আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ: ২৫ জুলাই ২০১৫; ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব আয়োজিত সদস্যদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, শুধু জনগণের জানমাল নয় বরং দখলদার অপশক্তি দেশের স্বার্থও জলাঞ্জলি দিয়ে যাচ্ছে। তাই নেতাকর্মীদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্বের উদ্যোগে সদস্যদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি এম শামিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মোবারক হোসেন।
শিবির সভাপতি বলেন, দেশের মানুষের অধিকার হরণের পাশাপাশি দেশের স্বার্থও বিলিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। সম্প্রতি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলা হলেও তারা তা স্থায়ী করে নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে। এখন আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষেই মরুভূমিতে পরিণত হবে। এটি জনগণের বাঁচা-মরার সাথে জড়িত হলেও নতজানু এ সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। এই নীরবতা দেশের ধ্বংসের সম্মতি ছাড়া কিছু নয়। সরকারের এই আত্মঘাতী নীরবতা কোন গোপন চুক্তির অংশ কি না দেশের মানুষ তা জানতে চায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকে ছাত্রসমাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রসমাজের একটি অংশ লেজুড়বৃত্তিকে বেছে নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতিকে আয়ের মাধ্যম বানিয়ে প্রতিদিনই জাতিকে লজ্জাজনক ঘটনা উপহার দিচ্ছে। গতকালও মাগুড়ায় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হয়েছে মাতৃগর্ভে থাকা একটি শিশু ও তার মা। পাষ-দের গুলীতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে গর্ভে থাকা এই শিশুটি। এই নজিরবিহীন বর্বরতা ছাত্রসমাজ ও জাতির জন্য চরম লজ্জা বয়ে এনেছে। ছাত্রলীগ তাদের অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে নিষ্পাপ এক শিশুর রক্তে রাঙ্গিয়ে নিয়েছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে টু শব্দটিও করা হয়নি। এই জনসমর্থহীন রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়া ছাড়া রক্ষা হবে না তা বার বার প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ছাত্রশিবির দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং কারো দিকে তাকানোর সময় নেই। যার যার অবস্থানে থেকে দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের সামনে দেশ ও ইসলামের শত্রুদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় যে কোন ত্যাগের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন