বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

নগর অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পদক্ষেপ

আমাদের বাংলাদেশিউজ 24 ডেস্কঃ নগর অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পদক্ষেপ। চট্টগ্রাম সিটি করোরেমনের নবনিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজএর উদ্যোগেএমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি চার চাকার গাড়িতে না ঘুরে মটর সাইকেলে করে ঘুরার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এসি গাড়িতে কালো গ্লাসের ভিতর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রকৃত সমস্যা সঠিকভাবে বুঝা যায় না। তাই প্রশাসক নিজেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যাতে করে মানুষের সমস্যা নিজের চোখের সামনে কিছুটা হলেও সমাধান করতে পারেন;সেই চেষ্টা।
২৪ আগষ্ট হতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে ক্রাস প্রোগ্রাম। এই উদ্দেশ্যে প্রশাসক মহোদয় নতুন একটি মটর-বাইক ক্রয় করেছেন। 

নগর অভিযানে তিনি থাকবে একটি মটর-বাইকে এবং অন্য বাইকে থাকবে সিটিকরপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার/প্রকৌশলী; ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারগণ। যেই সড়ক দিয়ে প্রশাসক যাবেন সেই সড়কের ভাঙ্গা মেরামত, সড়কের রাইট মেরামত করবেন সাথে সাথে। যেখানে সমস্যা; সেখানেই সমাধান।
প্রশাসকের এই রকম উদ্যোগকে সচেতন মহলের জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। পূবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা নাই। তবে বর্তমান নবনিযুক্ত প্রশাসক  খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

তাফসীর 'ফি যিলালিল কুরআন

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ সাইয়্যিদ কুতুবকে জেলখানার মাঝে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি এখনো কেউ বলতে পারবে না, তাঁর কবর কোথায় অবস্থিত!!

যেদিন সাইয়্যেদ কুতুবকে হত্যা করা হলো, সেদিন মিশরের পথে পথে তাঁর রচিত তাফসীর 'ফি যিলালিল কুরআন' এর সাত অথবা আট হাজার সেট অর্থাৎ চৌষট্টি হাজার পুস্তক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যার কাছে সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থ পাওয়া যাবে, তাকে দশ বছর জেলে রাখা হবে। সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থগুলো জাদুর মতো। যে পাঠ করে, সেই তাঁর অনুসারী হয়ে যায়।

তার শাহাদাতের ঘটনা পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশের বেতারের সম্প্রচারিত হলে সবার মনে একটি প্রশ্ন উঁকি দিলো, এই ব্যক্তি কে? কেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হলো?

সেই তাফসীর গ্রন্থটি কেমন যার কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হলো?

তখন বৈরুতের প্রকাশকেরা প্রকাশনা জগতে কোন খ্রিস্টান লোকসান খেলে তাকে বলতো আর তুমি যদি বাঁচতে চাও তাহলে সাইয়্যেদ কুতুবের 'ফি যিলালিল কুরআন' ছাপ। হ্যাঁ, যে বছর সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসি দেওয়া হলো সে বছরই তার তাফসীর গ্রন্থটির সাত সংস্করণ ছাপা হলো।

অথচ তাঁর জীবদ্দশায় মাত্র একবার ছাপানো হয়েছিল।

আর এখন তো অবস্থা এমন যে, পৃথিবীর এমন কোন প্রান্ত পাওয়া যাবেনা যেখানে সাইয়্যেদ কুতুবের এই তাফসীরগ্রন্থ গিয়ে পৌঁছে নি। এমন কোন ভাষাও পাওয়া যাবে না যে ভাষায় তা অনূদিত হয়নি।

[তাফসীরে সূরা তাওবা, শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (রাহিমাহুল্লাহ), পৃষ্ঠা ২৮৪]

ফাঁসির আগের রাতে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন।

তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন?

ইমাম বললেন, আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।

সায়্যিদ কুতুব বললেন, এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? ইমাম বললেন, সরকার দিয়েছে।
সায়্যিদ কুতুব বললেন, এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান?

ইমাম বললেন, হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই।

তখন সায়্যিদ কুতুব রহ.বললেন, কী আশ্চর্য! যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!

"তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়,
আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!

হে আল্লাহ দয়া করে সাইয়্যেদ কতুব শহীদের(রা.) খিদমত কবুল করুন এবং ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করুন, আমীন।

কালেক্টেড

বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

অনুযোগ: শাহাদাত হোসাইন

 নীল কন্ঠ হইতাম যদি কথা নাহি কইতাম,

নীরবচারীর নীরবতায় সব যাতনা সইতাম।

এখন আমি বাকওয়ালা তাই,
এক আধটু কইবার চাই।।

তবে!!
হক কথাতে যত দোষ
না হকীদের অসন্তোষ।
বেশির নেশায় হারায় হুশ
মুদিরগণের চায় যে তুষ।।

আরে ভাই কইছিনে কেবল আমি ই ঠিক
বেবাক লোক ই আমার মত,
হারামি, ধমক আর নিন্দা আসুক যত।
করে না তার শীরটা নত।

হয়তো কভু সবার কাছে
হলেম নারে প্রিয়তম।
খোদার ধারে পাইগো যদি
উন্নত শীর মম।।
তাতেই আমার খুশির জোয়ার
যাক খুলে যাক বন্ধ দুয়ার।

আরে ও ভাই!
দোয়া মাগি প্রভুর তরে
দিবস, নিশিত, সন্ধ্যা- ভোরে
মরি যেন সত্য স্মরে।।

তাইতো!!
দৃপ্তকণ্ঠে কইবার চায় ...

হইবনারে নীলকণ্ঠ আর
সত্যের জয় হয় বারে বার।
কালাম পাকে এমন কথা
কইছেন গো ভাই মোর বিধাতা।।

এখন কেবল স্বপন দেখি...

এমন আজাদি লইয়া জীবন প্রদীপ হায়
নিবিয়া যাইবে মোর।
প্রতিটা হৃদয়ে উঠিবে জাগিয়া
সত্য সফেদ ভোর।
ছুটিয়া চলিবে সারাটি জনম
হোকনা এ মনজিল দূর বহুদূর।


রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

কাতারে ৩য় ধাপের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃকাতার উপসাগরীয় একটি ছোট দেশ। তবে এভারেজ জিডিপির দিক দিয়ে এটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। কাতারে কোভিড-19 পরিস্থিতি উন্নাত হওয়ায় ৩য় ধাপের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহার অন্যতম পর্যটন এলাকা আল কার্নিশ সাগর পাড় খুলে দেয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজারো স্থানীয় নাড়গরিক ও প্রবাসীদের আড্ডায় মুখরিত হয় এই এলাকা। দীর্ঘ  ৫ মাস পর কার্নিশ পাড়ে ঘুরতে পেরে বেশ খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে ছিলোনা সামাজিক দূরত্ব।
কোভিড-19’র মধ্যে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে কাতারের রাজধানী দোহার আল কার্নিশ সাগর পাড়ে হাজারো মানুষের ঢল।
এত লোকের সমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই যে করোনার থাবায় কাতারে ১৭৭ জন প্রাল হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১১১,১০৭ জন মানুষ।
যদিও এরই মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন কাতারে, করেনার ঝুঁকি থাকলেও দীঘদিন পরে ঘুরতে পারায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীঘ ৫ মাস আমরা ঘরে বন্দি ছিলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ জন্য ভালো লাগছে।
কাতারে প্রায় ২৮ লাখ লোক বসবাস করে। এই েছোট দেশটিতে গড় অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে মৃত্যুর হার একবারে কম হয়েছে।

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

মাহাথির-আনোয়ারের ভবিষ্যৎ এবং কিছু চ্যালেন্জঃ



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক জোট পাকতান হারপান সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়েছে আর তা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব দেশটির আরেক রাজনৈতিক নেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের হিসেবে হিসেবে তাকে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ‘Lowy Institute’ এর বরাত দিয়ে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
‘Asia Institute in the University of Tasmania’ এর অধ্যাপক এবং ‘Lowy Institute’ এর গবেষক ড. জেমস চিন বলেন, ‘মাহাথির মোহাম্মদের উচিত দ্রুততার সাথে আনোয়ার ইব্রাহীমকে তার ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ দেয়া এবং প্রশাসনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত করা যাতে করে আনোয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী এমন বার্তা পেতে পারে।’
‘আনোয়ারকে ডেপুটি করার জন্য অতি সত্বর একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানো জরুরী এবং একই সাথে তাকে নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা কার প্রয়োজন।’
পাকতান হারপানের প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘একটি নতুন মালয়েশিয়া: নিকট ভবিষ্যতের চারটি প্রতিকূলতা।’
ড. জেমস চিন বলেন, উপরোল্লিখিত চারটির মধ্যে দুটি হচ্ছে আনোয়ার ইব্রাহীমের রাজনীতির ভবিষ্যতে ‘তার ক্ষমতা গ্রহণের রাজনৈতিক অপলাপ’ বাদ দেয়া এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করা।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার মত একটি দেশে যেখানে সরকারের সমস্ত ক্ষমতা অতি উচ্চ পর্যায়ে কেন্দ্রীভূত এবং তা প্রধানমন্ত্রীর অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে এসব দূর করার জন্য আনোয়ার ইব্রাহীমের দক্ষতা যাচাই করা প্রয়োজন।’
কয়েক মাস পূর্বেও আনোয়ার ইব্রাহীম তার এবং ড. মাহাথিরের মধ্যকার ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে একটি ধীর চলমান বিষয় বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য তাকে অন্তত আরো দুবছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও ড. মাহাথির বার বার বলে আসছিলেন যে, তিনি অতি সত্বর আনোয়ার ইব্রাহীমের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো দিন তারিখ ঘোষণা করেন নি।
তবে পাকতান হারপানের কিছু নেতা মনে করেন প্রশাসন কে ঢেলে সাজানোর জন্য মাহাথির মোহাম্মদের পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা জরুরী।
এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, আসন্ন রমজান মাসে দেশটির অর্থ মন্ত্রী মোহাম্মদ আজমিন আলী ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। কিন্তু আজমিন আলী এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন।
মালয়েশিয়ার বর্তমান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহীমের স্ত্রী এবং পিকেআরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইলি।
ড. জেমস চিন অবশ্য মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে ইসলামের ভূমিকা এবং ইসলামকে রাজনীতিকরণের দৃশ্য পরিবর্তনের জন্য তার গবেষণায় প্রস্তাব এনেছেন।
‘Jeffrey Cheah Institute on South-east Asia’ এর সাবেক একজন গবেষক বলেন, ‘অনৈসলামিক বিশ্বাস সমূহের জন্য দাপ্তরিক ভাবে যদি মত প্রকাশের জন্য প্লাটফর্ম দেয়া যায় তবে এর মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় আলোচনায় তা অবধঅন রাখতে পারবে।’
ড. জেমস চিন বলেন, মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক ইসলামের আগমন এবং প্রশাসনের সর্বত ধর্মীয় করণ দেশটিতে হয়ত অ-সহিষ্ণু ইসলামের বিকাশ ঘটবে যা মুসলিম এবং অমুসলিমদের কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিবে।
ড. জেমস চিন তার প্রতিবেদনে পাকতান হারপানের প্রশাসনের জন্য অন্য দুটি প্রতিকূলতার তুলে ধরেন। এর একটি হচ্ছে- ‘মালয় এজেন্ডা এবং ভূমিপুত্র নীতি’, আর অন্যটি হচ্ছে- ‘মালয়েশিয়ান চুক্তি আইন ১৯৬৩।’
তিনি বলেন, ‘দেশটির প্রশাসন যদি এসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে না পারে তবে তা শুধুমাত্র রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে দিবে না বরং তা ২০১৮ সালের নির্বাচনে করা প্রশাসনের পূণর্গঠনের প্রতিশ্রুতিকে ভ-ুল করে দিবে।’ 

সৌজন্যেঃ মালয়মেইল ডট কম :

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

‘শিবিরাতংকে’ ছাত্রলীগ এবং পেছনে ঠেলা ছাত্রদল ==== মিনার রশীদ

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ বিশ্বজিত এবং নুরু উভয়ের চেহারায় বোধহয় একটা ‘শিবির -শিবির ‘ ভাব আছে । এই ভাবটির কারণেই বেচারা বিশ্বজিতকে জীবনটি দিতে হয়েছিল । ডাকসু ভিপি নুরুকে তজ্জন্যে কী দিতে হয় তা এখনও তা স্পষ্ট নয় । 
সরকার ও সরকারপন্থী মিডিয়া ঠিক ঠাহর করতে পারছে না , একে শিবির বানাবে নাকি ছাত্রলীগ বলে কোলে তুলে নিবে । অর্থাৎ এখন সরকারের একহাত নুরের পায়ে , অন্য হাত ঘাড়ে ।
এদেশের মিডিয়ায় ও সুশীল সমাজে এটি মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে যে শিবিরকে খুন করা ছাত্রলীগের জন্যে নৈতিকভাবে সিদ্ধ । শুধু ছাত্রলীগের বীরদের একটু খেয়াল রাখতে হবে যাতে
বিশ্বজিতদের যেন শিবির বলে ভুল না করে ।
উগ্র এই ছাত্র সংগঠনটি পুলিশকে পাশে রেখে ‘ নুরুর চামড়া তুলে নেব আমরা ‘ , শিবির ধর , জবাই কর ‘ শ্লোগান দিচ্ছে ! একটি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামনে এই ধরণের প্রকাশ্য হুমকি কি কোনো সভ্য সমাজে সম্ভব ?
শিবিরের প্রতি এই উস্মার কারণ তাদের ধারনা কোটা আন্দোলনের সাথে যুক্ত নুরু , রাশেদ প্রমুখ নেতা শিবিরের গোপন ক্যাডার । 
মতলব , Give the dog a bad name and kill him.
এই শিবির অপবাদ দেয়ার পরেও নুরুদের উথ্থান ঠেকানো সম্ভব হয় নি । তাই এখন আবার নুরুকে কাছে টানার কোশেশ শুরু হয়ে গেছে । এই লীগ সব পারে । 
নিজেরা হিজাব পরে , পট্টি পরে । আবার হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের শিবিরের ছাত্রী সংস্থার সদস্য বলে অভিহিত করে । গতকাল একটি ছাত্রী হলে গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদেরকে 
ছাত্রী সংস্থা বলে শাসিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক । অথচ মহিলা লীগের যে কোনো সমাবেশেও এখন অনেক হিজাব দেখা যায় । এটা মূলত শিবিরাতংক থেকে সৃষ্ট ।

কেন যেন মনে হচ্ছে , এই দেশটিকে এখন এই সাহসী মেয়েরাই সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাবে ।এই সাহসী মেয়েরা এখন দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগ সভাপতির মুখের উপর সন্ত্রাসী বলার হিম্মত দেখাতে পারে ! এখন মাথার উপরে হিজাব না বেহিজাব সেটি বিষয় নয় । মূল কনসার্ন হলো, মাথার ভিতরে কী আছে !
নিজেদেরকে অ-শিবির প্রমাণ করতে গিয়ে অহেতুক শক্তিক্ষয়েরও দরকার নেই । দেশবাসী মালুম করে ফেলেছে এদের শিবির জুজুর মূল কারনটি ।
এখানে আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার । পুরো রাজনৈতিক ম্যানুভারিংএ ছাত্রদলের ভূমিকাকে কেমন যেন গৌণ করে ফেলা হয়েছে । এটিও ঠিক নহে । মনে রাখতে হবে বিএনপি এখনো দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল । সেই দলকে পাশ কাটিয়ে এ মুহুর্তে কোনো কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নহে ।
বিএনপি নেতৃত্বকেও উদার মন নিয়ে স্বত:স্ফুর্ত ভাবে গজিয়ে ওঠা এই তরুণ নেতৃত্বকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে হবে ।

মনে রাখা দরকার এদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক পরিবর্তনে / উথ্থানে ডাকসু অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে । সেই ডাকসুকে এখন ডি পলিটিসাইজ করে ফেলা কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে বোবা বানিয়ে রাখা জাতির জন্যে কোনওভাবেই কল্যাণকর হবে না ।

মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' -বুরহান উদ্দীন আযাদ,তুরস্ক

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী সভ্যতার পতন লগ্নে মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রশ্ন প্রকট আকার ধারণ করে। আর সেই প্রশ্নটি হল, 'ইসলাম কি জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের পথে বাঁধা নাকি সহায়ক?' এই প্রশ্নে উসমানী খিলাফতের শেষের দিকের সুলতানগণ ইউরোপীয় ধ্যান ধারণাকে গ্রহণ করে নেন এবং তাঞ্জিমাত ফরমানের মাধ্যমে এই ধারণাকে সাংবিধানিক রূপ দান করেন। এই অবস্থা চলতে থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত। ১৮৭৬ সালে উসমানী খিলাফতের দায়িত্ত্ব গ্রহণ করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান। তিনি তার পূর্ববর্তী সুলতানদের এই সকল অনুকরণকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেন। তিনি প্যান ইসলামীজম বা ইসলামী ঐক্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইসলামী সভ্যতাকে বেগবান করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তার এই কাজে সবচেয়ে বেশী প্রেরণা ও শক্তি যোগান প্রখ্যাত আলেম ও বহু ভাষাবিদ আহমেদ জাওদাত পাশা। 

উসমানী খিলাফতের সুলতানদের এই পাশ্চাত্যের অনুকরণ প্রিয়তা শুধুমাত্র উসমানী শাসনাধীন অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এই চিন্তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। সমগ্র বিশ্বে চালু হয় ২ টি ধারা। 

এদের মধ্যে এক শ্রেনী হল, পাশ্চাত্যে অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ করে পাশ্চাত্য সভ্যতার (!) আলোকে নিজেদেরকে গড়ে তোলা। এই ধারনার লোকেরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণকে আধুনিকতা গণ্য করে থাকে। নিজদেরকে যত ইসলামী চিন্তা দর্শন থেকে দূরে রাখতে পারবে ততটাই এলিট হবে বলে চিন্তা করে থাকে।

আর দ্বিতীয় শ্রেনী হল, আমরা আমাদের সভ্যতাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আমাদের পতনের মূল কারণ ইসলাম নয়, বরং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলেই আমাদের পতন হয়েছে। 

দ্বিতীয় ধারণাকে শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী, হাসান আল বান্না, আল্লামা শিবলী নোমানী, আলিয়া ইজ্জেত বেগভিচ সহ আরও অনেক মহান মনিষী। 
অপরদিকে প্রথম ধারাকে জনপ্রিয় করে তুলে ওরিয়েন্টালিস্টরা এবং পাশ্চাত্যের জীবন দর্শনের আলোকে গড়ে তোলা বুদ্ধিজীবীদের বিশাল একটি অংশ।

উসমানী খিলাফতের সময়ে প্রথম ধারার পক্ষে ছিল, তানজিমাত ও ইসলাহাত ফরমানের পক্ষের লোকেরা এবং ইত্তেহাদ ও তারাক্কী আন্দোলন। এই আন্দোলন সমূহ মূলত পরিচালিত হত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এবং লন্ডন থেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই ধারাকে ধরে রাখে আতাতুর্ক পন্থী বামরা এবং ইত্তিহাদ ও তারাক্কী ঘরনার লেখক ও কবি শ্রেনী। 

অপরদিকে দ্বিতীয় ধারার পক্ষে উসমানী আমলে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সুলতান আব্দুল হামিদ হান, জাওদাদ সাঈদ, প্রখ্যাত আলেম জাহিদ আল কাওসারী, মুস্তাফা সাবরী এফেন্দী, সাঈদ হালিম পাশা, প্রখ্যাত কবি ও দার্শনিক মেহমেদ আকীফ এরসয় সহ আরও অনেকে। উসমানী খিলাফতের পতনের পর এই পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, বদীঊজ্জামান সাঈদ নুরসী, প্রখ্যাত মুফাসসির এলমালী হামদী ইয়াজার, , জেমিল মেরিচ, নাজিপ ফাযিল কিসাকুরেক এবং সেজাই কারাকোচ সহ আরও অনেকে। 

আর এই দ্বিতীয় ধারাকে বিজয় করার জন্য সবচেয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান এবং তার প্রতিষ্ঠিত মিল্লি গরুশ আন্দোলন, মাওলানা মওদুদী ও তার প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী ও ইমাম শহীদ হসান আল বান্না ও তার প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিন। 

Copyright

মৃত্যুর আগে স্টিব জবস হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবন সম্পর্কে যা বললেন।



আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ স্টিভ জবস যখন মারা যান তখন এ্যাপলের ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। টেকনোলজির এই রাজপূত্র মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একেবারে অন্তিম মুহুর্তে জীবন সম্পর্কে কিছু অসাধারণ কথা বলেছিলেন-

যা জাপানি, চায়নীজ, হিন্দি, উর্দু, আরবী, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, রুশ সহ প্রায় আঠারোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। শুধু তাই নয়- শিশুদের মানসিক উৎকর্ষতা বিধান এবং তাদের সুন্দর মনন গঠনের লক্ষ্যে একাধিক ভাষায় স্টিভ জবসের এই অমর কথাগুলো সহ উনার জীবনী বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

কথাগুলি নিম্নরূপ :

বাণিজ্যিক দুনিয়ায় আমি সাফল্যের একেবারে সর্বোচ্চ চুড়োয় আরোহণ করেছি।যা আপনাদের কাছে সাফল্যের এক অনুপম দৃষ্টান্ত।কিন্তু,এ কথা ধ্রুব সত্য কাজের বাইরে আমার সামান্যই আনন্দ ছিলো। সম্পদের প্রলোভনে বিভোর ছিলাম সারা জীবন। আজ মৃত্যুশয্যায় শুয়ে যখন জীবনটাকে দেখি-তখন আমার মনে হয়, আমার সব সম্মান, খ্যাতি আর অর্জিত সম্পদ আসন্ন মৃত্যুর সামনে একেবারেই ম্লান, তুচ্ছ আর অর্থহীন।এ্যাপলের বিশাল সাম্রাজ্য আমার নিয়ন্ত্রনে ছিলো-কিন্তু মৃত্যু আজ আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি কবরের বিছানায় শুয়ে আছে সেটা আদৌ কোনো বড় ব্যাপার না। প্রতি রাতে নিজের বিছানায় শুয়ার আগে আমি কি করলাম -সেটাই আসল ব্যাপার। অন্ধকার রাতে জীবনরক্ষাকারী মেশিনের সবুজ বাতিগুলোর দিকে চেয়ে আমার বুকের গহীনে হাহাকার করে ওঠে। মেশিনের শব্দের ভিতরে আমি নিকটবর্তী মৃত্যু দেবতার নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারি। অনুধাবন করতে পারি-শুধু সম্পদ না, সম্পদের সাথে সম্পর্কহীন জিনিসেরও মানুষের অন্বেষণ করা উচিত।

বেকুবের মতো সম্পদ আহরণই সবকিছুই নয়- আরো অনেককিছু মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।আর তা হলো- মানুষের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা,সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করা আর তারুণ্যে একটি সুন্দর স্বপ্ন নিজের হৃদয়ে লালন করা। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটলেই মানুষ আমার মতো এক ভ্রান্ত মানুষে পরিণত হতে পারে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার হৃদয়ে ভালবাসা অনুভব করার জ্ঞান দিয়েছেন।কেবলমাত্র এই নশ্বর দুনিয়ায় সম্পদের মোহে জড়িয়ে পড়ার জন্য নয়। এই যে মৃত্যু শয্যায় শুয়ে আছি।কই, সব সম্পদতো এই বিছানায় নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু আজ সাথে আছে ভালোবাসা, প্রেম, মায়া, মমতার স্মৃতিগুলোই । এগুলোই শুধু সাথে থেকে সাহস যোগাবে , আলোর পথ দেখাবে। ভালোবাসা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে- সম্পদ না খুঁজে ভালোবাসাও খোঁজে নিতে হয়। সম্পদ কভু শান্তি আনেনা।মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ আর ভালোবাসাই শান্তি আনে।পৃথিবীটাকে দেখো। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটে হাহাকার করলে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে না…

পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বিছানা কি জানেন? তাহলো- হাসপাতালের মৃত্যু শয্যা। আপনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি একজন গাড়ি চালক রাখতে পারেন। আপনার নিযুক্ত কর্মচারীরা আপনার জন্য অনেক টাকাই আয় করে দিবে।কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় সত্য গোটা পৃথিবী চষে, পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়ে দিলেও একজন মানুষও পাবেন না যে আপনার রোগ বয়ে বেড়াবে।

বৈষয়িক যে কোনো জিনিস হারালে আপনি পাবেন। কিন্তু একটা জিনিসই হারালে আর পাওয়া যায়না তা হলো মানুষের জীবন। মানুষ যখন অপারেশান থিয়েটারে যায় তখন সে কেবলি অনুধাবন করে- কেন জীবনের মূল্যটা আগে বুঝিনি!! জীবনের যে স্টেজেই আপনি আজ থাকুন না কেন- ,মৃত্যু পর্দা আপনার জীবনের সামনে হাজির হবেই। সাঙ্গ হবে জীবন। তাই, এই নশ্বর জীবনের পরিসমাপ্তির আগে পরিবারের জন্য, আপনজনের জন্য, বন্ধুদের জন্য হৃদয়ে সবসময় ভালোবাসা রাখুন। নিজের জীবনটাকে ভালোবাসুন,নিজের জীবনের মালিক মহান আল্লাহকে ভালোবাসুন, ঠিক নিজের মতো করে অন্যকেও ভালোবাসুন।

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ব্যারিস্টার আব্দুররাজ্জাকের পদত্যাগ,মুজিবুর রহমান মন্জুর বহিস্কার ও গনতান্ত্রিক রাজনীতির সুপুত্র জামায়াত।


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ24 ডেস্কঃ শিরোনামের শেষাংশ দিয়ে শুরু করা যাক,অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহানের স্ত্রী প্রফেসর রওনক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গবেষনা করে বলছেন একমাত্র গনতান্ত্রিক চর্চা ও। জবাব দিহিতা জামায়াত ইসলামিতে আছে। আবার ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব পদত্যাগ পরবর্তি বিবিসি তে সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছেন জামায়াতে ইসলামি তে গনতান্ত্রিক চর্চা বিদ্যমান বলে সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে সিদ্বান্ত হয়।

ফলে তিনি যে বিষয কেন্দ্র করে পদত্যাগ করছেন তা সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের আলোকে ই বাতিল হয়েছে।। এটা ই শুরাই সিদ্বান্ত। ফলে জামাতের শহিদ নেতারা নিজের জিবন দিয়ে আনুগত্য ও শৃংখলার অনপম দৃষ্টান্ত স্বাপন করেছেন। তারা প্রত্যকেই জিবন বাচানোর জন্য ক্ষমা চাইতে পারতেন , সুন্দর ভাবে নিশ্চিন্তে অপরাধী মননিয়ে রাজনীতি করতে পারতেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক ওখানে পরাজিত।
তার পর জামাতের সিদ্বান্ত গ্রহন যে কোন ব্যাক্তির ইচ্চা অনিচ্ছা বা স্বৈরতান্ত্রিক হয়না তা তিনি দলের বাহিরে এসেও বলছেন। সেখানে তিনি অনন্য।
এজন্য ই জামায়াত গনতান্ত্রিক রাজনীতির সুপুত্র। ব্যারিস্টার সাহেব শহিদ নেতাদের স্তর থেকেএকটু পিছনে পড়ে গেলেন মাত্র।তার মতো নেতা যে কোন সংগঠনে প্রয়োজন, দেশ নয় শুধু বিশ্ব নেতৃত্ব ও অবদান রাখার মতো যোগতা রয়েছে তার।

তার পদত্যাগ কে পদস্খলন বলা যাবেনা তবে বিরাট ভুল
জামায়াত কত বিচক্ষণ রাজনীতি করে ত্যাগ ও শৃংখলা, পরাকাষ্ঠা দেখাতে পারে তা বার বার প্রমান হয়েছে। জামায়াত সেক্রেটারি ডাক্তার সফিক তা তুলে ধরে ছেন। তার বিবৃতি বাংলাদের রাজনীতির জন্য একটি শিক্ষা।এর আগে ও বিবিসির সাথে তার একটি সাক্ষাৎকার অতুলনিয় এবং বিজ্ঞতার পরিচায়ক।

যারা রাজনিতি নিয়ে চিন্তা করে তাদের কে ২৫ বছর জামায়াত নিয়ে চিন্তা করার করার জন্য পড়া লেখার টেবিলে বসিয়ে দিয়েছেন।
মজিবুর রহমান মন্জু র বহিস্কার এবং তার আবেগ মিশ্রিতস্টাটাস অনেককেই তাড়িতাড়ি করবে। একজন মন্জু গড়ে উঠতে বহু সময় লাগে।
মন্জুরা আনুগত্যের শিকলের বাধা না থাকলে হয়তো জাতি আরেকজন
মাহমুদুর রহমান ফেতে পারে। মন্দ কি।? ইসলাম ও মুসলিম উম্মার জন্য
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু ইমানের অগ্নি পরিক্ষায় কাপূষ নয় এমন লোক খুব প্রয়োজন। মন্জুরা তেমন হোক।

তবে এ ও সত্য অদুর ভবিষ্যতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক রা জামাতের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। হয়তো অন্য আংগিকে, মন্জুরা ও ভুমিকা রাখবেন ইতিবাচক অবয়বে
কেননা কেবল ৭১ জামায়াকে মূল্যায়নের জন্য একমাত্র ইস্যুহতে পারেনা
বাংলাদেশের ভূ নাজনীতিক অবস্হান , বিশ্ব রাজনীতে এঅন্চলের পরাশক্তি গুলোর গোপন পরিকল্পনা জামাতকে প্রতিরোধকারি শক্তি হিসেবে দেখছে বিধায়
জামায়ত বা জামায়াতে অন্যরুপ সামনের কাতারে থাকবে প্রতিরোধকামি ফোর্স হিসাবে । তার প্রসব বেদনা শুরু বোধহয়।
একান্ত নিজের ভাবনা।।।।।।।
সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ও আমাদের দুশ্চিন্তা। # শেখ মাহমুদুর রহমান ইবনে হাবিব

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  তারা ভেবেছিলো, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে যখন “যুদ্ধাপরাধের„ অপবাদ দিয়ে জেলে ঢুকানো যাবে, তখন এই অপবাদ দেখে জনগণ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে! 
#কিন্তু ২০১৪ সালে ২৩ অক্টোবর যখন অধ্যাপক গোলাম আযম (রহঃ) ইন্তেকাল করলেন তখন বাংলাদেশের ইতিহাস খ্যাত বৃহত্তম জানাযার দৃশ্য দেখে তাদের ভাবনার দালান বিচূর্ণ হয়ে গেলো! 
এরপর থেকেই তারা একপ্রকারে জামায়াতে ইসলামীর শহীদ নেতাদের জানাযাও বন্ধ করে দিয়েছে! 
কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও তাদের গচ্চা গুণতে হয়েছে।

☞তারা মনে করেছিলো, জামায়াত-শিবিরের অফিস বন্ধ করে দিলে এবং তাদের প্রতীক নিষিদ্ধ করে, নিবন্ধ বাজেয়াপ্ত করলে হয়তো জনগণ তাদের বর্জন করবে!
আসলেই বর্জন করার কথা, যে দলের নেতাকর্মীদের কোনো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থাকে না, সে দলে কেউ থাকার প্রশ্নই আসে না। 
#কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা! ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনেই জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৩৬ জন লোককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

☞তারা ভাবলো, জামায়াত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই শক্তিশালী। তাদের অর্থ জোগান দাতা প্রতিষ্ঠান গুলো কেড়ে নিলেই, অর্থ না পেয়ে নেতাকর্মীরা তাদের ছাড়বে। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ইসলামী ব্যাংক কেড়ে নিয়ে, জামায়াতের মিডিয়া,প্রকাশনা সব বন্ধ করে দিলো... 
#কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১৮ সালে এসে দেখে: জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী আগের থেকেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেছে!

গত ৩০-১২-১৮ এর কারচুপির নির্বাচনের পর তারা প্রথম কার্যদিবস শুরু করলো জামায়াত ইস্যু দিয়ে।
☞এখন তারা হয়তো শেষ বারের মতো ভাবছে, জামায়াতে ইসলামীকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়,জনগণ তাদের বাধ্য হয়ে ছাড়বে...
#সরকারের এই ইস্যু নিয়ে অনেকেই মাজা নিচ্ছে, আবার অনেকেই চিন্তিত -বিচলিত। 
আপনারা কি সেই তুরস্কের চার চার বার নিষিদ্ধ করা দলটি দেখেন না?
নিষিদ্ধ ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে দেখেন না?
অতীতে দুইবার নিষিদ্ধ হওয়া আজকের জামায়াতে ইসলামী দেখেন না?
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবরে রঞ্জিত বায়তুল মুকাররম থেকে শুরু হওয়া শাহাদাতের মিছিল আজ কত বড়ো!?
এই দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ে তারা শুধুমাত্র শাহাদাতের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে কিন্তু এই আন্দোলনকে তারা দমিয়ে দিতে পারেনি....
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির শক্তির বলে নয়, অর্থের বলে নয়, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া আদর্শের বলেই টিকে আছে, এই আদর্শ দিয়েই আমরা একদিন সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত করবো....ইনশাআল্লাহ্।

পরিশেষে আমি সবাইকে আল্লাহর সেই আয়াতের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি:
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
অর্থাৎ, তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়।কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সূরা আত্ তাওবা: ৩২)
★সুতরাং কোনো চিন্তা নেই, ভয় নেই, আমাদের মালিক বিজয় আমাদেরকেই দান করবেন, যদি আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি। 
#হে, মালিক আমাদের তাওফিক দাও... আমিন।
(কপি করলে দয়া করে আমাকে ম্যানশন করবেন)

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী