বিজ্ঞাপন দিন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই ঈদ উত্তর সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ব্যাংক খোলা এবং যথারীতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। ঢাকার সবুজবাগ থানার রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১:b>ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও, শাহীবাগ বাজার

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

মায়ের কাছে ফিরতে ব্যাকুল অসুস্থ দুবাই প্রবাসী ফারুক

শরিয়াতপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার আক্কেল আলী গাজীর ছেলে ফারুক গাজী ২০১১ সালে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ থেকে হাজার বর্গ মাইল দূরে দুবাইতে। তার মনে ছিলো অনেক স্বপ্ন দুবাই এসে তার কামাইয়ের টাকা দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চলবে তাদের ৬ জনের সংসার। ফারুক গাজী (বন্টাল মারবেল কোম্পানির) ভিসা নিয়ে দুবাই আসেন আসার ৩ বছর পর সে ৪৫ দিনের ছুটিতে যান বাংলাদেশে। ছুটি শেষে দুবাই এসে আবার আগের কর্মে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে প্রায় ৮ মাস পার হয়ে গেলেও বেতন দেয়নি কোম্পানি। বেতনের কথা বললেই তাদেরকে বলা হতো বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ একবারে কেন্সেল করে দেশে পাঠিয়ে দিবো। কেন্সেলের ভয়ে তারা বিনা বেতনে পার করে দিলো ৮ টি মাস। তাদের আর চলার কোনো পথ না পেয়ে তারা তিন বাংলাদেশি এবং চার ইন্ডিয়ানি সহ তারা ৭জন লেবার কোর্টে গিয়ে তাদের বেতন না দেয়ার অভিযোগে কোম্পানির নামে মামলা করে। তারা যে মামলা করেছে তার প্রেক্ষিতে লেবার কোর্ট থেকে কোম্পানির মোবাইলে মেসেজ দিয়েছে। মেসেজ আসার পরদিন তাদের সাতজন কে জিজ্ঞেস করলে তারা মামলার কথা স্বীকার করলে তাদের কে কেন্সেল করে কোম্পানির একামডিশন থেকে বের করে দেয় হয়।
তারা আবার লেবার কোর্টে যান লেবার কোর্টে গেলে লেবার কোর্ট থেকে তাদেরকে বলা হয় তাদেরকে কয়েকদিন পর ডাকা হবে। তারা এক এক জন এক এক দিকে তাদের থাকার তাগিদে চলে যান। ফারুক গাজী গিয়ে উঠে ছাতুয়া তার এক বন্ধুর বাসায় সে ওখানে থেকে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে দৈনিক বেতনে কাজ নেন। কিছুদিন পর লেবার কোর্ট থেকে তাকে কোর্টে যাওয়ার জন্যে ফোন দিলে তার কাছে কোর্টে যাওয়ার মতো গাড়ি ভাড়া না থাকায় এবং ডিউটি থেকে ছুটি চেয়ে ছুটি না পাওয়ায় আর কোর্টে যেতে পারেনি। ছাতুয়াতে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে চলে আসে আজমান নওয়াইমিয়া তার এক বন্ধু সানাউল্লাহ গাজীর বাসায়। ১৫-০৬-২০১৫ তারিখ সোমবার ফারুক অসুস্থ হয়ে পরলে ছানাউল্লাহ গাজী সহ তার রুমের কয়েকজন মিলে অসুস্থ ফারুককে আজমান খলিফা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফারুকের ভিসা কেন্সল থাকার কারনে ফারুককে ভর্তি করাতে রাজি হননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোনো পথ না পেয়ে সানাউল্লাহ গাজী তার আইডি কার্ড দিয়ে ফারুককে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুক্ষন পর চিকিৎসক এর কাছে ফারুকের অবস্থা জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান ফারুকের বাম হাত বাম পা মুখের বাম দিকটা অবশ হয়ে গেছে।
বেশ কিছু দিন ফারুককে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে। চিকিৎসক আরো বলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফারুককে দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করার জন্যে। ফারুকের হাসপাতাল থেকে দেয়া রিপোর্ট নিয়ে ০২/০৭/২০১৫ তারিখ সানাউল্লাহ বাংলাদেশ কন্সুলেট দুবাইতে যান। কন্সুলেট থেকে আউট পাসের ব্যাবস্থা করে দেয়া হয়। কন্সুলেট থেকে ফারুকের হাসপাতাল এর খরচ এবং দেশে যাওয়ার টিকেট এর ব্যাপারে কন্সুলেটের হস্তক্ষেপ কামনা করলে কন্সুলেট থেকে তাদের করার কিছু নেই বলে জানিয়ে দেন বলে জানান সানাউল্লাহ গাজী। আজ প্রায় দেড়মাস ফারুক গাজী আজমান খলিফা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আরব আমিরাত প্রতিনিধি এম,শামছুর রহমান সোহেল ২২/০৭/২০১৫ তারিখ সন্ধ্যায় ফারুকে দেখতে আজমান খলিফা হাসপাতালে গেলে ফারুক গাজী কান্নায় ভেঙে পড়েন। অসুস্থ ফারুক গাজী বলেন আমার হাসপাতালের বিল এসেছে প্রায় ২৪ হাজার দিরহাম এর মতো এ টাকা পরিশোধ করার মতো টাকা আমার কাছে নেই। দয়া করে আমাকে দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থাটা করে দিন। ফারুক গাজী বাংলাদেশ কন্সুলেট এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাহায্য কামনা করেছেন। তার বিশ্বাস প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার প্রবাস জীবনের শেষ ইচ্ছেটি পুরন করবেন এবং তাকে ফিরে যেতে সাহায্য করবে তার মমতাময়ী মায়ের কাছে।
এম,এস,আর সোহেল,আরব আমিরাত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

About

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

আমার ব্লগ তালিকা

Translate

Translate

আমাদের বাংলাদেশ নিউজ 24

সর্বশেষ

অনুসরণকারী