়ে ফেলে তখন সেই পুরুষের কাছে ওই তরুণী ব্যবহৃত টিস্যু পেপার যে হয়ে যায়, তা সাবিরা এই সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। নষ্ট সংস্কৃতির খপ্পড়ে পড়ে সাবিরা সবকিছুই বিয়ে ছাড়াই দিয়ে বসেছে কথিত বন্ধু বা প্রেমিকের কাছে। খুবই নাকি বিশ্বাস করেছিল! সে জন্যেই নাকি স্ত্রীর মতো সবকিছুই দিয়ে দিয়েছিল। সবকিছু, সবকিছুই! 
বিনিময়ে কি পাওয়া গেলো? কেন, টিস্যু পেপারের মতো ছুড়ে ফেলে দেয়া। বুঝিনা একটি মেয়ে কি করে এভাবে কথিত পুরুষকে বিশ্বাস করে! ভালোবাসার নামে যখন পুরুষ, মেয়েটিকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করতে চায় তখনই তো মেয়েটির সতর্ক হয়ে যাওয়ার কথা। তখনই তো মেয়েটির বুঝা উচিত ভালোবাসা নয়, এখানে ভিন্ন কিছু ওই নষ্ট পুরুষের চাওয়া। আধুনিক মেয়েগুলো নিজেদের এত জ্ঞানী মনে করে, এত প্রগতিশীল দাবী করে, এই সামান্য বিষয়টিও বুঝতে পারে না?! আশ্চর্য!
মেয়ে, নিজেকে এত আধুনিক ও প্রগতিশীল দাবী করো, কিন্তু নিজের শরীর, আব্রু, ইজ্জত আরেকটি ছেলের কাছে বিলিয়ে দেয়া যে ঠিক না, তা বুঝতে পারো না? আশেপাশে এত অধঃপতন দেখেও তোমাদের শিক্ষা হয় না? কিভাবে একজন ছেলের কাছে বিয়ের আগেই সবকিছু সপে দাও? দেয়ার সময় মাথায় আসে না যে প্রতারিত হতে পারো? আসবে কিভাবে? তথাকথিত আধুনিক সংস্কৃতি তো তোমাদের এটিই শিক্ষা দিচ্ছে। অবাধে মেলামেশা করো, উদ্দাম হও, লাম্পট্যপনাতে জড়িয়ে পড়ো। তোমার কি এই বোধটুকুও আসে না যে, তোমার শ্রেষ্ঠ সম্পদই যখন বিয়ের আগে কোন প্রকার সামাজিক স্বীকৃতি ও চুক্তি ছাড়াই একজন ছেলে নিয়ে নিয়েছে তখন পরবর্তীতে সেই ছেলের তোমাকে বিয়ে করার প্রয়োজন কি? 
তাই দেখা যায় সাবিরার মতো সুন্দরী, আধুনিকাও সেই পুরুষের কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় যখন বিয়ে বহির্ভূত ভাবে সবকিছু দিয়ে দেয় ওই পুরুষকে। সবকিছু হারানোর পর সাবিরা বুঝতে পারে সে এখন তুচ্ছ! তুচ্ছ না হয়েও বা কি হবে?! কারণ সাবিরাদের মতোই অপসংস্কৃতির ছোঁয়ায় বিবেকশুণ্য হাজারও তরুণী আশেপাশে আছে যাদের ওইসব নষ্টপুরুষরা যখন তখন খুঁজে পায় ও ব্যবহার করতে পারে। যেখানে সাবিরার মতো বা তার চেয়ে আরও কথিত উন্নত-আধুনিক-সুন্দরী কাউকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন কেন ওই নষ্ট পুরুষরা ব্যবহৃত টিস্যু পেপার সাবিরার জন্য বসে থাকবে?
কিন্তু সাবিরা কি তুচ্ছ হয়ে যাওয়ার মতো ছিল? কি ছিল না তার? রূপ? সৌন্দর্য? মাধুর্য? কমনীয়তা? স্বাভাবিক ভাবে একজন পুরুষ যা চায় তার কোনটি তার কমতি ছিল? তারপরও কিভাবে সে ফেলনা হয়ে গেলো? বিশাল প্রশ্ন। আত্মহত্যার নোট পড়ে ও ভিডিও দেখে এটি বুঝা যায় আসলে সবকিছু থাকার পরও সে হারিয়ে ফেলেছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদটি। যা কথিত আধুনিক মেয়েরা সাবিরার মতোই ফাঁদে পড়ে হারাচ্ছে অহরহ। কেন জানি না, ওই সব আধুনিক ও কথিত শিক্ষিতরা কেন সবকিছু হারানোর আগে বিষয়টি বুঝতে পারে না! 
সাবিরার আত্মহত্যার নোট পড়ে আবারও হেফাজতে ইসলাম বা এদেশের ইসলামী দলগুলোর সেই দাবীর কথা মনে ভেসে উঠে। তারা দাবী করেছিল, "ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করা উচিত।" সাবিরাদের পরিণতি দেখে কি এই দাবীর যৌক্তিকতা ফুটে উঠে না? হেফাজত বা ইসলামী দলের এই দাবী আসলে শুধু তাদের বা ইসলামের নয় বরং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। যাদের বিবেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে, যারা চায় নারীদের পরিণতি সাবিরাদের মতো হোক, তারা ছাড়া আর কেউ কি এই দাবীর বিরোধীতা করতে পারে? 
বর্তমান বাংলাদেশের তথাকথিত নারীবাদী-প্রগতিশীল-মুক্তমণাদের মূল শত্রু ইসলাম। নারী অধিকারের নামে তারা সবসময় বিরোধীতা করতে থাকে ইসলামের। তাদের সেই ইসলাম বিরোধীতার মূল কারণ তারা আসলে এদেশের তরুণ-তরুণীদের সাবিরা-নির্ঝরদের মতো তৈরি করতে চায় যাদের নীতি, নৈতিকতা, মানবিকতা, চরিত্র, ইসলাম কোন কিছুই থাকবে না, তারা হবে শুধু অশ্লীলতা, যত্রতত্র অবাধ যৌনতা ও যৌন লালসা সর্বস্ব মাতাল কিছু জীব। ওসব জীব দেশ, জাতি, সমাজ, ভবিষ্যৎ কোন কিছুই নিয়ে ভাববে না, ভাববে শুধু কিভাবে অবাধে লালসা মিটানো যায়। 
কিন্তু এক্ষেত্রে একমাত্র ও শুধুমাত্র বাঁধা ইসলাম। তাই বর্তমান বাংলাদেশে নৈতিকতা ধ্বংসের সকল পথ খুলে দেয়া হয়েছে। নৈতিক চরিত্র তৈরির সকল পথ আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় বতর্মান বাংলাদেশে ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি একপ্রকার নিষিদ্ধ এবং ইসলামী ব্যাক্তিত্বরা কারাগারে বা ফাঁসির কাষ্ঠে। একদিকে অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ছড়ানোর কারিগর ভারতীয় অশ্লীল অপসংস্কৃতির নায়ক-নায়িকাদের জন্য বাংলাদেশকে অবারিত করে দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে ইসলামকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে।
কারণ ভারত, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ট্রানজিট-কোরিডোর সম্পন্ন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী যে রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে তাতে সুস্থ-সচেতন-দেশপ্রেমিক-নৈতিকচরিত্র সম্পন্ন মানুষের কোন প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু বোধশক্তিহীন, অধঃপতিত চরিত্রের জীব সাবিরা-নির্ঝরদের। তাই এই সাবিরা শেষ সাবিরা নয়, আরো অনেক অনেক সাবিরা বর্তমান সাবিরার পরিণতির দিকে ধেয়ে চলেছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নষ্ট সংস্কৃতির কবলে পড়ে...

সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬

যে হাদিসটি সবসময় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণা জোগায় -


 আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্ক, ১৬ মে,২০১৬: রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর সাহাবাদের বলেন- “শেষ বিচারের দিনে এমন কিছু মানুষকে আনা হবে, যাদের বুক ও ডান হাতে জ্বলজ্বল করতে থাকবে নূর, তাদেরকে বলা হবে, আজকে তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের কল্যাণ হোক, তোমরা চিরদিনের জন্য প্রবেশ করো জান্নাতে।’ তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার এই ভালবাসা দেখে নবী-রাসূলগণ পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হবেন।”

একথা শুনে সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, এরা কারা?"

উত্তরে মুহাম্মাদ (সা) বললেন, “এরা আমাদের (নবীদের) মধ্য হতেও না, এরা তোমাদের (সাহাবীদের) মধ্য হতেও না। তোমরা আমার সঙ্গী, কিন্তু তারা আমার বন্ধু। তারা তোমাদের অনেক পরে আসবে। তারা কোরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাবে এবং সুন্নাহকে মৃত অবস্থায় পাবে। তারা শক্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে এবং পুনরুজ্জীবিত করবে। তারা এগুলো অধ্যয়ন করবে এবং মানুষকে শেখাবে। কিন্তু একাজ করতে গিয়ে তারা তোমাদের চেয়েও ভয়াবহ ও কঠিন নির্যাতনের শিকার হবে। প্রকৃতপক্ষে, তাদের একজনের ঈমান হবে তোমাদের চল্লিশজনের ঈমানের সমান। তাদের একজন শহীদ হবে, তোমাদের চল্লিশজন শহীদের সমান। কেননা তোমরা সত্যের পথে একজন সাহায্যকারী (আল্লাহর রাসূল) পেয়েছ, কিন্তু তারা কোন সাহায্যকারী পাবেনা।
 প্রত্যেক জায়গায় তারা অত্যাচারী শাসক দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে এবং তাদের অবস্থান হবে বায়তুল মাকদিস এর চারপাশে। তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নুসরাহ (সাহায্য) আসবে এবং তারা এই বিজয়ের গৌরবকে প্রত্যক্ষ করবে।”
 তারপর তিনি (রাসূল সা) দু’আ করলেন-
“হে আল্লাহ, তুমি তাদেরকে নুসরাহ দান কর। জান্নাতে তুমি তাদেরকে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ কর।”

[ মুসনাদে ইমাম আহমাদ ]

নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ..'


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক: আমার পরম শ্রদ্ধেয় আব্বা, আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাথে সাক্ষাত শেষে ফিরছি। আমাদের অন্যান্য বারের সাক্ষাতের চেয়ে এবারের সাক্ষাতটি ছিল সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে দেখি আব্বা আগে থেকেই সেখানে আমাদের অপেক্ষায় আছেন। সালাম বিনিময় শেষে আব্বার মায়াবী চেহারাখানি নয়ন জুড়ে দেখতে গিয়েই মনের গহীণে তীব্র এক ব্যাথা অনুভব করলাম। আব্বার চোখ বসে গেছে, মুখ মলিন। তার সাথে শেষবার সাক্ষাত করেছিলাম আজ থেকে ১৮/২০ দিন আগে। মনে হল সেই সাক্ষাতে আব্বাকে যেমন দেখেছিলাম তার থেকে বেশ খানিকটা শুকিয়ে গেছেন তিনি। 

আব্বাকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম আমি। আব্বার জেল জীবনের ৬ বছর চলছে। এই ৬ বছরের মধ্যে এমন তো কখনো দেখিনি !! খুব অবাক হয়েই আব্বাকে প্রশ্ন করলাম, আব্বা! আপনাকে এমন লাগছে কেন! রাতে ঘুম হচ্ছেনা!?
আমরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্বা একেবারেই শিশুর মতো কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, "নিজামী ভাইকে কতো ভালবাসি, তা বুঝতে পারছি এখন ...। সেই রাত (অন্যায়ভাবে দেয়া ফাঁসি কার্যকরের রাত) থেকে আমার ঘুম হচ্ছেনা। ঠিক মতো খেতেও পারছিনা। বারবারই নিজামী ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। তার নূরানী চেহারা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ওরা কীভাবে পারলো তার মতো বিশ্ববরেণ্য একজন আলেমকে এতো নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে .. !"
আব্বার চোখের পানি আমাদের হৃদয়-মন-শরীরকে ছুঁয়ে গেল। আমরা কেউই আর ধরে রাখতে পারলাম না নিজেদেরকে। আব্বার সাথে চোখের পানিতে বুক ভাসালাম আমরাও।
আব্বা আরো বললেন, "ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে জেল-জুলুম-ফাঁসি দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। কারন, যেদিন ইসলামী আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছে, সেদিন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জেল-জুলুম-ফাঁসির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। জেল-জুলুম-ফাঁসি ইসলামী আন্দোলনের জন্য নতুন কিছু নয়। মিষ্টি খাওয়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে, টুপি পড়া সুন্নত সকলেই পালন করতে পারে কিন্তু হেলমেট পড়া সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সুন্নত সকলে পালন করতে পারেনা। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এপাশে ফাঁসির মঞ্চ আর এপাশে আল্লাহর জান্নাত।"
সাক্ষাতের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এলে বের হয়ে আসার মূহুর্তে আব্বা আমাদের সকলকে রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার কথা বললেন, শোক কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে নেয়ার কথা বললেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের মাল ও জান বিলিয়ে দেবার মানসিকতা নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বললেন।
সাক্ষাত শেষে চোখ মুছতে মুছতে আল্লাহর এক মজলুম গোলামকে তাঁরই কুদরতী হাতে সোপর্দ করে ফিরে চললাম বাড়ির পথে।

মাসুদ সাঈদী

রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬

জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থনে গভীর উদ্বেগ


বাংলাদেশ বার্তা ১৫ মে ২০১৬, রবিবার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থনের প্রচারিত খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ ১৫ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একে একে হত্যা করছে।
বিচারের জন্য ব্যবহৃত ১৯৭৩ সালের কালো আইন, বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী, জাতিসংঘ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে আইনের সংশোধনের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করা সত্ত্বেও সরকার তা আমলে নেয়নি। সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য দিয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে তা কার্যকরের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেভাবে হত্যা করছে তাতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ববাসী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। দেশের জনগণের নিকট এ বিচার গ্রহণযোগ্য হয়নি। জনগণ মনে করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে।
জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুর পর জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ও আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার পর তার নিজ এলাকা সাঁথিয়া ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজায় মানুষের ঢল থেকে প্রতীয়মান হয় জনগণ এ বিচার গ্রহণ করেনি এবং জনগণ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অপরাধী বলে মনে করে না।
বিচারের বাস্তবতা উপলব্ধি করে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচারকে অগ্রহণযোগ্য, অস্বচ্ছ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মৃত্যুদন্ড বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তার হত্যাকা-ের পর সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা আশা করি ভারতও এ সত্যটি উপলব্ধি করবে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতকে জনগণের প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়, কোন দল কিংবা সরকারের নয়। কিন্তু বিচার সম্পর্কে ভারতের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে বিস্মিত ও হতবাক করেছে। আমরা ভারতের এ বক্তব্যে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।”

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬

ভুমিকম্প কেন হয়?


আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না), জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু তার মায়ের সাথে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দিবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে, জাতির সবচেয়ে দূর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রুপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জনগণের নেতা হবে, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হয়ে যাবে, মদ পান করা হবে (বিভিন্ন নামে মদ ছড়িয়ে পড়বে), শেষ বংশের লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দিবে, এমন সময় আসবে যখন তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে তখন একটি ভূমিকম্প সেই ভূমিকে তলিয়ে দিবে (ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে)। [তিরমিযি কতৃক বর্ণিত, হাদিস নং – ১৪৪৭] এই হাদিসের মাঝে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে জমিনে কখন ভুমিকম্পের আজাব প্রদান করা হয় এবং কেন প্রদান করা হয়।
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে উঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরণের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর নিকট তাওবা করে, পাপ কর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মুনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হত, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলত, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।’

বিজ্ঞান কী বলে?

ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে ভূপৃষ্ঠের নীচে একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় রয়েছে কঠিন ভূত্বক। ভূত্বকের নীচে প্রায় ১০০ কি.মি. পূরু একটি শীতল কঠিন পদার্থের স্তর রয়েছে। একে লিথোস্ফেয়ার (Lithosphere) বা কঠিন শিলাত্বক নামে অভিহিত করা হয়। আমাদের পৃথিবী নামের এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, কঠিন শিলাত্বক (লিথোস্ফেয়ার)সহ এর ভূপৃষ্ঠ বেশ কিছু সংখ্যক শক্ত শিলাত্বকের প্লেট (Plate) এর মধ্যে খন্ড খন্ড অবস্থায় অবস্থান করছে। ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে এই প্লেটের চ্যুতি বা নড়া-চড়ার দরুণ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

ভুমিকম্প বিষয়ক কোরানতত্ত্ব

ভূমিকম্প বিষয়ে পবিত্র কোরানে সূরায়ে ‘যিলযাল’ নামে একটি সূরাই নাযিল করা হয়েছে। মানুষ শুধু কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং ভূতত্ত্ববিজ্ঞানও এই কার্যকারণ সম্পর্কেই আলোচনা করে থাকে। কিন্তু কুরআনুল কারীম একই সাথে কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ বর্ণনার পাশাপাশি উক্ত ঘটনা থেকে শিক্ষনীয় বিষয় কি এবং এই ঘটনা থেকে অন্য আরো বড় কোন ঘটনা ঘটার সংশয়হীনতার প্রতি ইংগিত করে। ভূমিকম্প বিষয়ে কুরআনুল কারীমে দু’টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। একটি হল ‘যিলযাল’, যার অর্থ হল একটি বস্তুর নড়াচড়ায় অন্য আরেকটি বস্তু নড়ে ওঠা। দ্বিতীয় শব্দটি হল ‘দাক্কা’, এর অর্থ হল প্রচন্ড কোন শব্দ বা আওয়াজের কারণে কোন কিছু নড়ে ওঠা বা ঝাঁকুনি খাওয়া। পৃথিবীতে বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে, তা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে কঠিন শিলাত্বকে চ্যুতি বা স্থানান্তরের কারণে। কিয়ামতের দিন আরেকটি ভূমিকম্পে পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে ধুলিকনায় পরিণত হবে এবং তা হবে ফেরেশেতা হযরত ইসরাফিলের ( আ.) সিঙ্গায় ফুৎকারের কারণে, যাকে বলা হয় ‘দাক্কা’। যা হবে এক প্রচন্ড আওয়াজ।
পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কঠিন শিলাত্বকের স্থানান্তরের কারণে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প আমাদেরকে এ কথার প্রতি ইংগিত করে যে, একদিন ওই ‘দাক্কা’ সংঘটিত হবে, যার নাম কেয়ামত। তখন এই চাকচিক্যময় দুনিয়ার সবকিছুই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। মানুষ যেন কিয়ামতকে ভুলে না যায়, দুনিয়াকেই তার আসল ঠিকানা মনে না করে, তাই মাঝে মাঝে মহান আল্লাহ ভূমিকম্পসহ আরো অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিয়ে মানুষকে সতর্ক করে থাকেন।

ভুমিকম্প একটি আজাব

আল্লাহ মহান পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন, বল, আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।” (সূরা আল আনআম : ৬৫)
আল-বুখারি তার সহিহ বর্ণনায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন তোমদের উপর থেকে (আসমান থেকে) নাজিল হলো তখন রাসূল (স) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অথবা যখন, অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব নাযিল হলো, তখন তিনি (সা.) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সহিহ বুখারি, ৫/১৯৩)
আবূল-শায়খ আল-ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করেন, “বল, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে)- যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; আর অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম- যার ব্যাখ্যা হলো, ভুমিকম্প এবং ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া।)

বান্দার ওপর আজাব কেন আসে?

হজরত আলী [রা.] হতে বর্ণত রসুল [সা.] ইরশাদ করছেন, যখন আমার উম্মত যখন ১৫ টি কাজে লিপ্ত হতে শুরু করবে তখন তাদের প্রতি বালা মসীবত আপাতিতি হতে আরম্ভ করবে।কাজগুলো হল
১. গণীমতের মাল ব্যাক্তিগত সম্পদে পরিণিত হবে।
২. আমানতের সম্পদ পরিনত হবে গনীমতের মালে।
৩. জাকাত আদায় করাকে মনে করবে জরিমানা আদায়ের ন্যায়।
৪. স্বামী স্ত্রীর বাধ্য হবে।
৫. সন্তান মায়ের অবাধ্য হবে।
৬. বন্ধু-বান্ধবের সাথে স্বদব্যাবহার করা হবে।
৭. পিতার সাথে করা হবে জুলুম।
৮. মসজিদে উচ্চস্বরে হট্টোগোল হবে
৯. অসাম্মানী ব্যাক্তিকে জাতির নেতা মনে করা হবে।
১০. ব্যাক্তিকে সম্মান করা হবে তার অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য।
১১. প্রকাশ্যে মদপান করা হবে।
১২. পুরুষ রেশমী পোষাক পরবে।
১৩. গায়িকা তৈরি করা হবে।
১৪. বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হবে।
১৫.পুর্ববর্তী উম্মতদের (সাহাব, তাবে, তাবেঈন) প্রতি অভিসমাপ্ত করবে পরবর্তীরা।
এই কাজগুলি যখন পৃথিবীতে হতে শুরু হবে তখন অগ্নীবর্ষী প্রবল ঝড়, ভুমিকম্প ও কদাকৃতিতে রূপ নেয়ার অপেক্ষা করবে। এখন একটু চিন্তা করা উচিত যে আমরা এগুলোর মাঝেই লিপ্ত রয়েছি। আর যখন আমাদের উপর মুসীবত আসে তখন প্রকৃতির বা মানুষের বা অন্যান্য জিনিসের দোষ দেই। আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন আমরা হই তা আসলে আমাদের গুনাহের কারনেই এত আযাব।
ভুমিকম্প হলে করনীয় কি?
যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা যেভাবে রাসূল (সা.) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন, যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। [বুখারি ২/৩০ এবং মুসলিম ২/৬২৮]
বর্ণিত আছে যে, যখন কোন ভূমিকম্প সংগঠিত হতো, উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ) তার গভর্ণরদের দান করার কথা লিখে চিঠি লিখতেন।

ভুমিকম্প একটি কেয়ামতের আলামত

আবূল ইয়ামান (রহ.) আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি [সা.] বলেছেন, কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইল্‌ম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভুমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। (হারজ অর্থ খুনখারাবী) তোমাদের সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে, উপচে পড়বে। [সহিহ বুখারি, অধ্যায় : ১৫/ বৃষ্টির জন্য দুআ, হাদিস নাম্বার : ৯৭৯]
পবিত্র কোরানের একাধিক আয়াতে বলা হয়েছে যে, জলে স্থলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তা মানুষেরই কৃতকর্মের ফল। আল্লাহপাক মানুষের অবাধ্যতার অনেক কিছুই মাফ করে দেন। তারপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। কোরান নাজিল হওয়ার পূর্বেকার অবাধ্য জাতি সমূহকে আল্লাহপাক গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন। সে সবের অধিকাংশ গজবই ছিল ভুমিকম্প। ভুমিকম্প এমনই একটা দুর্যোগ যা নিবারন করার মতো কোন প্রযুক্তি মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নাই। এর পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোন প্রযুক্তিও মানুষ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনাই। হাদিস শরীফেও একাধিকবার বলা হয়েছে যে, মানুষের দুষ্কর্মের জন্যই ভুমিকম্পের মতো মহা দুর্যোগ ডেকে আনে। কুরআন এবং হাদিসে আদ, সামুদ, কওমে লুত এবং আইকার অধিবাসীদের ভুমিকম্পের দ্বারা ধ্বংস করার কাহিনী বিভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণনা করা হয়েছে।

একটু ভাবুন তো...

সামান্য এই ভূমিকম্পেই সম্পদের মায়া ছেড়ে আমরা রাস্তায় নামছি। এটা যখন আরো বাড়বে, তখন সম্পর্কের মায়াও ছেড়ে দেবো আমরা। নিজেকে বাচানোর চেষ্ঠায় ব্রতী হবো সবাই। যখন তা রচাইতেও আরো বাড়বে তখন যেই মা দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনিও তার বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবেন, গর্ভের শিশুকেও বের করে দেবেন। ভূমিকম্পের সময় কে কি বস্থায় ছিলাম, কে টের পেয়েছে, কে টের পায়নি, চেয়ার টেবিল নড়ছিলো কিনা, ফ্যান দুলছিলো কিনা- এই সব গবেষণা পরে করলেও হবে। আগে করা দরকার তওবা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হল, এটি আল্লাহ কর্তৃক একটি নিদর্শন। যাতে করে মানুষ স্বীয় অপরাধ বুঝতে সক্ষম হয়। ফিরে আসে আল্লাহর পথে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সাথে খাটি তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংগ্রহঃRadio Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

পানামা পেপার্সে বাংলাদেশীদের নাম প্রকাশিত হওয়ায় উদ্বেগ যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা দেশের শত্রু -ডাঃ শফিকুর রহমান


বাংলাদেশ বার্তা:পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশের যে পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে তাদের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। 
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, পানামা পেপার্স বিস্ফোরণে বাংলাদেশী পঁচিশজন প্রভাবশালী অর্থ পাচারকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসীর নিকট পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, বাংলাদেশী বহু অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি বিদেশে অর্থ পাচার করছে। যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা নিঃসন্দেহে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অর্থ পাচারকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর নামও এসেছে। আগামী মে মাসে আরো অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। 
তিনি বলেন, দেশবাসী উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করছে এবং বিদেশে পাচার করছে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং পাচার করছে। কিন্তু সরকার বরাবরই এসব ব্যাপারগুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ সরকারের আমলে অর্থ কেলেংকারির বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন একটি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। 
তিনি আরো বলেন, পাচারকৃত অর্থ দেশের সাধারণ জনগণেরই অর্থ। সুতরাং জনগণের সামনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। সরকারের সাথে এদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কোন যোগসূত্র না থাকলে বেপরোয়াভাবে তারা এভাবে অর্থ লুটপাট করতে পারতো না। তাই দেশের জনগণ সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করে সরকারের একটি উঁচু মহল এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের অর্থ যারা বিদেশে পাচার করছে, তারা দেশের শত্রু। তারা জনগণকে শোষণ করে এবং দুর্নীতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে। যারা এভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে তাদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত, অর্থ পাচারকারী হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের অর্থের হিসাব গ্রহণ করা। অর্থ পাচারকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এই ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হলে দেশের জনগণ তা বরদাস্ত করবে না। 
একটি বিচার বিভাগীয় শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথোপোযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন শহীদের সংখ্যা এরই মধ্যে ১০ এ পৌঁছেছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় গ্রাম গন্ডামারায় এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গুলিতে শহীদদের মধ্যে মর্তুজা আলী (৫২) ও আঙ্গুর আলী (৪৫) নামে দুই সহোদর রয়েছেন। এছাড়া জাকের আহমেদ (৩৫), বাদশা মিয়া ও বদিউল আলম নামে আরও তিনজন শহীদের নাম জানা গেছে। 

এলাকাবাসী জানিয়েছে, বাঁশখালীর গন্ডামারায় প্রায় ৬শ’ একর জমিতে ১২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ। পরিবেশের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এটির নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বহুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ ও স্থানীয় সরকার দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করে এই আন্দোলনে বাধা দিয়ে আসছে এস আলম গ্রুপ। এরমধ্যে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলাও চালানো হয় আন্দোলনকারীদের উপর।
সর্বশেষ সোমবার গন্ডামারায় গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে গেলে মতলবি ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। জনগণ এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে শুরু করে। কিন্তু বিকাল বেলা পুলিশ একযোগে জনগণকে বন্দুক তাক করে ফেলে। তারা নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই অনেকে লুটিয়ে পড়েন।
এ পর্যন্ত মর্তুজা আলী, আঙ্গুর আলী ও জাকের আহমেদসহ চারজন শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গন্ডামারার ঘরে ঘরে আর্তচিৎকার আর মাতম চলছে। গুলিবিদ্ধ বহু মানুষকে স্থানীয় হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কে মারা গেছে, কে বেঁচে আছে তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।

সূত্র : অনলাইন বাংলা

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী