বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০১৫

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফখরুলের একান্ত বৈঠক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামিনে মুক্তি পাওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দীর্ঘ প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে দলের বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, দল পুনর্গঠনের ঘোষণা দিলেও মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতাদের জামিনে মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ওই দিনই ভর্তি হন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখান থেকে পরদিন রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে যান তিনি। জানা গেছে, খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বৈঠকে সাংগঠনিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কোন প্রক্রিয়ায় দল পুনর্গঠন করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির তিনজন, দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা, একজন যুগ্ম মহাসচিবসহ দলের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক এবং শিক্ষকদের দল পুনর্গঠনের রূপরেখা তৈরি করতে দায়িত্ব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পৃথকভাবে এসব নেতাদের রূপরেখার প্রস্তাবনা দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে জমা পড়বে। পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে। 
ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সৌজন্যে

সোমবার, ২০ জুলাই, ২০১৫

জামায়াতে ইসলামী নেতারাই বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে--রাকেশ রহমান

ණ☛ " আমি একজন সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। শুধু মুক্তিযোদ্ধা পরিবারই নয় বরং রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। যে পরিবারের সৎ, আদর্শ ও প্রতিবাদের জন্য শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতেও পরিচিতি রয়েছে। যাক আমি আমার ব্যাপক পরিচিতি উল্লেখ করতে আগ্রহী নই। উপরের এই উক্তি গুলো আমার জীবনে বাস্তব পরীক্ষিত। যেহেতু আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তাই ছেলে বেলা থেকেই বেড়ে উঠার পাশাপাশি বাবা চাচাদের যুদ্ধের সময়কার গল্প বেশি বেশি শুনতাম। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা, ছবি সংগ্রহ করা ও দেশাত্ববধক গান প্রচুর পরিমাণে শুনতাম। ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা, বিভিন্ন লেখকের বই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে পড়তাম। মনে প্রানে হ্বদয়ে জায়গা দিয়েছিলাম একটি নাম ' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান'। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটা মুখস্থ ছিল। যেহেতু আমার পরিবারের সাথে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার সাথে একটা সুমুধুর সম্পর্ক ছিল সেই সুবাদে সুযোগ পেলেই যেতাম তাঁর বাসায়। একবার তো এক মজার ঘটনা ঘটলো, তখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে স্কুলের হাফ টাইম-এ পেট খারাপের কথা বলে হেড মাষ্টারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় গিয়ে ছোট ফুফির সাথে ধানমন্ডী ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে গেলাম, গিয়েই তো খেলাম ধরা দেখি আমার হেড মাষ্টার ( অধ্যক্ষ মৃত কামরুজ্জামান, সাবেক আওয়ামীলীগ এম পি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ) ঐখানে বসা। স্যার আমাকে দেখা মাত্র মৃদু হাসলেন এবং বুঝে গেলেন আমার ছোট হ্বদয়ে শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা।
ණ☛ আমাদের বাসায় শেখ মুজিবর রহমানের যে বিশাল বিশাল ছবি ছিল তা আমার মনে হয় সারা বাংলাদেশে এত বড় এবং এতো ছবি কারো বাসায় ছিল না। যার কারণে শুধু মাত্র শেখ হাসিনার মিশিলে এই ছবিগুলো নিয়ে যাওয়া হতো, আমরাও শেখ হাসিনার পাশেই থাকতাম। মুক্তিযুদ্ধের একটি সর্ট ফিল্ম আছে নাম ৭১'এর যীশু। এই ছবিটি অতুলনীয়। আমার ধারনা আমার মত খুব কম যুবকই আছে যারা ৭১'এর ইতিহাস এতো বেশি পড়েছে বা জেনেছ। এখনকার তরুণ সমাজ ইতিহাস সঠিক ভাবে না পড়ে না জেনে, শুনে শুনে তর্ক করে যুক্তি, ভিত্তি জ্ঞান ছাড়া। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমি আমার মাথায় রাখি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অনুভূতি আমি আমার হ্বদয়ে রাখি ঠিক যেন ৭১'এর একজন মুক্তিসেনার মত। শেখ মুজিবরের প্রতি অন্ধের মত পাগল ছিলাম যে , শেখ মুজিবরের কণ্ঠের সাথে ঢাকার সাবেক মেয়র ও সাবেক ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মৃত মেয়র হানিফের কণ্ঠের সাথে খুব মিল ছিল। তাই মেয়র হানিফের কণ্ঠের ভাষণ শুনার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে থাকতাম।
ණ☛ কিন্তু ১৯৯৭ সালে আমার প্রিয় চাচা মুক্তিযোদ্ধা মৃত মতিউর রহমান রেন্টুর ('আমার ফাঁসি চাই'- এর লেখক) - এর সাথে শেখ হাসিনা যে অনৈতিক ব্যবহার করেছে তার পর থেকে একটা অনীহা জন্মায় আওয়ামীলীগের প্রতি। সেই অনীহা থেকেই নতুন করে আবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করি। শুরু করতে না করতেই জানতে পারলাম যে ৭ই মার্চের ভাষণে শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন শুধু মাত্র একজন জ্বালাময় পাঠক, তখন প্রশ্ন জাগল এর রচয়তা কে? খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব নূরে আলম সিদ্দিকী ও জাসদের আধ্যাত্মিক গুরু সিরাজুল আলম খান। এরপর ধীরে ধীরে ইতিহাস বলতে শুরু করলো শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কাজে লাগিয়েছিলেন বাংলাদেশে জনগণের আবেগ, ভালোবাসা। শেষ পর্যন্ত তিনি অপেক্ষায় ছিলেন এবং আশায় ছিলেন ক্ষমতা তাঁর হাতে হস্তান্তর করা হবে। উনি যদি একবারের জন্যও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইতেন এবং ৭ই মার্চেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে এক মাসও লাগতো না বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হতে। এই মর্মে আজ স্পষ্ট বোঝা যায় শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন।
ණ☛ সুতরাং এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভারতীয় গোলামীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ঐ সময় স্বাধীনতার পক্ষে সম্মতি দেননি। কি কি কারণে দেয়নি? কিন্তু কেন? একবারও কি আমরা হাতিয়ে বা গবেষণা করে দেখেছি? কারন গুলো কি কি? দেখিনি বা দেখতেও চাইনি। হয়তো; ঐ কারন গুলো বোঝার মতো জ্ঞান আমাদের নেই। আর যারা বুঝেছেন বা জানতেন তারা প্রকাশ বা ব্যাখ্যা করলে বের হয়ে আসত বা আসবে যে জামায়াতে ইসলামীরা স্বাধীনতার বিরোধী নয় বরং দেশ প্রেম থেকেই দেশের ও জাতির মঙ্গলেই তারা ৭১'এর স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। শুধু কি জামায়াতে ইসলামী? আমাদের বাংলার প্রথম স্তম্ভ শেরে বাংলা এ কে ফজরুল হকের পর দ্বিতীয় স্তম্ভ যিনি মৌওলানা ভাসানী তিনিও চাননি ভারতীয় গোলামী।
ණ☛ একজন ব্যক্তির স্বার্থের জন্য আমরা লাখো রক্তের বিনিময়ে ত্যাগ স্বীকার করে এতো কিছু পর আমরা স্বাধীন একটা দেশ পেয়েও পরাধীনতার শিকলে আটকা পরলাম যার মাশুল এখনও দিতে হচ্ছে। যেই গার্মেন্স শিল্প আমার দেশের অহংকার যা ভারত একশত বছরে সাধনা করলেও আমার দেশের গার্মেন্স শিল্পের সাথে পারবে না। নিজের দেশের শার্ট প্রবাসে বসে বেশি দাম দিয়ে কিনেও বিশ্বাস হয় না যে এইটা আমার দেশের তৈরি যা ইউরোপের ফ্যাশান বাজারে তাল মিলিয়ে চলছে তাও আবার বিশ্ব বিখ্যাত ফ্যাশানের রাজা ইতালিতে। চোখ আমার ছল ছল করে যখন দেখি আমার দেশের এই গার্মেন্স শিল্প ধ্বংসের পিছনে এই সরকারের আরো একটি অনুদান রয়েছে। খাবারে ফরমালিনের অতিরিক্ত উদারতার কারণে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের খাবার প্রবেশের অনুমতি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইলিশের দেশ বাংলাদেশ, গলদা চিংড়ির দেশ বাংলাদেশ, আম কাঁঠালের দেশ বাংলাদেশ, পান সুপারির দেশ বাংলাদেশ, স্বাদের লাউ বানাইল মরে বৈরাগী আজ এই গুলো কথাই থেকে যাচ্ছে এই সব আসছে ভারত, বার্মা, পাকিস্থান, শ্রীলংকা ও চায়না থেকে আর তাই আমাদের খেতে হচ্ছে আর এইটাও এই সরকারের ফসল। বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অভিশাপ। পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন আমাদের সুন্দরবন। এই বন আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই বনকে ঘিরে একটি পর্যটক অঞ্চল তৈরি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেতো পাশাপাশি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া যেতো চোখ বন্ধ করে। বিগত ৬ বছরে তার কিছুই না করে বরং তেল ফেলে পৃথিবীর মূল্যবান সম্পদের একটি সুন্দরবনকে আজ ধ্বংসস্তূপ দার প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । বাংলাদেশ আজ সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এমনকি ধর্ম চর্চার দিক থেকেও ভারতের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। ভারতের সরকার ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক চর্চা, অর্থনৈতিক অবস্থা শিক্ষণীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে ভারতের অনুমোদন ও স্বীকৃতি ছাড়া এক চুলও এদিক ওদিক হওয়া সম্ভব নয়।
ණ☛ বন্ধুত্ব সম্পর্ক আর দাসত্বের ভিতরে এক বিশাল পার্থক্য রয়েছে। গত মাসে ভারতের সাথে যে চুক্তিগুলো বর্তমান সরকার করেছে তা এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়নি। তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় এই চুক্তিগুলো সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের সমর্থন নিতে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোন গোপন চুক্তি? বাংলাদেশের এই সকল ক্ষেত্রে ভারতের কাছে পরাধীনতার ও গোলামীর যে হুঁশিয়ারি জামায়াতে ইসলামী দিয়ে এসেছিলো আজ তা হুবুহু মিলে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশীরা স্বাধীনতা তথা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল প্রকার স্বাধীনতার বিসর্জন দিয়ে কোন একটি রাজনৈতিক দলের নিজ কেন্দ্রিক সুবিধার জন্য দেশকে আজ বিসর্জন দিতে যাচ্ছি। আর এই বিরোধিতা করতে গিয়েই জামায়াতে ইসলামীদের যেসব শীর্ষ নেতারা বিনা বিচারে মিথ্যা দুর্নাম নিয়ে নাটকীয় ভাবে ফাঁসিতে একজন একজন করে ঝুলছেন এতে করে ঐসব নেতারা বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে বিশ্ব গণতান্ত্রিক ও ইসলামিক আন্দোলনের এক একজন সৈনিক হয়ে। 
('রাকেশ রহমান'---লেখক কলামিস্ট ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি)।

মান-অভিমান ভুলে বিএনপিতে ফিরছেন কর্নেল অলি ও বি. চৌধুরী

ණ☛ মান-অভিমান ভুলে বিএনপিতে ফিরছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। একই পথ অনুসরণ করছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে তাদের দলটিতে একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে দুই শীর্ষ নেতা নিজ নিজ দল বিলুপ্ত ঘোষণা করবেন। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সমবেত হবেন পুরনো দলে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বিকল্পধারা এবং এলডিপির বাইরে ২০ দলীয় জোটের আরও কয়েকটি শরিক রাজনৈতিক দল বিএনপিতে একীভূত হওয়ার জন্য ইনহাউস প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১ সেপ্টেম্বর তাদেরও দেখা যেতে পারে খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে শামিল হতে। তবে বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করায় এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


ණ☛ বিএনপিতে ফেরা সম্পর্কে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী সোমবার বলেন, ‘আমরা আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী দলগুলোকে শক্তিশালী করতে হলে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শনে আবার ফিরে আসতে হবে। সব জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের ভিত্তি হতে হবে শহীদ জিয়ার রাজনীতি। তা হলেই সেটা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ২০ দলীয় জোট বা নতুন কোনো প্ল্যাটফর্ম নয়, এবার আমরা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী সব দল ও ব্যক্তির মধ্যে একটি আলোচনার সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কী বিএনপি, কী বিকল্পধারা আর কী এলডিপি- দলমত নির্বিশেষে আমরা যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, তারাই মূলত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও জানান, ‘আলোচনার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সবাইকে এক করার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

ණ☛ এ বিষয়ে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ সোমবার বলেন, বিএনপিতে যাওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে কারও কোনো আলোচনা হয়নি। যদি এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে আসার কোনো প্রস্তাব পান তাহলে আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অনুমাননির্ভর কোনো বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না।

ණ☛ এদিকে দলীয় সভাপতি বিষয়টি এভাবে এড়িয়ে গেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলডিপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, কৌশলগত কারণেই ‘বিশেষ বার্তাটি’ গোপন রাখা হচ্ছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, পুরোটাই সত্য। বিএনপির সঙ্গে তাদের একীভূত হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কিছুদিন আগে এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, বিভিন্ন সময় দলের যেসব নেতা বিএনপি ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের সবাইকেই স্বাগত জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি প্রত্যেককে সব বিভেদ ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন। বিশেষ করে বি. চৌধুরী এবং অলি আহমেদের মতো নেতাকে দলে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটিও বিএনপি চেয়ারপারসনেরই। এজন্য তিনি দলের কয়েকজন খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীকে দায়িত্বও দিয়েছেন। তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

ණ☛ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যারা ইতিমধ্যে ভুল বুঝে বিএনপি ছেড়ে চলে গেছেন, অথবা চলে গিয়ে নিজেরা নতুন দল গঠন করেছেন, তাদের সবাইকে আবারও দলে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’ তিনি দাবি করেন, বি. চৌধুরী ও কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ বিএনপির পুরনো নেতাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা এখন শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, অচিরেই এ চেষ্টা সফল হবে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে বিএনপিকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফিরিয়ে আনার নীতি হিসেবে অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ নানা সময়ে দলছুট নেতাকর্মীদের বিএনপিতে ফিরিয়ে আনার এ উদ্যোগ নিয়েছেন খালেদা জিয়া।

ණ☛ এছাড়াও এক-এগারোর সময়ে সংস্কারপন্থী পরিচয়ে যারা দল থেকে ছিটকে পড়েছেন, কিংবা আশাহত হয়ে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন- তাদের আবার কাছে টেনে নেয়া এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় করারও উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ইতিমধ্যে তিনি একাধিকার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী সব শক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বড় ধরনের শো-ডাউন করবে বিএনপি। সেদিন রাজনীতিতেও নতুন এক চমক দেয়ার অপেক্ষায় দলটি। সূত্র জানায়, বিএনপিতে ফেরার পর বি. চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে নীতিনির্ধারণী ফোরামসহ দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সম্মানজনক স্থানে অধিষ্ঠিত করা হবে। একইভাবে কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ তার দলের নেতাদেরও সম্মানজনক পদ দেয়া হবে। দুই পক্ষের নেতাদের কাছেই বিএনপির পক্ষ থেকে এমন প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়েছে। বিকল্পধারা এবং এলডিপি ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের আরও কয়েকটি শরিক দলও সব কিছু গুছিয়ে বিএনপিতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ණ☛ সূত্র জানায়, এলডিপির গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা দু’দফা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে বলেছেন, তাদের আহ্বান করলে তারা তাদের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরে আসবেন। জবাবে তারা খালেদা জিয়ার কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত সম্মতি পান। এলডিপির এসব নেতাদের আশা, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে হয় তো জোট নেত্রী তাদের বিএনপিতে ফেরার ডাক দিতে পারেন। কারণ, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কারও কোনো লাভ হচ্ছে না। তারা মনে করেন, জাতীয়তাবাদী সব শক্তি পৃথক না থেকে ঐক্যবদ্ধ হলেই বেশি লাভ। বিকল্পধারা ও এলডিপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, যদি সম্মানজনক হয়, অর্থাৎ এ দুই দলে যারা সাবেক সংসদ সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন তাদের যদি পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় এবং দলে কাজ করার মতো সম্মানজনক অবস্থার আশ্বাস দেয়া হয়, তাহলে তারা বিএনপিতে ফিরে আসবেন। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বিকল্পধারার মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিএনপিতে ফেরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। যদি শেষ পর্যন্ত কোনো কারণে বিকল্পধারার শীর্ষ নেতৃত্বের বিএনপিতে ফিরে আসতে বিলম্ব হয়, তাহলে এসব নেতাকর্মীরা আগেভাগেই বিএনপিতে যোগ দেবেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি বানানো হয়। কিছুদিন না যেতেই দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় তার। যার রেশ ধরে এক বছরেরও কম সময়ে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায় নেন অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তাকে অনুসরণ করে বিএনপি ছাড়েন তার ছেলে ও তৎকালীন সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী এবং আরেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুদিন নীরব থাকেন অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রায় এক বছর অপেক্ষায় থাকার পর সমমনাদের নিয়ে গঠন করেন নতুন রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ। একইভাবে বিএনপি সরকারের শেষদিকে এসে দুর্নীতি-দুঃশাসনের অভিযোগ এনে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

ණ☛ বিএনপির ডাকসাইটে ও প্রভাবশালী কিছু মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যকে নিয়ে তিনি গঠন করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। পরবর্তী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বি. চৌধুরী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ একসঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে বিকল্পধারা বাংলাদেশ একীভূত হয় এলডিপিতে। বি. চৌধুরী চেয়ারম্যান এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ কো-চেয়ারম্যান হন দলটির। যদিও তাদের এ মধুচন্দ্রিমা সুখের হয়নি। কিছু দিন না যেতেই আলাদা হয়ে যান দুই নেতা। বি. চৌধুরী তার প্রতিষ্ঠিত দল বিকল্পধারা বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করেন। অন্যদিকে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ পথ চলতে শুরু করেন এলডিপি নিয়েই। বিএনপিবিরোধী রাজনীতিতে পথ চলতে গিয়ে তারা দু’জনেই এক সময় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সময়ের হাত ধরে এগিয়ে চলার পথে ফের কঠিন বাস্তবতায় সেই সখ্যতায়ও আবার চিড় ধরে। পুরনো দল বিএনপির সঙ্গে নতুন করে সখ্যতা গড়ে ওঠে তাদের। আওয়ামী লীগবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে যোগ দেন। বি. চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোটে শরিক না হলেও তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের এক মঞ্চে আসার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন।

ණ☛ পুনর্গঠন সাতকাহন : সংশ্লিষ্টদের মতে, এক-এগারোর তোপের মুখে পড়া বিএনপি বারবার দল পুনর্গঠনের কথা বললেও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও দলের সংস্কারপন্থী একটি অংশ কমিটি থেকে বাদ পড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বাদ পড়া নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত না করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু আন্দোলনও দৃশ্যত ব্যর্থ হয়। এরকম পরিস্থিতিতে গত বছরের ৪ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দল গুছিয়ে তারা আবার আন্দোলন শুরু করবেন।

ණ☛ সেবার তার ওই বক্তব্যের ২ মাস পর এপ্রিলে গিয়ে পঞ্চগড়, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চুয়াডাঙ্গা, নেত্রকোনা, নওগাঁ, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম উত্তর, ময়মনসিংহ উত্তরসহ বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই বছরের ১৮ জুলাই ঘোষণা করা হয় ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি। এছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি (আংশিক) ও শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছরেও এসব কমিটির প্রায় কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। ২ মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির সব ওয়ার্ড, থানা কমিটি করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আহ্বায়ক কমিটিকে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হন। এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ার্ড কমিটিই ঘোষণা করতে পারেনি তারা। এ অবস্থায় দুর্বল সাংগঠনিক ভিত্তির সঙ্গে যোগ হয় সরকারের নানা হামলা, মামলা ও হয়রানি। যার ফলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার পরও দলটি চলতি বছরের আন্দোলনে যেমন হয়েছে ব্যর্থ, তেমনি সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সমর্থকদের ভোট ঘরে তুলতে পারেনি। সর্বশেষ ৯ মে এক মতবিনিময় সভাসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, আবার দল পুনর্গঠন করবেন। এই আড়াই মাসে দল গোছানোর দৃশ্যমান তেমন কোনো কাজই হয়নি। জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাজাহান সোমবার বলেন, আমার কাছে পুনর্গঠনসংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্য নেই। আমি অসুস্থ। তবে যতদূর বুঝি, যেহেতু দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, সেহেতু দলের পুনর্গঠন নিয়ে শিগগিরই কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, সম্প্রতি দল পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর আন্দোলনে দলীয় নেতাদের ভূমিকাসহ দলের খোঁজখবর নিয়েছেন খালেদা জিয়া। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক ভিত খুবই দুর্বল। গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়ার মতো যোগ্য নেতাও নেই। তাই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সাবেক আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কয়েকজন সাংবাদিককে পৃথক পৃথকভাবে নেতা নির্বাচনের রূপরেখা দাঁড় করানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মতামত হাতে পাওয়ার পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করার পর দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে সব কিছুই হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে।

ණ☛ অপর একটি সূত্র জানায়, চিকিৎসার জন্য এ মাসের শেষ সপ্তাহে বিদেশ যাবেন মির্জা ফখরুল। তার ফেরার ওপর নির্ভর করবে দল পুনর্গঠনের প্রস্তুতি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেন, পুনর্গঠনের বিষয়ে এখনও কোনো কাঠামো দাঁড়ায়নি। আলোচনা হচ্ছে মাত্র। দলীয় ফোরামে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে পলিসি চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দল পুনর্গঠন এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা যায় কিনা ভাবা হচ্ছে। এবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপরে আরেকটি কমিটি করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। দলের দলীয় নেতাদের পাশাপাশি সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু বিএনপিমনা ও গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই কমিটি করার চিন্তা আছে। তবে এমনটি করতে হলে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপিকে দু’ভাগে ভাগ করারও চিন্তা আছে বলে জানা গেছে। যুগান্তর।

চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকে যারা ------ --!!!!

সরকারী প্রথম শ্রেনীর একজন কর্মকর্তার মাসিক বেতন যখন ১১,০০০ টাকা।
সরকারী হিসেবে ওই কর্মকর্তার পরিবার মানে একটি চার সদস্যের পরিবার। চাকরির শর্তানুযায়ী একজন সরকারী কর্মকর্তা অন্য কোন চাকরী কিম্বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে না, এমনকি তার পরিবারের কেউ যদি কোন ব্যবসা করতে চায় তবে তার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। যাক সে কথা, ১১০০০ টাকা স্কেলের একজন কর্মকর্তা বা তার নতুন বউ কিম্বা সদ্য জন্ম নেয়া শিশু সন্তানের পক্ষে কোন ব্যবসা করাও সম্ভব না, একে তো পুঁজির অনুপস্থিতি আরেক দিকে বিধি। ১১০০০ টাকা ওই চার জনের মধ্যে ভাগ করে দিলে , একেকজনের ভাগে পরে মাসিক ২৭৫০ টাকা (১১০০০/৪=২৭৫০)। অর্থাৎ দৈনিক ৯১.৬৭ টাকা ( ২৭৫০/৩০=৯১.৬৭) যা প্রায় ১.১৮ মার্কিন ডলার ( ২২/৯/২০১৪ তারিখের হিসেবে)।
The World Bank বা বিশ্ব ব্যাংকের ২০০৫ সালের সংজ্ঞাঅনুযায়ী যাদের দৈনিক আয় ১.২৫ ডলারের কম তাদেরকে বলা হয় চরম দরিদ্র্য ( Extreme Poverty or Absolute Poverty)। বিশ্ব ব্যাংকের বর্তমান সংজ্ঞা অনুসারে চরম দারিদ্র্যের নতুন সীমারেখা ২.৫ ডলার।
মজার ব্যাপার হল চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করা এই শ্রেনীর মানুষগুলোকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলতে হয় দেশের সর্বচ্চ আইন তথা সংবিধানকে।
এরকম চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা মানুষগুলোই হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের দৈনিক মাথাপিছু আয় ১.১৮ মার্কিন ডলার হবার পরেও প্রতিদিন সকালে তারা অফিসে যায় হাসি মুখে, আপনাকে আমাকে সেবা দিতে।
কপিঃ Akbar Hossain

৩ মাসে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত!


বালকটির নাম শরীফ মুসতফা। বয়স যখন ৭ তখন থেকেই অলৌকিক ঘটনা ঘটে তার জীবনে। মিসরের এই বালক মাত্র তিন মাসে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্ত করে ফেলেন। সূত্র : ইন্টারনেট।
এছাড়া মাত্র ৪০ দিনে বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফসহ আরও কয়েকটি হাদীসের প্রামাণ্য গ্রন্থের ১১ হাজার হাদীসও মুখস্ত করেন তিনি।
আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্রের জটিল কিছু গ্রন্থও সে তার ভেতর আয়ত্ত করে নেয়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তুহফাতুল আতফাল, মাতনুল জাযরী, শাতেবী, দুররাহ, আলফিয়া ইবনে মালিকইত্যাদী।
এখানেই শেষ নয়, সে তারপর মুখস্ত করে ফেলেছে পবিত্র কোরআনের বৃহৎ তাফসীর তাফসীরে জালালাইনের প্রতিটি লাইন ও শব্দ।
কোরআন শরীফের এ বিস্ময়কর ধারক শিশুটি শুধু এক কেরাতে নয়, পুরো কোরআন শরীফকে ১০টি কেরাতে পড়ার পদ্ধতি আয়ত্ত করে ফেলেছে মাত্র ৬ মাসে। কোথাও প্রতিযোগিতা হলেই সে হাজির এবং প্রথম স্থান কেড়ে নিয়েই তবে সে বাড়িতে ফিরে আসে। এ পর্যন্ত তার কাছে জমেছে মিসরের স্বনামধন্য আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াকফ মন্ত্রণালয়সহ প্রায় ৭৫ টি সার্টিফিকেট।
তার এমন অভূতপূর্ব মেধা দেখে আরব ও মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ তাকে পুরস্কার ও সম্মান জানিয়েছে। এখন সে তার এলাকা এবং মিসরের বিভিন্ন মসজিদে কোরআন ও ক্বেরাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে মানুষকে দ্বীন শেখায়।
অবিশ্বাস্য অকল্পনীয় স্মরণশক্তিসম্পন্ন কোরআনের এ বিস্ময়কর প্রতিভাকে আল্লাহ তায়ালাই পাঠিয়েছেন কোরআন হাদিসের আলো ছড়িয়ে দেবার জন্য সারা পৃথিবীময়। ইসলামের আলো ছড়াতেই যে তার জন্ম।

রাজধানীর বাড্ডায় ভয়াবহ আগুন

রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় একটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। আগুন ‍নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে সোনালী ব্যাংকের মধ্যবাড্ডা শাখার পেছনে অবস্থিত ওই টিনশেড বাড়িতে আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফায়ার ব্রিগেড কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জানান, সোমবার বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে ব্যাংক এশিয়ার পাশের গলিতে ওই টিনশেড বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু আগুনের শিখা অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠে যাওয়ায় চারপাশের আবাসিক ভবনগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে পাশের ভেনাস কমপ্লেক্স নামের একটি বহুতল ভবন থেকে বাসিন্দাদের নামিয়ে আনা হয়। আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ জড়ো হওয়ায় তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিংক রোড পর্যন্ত একপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা।
London Bangla News

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৫

ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেফতার

ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  েরাববার রাত পৌনে ২টার দিকে পটুয়াখালীর সেতু খালীর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি দুমকি থানায় আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান হাওলাদার সেতু।
আমার বাংলাদেশ এর সৌজন্যে

মাংস-পোলাও চাই না তাদের, নেশাই যে সব

ঢাকা: ঈদের কোনো আনন্দ উৎসব তাদেরকে স্পর্শ করেনি। তাদের নেই কোনো স্নেহ বোলানো পরশ। আনন্দ ও হাসি ফোটানোর আপন কেউ নেই তাদের। তবে আছে অন্য দিনের মতো ময়লার বাঘাড়ে কিছু খোঁজাখুজি। ময়লার ভেতর থেকে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস বিক্রির নেশা। বিক্রির অর্থ দিয়ে নেশায় বুথ হওয়া বা দুমোটো খাবার যোগানের আশা। এমনিভাবে রাজধানীর পথ শিশুদের ঈদ আনন্দের সময় কেটে গেলো।
ঈদের দিন শনিবার ও পরদিন রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল ময়লার ডাম্পিং স্টেশন, সায়েদাবাদ, টিটিপাড়া, কমলাপুর এলাকায় পথশিশুদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই দেখা যায়।
ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদে চাই নতুন জুতো। চাই নতুন পোশাকে ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু পথশিশুরা এসব চিন্তাও করতে পারে না। জীর্ণশীর্ণ পোশাকে অন্যদিনের মতো ঈদের দিনটিও তাদের কেটে গেলো অনাদরে, অবহেলায়।
ঈদের দিন দুপুরে মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনের কাছে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি পথশিশু একসঙ্গে বসে আছে। তাদের কাছে যেতেই মিরাজ নামের এক পথশিশু বলে, ‘মামা এহ্যান থেইক্যা যান। ড্যান্ডি (এক ধরনের নেশা) খাইতাছে হগলে।’
ঈদ কেমন কাটছে, নতুন জামা পেয়েছে কি না জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমাগো তো বাপ-মা নাই। কে আমাগো নতুন কাপুড় দিবো। কাপুড় দিয়া কি অইবো। আমারা বোতল টুকাই, যা পাই বিক্রি কইরা সবাই ভাগ কইরা নেই। কোনো কোনো সময় এক সাথে কয়েকজন মিল্যা ড্যান্ডি খাই।’
তার মতো একই কথা জানালো মুন্না নামের আরেক পথশিশু। এ সময় ময়লার বাগাড়ে কয়েকজন শিশুকে কিছু খোঁজাখুজি করতে দেখা গেছে।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন পথশিশু বৃষ্টিতে গা ভেজাচ্ছে। তাদের একজনকে কাছে ডাকতেই সবাই একসঙ্গে এলো। একজন বলে ওঠলো, ‘অই আইজ ঈদের দিন ভাই মনে অয় আমাগো টাহা দিবো।’ এরপর সবাই বলে উঠলো, ‘ভাই আমাগো টাহা দেন।’ কারো চুখে মুখে কালির ছাপ। এ যেন বৃষ্টির পানিতেও পরিষ্কার হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ২৫ পথশিশু একসঙ্গে জড়ো হলো। তাদের কারো শরীরে নতুন জামা ছিল না, জীর্ণশীর্ণ অবস্থা। কিন্তু আশানুরূপ কিছু না পেয়ে তারা ছুটাছুটি করে দুই তিনজন একসঙ্গে চলে গেলো। পাশেই ৬ শিশু বসে একসঙ্গে বিড়ি ফুকাচ্ছে। কাছে যেতে বিশ্রি গন্ধ। এতো তীব্র গন্ধ যে তাদের কাছে গিয়ে কথা বলার মতো পরিবেশ নেই। তাদের পাশেই একটি ভাঙা ঝুঁপড়ির নিচে তিন-চারজন ঘুমাচ্ছে।
কমল নামের একজন জানায়, তারা বিড়ির ভেতর গাঁজা ঢুকিয়ে ফুকাচ্ছে। আর যারা ঘুমিয়ে আছে তারা নেশা টেনেই ঘুমাচ্ছে। এই হলো পথশিশুদের ঈদের আনন্দ।
এদিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, দেশের ৭৫ ভাগ পথশিশুর বাসই রাজধানীতে। এরমধ্যে শতকরা ৫৩ ভাগ ছেলে আর ৪৭ ভাগ মেয়ে। নোংরা পরিবেশ আর অপুষ্টিতে বেড়ে ওঠা এসব শিশুর ৮৫ ভাগই রোগাক্রান্ত। পথশিশুদের জীবনযাপন অত্যন্ত দুর্বিষহ। অধিকাংশ সময়ই রাস্তা, পার্ক, ট্রেন-বাস স্টেশনে, লঞ্চঘাটে, সরকারি ভবনের নিচে ঘুমায় এবং প্রতিনিয়তই নাইটগার্ড কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়। নোংরা স্থানে চলাফেরা ও ঘুমানোর কারণে চর্মরোগে আক্রান্ত হয় অনেকেই। এই পথশিশুদের একটি বড় অংশ শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পৌঁছার আগেই জড়িয়ে পড়ে চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি, পিকেটিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
বিআইডিএস ও ইউনিসেফের এক গবেষণার তথ্যানুযায়ী, দেশে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৮ জন পথশিশু রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা শহরে রয়েছে ৭ লাখ পথশিশু। চলতি বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৪ জনে। আর ২০২৪ সাল নাগাদ সংখ্যাটা হবে ১৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৩০ জন।
পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে মাদক সেবন করে। ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ ধূমপান, ২৮ শতাংশ বিভিন্ন ট্যাবলেট এবং ৮ শতাংশ ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করে থাকে। ঢাকায় এদের কমপক্ষে ২২৯টি মাদকের স্পট রয়েছে।
অন্য এক জরিপে মাদকাসক্ত শিশুদের মাদক গ্রহণ ও বিক্রিতে ৪৪ শতাংশ, পিকেটিংয়ে ৩৫ শতাংশ, ছিনতাই, নেশাদ্রব্য বিক্রয়কারী এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ২১ শতাংশ পথশিশুর যুক্ত থাকার তথ্য উঠে এসেছে।
পথশিশুদের সহায়তাকারী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু হোরায়রার বাংলামেইলকে বলেন, ‘দেশে অনেক পথশিশু আছে। ঈদের আগে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু পথশিশুদের নতুন জামা উপহার দিয়েছি। আমরা তো আর সব পথশিশুদের জামা কাপড় দিতে পারিনি। তবে আমাদের মতো সমাজে সচ্ছল মানুষগুলো এগিয়ে এলে পথশিশুদের সঠিক পথে কাজে লাগানো যেতো।’

নাজমুল ইসলাম ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম

ধর্ষণে শীর্ষ স্থানাধিকারী ১০ টি দেশ : নেই কোন মুসলিম দেশ

সারা বিশ্বে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ধর্ষণ, নারী নিগ্রহের ঘটনা। নারীর সম্ভ্রম লুঠ করার প্রবণতা বাংলাদেশের মতো দেশেও হচ্ছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্ষনের সংখ্যা বেশি। ধর্ষণে শীর্ষ স্থানাধিকারী ১০টি দেশের মধ্যে নেই মুসলমান প্রধান দেশ। প্রতিবেশি দেশ ভারতের স্থান পঞ্চম।
ধর্ষনের চিত্র বলছে এই অপরাধ সারা বিশ্বেই ক্রমবর্ধমান। কঠোর থেকে কঠোরতর আইন প্রণয়ন করেও এই অপরাধকে সেভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে রয়েছে মৃত্যুদণ্ড। তাও এই প্রবণতা কমেনি। ২০১২ সালে দিল্লিতে বাসের মধ্যে একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। সেই 'নির্ভয়া কাণ্ড' ঘটার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল সারা ভারতে। তা সত্ত্বেও রাজধানী দিল্লিতেই প্রতিদিন মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছেন।
সারা ভারতের চিত্র কমবেশি একই রকম। এবং সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেও তা খুব একটা আলাদা নয়। প্রতিটি দেশেই ধর্ষণ নামক মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হয়ে চলেছে। নিচে দেয়া হলো বিশ্বের প্রথম ১০ টি ধর্ষণপ্রবণ দেশের চিত্র।
 ১.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ধনী ও শক্তিশালী দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও নারী নিরাপত্তার হার চিন্তা করার মতো বিষয়। এদেশে ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্য়ে ৯১ শতাংশ মহিলা ও বাকী ৯ শতাংশ পুরুষ।
২.যুক্তরাজ্য : ইংল্ন্ড পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলির অন্যতম। অথচ সেদেশে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে বিস্তর। তথ্য বলছে, বছরে প্রায় ৮৫ হাজার মহিলা ধর্ষিতা হন গ্রেট ব্রিটেনে। প্রতি বছর যৌন হয়রানির শিকার হন প্রায় ৪০ হাজার মহিলা।
৩.দক্ষিণ আফ্রিকা : দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। আর সেদেশে সাজাও অত্যন্ত কম। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হয় মাত্র ২ বছরের জেল।
৪.সুইডেন : সুইডেনে প্রতি চারজনে একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। এবং প্রতিবছর ধর্ষণের সংখ্য়া হুহু করে বাড়ছে সুইডেনে।
 .ভারত: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে প্রতিমুহূর্তেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। নির্ভয়া কাণ্ডের পর সেভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি সমাজজীবনে বা ধর্ষণের ঘটনাও কমার কোনও লক্ষণ চোখে পড়েনি।
 ৬.জার্মানি : ইউরোপের আর এক উন্নত দেশ জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ।
 ৭.ফ্রান্স: ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না। পরে তা অপরাধের তালিকায় স্তান পেয়েছে। বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ফ্রান্সে অথচ ১০ শতাংশ ঘটনারও অভিযোগ জমা পড়ে না পুলিশে।
 ৮.কানাডা : হাফিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হন কানাডায়। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে বাড়িতে চেনা পরিবেশে এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে পরিবার-বন্ধুবান্ধবরাই যৌন নির্যাতন করেন।
৯.অস্ট্রেলিয়া : অস্ট্রেলিয়াতে ২০১২ সালের হিসাব ধরলে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মহিলা বছরে নির্যাতিতা হন।
১০.ডেনমার্ক : ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হন প্রতিবছর।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ” – কেমন করে গানটি আমাদের হলো" .


বাঙালির প্রায় প্রতিটি উৎসবের সাথেই জড়িয়ে আছে কোনো না কোনো গান। একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা যেমন কণ্ঠে তুলে নিই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ ঠিক তেমনি পহেলা
বৈশাখে এই বাঙালির কণ্ঠেই উঠে আসে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের চরণগুলো। তবে বাঙালি মুসলমানের ঈদ উৎসবে ‘ও মন  রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি যেমন প্রাণ  পেয়েছে, তেমন একক ও স্বতন্ত্র জনপ্রিয়তা খুব কম গানের ক্ষেত্রেই এসেছে। প্রতি বছর রমজান শেষে ঈদের চাঁদ উঠলেই সবার কণ্ঠে ধ্বণিত হতে থাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই সাড়া জাগানো গানটি। এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ শিরোনামের যে গানটি এখন আমাদের কাছে পরিচিত, সেই গানটির সাথে এই গানের মূল কবিতার বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। আর মূল গানটি নজরুল লিখেছিলেন ১৯৩১ সালের কোনো এক সময়ে। যে সময়টায় এই গান রচিত হয়, সে সময় নানা ধারার গানে নজরুলের খ্যাতি থাকলেও ইসলামি গান রেকর্ডিং-এ সেভাবে হাত দেননি নজরুল। মূলত সে সময়কার মুসলিম রক্ষণশীল সমাজ গান-বাজনার ঘোর বিরোধী হওয়ার কারণেই নজরুল তার লেখা ইসলামি গানগুলো রেকর্ডিং  করতে আগ্রহী হননি। এদিকে এই সময়েই কলকাতা তথা গোটা বাংলাতে শিল্পী হিসেবে আব্বাস উদ্দিন আহমদের নামযশ ছড়িয়ে পড়েছিল। 

নজরুলের সাথে তার হূদ্যতাও ছিল উলেস্নখ করার মতো। তাই নজরুলের বাসায় যাতায়াত এবং তার সাথে যোগাযোগের সুবাদে এক সময় আব্বাস উদ্দিনই তাকে অনুরোধ করেন ইসলামি গান রেকর্ডিং করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিতে। শিল্পীর এই অনুরোধে নজরুলও বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে সম্মত হন এবং তৎকালীন গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল ইনচার্জ ভগবতী ভট্টাচার্যের সাথে এ নিয়ে আব্বাস উদ্দিনকে আলাপ করতে বলেন। 
প্রথম দিকে লাভ-লোকসানের কথা চিন্তা করে এক বাক্যেই তাকে না করে দেন ভগবতী। তবে নানাভাবে তাকে বুঝিয়ে অবশেষে প্রায় এক বছর পর ইসলামি গানের রেকর্ড প্রকাশের সম্মতি আদায় করেন শিল্পী আব্বাস উদ্দিন। তবে সে সময় তিনি এই শর্তে রাজি হন যে এবার ইসলামি গানের রেকর্ড হলেও যদি বিক্রি না হয় তাহলে এর পর গ্রামোফোন কোম্পানি আর কোনো ইসলামি গানের রেকর্ড প্রকাশ করবে না। ভগবতী ভট্টচার্য রাজি হওয়ার সাথে সাথে আব্বাস উদ্দিন তার রুম থেকে বের হয়ে নজরুলের খোঁজে একে ওকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন যে, নজরুল তিনতলায় তার নিজস্ব কামরায় আছেন। আব্বাস উদ্দিন ঘরে প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন, নজরুল ইন্দুবালাকে গান শেখাচ্ছেন। আব্বাস নজরুলের কাছে বসে বসে তার কানে কানে বললেন, ভগবতী ভট্টাচার্য মহাশয় রাজি হয়েছেন বাংলায় ইসলামি গান রেকর্ড করতে। আব্বাস উদ্দিনের কাছ থেকে এই কথা জানার সাথে সাথেই নজরুল গান শেখানো বন্ধ করে ইন্দুকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তারপর আব্বাস উদ্দিনের সাথে তার কাজ আছে বলে দশরথকে ডেকে চা ও পান আনতে বলেন। 
এ সময় কলকাতার ম্যাগন থিয়েটারের বিশ ও তিরিশের দশকের প্রধান নাট্যকার ও প্রখ্যাত সুরশিল্পী জনাব আগা হাশরের রচিত এবং
সুরারোপিত ‘হাম জায়েঙ্গে ওয়াহিঃ দিওয়ানা যাহা হো’ গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। উর্দু এই গানটির সুর নজরুলেরও বেশ ভালো লাগতো। 
.ইতিমধ্যে দশরথ এক ঠোঙ্গা পান ও চা নিয়ে এলে এগুলো নিয়ে আব্বাস নজরুলের রুমে ঢুকলেন। তিনি আব্বাসকে বললেন, ‘দরজা বন্ধ করে দিয়ে চুপ করে বসে থাকো।’ এরপর নজরুল আগা হাশরের ওই বিখ্যাত জনপ্রিয় উর্দু গানের সুর ও ছন্দ পুঁজি করে সামনে
ঈদের আনন্দকে হূদয়ে লালন করতে সেই সুর ও ছন্দে মাত্র ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে রচনা করে ফেলেন ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি। গান লেখা শেষ করেই তিনি এর সুর সংযোগ করে তা আব্বাস উদ্দিনকে শিখিয়ে দেন এবং পরের দিন একই সময়ে তাকে আসতে বলেন। পরের দিন আব্বাস উদ্দিন আবারো নজরুলের কাছে গেলে তিনি ‘ইসলামের এই সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর’ শিরোনামের আরো একটি গান লেখেন। অবশেষে গান দুটো লেখার ঠিক চারদিন পরেই এই গান দুটো  এইচ.এম.ভি কোম্পানিতে রেকর্ড করা হয়। এ সময় নজরুল এতোটাই অস্থির ছিলেন যে তিনি নিজে থেকেই বারবার সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছিলেন এবং তদারকি করছিলেন। তখনকার দিনে যন্ত্র ব্যবহার হতো শুধু হারমোনিয়াম আর তবলা। এদিকে গান দুটি তখনও আব্বাসের মুখস্থ হয়নি। তাই শিল্পী আব্বাস উদ্দিনকে সহায়তা করতে নজরুল নিজেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। নজরুল যা লিখে দিয়েছিলেন মাইকের পাশ দিয়ে হারমোনিয়ামের ওপর ঠিক আব্বাসের চোখ বরাবর হাত দিয়ে নজরুল নিজেই সেই কাগজখানা ধরলেন। আব্বাস উদ্দিনও গেয়ে চললেন ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষেঃ’। আর এভাবেই রেকর্ডে বাণীবদ্ধ হয় কালজয়ী এই গানটি। গানটি রেকর্ড হবার মাস দুয়েক পরেই ছিল ঈদুল ফিতর। আর ঈদের সময়েই রেকর্ডটি বাজারজাত করে গ্রামোফোন কোম্পানি। রেকর্ড নম্বর ছিল ৪১১১ এবং প্রকাশকাল ছিল ১৯৩২ সালের ফেবু্রয়ারি মাস। 
.আর এই রেকর্ডটির সুবাদেই আজ থেকে প্রায় ৭৯ বছর আগে শ্রোতাদের কানে প্রথমবারের মতো পৌঁছে যায় ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি। 

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী