বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী আটক


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক ২৩ আগষ্ট’১৬ঃ  জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের নেতা মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের মেঝো ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (সাবেক) আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজার কাজী অফিস লেনের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে সোমবার দিবাগত রাত একটার কিছু আগে আবদুল্লাহিল আমান আযমীর ভাই, প্রবাসী সালমান আল-আযমী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ডিবি পুলিশের অন্তত ৩০-৩৫ জন তার ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে।

বাড়ির কেয়ারটেকার আযাদ জানান, ‘আমি রাত নয়টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ির সামনে আসি। তখন গোয়েন্দা পুলিশ এসে আমার কাছে জানতে চান, আব্দুল্লাহিল আমান আযমী কোথায়? আমি কিছু জানি না বলাতে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে।'তিনি জানান, গলির ভেতর প্রায় ২০টি মাইক্রোবাসে ৩০ জনের মত ডিবি পুলিশ এসেছিল। তারা গভীর রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, 'চলে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা পুলিশেরা আমাকে দেখিয়ে দিতে বলে এই ভবনের আশেপাশে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামরা আছে'। আযাদ জানান, বাড়িতে ক্যামেরা ছিল না। কিন্তু মহল্লার নিরাপত্তার ক্যামেরা ছিল গলিতে। সেগুলো তারা খুলে নিয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, রাত ১১টার কিছু আগে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বড় মগবাজার কাজী অফিস গলিতে মরহুম গোলাম আযমের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এসময় ওই গলিতে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কিছু লোক বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।

আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই বাসার ভেতর থেকে তারা চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান। পরে আমান আযমীকে নিয়ে দ্রুত বাসার ভেতর থেকে বের করে এনে গাড়িতে তোলা হয়। এর পর একটি গাড়ির বহর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ওই গাড়ি বহরের সঙ্গে একটি মোবাইল জ্যামারবাহী গাড়িও ছিল।
মেঝো ভাইয়ের গ্রেফতার নিয়ে রাত ১টার কিছু আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে অধ্যাপক সালমান আযমী। যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা সালমান লিখেছেন, “আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি রাজনীতিতেও জড়িত না। কখনো আইন ভঙের কোনো ঘটনা ঘটাননি। অথচ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরনের অবিচার একটি ঘৃণ্য ও ভয়ংকর কাজ এবং এটি মানবাধিকারের চরমতম লংঘন।”

গ্রেফতার বিষয়ে সালমান জানান, তাদের মগবাজারের বাসায় ৩০/৩৫ জনের মতো লোক সাদা পোশাকে হাজির হয়ে আমান আযমীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানরা কাঁদছিলেন। চার বছরের নিচে তার দুটি সন্তান রয়েছে।”

অধ্যাপক সালমান আরো লিখেছেন “আমার ভাইদের মধ্যে তিনিই শুধু দেশে আছেন ৮৩ বছর বয়সী মাকে দেখাশোনার জন্য।” তিনি দেশের সবার কাছে ভাইয়ের জন্য দোয়ার আহবান জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী