বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন

 

১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে, টের পাবেন না।

২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।
-
৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান। পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি? হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।
৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।
-
৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ। আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।
৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং। দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় বাধাতে। এতে ওদের লাভ, সেটা কিরকম ?
ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।
-
৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন, দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।
-
৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।
-
১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না। দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।
-
১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে।
-
১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায় আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।
-
১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে হলেতো আরো আগে না।
-
১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো। বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।
-
১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।
-
১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন। মনে রাখবেন,,,, 
আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে। এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন। নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দাহ ইন্তেকাল করেছেন।

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ইখওয়ানুল মুসলিমিনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।

তিনি ছিলেন তুলনামূলক ইসলামী আইনশাস্ত্রের অধ্যাপক এবং ইসলামী ফিকহ একাডেমীর সাবেক প্রধান।
ডঃ আবু গোদ্দা সৌদি আরব, কুয়েত, মিশর এবং বিভিন্ন দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে চাকু‌রি করেছেন। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে কুয়েতের একটি ফিকহ এনসাইক্লোপিডিয়ায় গবেষক এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এবং ১৯৫৫ সাল থেকে ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টিং, অডিটিং সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড ও শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইনী পরিষদের সদস্য এবং বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

অধ্যাপক শেখ আব্দুস সাত্তার আবু গোদ্দা ১৯৪০ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে বিএ ডিগ্রি করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

এরপরে তিনি মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৬ সালে শরিয়ায় এমএ,১৯৬৯ সালে হাদিসশাস্ত্রে এমএ করেন।পুনরায় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৭৫ সালে (তুলনামূলক আইনশাস্ত্র)পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

তুলনামূলক ইসলামী আইনশাস্ত্র, আর্থিক লেনদেন, ইসলামী ব্যাংকিং, যাকাত, অনুদান, হিসাববিজ্ঞান, আইনী শাসন, আইনী অধ্যয়ন, পাণ্ডুলিপি যাচাইকরণ পদ্ধতি এবং ইসলামী মেডিসিন বিষয়ে প্রচুর গবেষণা ও থিসিস তৈরি করেছেন তি‌নি।

তার উল্লখযোগ্য গবেষণাপত্র - সংস্কার এবং গত দশকগুলির প্রভাব, বর্তমান যুগে ইসলামী আইন ও শাসকের ভূমিকা, চিকিৎসা, আইনশাস্ত্র ও মানসিক স্বাস্থ্য, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা, যাকাত ইত্যাদি।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

ঘাইহরিণীর ডাক : রহমাতুল্লাহ খন্দকার

 

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প

এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।ঘাইহরিণীর ডাক
রহমাতুল্লাহ খন্দকার

দ্বীপ জাজিরার কূলে সমুদ্র উঠেছে ফুলে, হয়েছে নতুন ক্যাম্প
এখানে সেখানে আশেপাশে কাছে বারুদের গন্ধ কোথা থেকে আসে
বনের বাতাসে কোথা থেকে ভাসে গোশ্তের সুঘ্রাণ
শিকড়ে শিকড়ে লোনাজল ঢোকে, মোড়ক লেগেছে বনে
সুন্দরী গাছেরা ক্রমে হতেছে উজাড়।
দুর্যোগ ঘনায়ে আসে-পাখিরা চলেছে ছেড়ে পৈতৃক নিবাস।
পদ্মায় চরের বালু হাহাকার ঢেউ তোলে একূল ওকূল ছেপে-
ওই পাড়ে কুঠিবাড়ি এ পাড়ে কাঁচারি কাঁদে কেঁপে।
যমুনার কূলে কূলে স্বপ্নের দুয়ার খুলে কূলহারা কৃষকেরা পেতেছে সংসার-
গহীন জঙ্গল থেকে হিংস্র পশু দলে দলে নষ্ট করে গেছে খেতের ফসল-
পাকাধান-কলার বাগান।

আকাশ করেছে কালো, দেয়া ডাকে ঘন, বজ্রের গর্জন,
ঠাটা পড়ে-ভয়ে সব অন্ধরে করেছে তন্ত্র-মন্ত্রের জপন
ঘনঘোর এই রাতে গুম হলে পিতা, মেয়েটি তাহার গিয়েছিল খোঁজে-
সারা দিন ভরা এই আধুনিক অন্ধকারে
সম্ভ্রম সে খোয়ায় শেষে শিকারীর খোশভোজে।

আহারে মায়ের কোলে ফেরিনি ছেলেটি কাল
আজ তার লাস ধরে বড়াল নদীর জাল।
ক্রসফায়ারে কতনা এমন সোনালি-রুপালি পাখি
বলি হয় রোজ হিজলের বনে, আমের বাগানে,
আষাঢ়ে বর্ষার জলে ভেসে যায় অসহায় কতনা কদম ফুল।
ঘুঘু পাখি দেখি না যে, দোয়েলেরা ডাকে নাকো কাঁঠালের ডালে।
শাল-তমালের বনে শিকারীরা আবার পেঁতেছে ফাঁদ-
বাঘের খাঁচায় বন্দি সেই ঘাই হরিণীর শাবকের করুণ ক্রোন্দন রোল
শোনা যায় থেকে থেকে এই ঘোর অমাবশ্যা রাতে
সেই ডাক শুনে দেখি আমার মাথার ওই ওপরে ওপরে
শকুনেরা ওড়াওড়ি করে-
আরো দূর বহু দূরে যায় না যে দেখা বেশি কবরের মাটি খুঁড়ে।

একদিন মানবিক প্রাতঃকাল নামে যদি কোনো এক নবপুর গ্রামে,
দোল পূর্ণিমায়, হ্রাস উৎসবের রাতে জমে যদি জারিসারি, কবিতা-আসর
ভবিতব্য ছেলেরা আমার অতীতের পৃষ্ঠা খুলে একা এক পড়ে নিয়ো
আমাদের দিনগুলি, ঘোরলাগা ভোর
তাদের জিজ্ঞাসাগুলো শঙ্খচিল, হাঁসের মতোন সেই দিন
ঢেউ তোলে যদি এই হাতিঝিল জলে-
এমন সে দানবের দেশে পিতৃপুরুষেরা কতকাল রয়ে গেলে
কাপুরুষ বেশে?

রাক্ষসের মতো ছিল না কি হাত তাদের, বজ্রের বিষ কি ছিল না চোখে?
তবে কেন ঘোর অমবস্যা রাতে নাগিনীরা ফেল গেল বিষাক্ত নিঃশ্বাস,
অন্ধকুল দেখে গেল বেশি হাজারো মনীষা গ্রামে?

রবো না হয় তো আমি সেই দিন কোনো এক জোছনার রাতে
তাদের আকাশে তারা
হাঁস হয়ে ঘাস হয়ে আমি আর ফিরবো নাকো জন্ম-জন্মান্তর
পৃথিবীর কোনো লোকালয়, নগন-বন্দরে
তখন তাদের প্রশ্নগুলো ঘনকালো অন্ধকারে ঘুরেঘুরে হবে দিশেহারা।
ইথার নদীর জলে কান পেতে শুনে নিয়ো ভবিতব্যের ছেলেরা সেই দিন-
সিংহশাবকেরা নীল ঘাই হয়ে দূর অতীতের কালে, সঘন সন্ধ্যায়
জীবনানন্দের ঘাই হরিণীর মতো কেন তবে ঘুরেঘুরে কেঁদেছিল
সকরুণ নিদারুণ এই ক্যাম্পে এসে।

ফররুখ দেখেছিলেন ‘তেরশো পঞ্চাশে’
মুখ গুঁজে পড়ে ছিল লাশ জমিনের পরে নিথর নিস্তব্ধ হিমে
পাশ দিয়ে চলে যেত সজ্জিত পিশাচ, নারী নর একাকার
আবারো কি এলো সেই সভ্যতা বর্বর
কোন আজাজিল কাটে জ্যান্ত মানুষের ধর
কোন সে দানব শয়তান
ধর্ষিতার খুনে করিতেছে স্নান
হে সভ্যতা!
হে জড় সভ্যতা!
আজো সেই একি অভিশাপ দাও-
ধ্বংস হও
তুমি ধংস হও।

মঈনউদ্দীন হাছান চৌধুরীর সিঙ্গাপুরে ইন্তেকাল

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ  চট্রগ্রাম কে.সি.দে রোড়স্থ স্বনামধন্য "পাশাপাশি সীড কোম্পানি লি:"এর সত্বাধিকারী বিশিষ্ট "বীজ" ‍ব্যাবসায়ী চন্দনাইশ নিবাসী আলহাজ্ব মঈনউদ্দীন হাছান চোধূরী আর আমাদের মাঝে নেই

তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ইন্তিকাল করিয়াছেন- ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজেউন, মৃত‍্যুকালে তিনি - স্ত্রী, দুই শিশুপুত্র, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। 
মরহুমের কফিন দেশে ফিরিয়ে আনা সাপেক্ষে দাফন-কাপনের আয়োজন সংক্রান্ত তথ‍্য পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

 তার মৃত্যুতে জনাব হেলাল চৌধুরীসক অনেকেই  মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবানীতে তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা ও  শোক সন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।  পরলৌকিক শান্তির নিমিত্তে একান্ত দোয়া করার জন‍্য সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ করেছেন।

সাংসদ হাজী সেলিম পুত্র ইরফান ১বছরের কারাদন্ড নিয়ে কারাগারে


আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ পুরান ঢাকার
সাংসদ হাজী সেলিম পুত্র ইরফান ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ১ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে। 

২৫ অক্টোবর রাতে এ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে একটি  হত্যা চেষ্টা মামলার সূত্র ধরে ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে রাত অবধি পুরান ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত চাঁন সরদার দাদা বাড়ি ৯ তলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-১০ য়ৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। 

র‌্যাবের অভিযানে ঐ বাড়িতে প্রচুর পরিমানে বিদেশী মদ,  ৩৮টি ওয়াকিটকী, পুঁলিশের হ্যান্ডকাপসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। 

ভ্রাম্যমান আদালত বাসায় মদ পান এর অপরাধে ৬মাসের কারাদন্ড  এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটাকী রাখার অপরাধে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড মোট ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে হাজী  সেলিমপুত্র ইরফানকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালত। 

চাঁন সরদার বাড়ির পর পাশের আরো একটি ভবন মদিনা আসিক টাওয়ারে ইরফান সেলিমে কার্যালয়ে র‌্যাবের অভিযান রাতেই পরিচালিত হয়। র‌্যাবের ভাষ্যমতে সেখানে একটি  টর্চার সেল পাওয়া যায়। 

র‌্যাব ধারনা করছে যে, চাঁদাবাজি ইত্যাদীতে এই টর্চার সেল ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। সেখানে ওয়াকিটকী, পুলিশের হ্যান্ডকাপ, হকিস্টিকার, রশি(দড়ি) ইত্যাদী সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। 

ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছেন নির্যাতনের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম। ধারণা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হতে পারে।

উল্লেখ্য,  হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ড  কাউন্সিলর। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাই সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।



শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল ?

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ আজ পর্যন্ত কি কেউ কখনও শুনেছেন? বিশ্বের কোন মুসলিম খ্রিস্টানদের যীশুকে অবমাননা করেছে? কোন গালি দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)। বা ব্যাঙ্গাত্বক কোন কার্টুন এঁকেছে?

না। কোন মুসলিমের পক্ষে কখনও এটা সম্ভব নয়। কারন মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য ফরজ অংশ হিসেবেই তাদের অন্যতম নবী হযরত ঈসা (আঃ)-কে গভীরভাবে সম্মান করেন। কারন খ্রিস্টানদের যীশুই হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ঈসা (আঃ)। ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন হযরত মারইয়াম (আঃ)। আর তিনিই হচ্ছেন খ্রিস্টানদের “ঈশ্বরের মাতা” মেরি।
অন্যদিকে ইহুদিদের ‘মোশি’ হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানীত নবী হযরত মুসা (আঃ)। এভাবে আব্রাহাম হচ্ছেন মুসলিমদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ)। জোসেফ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইউসুফ (আঃ)। জেকব হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)। ডেভিড হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত দাউদ (আঃ)। আইজেক হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসহাক (আঃ)। নোয়াহ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত নুহ (আঃ)। অ্যারন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত হারুন (আঃ)। স্যামুয়াল হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসমাঈল (আঃ)। সলেমন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত সোলায়মান (আঃ)। মাইকেল হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানিত একজন ফেরেশতা হযরত মীকাঈল (আঃ)।
আল্লাহর প্রেরিত এই মহাসম্মানীত নবীদের উপর বিশ্বাস রাখা মুসলিমদের ঈমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনিভাবে আল্লাহর ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস রাখাটাও ঈমানের অংশ। তাই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক। কোন মুসলিমের পক্ষে খ্রিস্টানদের যীশুকে এবং ইহুদিদের মোশিকে কোনভাবেই অবমাননা, কটুক্তি বা ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন আঁকা একেবারেই অসম্ভব।
অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে অন্যান্য সব পৌত্তলিক ধর্মের উপাস্য দেব-দেবীদের গালিগালাজ করতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই মুসলিমদের পক্ষে আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে দেব-দেবীদের গালিগালাজ করাও সম্ভবপর নয়।
অথচ ফ্রান্সের মত উন্নত একটি দেশ তাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চরমতম অবমাননাকর ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন শহরের সুউচ্চ ভবনে টাঙিয়ে জোড় গলায় দাবী করছে, এটাই নাকি তাদের বাক স্বাধীনতা! এটাই নাকি তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা!
অথচ সারাবিশ্বের মুসলমানদের জীবনের চাইতেও অধিকতর প্রিয় মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। মহানবীর প্রতি এহেন বর্বরোচিত হিংস্র আচরনে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের হৃদয় ভেংগে চুরমার হয়ে যাচ্ছে! হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে! কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে! যে নবী জীবদ্দশায় প্রতিটা মুহুর্তে মক্কার কাফের, মুনাফেক, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অপমান ও নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। চরমতম অত্যাচারে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে আবার তাদের জন্যই দু’হাত তুলে দোয়া চেয়েছেন- ‘হে আল্লাহ, এদের বুঝ দাও, এদের ক্ষমা কর।’
এখন বলুন তো। কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল? কারা সত্যিকারের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল?

মৃত ব্যক্তির আহাজারী!

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেন-মৃত ব্যক্তির জন্য ঐ সময়টা খুব কষ্টকর হয়, যখন তাকে তার গৃহ হতে বের করা হয় এবং তার পরিবারের সবাই তার জন্যকাঁদতে থাকে। এর চেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন যখন তাকে কবরে শুয়ায়ে তাকে মাটি দেয়া হয়, এবং তাকে একা ফেলে সবাই চলে আসে।

রো কষ্ট হয় যখন শরীর হতে কাপড়, অলংকার,আংটি,খুলে নেয়া হয়। সেই সময় তার রুহ উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে, এ চিৎকার জীন ও মানুষ ছাড়া অন্য সবাই শুনতে পায়। সে তখন চিৎকার করে বলতে থাকে- তোমাদেরকে আল্লাহর কসম আমার শরীরের কাপড় চোপর, অলংকার, ধীরে ধীরে খুলো, যেহেতু এই মাত্র আমি মালাকুল মউতের কঠিন আযাব হতে নিস্কৃতি পেয়েছি।যখন মৃত ব্যক্তির দেহ মর্দন করা হয়- তখন সে বলেতে থাকে-হে গোসল দাতাগণ, আমার দেহে জোরে মর্দনকরোনা, কেননা মালাকুল মউতের কঠিন আযাবে আমার দেহ, খক্ষ -বিক্ষত হয়ে গেছে।

যখন মৃতকে কাফন পরানো হয়- তখন মৃত দেহ বলেতে থাকে -হে কাফন দাতাগণ, আমাকে এত তাড়াতাড়ি কাফন পরাইও না, আমার স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কে, শেষ বারের মত দেখতে দাও, তাদের সাথে ইহাই আমার শেষ দেখা, কেয়ামতের আগে আর তাদের সাথে আমার দেখা হবে না।

যখন মৃত ব্যক্তিকে- যখন তার বাড়ি থেকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সে বলতে থাকে-হে আমার আত্মীয় -স্বজন, তোমাদেরকে আল্লাহর কসম, এত তাড়াতাড়ি আমাকে কবরস্থানে নিয়ে যেওনা, আমার বাড়ি, ঘর, স্ত্রী, কন্যা,সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ারজন্য একটু সুযোগ দাও। হে আমার আত্মীয় -স্বজন, আমি আমার স্ত্রীকে বিধবা এবং সন্তানদেরকে এতিম করে যাচ্ছি। তোমরা তাদেরকে কষ্ট দিওনা। তাদের প্রতি অবিচার করোনা। আমি এখন সবকিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি, আর কখনো ফিরে আসবো না। তোমরা তাড়াতাড়ি করোনা, আমাকে সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ার সুযোগ দাও। 

যখন মৃত ব্যক্তিকে-গুরস্তানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে বলেতে থাকে। হে আমার বংশধরগণ, হে আমার আত্মীয় -স্বজন, হে আমার প্রতিবেশী। তোমরা যেন আমারমত, দুনিয়ার মায়ায় পড়ে আরাম আয়েশে আখেরাতের কথা ভুলে যেওনা। তোমরা লক্ষ করে দেখ আমি আল্লাহর নাফরমানি করে, হালাল হারামের প্রতি লক্ষ না করে, যে ধন দৌলত কামায় করে ছিলাম তার কিছুই আমার সাথে যাচ্ছে না, সব ওয়ারীশগণ বন্টন করে নিচ্ছে। আমার সাথে যাচ্ছে শুধু আমার পাপরাশি। যাদের জন্য আমি পাপ করেছিলাম তারা বিন্দু মাত্র পাপের ভাগ নিচ্ছে না।

যখন জানাজার নামাজ শেষে কিছু লোক চলে যেতে থাকে। তখন মৃতব্যক্তি বলতে থাকে- হে বন্ধুগণ তোমাদের সাথে আমার কত ভালবাসা ছিল। এখন কেমন করে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো। দাফনের কাজ শেষ করে আমার জন্য একটু দোয়া করে যাও।হে বন্ধুগণ-সত্যিই তোমাদের কাছে আজ আমি অপ্রিয় হয়ে গেছি। কিন্তু এমন এক সময় ছিলো তোমরা আমাকে না দেখে এক দিনও থাকতে পারতেনা।টাকা,পয়সা, ধনসম্পদ, সব কিছু তোমাদের জন্য রেখেযাচ্ছি, আর কোনো কিছু তোমাদের কাছে চাইবো না, শুধু একটু দোয়া করে যাও। টাকা, পয়সা, সবকিছু আমি রেখে গেছি, ভোগ বিলাসে মক্ত হয়োনা। আমার জন্য কিছু দান-খয়রাত করিও, দোয়া কালাম পড়িও, আমার রুহের উপর বখশিশ দিও।মনে রেখ, আমার মত তোমাদেরকেও একদিন চলে যেতে হবে।হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে তুমি মাফ করে দাও। (আমিন) 

পশ্চিমা দেশগুলোর সুপারিশ আর অজুহাতগুলোর মধ্যে একটা বাটপারি থাকে

 

পশ্চিমা দেশগুলোর সুপারিশ আর অজুহাতগুলোর মধ্যে একটা বাটপারি থাকে। ফ্রান্স প্রশাসন মুসলিমদের বিরুদ্ধে অযাচিত অভিযোগ উপস্থাপন করেছে, অথচ তারাই শত বছর আগে আলজেরিয়ার মুসলমানদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছিল। তখন ফরাসী সেনারা হাজার হাজার মুসলিম সাধারণ নাগরিক, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষকে হত্যা করেছে।

তখন বিশ্বের কোথাও কোনো মুসলিম ফরাসীদের গনহত্যার প্রতিবাদে খৃষ্টান কোনো পুরোহিত বা খৃষ্টীয় কোনো কিংবদন্তীকে অপমান করে কিছু করেছে বলে জানা যায় না।
আজ যখন তারা হযরত মুহাম্মদ সা.কে ঠুনকো কারণে ব্যাঙ্গচিত্র প্রস্তুত ও প্রদর্শন করছে, তখন বুঝতে হবে, অতীতকাল থেকে ফরাসী নেতৃত্বের মাঝে ইসলামের প্রতি যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ রয়ে গেছে এ ঘটনা তারই ধারাবাহিক বহিঃপ্রকাশ।
আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যে অন্যায়টা করলেন, তাও মানা যায় না। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বাকস্বাধীনতা ভোগ না করতে পারেন, তাও ফ্রান্সের মতো দেশে, তাহলে এসব দেশের দালালদের অপদস্ত করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
ফ্রান্সে মুসলিমরা সংখ্যালঘু, আর খৃষ্টানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দুর্বলেরা বাক স্বাধীনতার অভাব অনুভব করে, আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা বাক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে। এটাই বৈশ্বিক বাস্তবতা। তাহলে কেন তারা বাকস্বাধীনতার ভিত্তিহীন অজুহাতে আমার নবির সা. অমর্যাদা করবে? ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক বা নেদারল্যান্ডসের এসব নোংরা ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এখন বর্বরতার কাছাকাছি চলে গেছে।
তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবি মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন, দুনিয়ার কেউ তাকে অসম্মান করতে পারবে না।
‘ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি। ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
অর্থাৎঃ- "নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেস্তাগণ নবীর উপর দুরূদ পড়েন। হে ঈমানদারগণ তোমরাও তাঁর উপর দুরূদ পড় এবং যথাযথ সম্মানের সাথে তাঁকে সালাম জানাও।"
[সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৬]
আলী আহমেদ মাবরুর

এটা কি ধরনের বাকস্বাধীনতা?

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ ফ্রান্সের রাজধানীতে বহুতল দুটি ভবনে প্রকাশ্যে আঁকা হয়েছে নবী মুহাম্মদ ﷺ এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন(!)এবং ব্যাপক পুলিশি পাহারায় তার সুরক্ষাও নিশ্চিত করেছে ওই দেশীয় প্রশাসন......।

ফ্রান্স বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তারা ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশনা করেই যাবে(?)...।
.
এটা কি ধরনের বাকস্বাধীনতা?
এটা কি উস্কানিমূলক, বেপরোয়া, আগ্রাসন, এবং উগ্রতা নয়?
.
আমাদের কি সময় আসেনি এসব কাফেরদের বর্জন করার, তাদের পণ্য ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করার, বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংগঠনগুলোর প্রতি আহবান করব; আপনারা ফ্রান্সের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিন।

আলেম-ওলামাসহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনদের কে আহবান করব আপনারা অবশ্যই এসব বিষয়ে এগিয়ে আসবেন।

সংগৃহীত 

প্রজেক্ট বাস্তবায়নে একজন আর্কিটেক্টের ভূমিকা

 

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24 ডেস্কঃ একজন আর্কিটেক্ট তার বিচক্ষনতা ও জ্ঞান দিয়ে কিভাবে একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করে থাকেন।

★ কাবাব চারপাশে তাওয়াফ করার সময় পায়ে গরম লাগেনা কেন, কি এর রহস্য ?
যারা হজ্জ বা উমরায় গেছেন তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে সূর্যের কশকশা রোদের নীচে, কাবার চারপাশে তাওয়াফ এর স্থান "মাতাফ" এ পায়ের নীচ পুড়ে যায়না বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি ?
মিশরীয় জিওলজিষ্ট ড.যাগলুল আল-নাজ্জার ইতিহাস থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই মূল্যবান অংশ টি তুলে ধরেছেন।
ড.যাগলুল আল- নাজ্জার এর ভাষায়----
" যিনি এই মহান কাজের কারিগর ও উদ্যোক্তা -তিনি একজন ইজিপশিয়ান আর্কিটেক্ট যিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই বেশী ভালবাসতেন।তিনি ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাঈল। [জন্ম-১৯০৮-মৃত্যু ২০০৮]
মিশরীয় ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র যিনি হাই স্কুল শেষে "রয়েল স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং" এ ভর্তি এবং গ্রাজুয়েট হয়েছিলেন! ইওরোপে পাঠানো ছাত্রদের ভেতরেও তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, ইসলামি আর্কিটেকচার এর ওপর আলাদা বিষয়ে ৩ টি ডক্টরেট ডিগ্রি নেয়া প্রথম মিশরীয় আর্কিটেক্ট তিনি।
ইনিই হলেন সেই প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যিনি হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রজেক্টের পরিল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার নিজের কাঁধে নেন। ড. কামাল ইসমাঈল হারামাইন এ নকশা বা আর্কিটেকচারাল তত্তাবধায়ন এর জন্য কিং ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপ এর সুপারিশ থাকা স্বত্তেও কোন পারিশ্রমিক গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান! মোটা অংকের চেক উনি ফিরিয়ে দেন। কাজের প্রতি তার সততা এবং আন্তরিকতা তাকে খাদিমুল হারামাইন মালিক ফাহাদ, মালিক আব্দুল্লাহ সহ সকলের প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাস ভাজন করে তোলে।
তিনি বাকার বিন লাদেন (বিন লাদেন কোম্পানির অংশী) কে বলেন- "এই দুটি পবিত্র মাসজিদ এ কাজের জন্য আমি কেন পারিশ্রমিক নেব? তাহলে আমি কি করে আল্লাহর সামনে দাঁড়াব শেষ বিচারের দিনে ?"-এ ছিল তার ভালোবাসা,কাবার প্রতি।
ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। মৃত্যু পর্যন্ত তার পুরোটা জীবন তিনি আল্লাহর আনুগত্যে উৎসর্গ করেন। তিনি প্রায় ১০০ বছর বেঁচেছিলেন, পুরো সময় তিনি দুই মসজিদের সেবায় ব্যায় করেন, অর্থ বিত্ত, খ্যাতি, মিডিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে সরে থেকে...
মক্কা মদিনায় হারামাইন এর মার্বেলের কাজের সাথে উনার জীবনের একটি বিস্ময়কর গল্প আছে। উনি প্রথম চেয়েছিলেন মাসজিদুল হারামের মেঝে তাওয়াফকারীদের জন্য আচ্ছাদিত করে দিতে (আগে কংকরময় ছিল,মুযদালিফার মত)। বিশেষত এমন মার্বেল দিয়ে যার তাপ শোষন ক্ষমতা আছে। এই বিশেষ ধরনের মার্বেল তখনকার সময়ে সহজলভ্য ছিল না। এই ধরনের মার্বেল ছিল পুরো পৃথিবীতে(সে সময়ের আবিষ্কৃত) কেবলমাত্র একটি ছোট পাহাড়ে, যা গ্রীস এ অবস্থিত। উনি গ্রীস গেলেন। পর্যাপ্ত পরিমানে মার্বেল কেনার কন্ট্রাক্ট সাইন করলেন।
এই ঠাণ্ডার কারণ হচ্ছে বিশেষ ধরণের মার্বেল পাথর। কাবা শরীফের চারপাশের মেঝের জন্য গ্রিস থেকে আনা বিরল থাসোস মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যা অন্য থাসস পাথর, গ্রীস ছাড়াও পাওয়া যায়, তা থেকে আলাদা। এই পাথরের বিশেষ গুণ হচ্ছে, তা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে অধিক তাপও শুষে নিতে পারে। এছাড়াও এই মার্বেল পাথরের নিচে রয়েছে পানির নালা। যা বালির মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত করে নিচে ভিজিয়ে রাখে। যার ফলে সৃষ্টি হয় এই ঠাণ্ডার। সূত্র: আল আরাবিয়া। (al-arabia news agency.org)
আর্কিটেক্ট ড. কামাল ইসমাঈল গ্রীসে কাজ শেষে মক্কা ফিরে গেলেন এবং সাদা মার্বেলের মজুদ ও চলে এল। যথা সময়ে মাসজিদুল হারামের মেঝের বিশেষ নকশায় সাদা মার্বেলের কাজ সম্পন্ন হল।
...১৫ বছর পর... সৌদি গভার্মেন্ট ড.কামালকে ডেকে, তাকে মাসজিদুন নববীর চারদিকের চত্ত্বরও একই ভাবে সাদা মার্বেল দিয়ে ঢেকে দিতে অনুরোধ জানালেন !!যেমনটি তিনি মাতাফে করেছিলেন।
আর্কিটেক্ট বলেন, " যখন আমাকে মাসজিদুন নববীর প্রশস্ত চত্ত্বরের মেঝেতেও একই মার্বেল ব্যবহার করে আচ্ছাদিত করে দিতে বলা হল, আমি দিশেহারা বোধ করলাম! কারন ওই বিশেষ ধরনের মার্বেল গোটা পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না কেবলমাত্র গ্রীসের একটি ছোট জায়গা বাদে এবং তাদের যতটুকু ছিল তার অর্ধেক আমি ইতিমধ্যেই কিনে ফেলেছিলাম!! অবশিষ্ট যা ছিল সেটা মাসজিদুন নববীর প্রশস্ত চত্ত্বরের চাহিদার তুলনায় পরিমানে অল্প!
আর্কিটেক্ট আবার গ্রীস গেলেন। সেই একই কোম্পানির সি.ই.ও এর সাথে দেখা করে জানতে চাইলেন ওই পাহাড় আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে! সি.ই.ও তাকে জানালেন ১৫ বছর আগে উনি কেনার পরপরই পাহাড়ের বাকি অংশ টুকুও বিক্রি হয়ে যায় ! শুনে তিনি এতটাই বিমর্ষ হলেন যে তার কফি পর্যন্ত শেষ করতে পারলেন না! সিদ্ধান্ত নিলেন পরের ফ্লাইটেই মক্কা ফিরে যাবেন। অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যাবার আগে কোন কারন ছাড়াই অফিস সেক্রেটারির কাছে গেলেন এবং তার নাম ঠিকানা চাইলেন যিনি বাকি মার্বেল কিনেছিলেন।
যদিও এটা অনেক কঠিন ছিল তারপরও আর্কিটেক্ট ড.কামালের অনুরোধে সে পুরোনো রেকর্ড চেক করে জানাবে বলে কথা দিল। নিজের নাম এবং ফোন নং রেখে বেরিয়ে আসার সময় তিনি ভাবলেন, কে কিনেছে তা জেনেই বা আমার লাভ কি ?... স্বগোক্তি করলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ ভাল কিছুই রেখেছেন...
পরদিন এয়ারপোর্ট রওনা হবার কয়েক ঘন্টা আগে সেই কোম্পানির সেক্রেটারি ফোনে জানাল সেই ক্রেতার নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। কামাল ধীর গতিতে অফিসের দিকে এগোতে এগোতে ভাবলেন,.. এই ঠিকানা আসলে আমার কি কাজে আসবে? মাঝে যখন এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে....
অফিসে পৌছলে সেক্রেটারি তার হাতে ক্রেতার নাম ঠিকানা দিলেন। ঠিকানা হাতে নিয়ে তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল যখন তিনি আবিষ্কার করলেন বাকী মার্বেলের ক্রেতা একটি সৌদি কোম্পানি !!!
কামাল সেদিনই সৌদি ফিরে গেলেন। পৌঁছেই তিনি কোম্পানির ডিরেক্টর এডমিন এর সাথে দেখা করলেন এবং জানতে চাইলেন মার্বেল গুলো দিয়ে তিনি কি করেছেন যা অনেক বছর আগে গ্রীস থেকে কিনেছিলেন। সে কিছুই মনে করতে পারলনা। কোম্পানির স্টক রুমে যোগাযোগ করে জানতে চাইলেন, যে সাদা মার্বেল যেগুলো গ্রীস থেকে এসেছিল কি করা হয়েছে? তারা জানাল সেই সাদা মার্বেল পুরোটাই স্টকে আছে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি।!!
আর্কিটেক্ট কামাল শিশুর মত ফোঁপাতে শুরু করলেন। কান্নার কারন জানতে চাইলে, পুরো গল্পটি তিনি কোম্পানির মালিক কে শোনান। ড. কামাল তাকে একটি ব্লাংক চেক দিয়ে তার ইচ্ছামত অংক বসিয়ে নিতে বলেন। কোম্পানির মালিক যখন জানলেন এই সাদা মার্বেলে রাসূলের মসজিদের জন্য নেয়া হচ্ছে তিনি ১ দিরহাম ও নিতে রাজি হলেন না !!!
"ওয়াল্লাহি ! আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, তিঁনিই এই কোম্পানির মালিক !! ফিসাবিলিল্লাহ !! আল্লাহ সুবহানা তা'লা আমাকে দিয়ে এটা কিনিয়েছিলেন এবং তিঁনিই আমাকে এটার কথা ভুলিয়ে দিয়েছেন !! কারন এই মার্বেল রাসূলের মসজিদের উদ্দেশ্যেই এসেছে"
-এ ছিল কোম্পানির মালিকের কথা।
আল্লাহই উত্তমরূপে জ্ঞাত, এখানে তথ্যে কোনো কমবেশী আছে কিনা। তবে কাবার চত্ত্বরে মার্বেলে বসে এ অসাধারন মিষ্টি শরীর জুড়ানো ঠান্ডা হাজিমাত্রই উপভোগ করেন,আশা করি এ বিষয়ে একচুলও বাড়াবাড়ি নেই! আল্লাহর ঘরের জিয়ারত কারিগন আশাকরি দ্বিমত করবেন না !
সূত্রঃ জেনারেল প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্সের অফিস (আল হারামাইন আশ- শরীফাইন), আরব নিউজ, বাংলা ট্রিবিউন।
___কালেক্টেড.

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী