ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নেতারা গতকাল শুক্রবার বিকেলে আকস্মিক বরগুনা-ঢাকা পথে চলাচলকারী পাঁচটি বাস নিয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলমুখী কয়েক শ যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রীদের অধিকাংশই এই পাঁচটি বাসে এক সপ্তাহ আগে টিকিট কিনে নিয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার রাতে যাত্রীদের নিয়ে বরগুনা থেকে এসব বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
গতকাল বিকেলে বরগুনা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শ যাত্রী বাসের টিকিট হাতে অপেক্ষা করছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাস নিয়ে যাওয়ার খবরে তাঁরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। আবদুল আলীম নামে ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে শনিবার সকালে অফিসে যোগদান করার কথা। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনি বাস নেই। এখন কী করব, ভেবে পাচ্ছি না।’
ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী জানান, আজ শনিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন। এ উপলক্ষে বরগুনা থেকে প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। এ জন্য তাঁরা ঈগল পরিবহন, হানিফ পরিবহন, আবদুল্লাহ পরিবহন, সাকুরা পরিবহন ও সোনারতরী পরিবহনের পাঁচটি বাস নিয়ে যান।
আবদুল্লাহ পরিবহনের স্থানীয় প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের আগাম টিকিট দেওয়া, এখন গাড়ি নেই। এ নিয়ে খুব সমস্যা হয়েছে। শুধু জ্বালানি ও ফেরি খরচ দিয়ে তাঁরা বাস নিয়ে গেছেন।’
সাকুরা পরিবহনের স্থানীয় কাউন্টার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে যাওয়ার জন্য জোর করে গাড়ি নিয়ে গেছেন। এখন আমরা কী করব, ভেবে পাচ্ছি না। যাত্রীদের আগাম টিকিট দেওয়া, এখন তাঁদের কী বলব বুঝতে পারছি না।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনানের দাবি, ‘আমরা পরিবহন মালিকদের কাছে আগেই পাঁচটি বাস চেয়েছি। কারও কাছে জবরদস্তি করা হয়নি। এ জন্য আমরা অগ্রিম টাকাও দিয়েছি। এখন কীভাবে তাঁরা (বাস মালিক) যাত্রীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন