আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ হেটে মহাখালী যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখটা আটকে গেল। এ কি করে সম্ভব? মহাখালী রেলগেটের প্রায় উপরে এবং ফ্লাই ওভার ঘেসে কি করে উঁচু টাওয়ার বিল্ডিং নির্মান হতে পারে???? এত বড় টাওয়ার বিল্ডিং এ মানুষ প্রবেশ করবে কোন দিক দিয়ে? গাড়ী যাতায়াত করবে কি ভাবে?? এখানেতো মহা যানজট সৃষ্টি করবে। এত বড় একটি টাওয়ার এখানে কি ভাবে নির্মান হতে পারে তা জনগণের কাছে বোধগম্য হচ্ছে না।
আরো খটকা লাগলো যখন দেখলাম টাওয়ারটির মালিক সেনা কল্যান সংস্থা যা সেনাবাহিনীর একটি কল্যান প্রতিষ্টান। জানিনা এই টাওয়ার নির্মানে অনুমোধন আছে কিনা??? এস কে এসের বিশাল সাইনবোর্ড দেখলাম - ১৩ তলা মেগা শপিংমল কিন্তু রাজুকের কোন অনুমোদন দেখলাম না। তবে নিশ্চয় এই মেগা প্রজেক্টে সেনা কতৃপক্ষের অনুমোদন আছে।
ভাবতে কষ্ট হচ্ছে দেশপ্রেমিক সেনা কতৃপক্ষ কি করে এরকম যানজট সৃষ্টি ও জনভোগান্তির কারন হতে পারে এমন একটি প্রকল্প শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সার্থ চিন্তা করে সেনা কল্যান সংস্হাকে দিতে পারে??
ব্যবসা কোন মহত কাজ নয়। ব্যবসায় দুর্নীতি, মুনাফা, কালাবাজারী, চোরাকারবারী ইত্যাদি অহরহ হয়ে থাকে। যেখানে মুনাফা থাকে সেখানে দেশপ্রেম ও সততা থাকে না। থাকতে পারে না। দোকানদারী মানেই মুনাফা, কালোবাজারী, ভেজাল মিশানো, ফাকীবাজী ইত্যাদি থাকবেই। ব্যবসা করলে ট্যাক্স ফাকী, চোরা কারবারী, মিথ্যা বলা ও দুর্নীতি করতেই হবে।
ঠিকাদারী করলে চুরি, নিম্নমানের কাজ, হিসাবে গরমিল, অতিরিক্ত বিল ইত্যাদি দুর্নীতি করতেই হবে। তাই জনগণ কখনই দোকানদার, ব্যবসায়া পছন্দ করে না বরংচ দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর দারস্ত হয়। কিন্তু এখন উল্টো হয়ে যাচ্ছে । সেনাবাহিনীকেই ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকের নামে অনেক জেনারেলরা অনেক দোকানদার বা ফটকাবাজদের ভাই!!!! বড় দুর্ভাগ্যজনক।
মনে হচ্ছে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে একটি বিদেশী শক্তি আমাদের ঐতিহ্যবাহী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নষ্ট করে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশপ্রেমিকদের ভাবা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।
লেখকঃ সাবেক সংসদ সদস্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন